বউ এর শাসন

বউ এর শাসন

– এই ওঠ।। ভোর রাতে খাবারের সময় হয়ে গেছে। ওঠ তাড়াতাড়ি। (বউ)
-আরেকটু পরে ওঠি।( আমি)
– না। এখনই ওঠ। ওঠবা না আমি পানি ঢালব।(বউ)
– তাই ঢাল। এই গরমে পানি অনেক আরাম দিবে।(আমি)
-তারপর ও তুমি ওঠবা না।
– ওঠব তবে একটু পরে।
– আচ্ছা। তাহলে তুমি ঘুমাও। আমি যাই।

এই বলে চলে গেল। কিন্তু যাবার আগে রুমের লাইট টা অন করে দিয়ে গেল। আমি চোখ খুলে দেখছিলাম। ও চলে গেছে কিনা।।লাইট অন করার সাথে সাথে আলোটা আমার চোখে এসে পড়ল। আর ঘুমটা ভেঙ্গে গেল।। ও এইভাবেই প্রতিদিন ভোর রাতে জাগায়। তারপর ফ্রেশ হয়ে খাবার খেয়ে নিলাম।খাবার খেয়ে বিছানায় ঘুমাতে গেলাম। যেই মাএ শুইতে যাব। ঠিক তখনই বউ এসে পড়ে।

– এই এখন ঘুমাতে যাইতাছ কেন?? নামাজ পড়বা না।
-হম। পড়ব তো। তার আগে একটু বিশ্রাম নেই।
– না বিশ্রাম এর দরকার নাই। তুমি শুইলেই ঘুমিয়ে পড়বা। কিছুক্ষন পর আজান দিবে। তখন নামাজ পড়ে তারপর ঘুমাবে। ঠিক আছে।
– আচ্ছা। কি আর করব। কিছুক্ষন বসে থাকলাম। তারপর আজান দিল। আজান এর পর বউ এসে আবার হাজির
-এই আজান দিয়েছে। তাড়াতাড়ি মসজিদে যাও।
-হম।যাচ্ছি।
-এই শোন।
-কি??
– নামাজ শেষ করে তাড়াতাড়ি চলে আসবা। লেইট করবা না।
– ওকে।

তারপর মসজিদে চলে আসলাম। নামাজ পড়া শেষ করে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিলাম। কিন্তু কিছুক্ষন আসার পর আবহাওয়া টা অনেক ভালো লাগল। ঠান্ডা বাতাস শরীর জুড়িয়ে যাচ্ছিল। তাই বাড়িতে না গিয়ে রাস্তার পাশে বসলাম। যেখানে ঠান্ডা বাতাসে হদয় টা জুড়িয়ে যাচ্ছিল। আর বসে বসে নিজের অতীতটা ভাবতে লাগলাম। আর হ্যা আপনাদের তো আমার পরিচয়টাই দেওয়া হয়নি। আমি সৈকত। একটা কোম্পানিতে চাকরি করি। আর আমার বউটার নাম সুমাইয়া।

ওর সাথে আমার পারিবারিক ভাবেই বিয়ে হয়েছিল। আর অতীত এর কথাটা বল্লাম না। আসলে আমি আগে এখনকার মতো এতো গুছালো ছিলাম না। ছিলাম এক ছন্নছাড়া। যখন যা মনে চাইত তাই করতাম। আর যতরকমমের খারাপ কাজ ছিল সব কিছুই করতাম আমি। চুরি, ছিনতাই, মারামারি, এছাড়াও আর যত রকমের খারাপ কাজ করতাম। মা-বাবার কোন কথাই শোনতাম না। তাদের ব্যাপারে কখনো ভাবতাম ও না। প্রতিদিন মদ,সিগারেট, জুয়া খেলতাম আর রাতে মাতল হয়ে ঘরে ফিরতাম। আর সকাল হলে আবার চলে যেতাম আমার কাজে।আর এই সব কাজে আমাকে সার্পোট করত আমার বন্ধু রাকিব। আসলে ওর সাথে থেকেই আমিই এইসব কাজে লিপ্ত হয়েছি।এইভাবে আমার দিন চলতে লাগল। একদিন বাবা আমাকে বিয়ের কথা বলে। আমি কি বলব বুঝতে পারছিলাম না।আমি তখন কিছু বলিনি। রাকিব কে বল্লাম। সে বলল

– বিয়েটা করে ফেল।
– কি বলছিস। বিয়ের পর তোদের সাথে এইভাবে আড্ডা দিতে পারব না।
– আরে আমার কথা টা শোন ভালো করে। তোর বাবা যখন বলছে। তাই বিয়েটা করে ফেল। তুই একমাএ ছেলে তাই বিয়েটা করে ফেল। বিয়েটা করে তাদের মনটা রাখ। তারপর না হয় বিয়ের পরে বউকে টাইট দিয়ে রাখবি। না মানলে মাইর দিবি।

– তা ঠিক আছে।কিন্তু বিয়ে করা কি ঠিক হবে।
– কথা না বলে বিয়েটা করে ফেল।

তারপর তার কথা মতো বাবাকে বিয়ের কথা বল্লাম। সেদিন বাবার মুখে খুশি দেখেছিলাম। তারপর বাবা তার বন্ধুর মেয়ের সাথে বিয়ে ঠিক করল। আমি ঐসব ব্যাপারে কোন মাথা গামাই না। আমি আমার দুনিয়ায় মজে ছিলাম। তার মাঝে বাবা বিয়ের দিন জানিয়ে দিল। তারপর দেখতে দেখতে বিয়ের দিন চলে আসল। আর বিয়ে করে ফেল্লাম। আর বাসর ঘরে গেলাম। গিয়ে নিজে নিচে বিছানা করে শুয়ে পরলাম। আসলে আমি আমার বন্ধুর কথা মতো ওকে কষ্ট দিতে চাইনি তাই নিজে নিচে বিছানা করলাম। আর ২ বোতল মদ এনে রেখেছিলাম। যাতে রাতে খেতে পারি। তাই মদ খেতে বসে পড়লাম।এতক্ষণ বউ কিছু বলেনি শুধু আমার কান্ডগুলা দেখেছে। যখনই মদ খাব তখনই বউ বলে ওঠল

– একি আপনি কি করছেন। বাসর রাতে আপনি মদ খাচ্ছেন। কেন?? এক তো আপনি নিচে বিছানা করেছেন। তার উপর আমার মদ খাচ্ছেন।
– এই আপনি আমার সম্পর্কে জানেন না।
– জানি।
– তাহলে বিয়ে করলেন কেন??? বিয়ে করেছেন ঠিক আছে কিন্তু আমার কাজে বাধা দিচ্ছেনন কেন???
– আমি ভেবেছি আপনাকে আমার ভালবাসা দিয়ে ঠিক করে দিব। তাই বিয়ে করেছি। আর আজ থেকে আপনার মদ খাওয়া বন্ধ।

– এই কি বললি তুই। আমার মদ খাওয়া বন্ধ করবি। আজকে প্রথম দিন তাই কিছু বল্লাম না।।। আর ভবিষৎ এ যদি আমার কোন ব্যাপারে নাক গলালে। তুকে একেবারে মেরে ফেল।। এখন কোন কথা না বলে ঘুমিয়ে পড়। আমার মাথা গরম করিস না। আর কোন কথা বলল না। আমি মদ খাওয়া শুরু করলাম। কিছুক্ষন পর কান্নার আওয়াজ শুনতে পেলাম। এমনেই মাথা গরম ছিল তার উপর এই কান্না।

– এই সমস্যা কি তুর কান্না করছিস কেন??? চুপচাপ ঘুমিয়ে পর না হলে মাইর খাবি আমার হাতে। তারপর আর কান্নার আওয়াজ আসল না। আমি মদ খেয়ে ঘুমিয়ে পরলাম।সকালে কার ডাকাডাকিতে ঘুম ভাঙ্গল। চোখ খুলে দেখি মা। মা বলল

-ছি! বাসর রাতেও মদ খেয়েছিস। ভেবেছিলাম তুই ঠিক হয়ে যাবি। কিন্তু তুই দিনদিন আরো খারাপ হয়ে যাচ্ছিস। আমরা শুধুশুধু মেয়েটার জীবনটা নষ্ট করে দিলাম। আচ্ছা বাবা এইভাবে আর কতদিন। এখন তো এইসব খারাপ কাজ ছেড়ে দে। বিয়ে করেছিস ঘরে নতুন বউ এসেছে। আর এইসব কাজ করিস না।

– হইছে।। তোমার জ্ঞান দেওয়া এখন যাও ঘুমাব। সকাল হতে না হতেই ঘ্যান ঘ্যান শুরু করে দিয়েছ। যাওতো এখান থেকে।

এরপর মা কান্না করতে করতে চলে গেল। আর আমার জীবন আগের মতোই চলতে লাগল। বউ মাঝেমাঝে আমার কাজে বাধা দিতে আসে। আর আমার বকা শুনে সবসময়। এইভাবেই চলতে লাগল। তবে এখন আমার খারাপ কাজের মাএা আগের চেয়ে অনেক বেড়ে গেছে।

একদিন কেন জানি মদ খাই নাই। রাতে হঠাৎ করে ঘুম ভেঙ্গে গেল। আর কার কান্নারর আওয়াজ শুনলাম। তারপর দেখলাম বউ নামাজ পরে মোনাজাত ধরে কান্না করছিল। আমি আমার চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। আমার বউ এর চেহারায় একটা নূরের আলোর মতো লাগছিল। নিজে নিজের বউকে দেখে অবাক হয়ে গেলাম। আর নিজে নিজে প্রশ্ন করলাম। কি করেছি আমি জীবনে বাবা-মাকে কষ্ট দেওয়া ছাড়া। একজন কে বিয়ে করলাম তাকেও কষ্ট দিয়েছি। তারপর মেয়েটা আমাকে ছেড়ে চলে যায় নি। সবসময় আমার পাশে রয়েছে। আমাকে ভালবাসতে চেয়েছে। কিন্তু আমি কি করেছি তাকে শুধু কষ্ট দিয়েছি। না এইভাবে আর চলে না। অনেক হয়েছে এইবার নিজেকে পরিবর্তন করতে হবে। বাবা-মা কে আর কষ্ট দেওয়া যাবে না। আর বউটাকেও কষ্ট দেওয়া যাবে না।ও কে খুব বেশি ভালোবাসতে হবে। এইসব ভাবতে ভাবতে বউ এর নামাজ শেষ। আমাকে সজাগ দেখে জিঙ্গাসা করল

– আপনি হঠাৎ জেগে গেলেন যে। আপনার কিছু প্রয়োজন আছে কি???
– হম। আছে
-কি বলেন। আমি এনে দিচ্ছি
– আমার তোমাকে প্রয়োজন। তোমার ভালোবাসা প্রয়োজন।

আমার কথা শুনে সে কান্না করে দিল। আমার তার মুখটা ধরে চোখের পানি মুছে দিলাম। আর নিজেও কান্না করে দিলাম।

– আমাকে ক্ষমা করে দাও। তোমার সাথে আমি অনেক খারাপ ব্যবহার করেছি। আমাকে মাফ করে দাও।
– এ কি আপনি কি বলছেন এই সব।

স্বামীদের কখনও তাদের বউদের কাছে মাফ চাইতে । প্রত্যকটা বউ এর কাছে তার স্বামীই সব। তেমনি আমার কাছেও আপনি। মাফ চাইতে হলে বাবা-মার কাছে চান। তারা মাফ করলেই সব।আমার কাছে মাফ চাওয়ার দরকার নাই। এখন আসেন দুই রাকাত নফল নামাজ পরে আল্লাহর কাছে আমাদের ভবিষ্যৎ মঙ্গলের জন্য দোয়া করি। আসেন অযু করে আসেন।

– আমি তো এইসব কিছুই পারি না।
– আসেন আমি আপনাকে শিখিয়ে দেব। আপনি আস্তে আস্তে সব শিখে যাবেন।

তারপর বউ আমাকে অযু করা শিখিয়ে দিল। নামাজ পড়া শিখিয়ে দিল। তারপর দুজনে নামাজ পরে আল্লাহর কাছে দোয়া চাইলাম আমাদের ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য আর আমার সকল পাপের জন্য ক্ষমা চাইলাম।আর নামাজ পড়ে নিজের মনের মধ্যে এক অন্যরকম ভাল লাগা কাজ করল। তারপর দুজন ঘুমাতে গেলাম। আর এখন থেকে আমি খাটে ঘুমাই আগের মতো নিচে শুই না। আমি তাকে তার নাম জিঙ্গাসা করলাম।

– কি এখন পযর্ন্ত নিজের বউয়ের নাম জানেন না।
– না আসলে।
– সুমাইয়া। আমার সুমাইয়া
– ওহ! খুব সুন্দর নাম।
-জানেনন আজকে আমি খুব খুশি।
-কেন???
– আমি এতদিন এই দিনটার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। যে আপনি এইসব খারাপ কাজ ছেড়ে দিবেন। আমাকে ভালোবাসবেন। বাবা-মা কে ভালোবাসবেন।

– তাই। কিন্তু এতদিনের অভ্যাস কি এত তাড়াতাড়ি ঠিক হয়ে যাবে।
– হবে। শুধু আপনার নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে।তাহলে সব সম্ভব হবে।
– আমি আমার সেরা দিয়ে চেষ্টা করব।আর কখনো ভুল হলে সেইটা ঠিক করার দায়িত্ব তোমার।
– আচ্ছা ঠিক আছে। এখন ঘুমান সকালে উঠে নামাজ পড়তে যেতে হবে।
-আচ্ছা। এই বলে তার কপালে চুমু খেয়ে ঘুমিয়ে পরলাম।

সকালে আজানের আওয়াজ শুনে ঘুম ভাঙ্গল। কিন্তু পাগলী টা এখনও ঘুমিয়ে আছে। তাকে যা লাগছিল না। বলে বুঝাতে পারব না। তারপর তার কপালে চুমু খেলাম।। আর সাথে সাথে সে জেগে গেল

– শুভ সকাল।
– শুভ সকাল।
– আজান দিছে।
– হম।
– তাহলে তাড়াতাড়ি ওঠ।অযু করে আস। তারপর মসজিদে নামাজ পড়তে যাবে।
-আচ্ছা। তাহলে ওঠ। দুজন একসাথেই অযু করে আসি।
– আচ্ছা।

তারপর দুজন ওঠে অযু কররলাম। অযু করে আসার সময় দেখলাম বাবা-মা দুজনই নামাজ পড়তে উঠেছে। তারা আমাকে দেখে তো অবাক। যে ছেলে সূর্যাউদয় কোন দিন দেখেনি সেকিভাবে আজকে এত সকালে ঘুম থেকে উঠল। আর অযু করেছে বলে তো মনে হয়। আমি এর থেকে ভালো সুযোগ আর পাব না ক্ষমা চাওয়ার আরর বউ ও ইশারায় ক্ষমা চাইতে বলল। তাই আমি দেরি না করে বাবা-মার পা জড়িয়ে ধরলাম।

-বাবা-মা আমাকে ক্ষমা করে দাও। তোমাদের কে অনেক কষ্ট দিয়েছি। আমাকে ক্ষমা করে দাও। এখন থেকে তোমাদের ভালো হওয়ার চেষ্টা করব। বাবা- মা আমাকে উঠালের তারপর আমাকে জড়িয়ে ধরলেন। বললেন

– বাবা তুই আমাদের একমাত্র সন্তান। তুই প্রতি আমাদের রাগ থাকতে পারে। সন্তান যতই খারাপ হোক না কেন কোন বাবা-মা তাদের সন্তানকে খারাপ দোয়া করে না। সবসময় তার মঙ্গল কামনা করে।তুর জন্য কি আমরা খারাপ কিছু চাই পারি। বাবা বলল

-চল আজকে বাবা – ছেলে একসাথে মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়ে আসি।
– আচ্ছা চলো।

তারপর আমরা বাবা-ছেলে মসজিদে গেলাম। মসজিদে আমাকে দেখে সবাই অবাক হয়েছিল। কি আর করা নামাজ পড়ে আমি আর বাবা বাড়িতে আসছিলাম। তখন বাবা

– বাবা
– ছি বাবা।বল
– চল আজকে এই ঠান্ডা আবহাওয়ায় একটু হাটি চলো।
– আচ্ছা চলো।  তারপর দুজন মিলে হাটলাম অনেকক্ষণ। হঠাৎ বাবা বলল
– বাবা একটা কথা বলি।(বাবা)
-বল বাবা।
– তুই তো অনেক সময় নষ্ট করলি। এখন একটা চাকরি নে।আমি একটু বিশ্রাম নেই
-নিব বাবা। তবে আমাকে আমার আগের অভ্যাস ছাড়তে কিছুটা সময় লাগবে। তারপর না হয় চাকরিতে ঢুকব।ততদিন একটু কষ্ট করতে হবে তোমাকে।

-কি বলছিস। আমি তো এইভাবেই বললাম। সারা জীবন কষ্ট করলাম। আর নয় কয়টা দিন। তুই আগে ঠিক হ।
তখন বুঝলাম এইটাই হয়তো বাবার ভালোবাসা। তারপর আস্তে আস্তে আমি আগের অভ্যাস গুলো ত্যাগ করে স্বাবাভিক জীবনে ফিরে আসতে লাগলাম। আর আমার বন্ধু রাকিব এর সাথে আর দেখা করি না।তারপর হঠাৎ একদিন রাকিব এর সাথে দেখা ।। ও আমাকে বলল

– কিরে সৈকত তুই তো আর আড্ডায় আসোস না।আমাকে তো ভুলে গেছোস।
– নারে দোস্ত আমি আর খারাপ কাজে যাই না।এখন একটা চাকরি করব ঠিক করছি।তুই ও এসব কাজ ছেড়ে দে। নামাজ পড়। মা-বাবার কথা মতো চল। এসব কাজ ছেড়ে ভালো হয়ে যা।
– হইছে তোর আর জ্ঞান দিতে হবেনা।আমারটা আমি ভালো বুঝি।তুই যা ভালো হয়ে থাক।
-তা ঠিক আছে। তারপরও তুই আমার বন্ধু তাই বলছি ভালো হয়ে যায়।

আর কিছু বললাম না চলে আসলাম।বাবার কথা মতো চাকরিতে যোগ দিলাম। আস্তে আস্তে আমি আগের সব কিছু ছেড়ে। আর এ কাজে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করেছে আমার বউ। এখন আমরা একজন আরেকজন ছাড়া বুঝি না। আর এরমাঝে আমার জীবনের বড় ধাক্কা লাগে বাবার মূত্যুতে। তারপর সেই ধাক্কা থেকে বের হতে সময় লেগেছে। তারপর আমি আমার জীবনে এগিয়ে যেতে লাগলাম। এখন তা তো এইসব কিছুর প্রায় ১বছর সময় হয়ে গেছে।আর বিয়ের পর এইটা আমার প্রথম রোজা ঠিক করছি সবগুলা রোজা রাখব।এইসব বলতে বলতে দেখলাম বউ এর ফোন। তাই দেরি না করে বাড়ির দিকে রওনা দিলাম। আর ভাবতে লাগলাম আগামী রমজানে নিজের ছেলের মুখ দেখতে হবে যাই বাড়িতে যাই। আর বউটাকে আরো ভালোবাসতে হবে।

গল্পের বিষয়:
ভালবাসা
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত