এই তুমি ৪ দিন ইউনিভার্সিটি আসো নাই কেন?( আমার শার্টের৷ কলার ধরে )
=আমি অসুস্থ চিলাম । (ভয়ে ভয়ে)
>আচ্ছা আমার প্রপোজের উত্তর দাও ।
=আরো কিছু দিন সময় চাই…
>আচ্ছা তোমার কাছে আর ১দিম আছে। আর কালকে যদি না দাও তো তোমার পা দুটো গেছে। ।
চলে গেল আমাকে ধমকি দিয়ে। আর আমি ভয়ে দারিয়ে আছি। আসুন পরিচিত হই ;- আমি ফাহিম । আর যে মেয়েটা আমাকে ধমকি দিল সে হলো মায়া। মেয়েটা আমার ক্লাসেই পড়ে। দেখতে খারাপ না কিন্তু সবাই ভয় পায় কারন ওর সম্পুর্ন ফেমিলি গুন্ডা। উর বাবা সহরের বড় এবং নাম করা মাস্তান ।। বাবার মতই মেয়েটা হয়েছে । সবাই ভয় পায়। আমিও পাই। কতবার দেখেছি ১বর্ষে পড়ে ৩য় বর্ষের ছেলেদের মারছে। আমি যতটা পারতাম মেয়েটার থেকে দূরে থাকতাম ।সামনে পরলে মাথা নিচু করে চলে যেতাম । কখনো মেয়েটার সাথে কথা বলিনি। কারন খুব ভয় পাইতাম ।। কিন্তু ২য় বর্ষে পড়ার সময় একদিন ,মায়া আমাকে ডাক দিল । আমি ভয়ে ভয়ে কাছে গেলাম –
মায়াঃতুমি আমাকে দেখলে এইভাবে মাথা নিচু করে চলে যাও কেন?
আমিঃএমনি ।(ভয়ে ভয়ে বলছি)
মায়াঃবুঝতে পেরেছি ।সবার মতো ভয় পাও (বলেই হেসে দিল)।
মায়া তার পর বললো আর ভয় পাওয়া লাগবেনা। আমি শুনে বুঝতে পারলাম না ওর কথায়। ।মায়া তার পর বান্দবিদের সাথে চলে গেল ।। আল্লাহ বাচা গেল । পরেরদিন – আবার মায়া ডাক দিল । আমি ভাবছি আবার কেন ডাকছে। তাই আবার গিয়ে মাথা নিচু করে দারিয়ে আছি।
মায়াঃআমি ঘুরিয়ে কথা বলতে পারি না। যা মনে হয় বলে দেই। ফাহিল আমি তোমাকে পছন্দ করি । পছন্দ করি বলতে ভালবাসি। আর তোমাকেই আমি বিয়ে করবো।
=আমিতো পুরাই অবাক। আমি কি বলবো বুঝতেই পারতেছি না । ভয়ে গলায় কথা আটকে গিয়েছিল ।।
মায়া আবার বললো তুমি ভাব । ভেবে কালকে উত্তর দিও । আর উত্তর আমি হ্যা চাই। না শোনা আমি পছন্দ করি না। বলেই মায়া চলে গেল৷ আমিতো পুরাই ঘামে শেষ। কি করবো কিছুই বুঝতেছি না । সম্পুর্ন কলেজে আমাকেই পেয়েছে। আল্লাহ এখন আমি কি করি ? তাই চারদিন কলেজ যাইনি । আজকে এসেছি । তারপর কি হলো তাতো দেখেছেন।। ক্লাস শেষে আবার মায়া এসে বললো উত্তরতো কালকে দিবা আজকে ঘুরতে যাব আসো। আমি ভয়ে ভয়ে বললাম আমার কাজ আছে। মায়া রাগি গলায় বললো আমি আসতে বলেছি আসো। কি আর করার গেলাম ।আমিতো ভয়ে শেষ। মায়ার সাথে একটা পার্কে গেলাম ।
ঘুরতেছি । মায়া কথা বলছে আর আমি শুনছি । মায়া আমাদের বিয়ে নিয়ে সব ভেবে রেখেছে । বিয়ের পর কি কি করবে কোথায় যাবে সব । সে আবার বললো সে আমাকে কেন ভালবাসে। আমি চুপচাপ থাকি আর ভাল ছেলে আর হঠাতি মায়া প্রেমে পরে যায়। আমি ভাবছি আমারি কপাল খারাপ । কিন্তু মায়ার কথা শুনে বুঝাই যাচ্ছে না ।মেয়েটা এত ভয়ানক সভাবের।
কিছুক্ষন পরে কয়েকটা ছেলে মায়াকে টিজ করে । হয়তো চিনতো না মায়াকে। মায়া রাগি ভাবে আমকে বললো তুমি দারাও আমি আসছতেছি। বলেই মায়া ছেলে গুলাকে সেকি মারলো ।ছেলে গুলা মাফ চাচ্ছে। সবাই দেখছে। আমি দেখেই ভয়ে শেষ। কি মেয়েরে । নাম মায়া কিন্তু মনে একটুও মায়া নেই। একটু পরে মায়া আমার সামনে এসে হেসে দিয়ে বললো কি ভয় পেয়েচো? আমি না না । (আমিতো ভয়ে শেষ)
পরে বাসায় চলে আসি । মায়া আমাকে আসার সময় বললো তোমার কতদিন লাগবে হ্যা বলতে? আমি খুব কষ্টে নিজেকে সামলে নিয়ে বললাম আমার কয়েকদিন সময় চাই। একদিনে পারবোনা বলতে। মায়া বললো থিক আছে ১ সপ্তাহ দিলাম । এর পরে কিন্তু আমাকে হ্যা বলতেই হবে । পরে বাসায় চলে আসি । সারারাত ঘুমাইনি । ভেবেছি কি করা যায়। অনেক ভেবে চিন্তা করলাম । মায়ার বাবাকে বলবো ।এসে সে মেয়েকে ফিরিয়ে নিবেন ।কিন্তু মেয়েটা এমন বাবা যানি কেমন হয়। পরেরদিন আবার ইউনিভার্সিটিতে যাইনি। গিয়েছি মায়ার বাড়ি । গিয়েতো আরো ভয় পেয়ে যাই । দেখলাম কয়েকজন মানুষকে উরা ধুরা মাইর৷ একজন এসে আমাকে জিজ্ঞেস করলেন কাকে চাই। আমি ভয়ে ভয়ে বললাম মায়ার বাবাকে। মায়ার বাবার সামনে যেতেই জিজ্ঞেস করলেন কি চাই? ।
আমি ভয়ে ভয়ে সব বললাম ।
মায়ার বাবা চুপ । আনার দিকে রাগি চেহারায় তাকিয়ে আছে আমি ভাবছি আজকে হয়তো আর বাড়ি ফেরা হবে না। কিন্তু মায়ার বাবা একটা হাসি দিয়ে আমাকে জরিয়ে ধোরে কাকাএ যেন বললেন সবাই খাবার নিয়ে এসো । মায়ার হবু জামাই প্রথম আমাদের বাড়িতে এসেছে। সবাই তার পর ভালই আপ্পায়ন করলেন । মায়ার বাবা বললেন তার কথা মায়া বলেছে । আমার মেয়ের পছন্দি আমার পছন্দ। তার পর কিছুক্ষন পররে বাসায় চলে আসলাম । পরেরদিন ইউনিভার্সিটি যেতেই মায়া হাজির-
মায়াঃআমি বাবার কাছে সব শুনেছি । শুনে অনেক ভাল লসগছে। আর তাই কালকে আমি তোমার বাড়ি যাব । আমিতো অবাক । কারন মাকে কি বলবো ভাবছি। কি আর করার নিজে যেতেই হবে রাতে মাকে বললাম কালকে মেহমান আসবে । । পরেরদিন মায়াকে নিতে গেলাম ।ভার্সিটির সামনে থেকে নিতে বলেছে। আমি দারুয়ে আছি ।একটু পরে মায়া আসলো ।আমি দেখে যেন পুরাই অবাক । মায়াকে আজকে পরীর মত লাগছে। শাড়ি ,চোখে কাজল ,হালকা মেকাপ,ঠোঁটে লাল লিপিস্টিক । আমি যেন মায়ার প্রেমে পরে যাচ্ছি। মায়া আমার সামনে এসে –
মায়াঃএইভাবে কি দেখছো?
আমিঃকিছুনা(নিজেকে সামলে নিয়ে) বাড়িতে গেলাম ।মা দরজা খুলার সাথে সাথে মায়া মায়ের পা ধরে সালাম করলো ।
মাঃতুমি কে মা?
মায়াঃকেন ফাহিম বলেনি আপনাকে?
মাঃনা
মায়া তার পর মাকে গিয়ে সব বললো এবং সাথে বললো – আন্টি আমি হয়তো আগে খারাপ ছিলাম কিন্তু আপনার ছেলেকে ভালবেসে আমি সব ভুলে গিয়েছি। আমি আপনার ছেলেকে অনেক ভালবাসি । আমাকে ফিরিয়ে দিবেন না।
আম্মুঃআচ্ছা মা তুমি বাসায় যাও আমি তোমার সাথে পরে কথা বলছি। মায়া বাসায় চলে যায় । তারপর-
আম্মুঃতুই মেয়েটাকে পছন্দ করিস?
আমিঃএকটু একটু(কারন মায়ার পরিবর্তন দেখে আমিও মায়াকে পছন্দ করা শুরু করেছি।
মাঃঠিক আছে আর বলতে হবে না।(মা হাসছেন )
আমি যদিও বুঝিনি হাসির কারন। পরেরদিন ভার্সীটি যেতেই মায়া আমাকে জরিয়ে ধরলো এবং বললো -আমি যানতাম তুমি আমাকে ফিরিয়ে দিবে না ।আর তোমার আম্মু আমাদের বাড়িতে এসে বিয়ের কথা বলে গেছেন । ১ মাস পর আমাদের বিয়ে। আমি অনেক খুশি।
আমি তখন বুঝতে পারি আম্মুর হাসির কারন৷ কিন্তু আম্মুকে বা মায়াকে কিছুই বলিনি। তার পর আরকি । বিয়ের দিন ঘনিয়ে আসছে। মায়া মেয়েটা অমেক পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। আসতে আসতে আমিও প্রেমে পরে যাই৷ তাই বিয়ের কয়েকদিন আগে আমিই ভালবাসি বলি। মায় হেসে বলে না বললেও হতো । বিয়ের পরেই নাহয় বলতে। তার পর আমাদের বিয়ে হয়। ।।এখন মেয়েটা আগের মত আর রাগ করে না। আমাকে অনেক ভলবাসে। মাঝে মাঝে রাগ করলে আমাকে যা ঝারি দেয়। কিন্তু আবার নিজেই ঠিক হয়ে যায়।তাই এখন ভালই কাটছে আমাদের ভালবায়ায়ার সংসার।
সমাপ্ত