এখন সাধারণত আমি খুব একটা বাইরে যাই না।ক্যাম্পাস বন্ধ তাই বাইরে যাওয়ার দরকার পড়ে না।সারাদিনে একবার বাইরে যাই।তাও সকালবেলা ফোনে লোড আর সিগারেট নিতে।আমার রুমে কাওকে ডুকতে দেই না।তাই, নিশ্চিন্তে বেলকনিতে খাওয়া যায়।
আজকে সকালেও তার জন্য বের হয়ছি।ফেরার পথে প্রিয়ন্তির সাথে দেখা।এই মেয়েটারে আমার কাছে ডেঞ্জারাস টাইপের মনে হয়। অনর্গল কথা বলে যেতে থাকে।কোথাও কোন ভয় নেই জড়তা নেই। আর সারাদিন আমার পিছনে লেগে থাকে।কথায় কথায় তর্ক করা তার একটা বাজে স্বভাব।শুধু কি আমার সাথেই না সবার সাথেই করে।সেটা জানি না!
প্রিয়ন্তি আমার ছোট বোনের বান্ধবী।ইন্টার ১ম বর্ষে পড়ে।কিন্তু কথা বলবে তার বয়সের অনুপাতের চেয়ে অনেক বড় বড়।আমার চার বছরের ছোট কিন্তু এমন ভাবে কথা বলবে যেন আমি ওর ছোট। ছোট বোনের বান্ধবী বিধায় সারাদিনেই আমাদের বাসায় পড়ে থাকে।সুন্দরী মেয়েদের বেশি পাত্তা দিতে নাই।তাই সব সময় এড়িয়ে চলি।সুযোগ পেলেই ঘাড়ে উঠে বসতে চাইবে।
– কি মিঃ ক্যাবলাকান্ত,সিগারেট আনতে গেছিলেন বুঝি?
– সিগাআআআআরেট আনতে! কই নাতো! আর তোমাকে কতবার বলছি আমাকে ক্যাবলাকান্ত বলবা না।এই সহজ কথটা তোমার মনে থাকে না?
– একশবার বলবো হাজারবার বলবো! কি করবেন কি, আপনি?
– তোমার মতো মেয়ের সাথে কথা বলাই আমার ভুল হয়ছে।
– আমার মতো মেয়ে মানে?
– মানে তোমার মতো ঝগড়াটে মেয়ের সাথে কথা বলাই ভুল।
– কি বললেন?আমি ঝগড়াটে মেয়ে না?আপনি ঝগড়াটে আপনার স্বভাবটাই ঝগড়াটে! ঝগড়াটে পুলা!
– মুখ সামলে কথা বলবা, বলে দিলাম!
– না বললে! কি করবেন?
– মুখ সিলাই করে দিবো।
– কি এতো বড় সাহস?দাঁড়ান আজকে আপনাকে বুঝাচ্ছি আমি কি জিনিস!
শুধু এইটা মনে রাখেন আজকে আপনার খবর আছে! সিগারেট খান না?বেলকনিতে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে না? বিড়বিড় করতে করতে প্রিয়ন্তি চলে যেতে লাগলো।বেশ কয়েকটা ডাক দিলাম কিন্তু কাজ হলো না।সে তার মতোই চলে গেল। কিন্তু কি বলে গেল?আমি সিগারেট খাই এইটা জানলো কেমনে? জানার তো কথা না?চোরের মতো লুকাইয়া লুকাইয়া খাই।আর খাওয়ার আগে আশেপাশে ভাল করে দেখে নেই।কিভাবে জানলো সেটা ব্যাপার না।ব্যাপারটা হচ্ছে এই কথা আমার আম্মাজান আর আব্বাজানের কানে গেলে।আমার বনবাস সুনিশ্চিত।
এসব ভেবে বাসার দিকে যাচ্ছি।তখনই একটা জিনিস মাথায় আসলো।প্রিয়ন্তিদের ফ্ল্যাট আর আমাদের ফ্ল্যাট পাশাপাশি।আমার রুমের বেলকনি থেকে প্রিয়ন্তি রুমের বেলকনি দেখা যায়।আর প্রিয়ন্তির বেলকনি থেকে আমার।দিনের বেলায় তো দেখার প্রশ্নই আসে না কারণ সারাদিনই আমাদের বাসায় থাকে।তার মানের রাতের বেলায় খাইতে দেখছে। সকালের নাস্তা অনেক আগেই হয়ছে।কিন্তু সিগারেট এখনো একটাও খাওয়া হয়নি।তাই রুমে গিয়ে বেলকনিতে দাঁড়িয়ে একটা জ্বালালাম।খাওয়া শেষ হতেই দরজায় টোকা পড়লো।এমন সময় আবার কে এলো?দরজা খুলতেই দেখি মিতু।আমার ছোট বোন।
– ভাইয়া আম্মু ডাকছে! আজকে তোমার খবর আছে।
– কেনো?আমি আবার কি করলাম?
– তুমি জানো না কি করছো?তাড়াতাড়ি আসো!
– আচ্ছা, যা! এসছি!
ওই মাইয়া কি বলছে দিছে?সিগারেট খাওয়ার কথা! বলে দিলে আমার আজকে সত্যিই খবর আছে।কিন্তু কথা হলো বলে দেয়ার হলে আগেই বলে দিতো।আমার তো মনে হয় অনেক আগে থেকেই জানে এই ব্যাপারটা।তাহলে এতোদিন বললো না কেনো?এতদিন যেহেতু বলে নাই।তারমানে আজকেও বলে নাই।আবার বলেও দিতে পারে এই মেয়ের বিশ্বাস নাই।
– অভ্র, তুই আজকেও প্রিয়ন্তির সাথে ঝগড়া করছিস?তোকে কতবার মানা করছি ঝগড়া করসি না।তারপরেও তুই আমার কথা শুনিস না!
– আমি নিজে থেকে ঝগড়া করছি নাকি! ওই মাইয়াত পায়ে পাড়া দিয়া ঝগড়া শুরু করছে।কথা শুনাতে হলে ওকে শুনাও! আমাকে শুনাচ্ছো কেনো?
– কিহ, আমি পায়ে পাড়া দিয়া ঝগড়া শুরু করছি?আপনি শুরু করছেন।জানো আন্টি তোমার ছেলে না রাস্তার সবার সামনে আমাকে এতোগুলা কথা শুনায়ছে। কথা শেষ হতেই কান্না শুরু করে দিলো।বুঝালাম না কান্নার কি হলো? আর আমার যতদূর মনে পড়ে সেও কম যায় নি।তাহলে এই কান্নার মানে কি?পাশ থেকে মিতু বলে উঠলো!
– আম্মু, ভাইয়া সবসময় প্রিয়ন্তির সাথে এমন করে।আমি দেখছি। তুমি এর বিচার করো।
– তুই কি আসলেই আমার বোন নাকি ওই পেত্নীর বোন?আম্মু ও কি আসলেই তোমারি মেয়ে?
– দেখলে আন্টি তোমার ছেলে আমাকে পেত্নী বলছে।
– পেত্নীকে পেত্নী বলবো নাতো কি বলবো?পেত্নী কোথাকার!
– অভ্র বাজে কথা বলবি না।আমার এই মেয়ে! এ নিয়ে তোর কোন সন্দেহ আছে?
– আগে ছিলো না কিন্তু এখন হচ্ছে।
– আজকে দুপুরের খাওয়া বন্ধ।এইটাই তোর শাস্তি।
– এইটা কিন্তু আম্মু জুলুম হয়তেছে।তুমি তো জানোই আমি না খাইয়া থাকতে পারি না।
– এইজন্যই তো এই শাস্তি।খাওয়া বন্ধ করলেই তুই শায়েস্তা হবি তার আগে না।কিভাবে পারিস এমন লক্ষ্মী একটা মেয়ের সাথে ঝগড়া করতে?
– লক্ষ্মী না ছাই।
শাস্তি শুনে অনেক খুশি হয়েছে মনে হচ্ছে।দাঁত কেলিয়ে কেলিয়ে হাসছে।এইটা দেখে রাগে শরীর টা ফেটে যেতে যেতে লাগলো।রুমের দরজাটা জুড়ে লাগালাম।জুড়ে বললে ভুল হবে অনেক জুড়ে। এতটাই জুড়ে যে কেউ ভয় পেয়ে যাবে।দরজা লাগিয়ে শুতেই আম্মুর গলার আওয়াজ পেলাম।
– অভ্র, দিন দিন তুই অনেক অসভ্য হয়ে গেছিস।দরজা খুল, খুল বলছি।আজকে সারাদিন তোর খাওয়া বন্ধ।বাইরে আয় তারপর তোকে বুঝাচ্ছি।
আম্মু কতক্ষণ চিল্লাচিল্লি করে চলে গেল।পেট এখন একদম ভরা তাই না খাওয়ার বিষয়টা আমলে নিলাম না।এখন ঘুমানো যাক।এক ঘুম দিন কভার।সারাদিন ঘুমানো আমার কাছে অবশ্য ব্যাপার না। আগেও অনেকবার এমন করছি।সারাদিন ঘুমিয়ে কাটায়ছি।
ঘুম ভাঙ্গালো তখন রাত নয়টা।মোবাইল হাতে নিয়ে দেখি অনেক গুলা কল আর সাথে কিছু ম্যাসেজ।আব্বা,আম্মু আর মিতুর নাম্বার থেকেই কল বেশি।আননোন নাম্বার থেকেও কয়েকটা কল। ঘুমিয়ে ছিলাম তখন হয়তো ডাকিছে।কিন্তু দরজা না খুলায় কল দেয়া শুরু করছে।রুমের বাইরে আসতেই বুঝতে পারলাম বাসায় কি জানি একটা ঠিক নেই।বাসার কোথাও কোন আলো নেই।কিছুটা সময় পরে বুঝতে পারলাম বাসায় কেউ নেই।কোথায় গেলো সবাই?
কাহিনী কি বুঝার জন্য মিতুকে কল দিলাম।কয়েকটা কল দেয়ার পর রিসিভ করলো।রিসিভ করার পর বুঝলাম কান্না করছে।আম্মু বা আব্বার কিছু হয়নি তো।হঠাৎ অজানা ভয় গ্রাস করলো।ভিতরটা বারবার কেঁপে উঠছে।উত্তেজিত হয়ে জিজ্ঞেস করলাম।
– মিতু কান্না করছিস কেনো?আব্ব, আম্মা কিছু হয়নি তো?
– না কিছু হয়নি! বুক থেকে পাথর নেমে গেল।দীর্ঘ নিশ্বাস ফেলে বললাম।
– তাহমে কান্না করছিস কেনো?কি হয়ছে বল?
– ভাইয়া প্রিয়ন্তি……..প্রিয়ন্তি
এবার আরো জুড়ে কান্না শুরু করে দিলো।প্রিয়ন্তি কিছু হয়ছে নাকি? সকালেও তো দেখলাম ঠিক আছে।হঠাৎ করে আবার কি হয়ে গেল। বুঝতে পারলাম না।
– হ্যা প্রিয়ন্তির, কি হয়ছে?
– ভাইয়া প্রিয়ন্তি ঘুমের ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করতে চেষ্টা করছিলো।এখন হাসপাতালে নিয়ে আসছে।
শক খেলাম।প্রিয়ন্তি আত্মহত্যা করতে চাইছিলো কিন্তু কেনো?আমার জানা মতে প্রিয়ন্তির কারো সাথেই রিলেশন ছিলো না।নাকি ছিলো? না, না ছিলো না।এতদিন ধরে মেয়েটাকে ফলো করছি আর এইটা জানবো না রিলেশন আছে কিনা।হ্যা প্রিয়ন্তিকে আমি ভালবাসি। প্রথমদিন থেকেই যেদিন ছাদের প্রথম দেখছিলাম।কিন্তু কোন দিন বলতে পারি নাই।বুঝতে পারলাম না প্রিয়ন্তি কেনো এমন কাজ করলো।হাসপাতালে গেলেই বুজতে পারবো।
মিতুর কাছ থেকে জেনে নিলাম কোন হাসপাতালে ভর্তি।বাইর হতে গিয়ে বুঝলাম বাইরে থেকে লক করা।উপরের তলার ভাইকে কল দিয়ে নিচে নামালাম।দরজা খুলে দিতেই তড়িঘড়ি করে বাইরে এলাম।তারপর আবারো লক করে হাসপাতালের উদ্দেশ্যে বের হলাম।বেশিদূরে না আধঘণ্টার পথ। হাসপাতালে পৌঁছাতে পৌঁছাতে দশটা বেজে গেল।হাসপাতালের বারান্দায় দেখলাম প্রিয়ন্তির আব্বা,আমার আব্বা আম্মা মিতু সাথে আরো অনেকে আছে।আমাকে দেখে মিতু আম্মুকে ডাক দিলো। একবার দেখে তারপর উঠে আমার দিকে এগিয়ে এলো।গালে একটা থাপ্পড় দিয়ে বলতে লাগলো।
– তোর কি কাণ্ডজ্ঞান কিছু নাই?আজ এতো বড় একটা ঘটনা ঘটে গেল আর তুই নিশ্চিতে ঘুমালি।এতবার ডাকছি এতবার কল দিছি তারপর তোর ঘুম ভাঙ্গে নাই? মন খারাপ করে চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইলাম।বিরতি দিয়ে আবার বলতে লাগলো।
– তোর জন্য মেয়েটা মরতে বসেছিলো।আর তুই অবাক হলাম।প্রিয়ন্তি আমার জন্য এমন করছে কিন্তু কেনো? আমাকে তো দেখতেই পারে না।প্রশ্নবোধক দৃষ্টিতে আম্মুর দিকে তাকিয়ে রইলাম।
– তুই জানিস মেয়েটা তোকে কতো ভালবাসে।আমরাও জানতাম না মিতু বললো তাই সবাই জানতে পারলাম।তুই রাগ করে রুমের দরজা লাগিয়ে ঘুমিয়ে পড়লি।তারপর দুপুরে এসে মেয়েটা অনেকক্ষণ ডেকে গেল।কিন্তু তোর ঘুম ভাঙ্গালো না।তারপর আবারো বিকালে আসলো।ডাকলো কিন্তু দরজা খুললি না।যাওয়ার সময় কান্না করতে করতে চলে গেল।তার ঘন্টা খানেক পরেই এমন করলো।কেনো এমন করলি বাবা?কেনো এমন করলি? মনে হচ্ছে, মাথা দিয়ে ধোয়া বের হচ্ছে।মাথা কাজ করা বন্ধ করে দিছে।শোকে পাথরের মতো দাঁড়িয়ে রইলাম।কতক্ষণ এভাবে ছিলাম জানি না।হুশ ফিরতেই আপনা আপনি মুখ থেকে বেরিয়ে গেল।
– এখন কেমন আছে?
– এখন ভালোই আছে।ডাক্তার বলছে বিপথ মুক্ত।আর জানিস মেয়েটা জ্ঞান ফিরার পর থেকে কিছুই খাইনি।জুড় করেও খাওয়ানো যায় নি।
আর কোন কথা না বলে কোন দিকে না তাকিয়ে সরাসরি প্রিয়ন্তিকে যে কেবিনে রাখছে।সেই কেবিনে চলে গেলাম।দরজা লাগিয়ে দিলাম যেন কেউ এখন না আসতে পারে।প্রিয়ন্তি ঘুমাচ্ছে।কি নিষ্পাপ চেহারা? মুখ অনেকটা শুকিয়ে গেছে।হয়তো সারাদিন খাইনি আর শরীরের উপর এতো প্রেশার গেছে।তাই মুখ শুকিয়ে গেছে।প্রিয়ন্তির হাত আমার হাতের মধ্যে নিয়ে বেডের উপর বসলাম।
প্রিয়ন্তির অবস্থা দেখে চোখে পানি চলে আসলো।আমার জন্য আজ মেয়েটার এই অবস্থা।সবকিছুর জন্য দায়ী আমি।কয়েক ফোটা পানি প্রিয়ন্তির হাতে পরলো।এক ধ্যানে কতক্ষণ বসে ছিলাম জানি না। প্রিয়ন্তির হাতের নাড়ায় ধ্যান কাটলো।অবাক চোখে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।যেন বিশ্বাস করতে পারছে না আমি বসে আছি। বুঝতে পেরেই হাতে সরিয়ে নিতে চেষ্টা করলো কিন্তু কাজ হলো না। কিছুক্ষণ চেষ্টা করে হাল ছেড়ে দিলো।
– কেনো এমন করলে প্রিয়ন্তি?তুমি জানো না তোমার এমন অবস্থা শুনে আমার কি দশা হয়েছিলো?মনে হচ্ছিলো কেউ যেনো আমার হৃদয় টা কেড়ে নিতে চেয়েছিল।তোমার কিছু হলে আমার কি হতো এইটা ভাবছিলে কি? অনেক ভালবাসি তোমাকে প্রিয়ন্তি! তোমাকে প্রথন দেখার পর থেকেই তোমাকে ভালবাসতে শুরু করেছিলাম। এতোদিনে ভালবাসা শুধু বেড়েই গেছে।কেনো এমন করলে? প্রিয়ন্তির চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়লো।উঠতে চাইলো কিন্তু উঠতে দিলাম না।ছল ছল চোখে আমার দিকে তাকিয়ে রইলো।
– ছোট একটা বিষয় নিয়ে কেনো এমন করলে?ঘুমাচ্ছিলাম তাইতো ডাক শুনতে পাইনি।যা হবার হয়ছে।কথা দাও আর কখনো এমন করবা না?
– হুম আর করবো না। নিচু গলায় ধীরে ধীরে বলল।
– কিছুই তো খাও নি।তুমি সুয়ে থাকো দেখি খাওয়া মতো কি আছে? হাত ছাড়িয়ে উঠতে গেলাম কিন্তু উঠতে দিলো না।
– আমার ক্ষুধা নাই।তুমি এইভাবে বসে থাকো।
– আমাকে দেখলে তো ক্ষুধা যাবে না তার জন্য খেতে হবে।নাকি যাবে?
– হুম, যাবে।কথা না বলে চুপচাপ বসে থাকো।
– ওকে, বসে থাকলাম কিন্তু এতক্ষণ যাবত ধরে দরজা আটকিয়ে রাখছি।কি ভাববে বলো তো?ওদের চলে যেতে বলি তারপর সারা রাত এভাবে বসে থাকবো, ঠিক আছে? এবার কাজ হলো।হাত ছেড়ে দিলো।দরজা খুলে বাইরে গিয়ে সবাই কে চলে যেতে বললাম।আর মিতুকে থাকতে বললাম।সবাই প্রিয়ন্তির সাথে দেখা করে চলে যেতে লাগলো।যাওয়ার সময় আন্টি আমাকে বলল।
– বাবা আমার মেয়েটাকে দেখে রেখো।
– আন্টি আপনি চিন্তা কইরেন না।অনেক ধকল গেছে বাসায় গিয়ে রেস্ট নিন। সবাই চলে যেতেই মিতুকে বললাম।
– তুই থাক আমি বাইরে থেকে আসছি।খাবারদাবার নিয়ে আসি। কারোই তো খাওয়া হয়নি।
যেতে যেতে ভাবছি সামনে আমার জীবনে কি জানি আছে?এই মাইয়া আমারে সব সময় ঠ্যালার উপরে রাখবো।শুরু হবে আমার জীবনের করুণ অধ্যায়।ভাবগতিক দেখে বুঝা যায় বিয়েটা আর খুব বেশি দেরি নাই।বিয়ে পরবর্তী জীবনটা কেমন হবে ভাবতেই কান্না পাচ্ছে।