এক বছর বিয়ে করেছি।কিন্তু এখন বুঝতেছি বিয়ে না করেই ভাল ছিলাম।বিছানায় কোলবালিশ ছিল।কোন প্রতিবাদ করতো না।বেচারি নিরবে সহ্য করতো। কিন্তু কোলবালিশ এর বদলে বউ এনেই বিপদে পরেছি। সকাল বেলা ঘুমাচ্ছিলাম এমন সময় বউ এর ডাক।
-এই উঠ।
-এত সকালে ডাকছো কেন?
-আর কত ঘুমাবে?
-আরেকটু ঘুমাবো।
-উঠ নাহলে কিন্তু
-উঠবো না। যা পারো কর ।
-পানি ঢালবো গায়ে?
-ঢালো। একটু পরে এমনিতেই গোসল করে অফিসে যাবো। পানি ঢাললে সমস্যা নাই।
-আচ্ছা পানি ঢালছি না।অন্য ব্যাবস্থা করছি।
-যা পারো করো।
একটু পরেই বউ চলে গেল। আমি মনে মনে বলতেছি “যাক বাচা গেল। একটু শান্তিতে ঘুমাই।” এই বলে ঘুমাচ্ছিলাম। কিন্তু আরাম বেশি সময় কপালে সইলো না। একটু পরেই টের পেলাল কিছু একটা কানের মধ্যে সুরসুরি দিচ্ছে। আমি ভাবলাম মনে হয় মশা অথবা মাছি। তাড়িয়ে দিলাম।কিন্তু কিছুতেই সরছে না। আবার সুরসুরি দিচ্ছে। মেজাজ টাই খারাপ হয়ে গেল। ঘুম থেকে উঠে চোখ খুলে দেখি এটা মাছি না। পেত্নি।আমার বউ। বুঝলাম এতক্ষণ চুল দিয়ে কানে সুরসুরি দিচ্ছিল। আমি উঠেই বউকে বললাম
-কানে সুরসুরি দিলে কেন?
-তোমাকে ঘুম থেকে উঠানোরর জন্য।
-তাই বলে এইরকম করতে হবে? প্রতিদিন তো ঘুমাই। কিন্তু আজ এইরকম করলে কেন?
-তুমি ভুলে আজকে কয় তারিখ?
-তারিখ দিয়ে কি হবে?
-আজকে একটা বিশেষ দিন।
-কি বিশেষ দিন?
-বলবো না।
-আরে না বললে বুঝবো কিভাবে?
-আচ্ছা বলছি। আজকে আমাদের বিবাহ বার্ষিকি।
-ও।আমি তো ভুলেই গিয়েছিলাম।
-ভুলে তো যাবেই।কখন আবার আমাকেই ভুলে যাবে?
-তোমাকে ভুলবো কেন?তোমার মত পেত্নিকে কি ভুলি?
-কি আমি পেত্নি!!!
-না। পরি।বিবাহ বার্ষিকি তে এত সকালে উঠতে হবে কেন?
-কারন প্রথম আমাকে শুভেচ্ছা জানাবে তুমি।
-আচ্ছা শুভেচ্ছার সাথে একটা গিফট ও ফ্রি দিব।
-কি গিফট?
-দাড়াও দেখাচ্ছি।
এই বলে বউ কে জড়িয়ে ধরলাম। জড়িয়ে ধরে ঠোটে ঠোট লাগাতেই চিতকার মারলাম। কারন বউ আমার ঠোটে কামড় দিছে। কামড় দিয়েই দৌড়। একটু পরেই দেখলাম মায়ের কাছে গিয়েছে। এখন তো কিছু বলা যাবে না। মায়ের কাছে গিয়েই শুরু হল মায়ের কথা।
-এই রাব্বি। তুই বউ মার সাথে এমন করিস কেন?
-কি করি।
-তুই বউ মাকে নাকি পেত্নি বলেছিস?
-হ্যা। ও তো পেত্নি ই।
-পেত্নি না। এটা আমার লক্ষি বউ মা।যদি বউ মা কে আবার বকিস অথবা কিছু বলিস। তাহলে তোর খবর আছে।
-খবর কোরো। কিন্তু আমার কথা শোন।
-তোর কথা কি শুনবো?বউ মা আমাকে সব বলেছে।
বুঝলাম