ভালবাসি তোকে

ভালবাসি তোকে

আম্মু – কিরে হাসিব উঠবি কখন, ছেলে টাকে কিযে করি সারারাত মোবাইল গুতাবে আর সকাল হলে ঊটতে চাইনা উঠনা বাবা।

আমি – আরে আম্মু ঘুমাতে দাওনা যাওতো এখন। আরও ভালভাবে চাদর নিয়ে ঘুমিয়ে পরলাম।

আম্মু – আমার কি তোর কলেজ যেতে লেট হবে ভুলে যাসনা আজকে তোর প্রথম দিন কলেজে।

আমি – আমি তো ভুলে গেছিলাম।ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি আর মাত্র ১৫ মিনিট আছে। আম্মু আর একটু আগে ডাকতে পারলে না?

আম্মু – হারামি সেই কখন থেকে ডেকে চলেছি উঠছিস না।

আমি – ধুর যাওতো। আমি জলদি ফ্রেশ হয়ে কিছু না খেয়ে ছুটলাম কলেজ। ১০ মিনিট এর রাস্তা তাই যেতে পরিচয় দিয়া যাক। আমি হাসিব আম্মু আব্বু এর আদরের বান্দর ছেলে আজকে কলেজ এর প্রথম দিন ইন্টারে প্রথম বর্ষে পরছি আব্বু কে আমি খুব ভয় পাই। আমরা রাজশাহীতে থাকি। চলুন গল্পে আসা যাক। কলেজে ডুকে দৌড়ে ক্লাস রুম এ গেলাম। যাক স্যার আসেনি কিন্তু কথাই বসবো যাক পিচ্ছে যায়গা আছে সবার পিছে গিয়ে বস্লাম বসার পর স্যার আসলেন পরিচয় হলেন সবার সাথে। ক্লাস করে বাসায় চলে আসলাম। কলেজে দিনটা ভালই গেলো।

আম্মু- কিরে কেমন লাগল কলেজে।

আমি – ভালো আম্মু খিদে লাগছে খেতে দাও।

আম্মু – ফ্রেস হয়ে আই খাবার দিচ্ছি।

আমি – ফ্রেশ হয়ে খেয়ে নিলাম। বিকালে বাইরে নদির ধারে যাই এইটা আমার প্রতিদিনের কাজ। বিকালে নদি ধারে ঘুরে সন্ধাই বাসায় চলে আসলাম। রাতে খেয়ে একটু পড়ে নিয়ে ফেসবুকে ধুকা আমার কাজ বেকার ছেলের কি আর

কাজ হতে পারে।রাতে ফেসবুকে গল্প পড়ে ঘুমিয়ে গেলাম।
আম্মু – হাসিব উঠে ফ্রেশ হয়ে খেতে আই।

আমি- আসছি আম্মু,ফ্রেশ হয়ে খেয়ে আবার কলেজ যাচ্ছি আজকে কলেজে অনেক বন্ধু হইছে তাই সবার সাতে বসে আড্ডা দিচ্ছি।

হাবিব – হাসিব দেখ মেয়েটা কতো সুন্দর (হাবিব আমার বন্ধু)

আমি- হুম সুন্দর ( না দেখে বললাম)

হাবিব – আবে আগে তাকিয়ে দেখ তারপর বল।

আমি- হুম ময়দা সুন্দরি। কেনো তোর ভালো লাগছে নাকি তোর বেপারে বলে আসবো। থাম বলে আসছি। এইযে ময়দা সুন্দরি আপু শুনুন।

মেয়েটা- এই বেয়াদব ছেলে তোর সাহস হয় কিভাবে আমাকে ময়দা সুন্দরি বলার। পুরাই রেগে আগুন

আমি – আচ্ছা তাহলে আপনাকে পেত্নি বলব। তো পেত্নি আমি তোমাকে ভালবাসি। (দুস্টামি করে বললাম)

মেয়ে – আবে ভাগ সালা। বান্দর কথাকার তুই আমাকে চিনিশ। তোকে মেরে ফেলব ভাগ। এহ আসছে ভালবাসতে ভাগ

আমি- দেকতে পেত্নির মতো আবার ভাব বেশি। মেয়ে টার মুখ দেখে মনে হচ্ছে আমাকে গিলে খাবে তাই দিলাম দৌড়।

মেয়ে- তোকে যদি একবার সামনে পাই দেখিস কি করি।  সব মেয়ে গুলো চলে গেল এদিকে হাসিব বন্ধুদের কাছে দৌড়ে গিয়ে বলে কেমন দিলাম।  সব বন্ধুরা বলছে ফাটাফাটি মাম্মা চল ক্লাস এ যায় লেট হয়ে যাবে।

আমি – হ্যা চল। ক্লাস এ ধুকতেই দেখি সামনে সেই ময়দা সুন্দরি বসে আসে রাগি চোখে আমার দিকে তাকালো সেইদিকে খেয়াল না করে বেঞ্চে গিয়ে বস্লাম। ক্লাস শেষ করে বাসার দিকে যাচ্ছি।

মেয়ে – ওই বান্দর এইদিকে আই।

আমি – পিছ থেকে কে যেন ডাকলো দেখার জন্য ঘুরলাম দেখি পেত্নিটা তাই আবার হাটা শুরু করলাম

-কিরে তকে ডাকছি শুনতে পাচ্ছিস না?
-মেয়েটার কাসে গেলাম, কি হয়েছে ডাকছেন কেনো আপু।
– এই তোর নাম কিরে।
-হাসিব আর আপনার ময়দা T আপু। রেগে আবার লাল টমেটো হয়ে গেছে।
-আজকে আমি তোকে খেয়ে ফেলব বান্দর। -আমার দিকে দৌড়ে আসছে তাই আমি ওইখানে না থেকে সোজা দৌড়ে বাসাই চলে আসলাম। আম্মু খেতে দাও খিদা লাগছে।
-চলে আসছিস যা ফ্রেশ হয়ে আই খাবার দিচ্ছি। পরের দিন কলেজ যাচ্ছি কলেজ গেটে ডুকতেই পিছ থেকে কেও টেনে ধরলো। টান্তে টান্তে কলেজ মাঠে নিয়ে আসল।

-কিরে বান্দর কালকে আমাকে কি বলে পালালি আর একবার বলতো।
-ক..কি বললাম কিছু বলেনি তো হাসিব ভয়ে ঠিক মতো কথা বলতে পারছে না
-আমি ময়দা সুন্দরি? আমি পেত্নি তাইনা।।
– আপু ভুল হয়ে গেছে মাফ করে দিন। আর কোনদিন বলবো না। (আজকে ছাড় পেত্নি কালকে দেখবো তোকে মনে মনে বললাম)

– এমন ভাবে আর কোনদিন যদি আমাকে ডাকছিস তোকে মেরে ফেলবো।
-হুম,,
-আমার নাম নিশি। তুই আর আমি আজকে থেকে ফ্রেন্ড ওকে। আমার বান্দর গিরি করবি না করলে খবর আছে
-ওকে,, ফ্রেন্ড,, চল ক্লাস এ যায় লেট হয়ে যাচ্ছে তোর জন্য।
এখন কলেজে বেশি সময় নিশির সাথে থাকি।অনেক ভালো বন্ধু হয়ে গেছি। দেখতে দেখতে ৫ মাস কেটে গেলো নিশি আমার খুব কাছের বন্ধু।

নিশি- দস্ত যলদি নদির ধারে আইতো কিছু কথা বলার আছে।

আমি- আসছি ২ মিনিট দাড়া আমি ১০ মিনিটে আসছি। বিকালে ফ্রেশ হয়ে নিশির সাথে দেখা করতে গেলাম নদির ধারে। দেখছি নদির কাছে বসে আছে।

-কিরে দস্ত এখন ডাকলি যে কিছু বলবি?
– কেনো তোকে এমনি ডাকতে পারি না?
-পারিসতো। তা আপনার মন খারাপ মনে হচ্ছে কি হয়েছে মহারাণী।
-দস্ত আমি একজন কে খুব ভালবেসে ফেলছি রে।কিন্তু বলতে পারছি না জানিস।
-কাকে ভালবাসিস?আগে তো আমাকে বলিস নি। (অবাক হয়ে হাসিব কথা গুল বলল)
-কেন তোকে তো বলার জন্যই ডাকলাম।
– হুম,, বল কাকে ভালবাসিস। নিশির দিকে তাকিয়ে আছে হাসিব।

-আমাদের কলেজের বড় ভাই আছে না?? রাফি আমি তাকে ভালবেসে ফেলছি রে কিন্তু বলতে পারছি না।
হাসিব এগুলো শুনে কি বলবে বুজতে পারছে না কারণ সেও নিশি কে মনে মনে ভালবেসে ফেলছে। হাসিব এর খুব কস্ট হচ্ছে এই কথা শুনে।

– নিশি তাহলে কি করতে চাস বল।
-দস্ত তুই রাফি কে বলে দিবি আমার কথা।আমি ওর সামনে গেলে কথাই বলতে পারি না রে । তুই আমার কথা ওকেবলবি? দেখ না করিস না আমি ওকে অনেক ভালবাসি।
-ঠিক আছে। কালকে তোর কথা রাফিকে বলব খুশি?
-ধন্যবাদ, দস্ত আমি জানতাম তুই মানা করবি না তুই তো আমার অনেক ভালো বন্ধু।
-হয়েছে আর বলতে হবে না থাক আমি বাসায় যাব।

হাসিব উঠে বাসায় চলে আসলো।নিজের রুম দরজা বন্ধ করে সুয়ে সুয়ে ভাবছে। আমি যাকে ভালবেসে ফেলছি আমি তাকে কিভাবে ওন্য জনের হাতে তুলে দিব।কালকে কিভাবে নিশির কথা রাফিকে বলব। এসব ভাবছে আর কাদছে। নিশি আমাকে ভালবাসেনা তো কি হয়েছে ওর খুশির জন্য এইতা তো করতেই পারি ওই খুশি থাকলে আমি খুশি।সেদিন রাতে আর ঘুম হয়নি হাসিবের। সকালে হাসিবের মোবাইল বেজে উঠলো। ঘুম আসলো আর এখনি কল আস্তে হলো। কল ধরল কে বলছেন।

-তুই এখনো উঠিসনি।দেখ কলেজের আর ৩০মিনিট সময় আছে। আর আজকে তোকে রাফিকেও আমার কথা বলতে হবে যলদি আই।

– আসছি, ফ্রেশ হয়ে হাল্কা নাস্তা করে কলেজ যাচ্ছি। ভালো লাগছে না।
-হাসিব এই হাসিব?
– হুম বল। কলেজে ধুকতেই নিশি ডাকলো
-রাফিকে আমার কথা বলবি না?
হাবিব – কিসের কথা হাসিব। নিশি- কিছু না। হাসিব যা বল।
– হুম যাচ্ছি।

হাসিব রাফির কাছে গেল।রাফি বন্ধুদের নিয়ে আড্ডা দিচ্ছিলো। এইযে রাফি তোমার সাথে আমার কিছু কথা ছিল এইদিকে শুনবে।

রাফি- হুম বলো,

আমি- আসলে আমার বন্ধু নিশি তোমাকে খুব ভালবাসে। কিন্তু তোমাকে বলতে পারে না। জানইতো মেয়েদের বুক ফুটে তবু মুখ ফুটে না।আসলে ণিশি খুব ভালো মেয়ে। ওই তোমাকে খুব ভালবাসে। তুমি কি ওকে ভালবাসবে?

রাফি- কিন্তু ওই আমাকে ভালবাসে। ওই বললেই পারতো। তুমি কি করতে বলছ বলো।  আমি একটা গোলাপ ফুল বের করে রাফির হাতে দিলাম বললাম নিশিকে ভালবাসি কথাতা বলে দাও।

রাফি- ওকে।চলো

আমি-নিশি শুন রাফি তোকে কিছু বলবে।

নিশি তো রাফিকে ওর সামনে দেখে কিছু বলতে পারছে না রাফির দিকে তাকিয়েই আছে।

রাফি- আমি শুনলাম তুমি আমাকে ভালবাস সত্যি?

নিশি- হুম।অনেক লজ্জায় কিছু বলতে পারছে না।

রাফি- আমিও ভালবাসি তোমাকে। (ফুল আগিয়ে দিয়ে)

নিশি- সত্যি?নিশি তো বিশ্বাস করতে পারছে না রাফিও ওকে ভালবাসি বলে দিবে। নিশি খুশিতে ববা হয়ে গেছে।

রাফি – হ্যা সত্যি।

নিশি – হাসিব দস্ত তোকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। তোর জন্য আমি আজকে রাফিকে পেলাম

আমি- আরে ধন্যবাদ কিসের বন্ধুর জন্য এইটা করতে পারব না।হাসিবের বুকের ভিতর খুব কস্ট হচ্ছে আর একটু হলে চোখ থেকে পানি পরে যাবে। আচ্ছা থাক নিশি আমি একটু বাসায় যাব কাজ আছে।

নিশি – আচ্ছা যা।চলো রাফি আমরা ওইদিকে যায়।

আমি- সেই খানে না থেকে সোজা বাসাই চলে আসলাম।

এতখন হাসিবের বন্ধুরা এগুলো দেখছিল কারন তারা জানে হাসিব ণিশি কে ভালবাসে। হাবিব কে হাসিব সব কথাই বলে। হাসিব বাসায় এসে দরজা লাগিয়ে খুব কাদলো । আজকে আমার ভালবাসাকে রাফির হাতে তুলে দিলাম। থাকনা ওই খুশি থাকলে আমিও খুশি। সেদিন রাতে হাসিব না খেয়ে ঘুমিয়ে পরলো সকালে উঠে কলেজ গেল। কলেজে ধুকতেই হাসিবের সামনে দিয়ে একটা বাইক গেলো। বাইকে রাফি আর নিশি বসে আছে।হাসিব আবার হাটা শুরু করলো ক্লাসে গেলো। ক্লাসে ধুকে দেখে নিশি বসে আছে। হাই নিশি কেমন আছিস?

-ভাল তুই কেমন আছিস।
– ভালই। আজকে ঘুরতে যাবি নদির ধারে বিকালে?
– নারে দস্ত আজকে রাফির সাথে ঘুরতে যাবো।
-ওকে। হাসিবের আবার মন খারাপ হয়ে গেলো নিশি হাসিবকে কোনদিন কিছুতে মানা করতো না আর আজকে নিশি এইভাবে না বলে দিলো ভেবে হাসিব খুব কস্ট পাচ্ছে। তাই সেই ক্লাস করে বাসাই চলে গেলো।
হাবিব- হাসিব তুই কথাই।

আমি- চাঁদের দেশে ঘুরতে আসছি।

হাবিব- সালা বল কথাই আছিস।

আমি- বিকালে বাসাই ছাড়া কথাই থাকব।

হাবিব- আই বাইরে আই। সবাই একসাথে আছি। তুইও আই

আমি- আচ্ছা বাসাই এম্নিও ভাল লাগছে না আমি আসছি থাম। হাসিব বিকালে বের হলো বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিবে বলে। হাসিব আর সবাই একসাথে চায়ের দোকানে বসে আছে।
দস্ত দেখ ওইটা রাফি না? (সিয়াম বল্ল)

আমি- হ্যাঁ, রাফি তো কিন্তু ওর বাইকের পিচ্ছে কে বসে আছে নিশি না?

হাবিব- আরে না ওইটা নিশি না। ওইটা ওন্ন মেয়ে। তুই নিশি কে কল দে তো।

আমি- ঠিক বলছিস থাম কল দিই। হেল্লো নিশি।?

নিশি – হুম বল কি বলবি।

আমি- তুই এখন কথায় রে।

নিশি – বাসাই বসে টিভি দেখছি কেনো কি হয়েছে?

আমি- তুই না বললি আজকে বিকালে রাফির সাথে ঘুরতে যাবি তাহলে তুই বাসাই কেনো?

নিশি – আসলে ওর কি যেন জরুরি কাজ পরেছে তাই আজকে ঘুরতে যাবে না কালকে যাবো।

আমি – আমি তো দেখলাম তোর রাফি একটা মেয়ে নিয়ে ঘুরে বেরাচ্ছে।

নিশি – তুই ভুল দেখেছিস। রাফি অনেক ভাল ছেলে ওইটা হইত রাফি না। রাফি এমন ছেলে হতেই পারে না আমি রাফি কে চিনি।

আমি – আরে না। আমি সত্যি দেখলাম ওইটা রাফি। বিশ্বাস কর।

নিশি – বললাম না তুই ভুল দেখছিস। বাই।

আমি – বাই। নিশি তো ভাবছে হাসিব তো মিত্থা বলবে না। এখন নিশিও মনে মনে ভাবছে। কি যেন ভেবে রাফি কে কল দিলো। হেল্লো রাফি তুমি এখন কথাই।

রাফি- কেনো বাবু, আমি তো বাসাই একটা কাজ করছি কেনো কোনো দরকার?

নিশি – না কোনো দরকার না আসলে হাসিব বলছিলো তুমি নাকি একটা মেয়ে নিয়ে ঘুরছ তাই। তুমি কি সত্যি বাসাই?

রাফি- ছি ছি ছি,, তুমি ওই একটা ছেলের কথা বিশ্বাস করে আমাকে তুমি অবিশ্বাস করছো। তুমি এই বিশ্বাস করো আমাকে? তুমি আর আমার সাথে কথা বলবা না যদি আমাকে অবিশ্বাস করো।

নিশি – মাফ করো বাবু আমি বুজতে পারিনি। আমাকে মাফ করে দাও আর কোনদিন এমন করবো না দয়া করে মাফ করে দাও।

রাফি – রাখো ফোন।

নিশি অনেক কস্টে রাফির রাগ কমালো।নিশি ভাবছে হাসিব ওর বেস্ট ফ্রেন্ড হয়ে কিভাবে পারলো আমাকে মিত্থা বলতে। ওর জন্য আমার আজকে এতো বড় ক্ষতি হয়ে যাচ্ছিলো। নিশি এসব ভাবছে আর রাগে ফুসছে। পরের দিন ক্লাসে বসে হাসিব সবার সাথে কথা বলছে। নিশি কে আস্তে দেখলো হাসিব।ক্লাসে ধুকছে।

আমি- আরে নিশি কেমন আছিস? ঠাসস ঠাসস,, দুইটা হাসিবের গালে চোর মারলো। পুরো ক্লাস নিরব হয়ে আছে একটু আগে কি হলো কিছু বুজতে পারছে না সবাই।

আমি – আমাকে মারলি কেনো। (গালে হাত দিয়ে)

নিশি – তুই আমার ফ্রেন্ড হয়েছিস বলে, আমার এতো বড় কিভাবে ক্ষতি করছিলি? তুই রাফির নামে মিত্থা বলে আমাদের ভালবাসা নস্ট করতে চাচ্ছিলি? আসলে আমারি ভুল ছিল তোর মতো একটা বাজে ছেলেকে আমার বন্ধু করেছিলাম।তোর জাইগা তো রাস্তাই কুত্তার মাঝে। আর কোনদিন যদি দেখি আমার রাফির নামে কোনো মিত্থা কথা বলতে আমার থেকে খারাপ কেও হবে না বলে দিলাম।আজকে আমাদের ফ্রেন্ডশিপ শেষ। আমার চোখের সাম্নেও যেনো না দেখি। নিশির কথা শুনছিলো আর হাসিব কাদছিল। এখন এগুলো কি বলে গেলো নিশি হাসিব বুজতে পারছে না। কিন্তু তার খুব কস্ট হচ্ছিল তাই সেই খানে না থেকে বাসাই চলে আসলো। হাসিব শুয়ে শুয়ে কাদছে আর ভাবছে কি করে পারলো তার নিশি তাকে এইভাবে কথা শুনাতে।আমি কি সত্যি এতো খারাপ।আমি আর কোনো দিন ওর সামনে যাবো না। সেদিন রাত কাদতে কাদতে ঘুমিয়ে পরে। হাসিব সেদিন আর কলেজ যায়না। এইভাবে ৩ দিন কেটে গেলো।

নিশি – রাফি তুমি কথাই আজকে কলেজ আসবে না?

রাফি- না বাবু আজকে কলেজ যাবো না। ভালো লাগছে না কালকে যাবো।

নিশি- ওকে বাই,

নিশি কলেজ যাবার জন্য বাসা থেকে বেরিয়েছে হটাৎ রিকশা পাওয়া যাচ্ছে না তাই সেই হেটে হেটে যেতে থাকে। রাস্তার পাশে দেখে রাফি আর তার বন্ধু মিলে আড্ডা দিচ্ছে। নিশি আস্তে আস্তে রাফির পিচ্ছে গেলো চোখ ধরে ভয় দেখাবে তাই।

সুমন – কিরে রাফি আর কতো দিন এই নিশিকে নিয়ে ঘুরবি কিছু একটা কর।(সুমন রাফির বন্ধু)
নিশি সামনে যেতে গিয়ে ওই কথা তা শুনার পর গাছের আড়ালে চলে গেলো কি কথা বলছে শুনবে তাই ভেবে।

রাফি- হুম রে ঠিক বলছিস কিছু একটা করতে হবে। আর তোরা তো যানিস আমি কেমন।

সুমন – হ্যা মামা যানি। নিশির সাথে কি করবি?

রাফি – কি করবো। নিশির সাথে রুম ডেটে যাওয়ার জন্য বলবো। না শুনলে বলবো কথা বলবি না তাহলে ভয়ে এমনি চলে আসবে। সব কিছুর পর ছেরে দিব

সুমন – যান্তাম মামা তুমি এমনি করবা।

নিশি এগুলো শুনে নিজে বিশ্বাস করতে পারছে না।রাফি এমন করবে আমার সাথে। যাকে এতো ভালবাসি সেই শুধু আমার শরির ভালবাসে। এসব ভাবছে আর কাদছে। নিশি কাদতে কাদতে রাফির সামনে গেলো।

রাফি- আরে বাবু, কখন আসলে। কথাই যাচ্ছো।

নিশি- ঠাসসস….ঠাসসসস…..তুই একটা শয়তান লুচ্চা বেয়াদব কুত্তা নংরা ছেলে তোর ওই মুখে আমাকে বাবু বলে ডাকবি না।তোকে তো আমি অনেক ভালবাসছিলাম আর তুই এই প্রতিদান দিলি।(নিশি কাদছে আর কথা গুলো বলছে)

রাফি- কি বলছো তুমি আমি তো কিছু বুজতে পারছি না।

নিশি- ঠাসসস….চুপ আর একটা কথাও বলবি না বাজে ছেলে ছি।

নিশি কলেজ না গিয়ে সেদিন বাসাই গিয়ে খুব কান্না করলো। তার মানে সেদিন হাসিব ঠিক ডেকছিল। আমি ভুল বুজে হাসিবকে কতো খারাপ কথা বলে ফেলেছি। এসব ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পরলো নিশি। এইদিকে হাসিব সারাখণ রুমে শুয়ে থাকে। সে ভাবছে আর কলেজ যাবে না।  সকাল হলো নিশি কলেজ যাচ্ছে আর ভাবছে হাসিবের কাছে মাফ চেয়ে নিবে। কলেজে যাওয়ার পর পুরো কলেজ খুজেও হাসিবকে পেলো না নিশি।তাই ক্লাসে গেলো নিশি। হাবিব এই হাবিব হাসিব কই রে তাকে পুরো কলেজ খুজে পাচ্ছি না।

হাবিব- ওকে কেনো খুজছিস তুই।

নিশি – বলনা ওই কথায়।

হাবিব- যানি না সামনে থেকে যাতো।

নিশি- এমন করছিস কেনো বলনা হাসিব কথায় (কাদো কাদো হয়ে)

হাবিব-বাসাই হবে। তুই ওকে খুজিস কেনো?

নিশি- মাফ চাইবো যা করেছি ভুল করে ফেলেছি তাই

হাবিব- তুই তো ওর সাথে কথা বলবি না ওকে সামনে দেকতে চাস না। আবার ওকেই খুজছিস?

নিশি- আমাকে ওর কাছে নিয়ে যাবি?

হাবিব- তুই যাকে কথা সুনিয়েছিস। অপমান করছিস সেই তোকে অনেক ভালবাসে।তাই তুই কস্ট পাবি ভেবে বন্ধুত নস্ট করে দিবি ভেবে বলেনি,তুই সামনে আস্তে মানা করছিস তাই সেই আর কলেজ আসবে না।

নিশি- হাসিব আমাকে ভালবাসে আগেতো বলেনি। দয়া করে ওর কাছে নিয়ে চলনা ওকে ছাড়া আমার একা লাগছে।

হাবিব – ওকে চল।

হাবিব ও নিশি মিলে হাসিবের বাসাই আসলো। হাসিবের বাসার সামনে দুইজন দারিয়ে আছে। হাবিব কলিংবেল চাপলো। হাসিবের আম্মু এসে দরজা খুল্লো। কে বাবা তোমরা?

হাবিব- আমি হাসিবের বন্ধু ওই কি ভিতরে আছে?

– হুম ভিতরে আছে সারাখন শুয়ে থাকে। রুমের মদ্ধে।

নিশি – ওকে আমরা দেখছি। চল হাবিব। নিশি আর হাবিব গিয়ে দেখে হাসিবের রুমের দরজা খোলা কিন্তু ভিতরে খুব অন্ধকার।

নিশি – হাবিব তুই বাইরে থাক আমি ওর কাছে যাচ্ছি।

হাবিব – ওকে

নিশি গিয়ে দেখে হাসিব শুয়ে আছে। নিশি হাসিবের কাছে গিয়ে মাথায় হাত দিয়ে মাথা বুলিয়ে দিচ্ছে।হাসিব কেও আসছে বুজতে পেরে শুয়া থেকে উঠে দেখে নিশি আসছে।

আমি- আরে নিশি তুই কখন আসলি?

নিশি- এইতো এখন আসলাম। চল বাইরে যাবো।

আমি- না যাবো না ভালো লাগছে না।

নিশি- না যাবো না মানে কি তোকে যেতে বলছি না সাথে?? চোখ একদম লাল করে বলছে নিশি

আমি- আমার ভালো লাগছে না তা হঠাত তুই এইখানে আর তোর রাফির কি খবর রে?

নিশি- ছেড়ে দিয়েছি ওকে।বাজে ছেলে তুই ঠিক বলছিলি রে।

আমি- ওহ তো এইখানে আসছিস কেনো আমার মুখ তো তুই দেখতে চাসনা।

নিশি- আর একটা কথা বললে একটা চড় মেরে সব গুলা দাত ফেলে দিব।আমি আসছি আমার ভালবাসার মানুষের কাছে।

আমি- এইখানে আবার কে তোর ভালবাসার মানুষ আছে অবাক হয়ে কথা টা বলল হাসিব।

নিশি- তুই আমাকে ভালবাসিস আগে কেনো বলিস নি? কুত্তা।

আমি- না আমি কাওকে ভালবাসি না তোর কথাও ভুল হচ্ছে তুই এখন যেতে পারিস আমি ঘুমাবো।

নিশি – সেদিনের জন্য দুঃখিত রে আমাকে মাফ করে দে।

আমি- হুম করে দিলাম চলে যা এখন ঘুমাবো।

– কথায় যাবো? আমি তোকে ছেরে কথাও যাচ্ছি না।আমিও তোকে অনেক অনেক ভালবেসে ফেলছি রে তুই যাওয়ার পর বুজেছি তুই আমার কতো টুকু জুরে আছিস। আমাকে ফিরিয়ে দিস না।
– আমি কাওকে ভালবাসি না। আর তোকে আমি ভালবাসি এই কথা কে বলল?
– হাবিব বলেছে  হাসিব মনে মনে খুব খুশি সালা একটা কাজ ভালো করছে বলে দিসে যাক।মনে মনে হাসিব কথাটি বলল।

আমি- ওহ্। আচ্ছা যেতে পারিস। আমি একাই খুব ভালো আছি।

নিশি- তোকে আমি ছাড়ছি না। এইটা বলে নিশি হাসিবকে জড়িয়ে ধরলো।  হাসিব তোমাকে আমি খুব ভালবাসি আমি আর তোমাকে কস্ট দিব না আমাকে মাফ করে দাও।

– হুম,,
– কুত্তা এতো করে বলছি ভাব নিচ্ছিস তাইনা। যা ভাগ ভালবাসি না তোকে ভাব নেই হুহ।
– হুম যাও।
– সত্যি চলে যাবো?
– হুম,
-ওকে থাক গেলাম। নিশি কেদে দিসে চোখ মুছতে মুছতে সামনে যাবে তখনি হাসিব তার হাত ধরে টেনে ধরলো

– কথায় যাচ্ছো। আবার কস্ট দিতে চাও।
– মরতে যাচ্ছি।ভালবাসতে হবে না আমাকে ছাড়। হাসিব নিশির হাত টেনে বিছানায় ফেলে দিলো। দিয়ে হাসিব ও নিশিকে বিছানায় চেপে ধরলো।

আমি- যদি না ছাড়ি?

নিশি- ছাড় আমি উঠবো।

-না ছাড়বো না।
– চিল্লাবো ছাড় বলছি।নাহয় তোর আম্মুকে ডাকবো।
-ডাকো।
-আআ………নিশি চিল্লানোর সাথে সাথে হাসিব চার ঠোট এক করে নিলো। তিন মিনিট পর নিশিকে ছাড়লো।

নিশি- কুত্তা বিলাই গরু ছাগুল তোকে গলা টিপে মারবো সালা আমাকে কিস করলি কেনো।

আমি – আবার করবো, কি করবি হ্যা????

নিশি- তুই আমার কে তুই আমাকে কিস করবি কেনো?

আমি- তোর আমি বয়ফ্রেন্ড।

নিশি – এহ আসছে আমাকে প্রপস করছিস? আগে প্রপস কর।

হাসিব নিশির সামনে হাটু গেরে বস্লো। তোমার হাত ধরে হাটার অধিকার দিবে তোমার বাবুর আব্বু হওয়ার অধিকার দিবে তোমার ওই গাল গুলো ছুয়ে দিয়ার অধিকার দিবে।

নিশি – হুম দিব বান্দর।

আমি- হুহ আমি ওতো ভালো প্রপস করতে পারি না।

নিশি- আমার জন্য চলবে গাধা।

আমি – খুব ভালবাসি তোমাকে পাগলি

নিশি- আমিও অনেক ভালবাসি পাগল।

– পাগলি পাপ্পি দিবা?
– এহহ দিবো না।
– দাও না বাবু।
– আচ্ছা আসো  উউউউম্মম্মম্মম্মম্মা হয়েছে?

আমি- আর একটা দাও পাপ্পি।

– হুম দিচ্ছি থাম তোর পাপ্পি।  নিশির মারতে আসছে হাসিবকে। হাসিব মার খাবার ভয়ে দিল দৌড়।নিশি ও ছুটলো হাসিবের পিচ্ছে।

নিশি- থাম পাপ্পি নিবি না আই দিচ্ছি।

আমি – পরে নিবো। আগে নিজে বাচি।হিহিহি।

(সমাপ্ত)

গল্পের বিষয়:
ভালবাসা
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত