– ঐ স্টবেরি এই দিকে শোন (রোদেলা)।
– জ্বী আমাকে বলছেন।
– না না তোরে না তো তোর দাদুরে বলছি।
– ওকে তাহলে আমি গেলাম।
– চুপ এই দিকে আয়।
– আমাকে এমন তুই তুকারি করছেন কেন আপনি।
– আমার ইচ্ছে হচ্ছে তাই, ঐ আমার মুখে মুখে কথা বলছিস সাহস তো কম না। আজকে তো তোরে খাইছি আমি। বলেই আমার হাত ধরে সবার সামনে নিয়ে গিয়ে গেল।
– ঐ স্টবেরি এবার আমাদের একটা গান শোনা তো।
– আপু আমি গান পারি না তো।
– কী বললি…. গান পারিস আর না পারিস তুই গান শুনাবি ব্যাস।
– আপু একটা কথা বলি।
– হুমমমমম বল।
– আমার না একটা নাম আছে সাহরিয়া সেটা বলেন কেমন।
– হুমমমমম ঠিকআছে এবার গান শুনা।
– আপু আপনেরা চোখটা বন্ধ করেন না হলে আমার লজ্জা করে।
– হুমমমমম করলাম এবার গান শোনা।
– রোদেলা আপু চোখ বন্ধ করা মাত্র ব্যাগ নিয়ে দৌড় দিছি।
আপনারাই বলেন চারিদিকে অনেক ছেলে মেয়ে তার মধ্যে আমি কেমনে গান গামু তাই দৌড় দিছি। ও হ্যা আমি সাহরিয়া, আর আমারে যে স্টবেরি বলল সে হল রোদেলা আপু। সবাই কলেজে তারে দেখে ভয় পায়, কারণ তার বাপটা একটা গুন্ডা আর সেই হিসেবে সে একটা গুন্ডি, কোন ভাই বোন নাই তার বাবা ও তারে দেখে ভয় পায়। কলেজে আমিই একমাত্র ছেলে যে কী না তার হাতে কোন থাপ্পড় খাই নাই।
রোদেলা আপু আমার থেকে এক ব্যাচ সিনিয়র। কলেজের প্রথম দিন থেকে রোদেলা আপু আমাকে স্টবেরি বলে ডাকে, কে ডাকে সেটার বাখ্যা শোনার সৌভাগ্য এখন ও আমার নছিবে হয় নাই। গান শুনাতে চেয়ে যেহেতু দৌড় দিয়ে চলে আসছি, সেহেতু ভয়ে ভয়ে আছি আমি জানিনা কালকে কপালে আমার কী আছে। না এখন বাসাই গিয়ে একটা ঘুম দেওয়া দরকার, কালকে যা হবে দেখা যাবে। এক ঘুমে সন্ধাই উঠছি, এখর রফিক মামার দোকানে গিয়ে এককাপ চা আর একটা রুটি দিয়ে রাত পার। ব্যাচেলার মানুষ ভাই কিচ্ছু করার নাই, এখন সোজা রুমে গিয়ে আবার ঘুম। পরেরদিন সকালে উঠে ফ্রেস হয়ে আল্লাহর নাম নিয়ে কলেজে চলে গেলাম। ভয়ে ভয়ে মাত্র কলেজে গেলাম, যাওয়া মাত্রই কয়েকটা ছেলে আমার সামনে আসল।
– ঐ তুই সাহরিয়া।
– জ্বী ভাইয়া বলেন।
– আমাদের সাথে চল রোদেলা ম্যাডাম তোরে ডাতেছে।
– ভাইয়া আপনারা যান আমি একাই যাচ্ছি।
– রাফি ওর হাত পা ভেঁঙ্গে দে তারপরে নিয়ে চল।
– না না ভাইয়া চলেন আমি যাচ্ছি। ম্যাডাম ওরে নিয়ে আসছি।
– হুমমমমম এবার তোমরা যাও, ঐ তুই কই যাস।
– আপনিই না বললেন চলে যেতে।
– ওদের বলছি তোরে না বুঝলি।
– হুমমমমম, আমি এখন কী করব।
– কী করবি দাঁড়া, ওই হারামি, কু্ত্তা, বিলাই কালকে দৌড়ে গেলি কেন।
– সবার সামনে গান গাইতে আমার লজ্জা করে।
– তোর লজ্জা করে তাই না স্টবেরি, দাঁড়া মজা দেখাচ্ছি। বলেই আমার হাত ধরে টেনে ওনাদের রুমে নিয়ে গেল।
– ডিয়ার ফ্রেন্ড, আজকে আমাদের সবাইকে গান পরিবেশন করে শুনাবে। আমাদের কলেজের ছাত্র এই স্টবেরি। স্টবেরি শুরু করে দে।
– আমি গান পারি না সত্যি।
– ঐ গান বলবি, না কান ধরে ওঠ বস করবি বল, এখন যেইটা তোর পছন্দ।
– না না আমি গানই গাইব।
– হুমমমমম তা হলে শুরু করে দে স্টবেরি।
– ওকে গাইতেছি……।
– বাহ্ স্টবেরি খুব ভাল গান গাইতে পারিস তো।
– হুমমমমম আমি এখন গেলাম,
বলে ক্লাসে চলে আসলাম। ক্লাস করে মাত্র বাইরে আসছি, এমনি রোদেলা আপু গেঞ্জিটা ধরে টেনে কি যানি নিয়ে গেল।
– ঐ শয়তান তোর ফোন নম্বর দে।
– কেন।
– দিবি নাকি তোর হাত পা ভেঙ্গে দিমু।
– না না এই নাও 0130735243..।
– হুমমমমম এই তো সুইট বেবি।
– আচ্ছা রোদেলা আপু আমাকে তুমি স্টবেরি বলো কেন।
– তোরে আমার স্টবেরির মতো লাগে তাই, আর তোর ঠোঁট ও স্টবেরির মতো লাল তাই।
– কীইইইই।
– হুমমমমম স্টবেরি বেবি।
– আবার,, আচ্ছা আমি এখন যাই কেমন।
– ঐ কই যাবি হুম, এখন আমার সাথে ঘুরবি তুই।
– আরে না না তোমার বাবা তোমার সাথে আমাকে দেখলে একদম মেরে ফেলবে।
– চুপ বেয়াদব আমি আছি না।
– না না আমি যাব না।
– ঐ না গেলে তোরে আমিই মেরে ফেলমু।
– না না যাব তো আমি হি হি।
– আচ্ছা আমরা কই যাব এখন।
– কোথাও না।
– কীইইইই তাহলে আমি গেলাম।
– আর একবার যাওয়ার কথা বললে তোরে গাড়ি চাপা দিয়ে মারমু।
– না না থাক আমি আছি তো।
– ঐ সাহরিয়া শোন তুই কোন মেয়ের দিকে তাঁকাবি না।
– কেন।
– তাঁকাইতে না বলছি তাই তাঁকাবি না।
– যদি তাঁকাই তাহলে।
– তাহলে তোর চোখ তুলে ফেলব কুত্তা।
– না না তাঁকাব না।
– চল খেয়ে আসি।
– ওকে বিল কিন্তুু তুমি দিবা, এবার আর মারতে চেও না প্লিজ, আমার পকেট একদম ফাঁকা।
– হুমমমমম চল আমিই টাকা দিব।
– আচ্ছা চলো তাহলে।
– রোদেলা আপু খাওয়া তো শেষ এখন কী করব।
– কী আর করবি গিয়ে প্যান্ট খুলে হিসু দিয়ে আয় যা।
– হি হি আপু তুমি না হেব্বি ফাজিল।
– চুপ চল এবার আমাকে রিক্স করে নিয়ে বেড়াবি।
– ওকে চলো।
– নে এবার রিক্স চালা।
– কীইইইই আমি।
– হুমমমমম তুই।
– না আমি পারব না।
– ওকে কালকে থেকে আর তো হাঁটতে হবে না।
– কেন।
– কারণ তোর দুই ঠ্যাং আমি ভেঁঙ্গে দিব।
– না না থাক, এই তো চাঁলাইতেছি।
[ কী মেয়েরে ভাই কিছু হলেই হাত পা ভেঁঙ্গে দিতে চায় ] আর যাই হোক দেখতে কিন্তুু হেব্বি, পুরাই হিরোইন। এর পর সন্ধাই বাসাই আসলাস, শুয়ে শুয়ে রোদেলা আপুর কথা ভাবতেছি। না এই মেয়েকেই আমার দরকার, আর মেয়ের সাথে টাকা ও ফ্রি কোন চাকরি করার দরকার নাই হি হি। হাঠাৎ রোদেলা আপুর ফোন।
– কীইইইই করছিস স্টবেরি সোনা।
– কিছু না তোমার কথাই ভাবছি।
– কীইইইই বললি।
– না না মানে খাচ্ছি।
– ওহ কী খাচ্ছিস।
– ঐ যা খাই সন্দেস।
– আমি ও খাব।
– আরে কেমনে খাবা এখন।
– ওকে কালকে নিয়ে আসবি।
– ওকে, আপু একটা কথা ছিল।
– হুমমমমম বল।
– না না কালকে বলব।
এই বলে ফোনটা রেখে দিলাম। সাহরিয়া তোকে পারতেই হবে রোদেলা আপুকে বলতেই হবে, তারপরে অনেক সাহস জোগার করে শুয়ে পড়লাম। সকাল সকাল কলেজে চলে গেলাম।
– আপু তোমার সন্দেস।
– হি হি গাধা একটা।
– কী কথা বলবি যেন বল।
– হুমমমমম বলছি, আপু আমি……..
হঠাৎ একটা ছেলে এসে আপুকে প্রপোজ করল। উমনি ঠাসসসসসসসস, আর কাকে যেন ফোন দিল ওমনি সাত আটটা ছেলে এসে তুলি নিয়ে গেল, মনে হয় ধোলাই করার জন্য। সাহরিয়া ভাই তুই বাঁচছিস, ঐ পোলাটা হঠাৎ না আসলে ওর জায়গায় আমি ও মা গো ভাবতে পারছিনা । এই মেয়েকে মাথা থেকে ডিলিট করতে হবে না হয়ে যে কোন টাইম এ মারা পড়মু।
– ঐ সাহরিয়া দাঁড়া কই যাস, কী বলবি বল।
– না মানে আপু বাঁকি সন্দেস আনছি তো যদি টাকাটা দিতে তাই আর কী। আরে ভাই সম্মান এর থেকে জীবনটা বড়।
– শয়তান পোলা, তোর চোখ মিথ্যা বলছে সত্যি সত্যি বল না হলে ওই পোলার মতো করমু কিন্তুু।
– দূর বললে ও মরব না বললে ও মরব।
– আচ্ছা বলার পরে যদি মারতে হয় একাই মাইর দিও কেমন। ওই পোলা গুলার হাতে তুলে দিও না, মানে কচি কচি হাড় তো হেব্বি মারবে।
– ঠিকআছে আগে বল।
– না মানে ইয়ে মানে ঐ যে মানে।
– ঐ মানে মানে না করে বলবি, না আবার ফোন করতে হবে।
– কী মেয়েরে ভাই বলছি।
না মানে রোদেলা আপু আমি তোমাকে মানে, এবার হাতটা শক্ত করে চেপে ধরছি আপু তোমাকে আমার ভাল লাগে আমি তোমার প্রেমে পড়ে গেছি, ভালবাসি তোমাকে। এখন মাইর দিলে দাও।
– শয়তান পোলা এই কথা বলতে এত্ত মানে মানে করা লাগে হুমমমমম।
– কীইইইই তার মানে তুমি রাজি।
– ঐ আমি একবার ও বলছি আমি রাজি, দাঁড়া ফোন করছি।
– না না তুমি বললে আমি ভুলে যাব সত্যি তবু ফোন করো না প্লিজ।
– হি হি পাগল একটা আমি ও অনেক ভালবাসি এই স্টবেরিটাকে।
– তাহলে জরাই ধরো।
– হুমমমমম এই ধরলাম।
– আহা কীইইইই শান্তি। আরে ভাই এবার একটু পড়াটা বাদ দেন, আরাম করে একটু জরাই mধরি।। হা হা হা।।