বন্ধুত্ব এবং ভালোবাসা

বন্ধুত্ব এবং ভালোবাসা

তনিমার সাথে শিহাবের সর্ম্পকটা পাঁচ বছরের ও বেশি সময় ধরে।সেই কলেজ জীবন থেকে ওদের সর্ম্পকটা শুরু হয়। প্রথমে ওরা একজন আরেকজনের খুব ভালো বন্ধু ছিলো এক পর্যায়ে তাদের সেই বন্ধুত্বটা ভালোবাসাই রুপ নেই।

ওরা একজন আরেকজনকে ছারা একমূহুর্তেও থাকতে পারতো না।অনেক দিন আগের কথা একদিন তনিমা ভার্সিটি থেকে বাসাই আসার সময় ছোট খাটো একটা এক্সিডেন্ট হয়।তখন ওকে হাসাপাতালে এ্যাডমিট হতে হয়।ওর যখন এ্যাক্সিডেন্ট হয়েছিলো তখন ও সেন্সলেস ছিলো তখন ওর মোবাইলটা চুরি হয়ে যায় আর হাসপাতালে ছিলো বিদাই শিহাবের সাথে ৪-৫ দিন কথা বলতে পারে নাই। তাতে শিহাব পাগলের মত হয়ে যাই।এই ৪-৫দিন শিহাব কিছু খাইনি পর্যন্ত।অনেক কান্না করছে রাত জেগে তাতে তার চোখের নিছে কালি জমে।এরপরে তনিমা সুস্থ হয়ে শিহাবের সাথে কথা বলে দেখা করতে বলে।

ঐ দিন শিহাব তনিমাকে জড়াই ধরে ছোট বাচ্ছার মত অনেকক্ষন কান্না করছিলো।অন্য সব সর্ম্পকের মত ওদের সর্ম্পকেও রাগ,ঝগড়া,মান-অভিমান সব ছিলো। কিন্তু যতই রাগ ঝগড়া হোক ওরা একে অপরকে ছেরে এক মূহুর্তেও থাকতে পারতো না। এভাবেই চলছিলো তাদের সর্ম্পক। শিহাব একটু আগোচালো ছিলো তাই মাজে মাজে তনিমা শিহাবকে একটু শাসন করতো।শিহাব ও তনিমার প্রাই প্রতিটা কথা অক্ষরে অক্ষরে পালন করতো।

এইদিকে যতই দিন যাচ্ছে বাসা থেকে তনিমাকে বিয়ের ব্যাপারে চাপ দিচ্ছে।এরমধ্যে অনেকগুলো ছেলে তনিমাকে দেখতে আসে তনিমা সবগুলো বিয়ে মুখের উপর ভেঙ্গে দেয়।শুধু মাত্র শিহাবকে বিয়ে করবে বলে।
বাসাই শিহাবের কথা বলতেও পারছে না কারন শিহাব এখনও বেকার একপর্যায়ে তনিমার বাবা রাগ করে একটা ছেলেকে তনিমাকে বিয়ে দেওয়ার জন্য ঠিক।আর তনিমাকে বলে দেয় ও রাজী থাকুক বা না থাকুক এই বিয়েটা তনিমাকে করতেই হবে।

তনিমা আর কোন উপাই না পেয়ে শিহাবকে কিছু একটা করতে বলে।কিন্তু শিহাব কি করবে কিছুই বুজতেছে না শুধু বাচ্ছাদের মত কান্না করে বলে “তনিমা তুমি আমাকে ছেরে যেয়ো না তাতে আমি মরেই যাবো”।তনিমা তখন রাগ করে বলে কিছুইতো করতে পারো নাই এই পাঁচ বছরে এখন অন্য কাউকে বিয়ে করবো না কি করবো?

পরে ওরা দুইজনে মিলে সিদ্ধান্ত নেয় ওরা পালিয়ে বিয়ে করবে।এরপরের দিন সকাল বেলে তনিমা বাসা থেকে পালিয়ে শিহাবের কাছে চলে আসে।তনিমার খুব ভয় হচ্ছিলো যে জন্মদাতা বাবা-মা কে ছেরে অজানা এক ঠিকানাই সে পা বাড়াচ্ছে।তারপরে আবার মনে হলো সে তো অজানা ঠিকানাই পা বাড়াচ্ছে না সে তার ভালোবাসার মানুষের কাছে যাচ্ছে যে তার সামান্য দুঃখও সহ্য করতে পারে না।এরপরে শিহাবের কয়েকজন ফ্রেন্ডের সহযোগিতাই কাজী অফিসে ওদের বিয়ে হয়।

তনিমার পরিবার রাজী না থাকলেও শিহাব পরিবার প্রথম থেকেই রাজী ছিলো।তাই তারা বিয়ে করে সরাসরি শিহাবের বাসাই চলে আসে।কিন্তু ছেলের চাকরি না থাকা অবস্থাই ছেলের বিয়ে করাটাকে শিহাবের মা স্বাভাবিক ভাবে নেয় নাই।অনেক বুজানোর পরে উনি রাজী হয়।এরামাজে তনিমা ওর বাবা-মা সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে।তনিমার বাবা-মা বলে দেয় ওদের সাথে তনিমার কোন সর্ম্পক নাই।আজ থেকে ওদের কাছে তনিমা মৃত।
ঐ দিন তনিমা অনেক কান্না করে।পরে নিজের মনকে শান্তনা দিয়ে বলে মেয়েরা তো সারাজীবন আর বাবার বাড়ি থাকে না ।আর আমি এমন একজনের কাছে আসছি যে আমাকে তার জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসে।

ওদের বিয়ের পর থেকে শিহাব চাকরীর জন্য অনেক চেষ্টা করে।শেষ পর্যন্ত একটা গার্মেন্টসে শিহাবের জব হয়।কিন্তু বেতন বেশি ছিলো না।তনিমা অনেক বড়লোকের মেয়ে তারপরেও ওদের অভাবের সংসারে অনেক কষ্টে ম্যানেজ করে নেয়।শিহাবকে কখনও বুজতে দেয় না তার কষ্টের কথা।সংসারে একটু অভাব অনটন থাকলেও ওদের ভালোবাসার কোন কমতি ছিলো।এভাবে ২ বছর চলে গেল।

শিহাবের মা যতই দিন যাচ্ছে ততই আকারে ইঙ্গিতে তনিমাকে প্রাই বলতো বাচ্ছা নেওয়ার ব্যাপারে।তনিমা তেমন কিছু বলতো না শুধু বলতো মা আমরা তো ট্রাই করছি। কিছুদিন পরে শিহাবদের পাশের বাসাই শিহাব এর সমবয়সী আরেকটা ছেলে ছিলো ওর বউ এর বাচ্চা হয়।ঐ দিন শিহাবের মা ঐ বাসা থেকে এসে তনিমাকে উনার রুমে ডেকে পাঠাই আর সরাসরি জিজ্ঞেস করে…

-বৌউমা,এভাবে আর কতদিন?
-আম্মু,আমরাতো ট্রাই করছি।(তনিমা)
-এই কথাতো প্রাই দেড় বছর আগে থেকে শুনতেছি।আমার কি ইচ্ছে করে না মরার আগে নাতি-নাতনির মুখ দেখতে?
-জ্বী আম্মু।

এই বলে ঐদিনের মত তনিমা উনার রুম থেকে চলে আসে।আর ভাবতে থাকে আসলেইতো তারাতো অনেক চেষ্টা করলো কাজের কাজতো কিছুই হলো না।না,এই ব্যাপারে আজকে একটু শিহাবের সাথে কথা বলা দরকার।

রাতে শিহাব অফিস থেকে ফিরার পর সবাই মিলে খাওয়া-দাওয়া করে যখন রুমে আসে তখন তনিমা শিহাবকে দুপুরে তার শ্বাশুরী যা যা বলছে তা বলে।তখন তারা দুইজন কথা বলে সিদ্ধান্ত নেয় যে তারা ডাক্তার দেখাবে।
পরের দিন তনিমাকে ডাক্তার কাছে নেওয়া হলো।ডাক্তার কিছু টেস্ট লিখে দেয়।ওরা ঐ দিন টেস্ট করিয়ে চলে আসে।

পরের দিন রিপোর্ট দেওয়ার কথা শিহাবের যেহেতু অফিস আছে।তাই তনিমা একা রিপোর্ট গুলো নিয়ে ডাক্তারের কাছে যাই।ডাক্তার সবকিছু চেক করে বলে যে তনিমার সব রিপোর্ট ওকে ওর কোন প্রবলেম নাই।ডাক্তার তনিমাকে বলে দেয় শিহাবকে নিয়ে আসার জন্য ওর ও কিছু টেস্ট করা লাগবে।

রাতে শিহাব অফিস থেকে ফিরার পর তনিমা বিস্তারিত বলে।আর শিহাবকে টেস্ট করানোর কথা বলে।শিহাবকে টেস্ট করানোর কথা শুনে শিহাব খুব রেগে যাই আর বলে তুই নিজে মা হতে পারবি না এটা তোর প্রবলেম এটার জন্য আমি কেন টেস্ট করাইতে যাবো। শিহাব এর আগে কখনও তনিমাকে তুই-তুকারি করে নাই।শিহাবের এমন ব্যবহার দেখে তনিমা অনেক কষ্ট পাই।সে আর শিহাবকে কিছু না বলে শুয়ে পড়ে।সারারাত তনিমা নিরভে চোখের পানি ফেলে।শিহাবের এমন আচরন দেখে।

একদিন শুক্রবারে তনিমা ঘর পরিষ্কার করার জন্য যখন ওর শ্বাশুরির রুমে যাচ্ছিলো। তখন সে রুমে ডুকার আগে শুনতে পেল।শিহাব আর তার মা কথা বলছে তনিমার ব্যাপারে।শিহাবের মা শিহাবকে বলছে “দেখ বাবা অনেক তো হলো এই মেয়ে কখনও মা হতে পারবে না তুই বরং এই মেয়েকে ডিভোর্স দিয়ে দে,
এই কথা শুনে তনিমার মাথাই যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়লো হাতে থাকা ঝারুটা হাত থেকে পড় গেলো।
শিহাব কি বলে সেটার শুনার জন্য তনিমা আরেকটু কাছে গেলো…

– কি বলো এগুলো মা?আমি তনিমাকে ভালোবাসি আর ও আমাকে ভালোবাসে।ও আমার দিকে তাকিয়ে ওর পুরো পরিবার ছেরে চলে এসেছে।আমি ওকে এমনটা করতে পারবো না।(শিহাব)
-দেখ বাবা শুধু মাত্র ভালোবাসা দিয়ে সংসার চলে না।আর এই মেয়ে আমাদের বংশের প্রদীপ জ্বলাইতে পারবে না,এই ধরনের মেয়ে গুলো অপয়া হয়”
-এখন আমি কি করবো মা?(শিহাব)
-তুই যদি বলস আমি উকিল ডেকে তোদের ডিভোর্সের ব্যবস্থা করতে পারি।আর আমার বান্ধুবী রেহানার মেয়ে রিমা আছে না।যে তোকে বিয়ে করতে চাইছিলো ওরা এখনও বিয়েটা দিতে রাজী।এখন তোর সিদ্ধান্ত।
-ওকে মা।তুমি যা ভালো বুজ করো। (শিহাব)
-তুই তাহলে ঐ মেয়েকে আজকে রাতেই বলে দিস।
-ঠিক আছে আম্মু।(শিহাব)

এই বলে শিহাব যখন বেড় হচ্ছিলো তখন শিহাব যাতে বুজতে না পারে যে তনিমা শিহাব আর তার মার কথপোকথন শুনতে পারছে।সে জন্য তনিমা পর্দার আড়ালে লুকিয়ে যাই।শিহাব চলে যাওয়ার পর তনিমা ওখান থেকে বেড় হয়ে নিজের রুমে এসে ওয়াশরুমে ডুকে পানি ছেরে অনেক্ষন কান্না করে।এরপরে বেড়িয়ে আসে নিজেকে যতটা সম্ভব সবাইর কাছে স্বাভাবিক রেখে বাকি কাজ গুলো করে, না হয় শ্বাশুড়ির বকাবকি শুনতে হবে। এরমাজে শিহাবের সাথে তনিমার একবারও কথা হয়নি অন্যদিন শিহাব নিজ থেকে অনেক কথা বলে আজ শিহাবও কিছু বলেনি তনিমাও নিজ থেকে কিছু বলে নি।

রাতে খাওয়া দাওয়া শেষ যে যার রুমে চলে গেল।শিহাবও খেয়ে রুমে চলে গেল। তনিমা সবকিছু গুছিয়ে তারপর শিহাবের কাছ থেকে ডিভোর্সের কথা শুনার প্রস্তুতি নিয়ে রুমে ডুকলো।কিন্তু শিহাবকে কিছু বললো না।অন্যদিনের মত সে ড্রেসিং টেবিলের সামনে বসে চুল আচরাচ্ছে।এমন সময় শিহাব শুয়া থেকে উঠে বললো…

-তনিমা,আমার তোমার সাথে কিছু কথা আছে।(শিহাব)
এই কথটা যেন তনিমার বুকে ভিতর তিরের মত গাঁথলো কারন তনিমাতো জানে শিহাব কি বলবে।নিজেকে যতটুকু সম্ভব স্বাভাবিক রেখে শিহাবকে বলতে বললো।
-আসলে আমি তোমার সাথে আর থাকতে চাচ্ছি না।(শিহাব)
-কিন্তু কেন?(তনিমা)
-কারন তুমি কখনও মা হতে পারবা না।আর আমার আব্বু-আম্মুও চায় নাতি-নাতনির মুখ দেখতে আর আমারও তো ইচ্ছে করে বাবা ডাক শুনতে।(শিহাব)
-আমি কখনও মা হতে পারবো না এটাতো কোন ডাক্তারে বলেনি।সব ডাক্তারই তো আমার রিপোর্ট স্বাভাবিক বলছে।তোমার ও তো সমস্যা থাকতে পারে।(তনিমা)
-কি বললি তুই? আমার প্রবলেম?তোর মত বন্ধা মেয়ে আমাকে বলে আমার প্রবলেম? তোর তো সাহস কম না।(শিহাব)

বন্ধা মেয়ে কথটা শুনার পর তনিমা আর কিছু বললো না।ও চুপ-চাপ রুম থেকে বেড় হয়ে যাচ্ছিলো তখন পিছন থেকে শিহাব বললো এখন রুম থেকে বেড় হয়ে যা আর কালকে সকালে আমি ঘুম থেকে উঠার আগে আমার বাসা থেকে বেড় হয়ে যাবি।তোর মত অপয়ার মুখ আমি আর দেখতে চায় না। তনিমা সোফা রুমে গিয়ে ফ্লোরে বসে পড়লো আর ভাবতে থাকলো এটা কি সেই শিহাব যাকে সে মন প্রান উজাড় করে ভালোবেসেছিলো,এটা কি সেই শিহাব যে তনিমাকে ছারা একমূহুর্তেও থাকতে পারতো না? এটা কি সেই শিহাব যার উপর ভরসা করে সে তার পরিবার ত্যাগ করেছিলো।এগুলো ভাবতে ভাবতে কখন যে ফজরের আযান দিয়ে ফেললো বুজতেই পারি নাই।তনিমা উঠে ফজরের নামাজ পড়ে নেই। আর শিহাবকে একটা চিঠি লিখে যাই চিঠিটা ছিলো অনেকটা এরকম…

প্রিয় শিহাব
তোমার মনে আছে কিনা জানি না।একদিন আমি তোমাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম ভালোবাসা মানে কি?
তখন তুমি বলেছিলা ভালোবাসা মানে ভালোবাসার মানুষটাকে ভালো রাখা।আজ যেহেতু তুমি সিদ্ধান্ত নিয়েই নিছো যে আমাকে ছারা তুমি ভালো থাকবে।তাই তোমার ভালোর জন্য আমি তোমার কাছ থেকে অনেক দূরে চলে যাচ্ছি।

ইতি
তোমার পাগলী।

চিঠিটা যখন শিহাবের রুমে রাখতে যাই তখন দেখে শিহাব খুব নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছে।তনিমার খুব ইচ্ছে করে শিহাবকে জড়িয়ে ধরে ওর কপালে একটু চুমু দিতে।কিন্তু সেই অধিকার তনিমা এখন হারিয়েছে।তার শিহাব এখন অন্য কারো হতে যাচ্ছ।তনিমার কলিজাটা কে যেন ছিরে নিয়ে যাচ্ছে।ও আর এক মূহুর্তেও ওখানে না দাঁড়িয়ে সরাসরি বাসা থেকে বেড়িয়ে গেল।অনেক আশা নিয়ে এই বাড়িতে সে শিহাবের সাথে ডুকেছিলো আজ সে খালি হাতেই বের হয়ে গেল।

তনিমা ভেবে পেলো না ও এখন কোথাই যাবে,কি করবে।কারন ওর বাবা-মাতো ওকে আরো আগেই ত্যাগ করছে।শেষ পর্যন্ত ও ওর এক ফুফাতো বোনের বাসাই উঠে যে প্রথম থেকে শিহাব আর সর্ম্পকের ব্যাপারে জানতো।ঐ দিন তনিমার বাবা-মা মেয়ের এমন ঘটনা শুনে আর রাগ ধরে রাখতে পারে নাই।উনারে এসে তনিমাকে নিয়ে যাই।

দুইদিন পরে শিহাব ডিভোর্স পেপার পাঠাই তনিমাদের বাসাই।তনিমা কাঁপা কাঁপা হাতে তা স্বাক্ষর করে দেয়।ওদের ডিবোর্সের চার দিন পরে শিহাব আবার বিয়ে করে।সেদিন ও তনিমা সারারাত কেঁদেছিলো।ওর কান্নাটা স্বাক্ষী শুধু ওর বালিশ আর একটা নিস্তব্দ ঘর।এরপরে আস্তে আস্তে তনিমা নিজেকে ঘুচিয়ে নেয়।
এখন সে তার নিজের বাবার ব্যবসা দেখা শুনা করছে।

বেশকিছুদিন পরে একদিন তনিমার এক ডাক্তার ফ্রেন্ড তনিমাকে কল করে।আর বলে শিহাব তার চেম্বারে এসেছিলো তার দ্বীতিয় স্ত্রীকে নিয়ে।তার দ্বীতিয় স্ত্রী নাকি চাইলেও কখনও মা হতে পারবে না।আর শিহাবের একটা প্রবলেম আছে যেটা চিকিৎসা করলে ঠিক হয়ে যাবে।তনিমা কিছু না বলে ফোনটা কেটে দেয়। আর ভাবতে থাকে বিধাতার লীলাখেলা সত্যি বুজা অনেক দায়। আর অন্যদিকে শিহাব ভাবে যদি তনিমা থাকা অবস্থাই সে তনিমার কথাই নিজের টেস্ট করাতো তাহলে তার আজকে এই অবস্থা দেখতে হতো না।কিন্তু তার এই ভাবনাটা আজ মূল্যহীন।

(সমাপ্ত)

গল্পের বিষয়:
ভালবাসা
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত