পাগলা পাগলির প্রেম

পাগলা পাগলির প্রেম

কি রে কোথায় আছিস? (সুমাইয়া)

–এইতো বাসায়। কেন কি হয়ছে? (আমি)
–একটু স্কুলে আসতে পারবি, দরকার আছে। (সুমাইয়া)
–সরি রে, মনে হয় যায়তে পারব না (আমি)
–কেন? –ভালো লাগছে নারে।
–দেখ তুই যদি আধা ঘন্টার মধ্যে না আসিস তাহলে তোর সাথে আর কোনো দিনও কথা বলব না।
–আচ্ছা বাবা আর কথা না বলে থাকতে হবে না আমি যাচ্ছি।
–এইতো গুড বয়
–হুম যাওয়ার ফাকে পরিচয়টা দিয়ে দিই।

আমি তামিম। এবার SSC Exam দিলাম। আর যার সাথে ফোনে কথা বলছিলাম সে হলো আমার Best Friend সুমাইয়া। কিন্তু আমি ওকে প্রথম যেদিন দেখেছিলাম সেদিনই ওর প্রেমে পরেগেছিলাম। আজও পর্যন্ত বলতে পারলাম না শুধু বন্ধুত্বটা নষ্ট হওয়ার ভয়ে। যদি ও না করে দেয়, আর কথা না বলে তাহলে কিভাবে থাকবো। তাই ভালোবাসি কথাটি বলতে পারি নি। অতঃপর স্কুলে পৌছালাম। স্কুলে ধুকেই তো আমি আবারো ক্রাশ খাইলাম ওকে দেখে। মনে হয় আকাশ থেকে যেন কোনো পরী নেমে এসেছে।নিল ড্রেস ওকে নিল পরি মনে হচ্ছে। অনেক মায়াবতী লাগছে। অবাক হয়ে হা করে তাকিয়ে আছি ওর দিকে।

–কি রে এভাবে হা করে তাকিয়ে কি দেখিস। (সুমাইয়া)
–(ওর কথাতে চমকে উঠে) কই কিছু না তো। (আমি)
–কিছু না বললেই হলো (সুমাইয়া)
–আচ্ছা বাদ দে তো এইসব,,, কি জন্য ডাকছিস বল। (আমি)
–কেন আমি কি তোকে ডাকতে পারি না।
–হুম অবশ্যই পারিস। কারন তুই আমার বেস্ট ফ্রেন্ড
–তোকে একটা কথা বলার জন্য এখানে ডাকছি
–বল কি কথা
–জানিস, শাহিন না কালকে আমায় প্রপোজ করেছে। ও না কি আমায় অনেক দিন ধরেই ভালোবাসে।
–(কথাটা শুনেই মুখটা ফ্যাকাশে হয়ে গেলো) তো তুই কি বললি?
–এখনো কিছু বলিনি তবে এক্সেপ্ট করব ভাবছি। কারন শাহিন ছেলে হিসাবে খারাপ না।

–আচ্ছা আজকে উঠি রে, আমার শরীরটা ভালো লাগছে না এই বলে ঐখান থেকে উঠে চলে আসলাম ওকে কোনো কথা বলার সুযোগ না দিয়েই। বাসায় এসে সুয়ে আছি কিছুই ভালো লাগছে না। বারবার শুধু তার কথাই মনে হচ্ছে। তাহলে কি আমি সত্যিই ওকে হারিয়ে ফেলবো। না না এসব কি ভাবছি আমি। কাল যেভাবেই হোক ওকে প্রপোজ করতেই হবে। এই ভেবে সুমাইয়াকে ফোন দিলাম। দুইবার রিং হতেই–

–কি রে কি হলো (সুমাইয়া)
–কাল আমার সাথে দেখা করতে পারবি (সুমাইয়া)
–কখন কোথায় (সুমাইয়া)
–কাল বিকাল চারটায় পার্কে এর সামনে (আমি)
–আচ্ছা, ঠিকাছে
–ওকে বাই
— বাই অবশেষে কোনোভাবে রাতটা পার করলাম আর 4টা বাজার অপেক্ষায় থাকলাম।তারপরে
রেডি হয়ে চলে গেলাম। ঐইখানে গিয়ে কিছুক্ষন বসে থাকতেই দেখলাম সুমাইয়া আসতেছে। উফ কি যে সুন্দর লাগছে তাকে। নীল ড্রেস, হাতে কাচের নীল চুড়ি, কপালে নীল টিপ, খোলা চুল সবমিলে অসম্ভব সুন্দর লাগছে তাকে। তারপরে এসেই আমার পাশে বসল।

–কি রে কিজন্য ডাকছিস (সুমাইয়া)
–তোকে একটা কথা বলার ছিল (আমি)
–বল কি কথা কোনো কথা না বলে মাথা নিচু করে তার সামনে হাটু গেড়ে বসে বললাম….
–I LOVE YOU (আমি)
–মানে কি (সুমাইয়া)
–মানে আমি তোমাকে ভালোবাসি
–এই কথাটা বলতে এতদিন সময় লাগলো
–অনেকবার বলার চেষ্টা করেছি কিন্তু বলতে পারিনি তুই যদি না করে দিস এই ভয়ে। কিন্তু যখন শুনলাম শাহিন তোকে প্রোপোজ করেছে তখন থেকে খুব খারাপ লাগছিল। তাই আর কোনো কিছু না ভেবেই প্রপোজ করলাম।

–এখন যদি আমি না করে দিই, কি করবি?
–হয়তবা এই পৃথিবীতে আর থাকবোনা ঠাসসসসসস
–কি রে মারলি কেন
–তুই না থাকলে আমি কিভাবে থাকব তোকে ছাড়া
–তুইও আমাকে ভালোবাসতি
–হুম। অনেক আগে থেকেই কিন্তু বলতে পারি নি
–তাহলে শাহিনের কি হবে?
–ওর কি হবে আমি কি জানি
–কেন? ও না বলে তোকে প্রপোজ করছে
–না, আমি তো ঐটা তোকে মিথ্যা বলেছিলাম তোর মুখের কথাটা বের করার জন্য।

–ওহ তাই –হুম –ভালোবাসি তোকে, অনেক ভালোবাসি –আমিও –কখনো ছেড়ে যাবি না তো
–যদি ধরে রাখিস তাহলে কেন ছেড়ে যাব
–হুম। তখন শুধু অযথায় না মারলি আমায়। উফফ গালে কি ব্যাথা
–ওলে বাবালে দেখি দেখি কোন গালে ব্যাথা।। উম্মম্মম্মাহ
–এই এইটা কি করলি –কেন, তখন থাপ্পর মারলাম আর এখন আদর করলাম।
–পাগলি একটা
— হুম পাগলের পাগলি –এবার থেকে তুমি করে বলবা –ওক্কে জানু –I LOVE YOU PAGLI
–I LOVE YOU 2 PAGLA এভাবেই চলতে থাকল আমাদের পাগলা পাগলির প্রেম।

গল্পের বিষয়:
ভালবাসা
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত