মেয়েঃ আমি তোমাকে অসম্ভব মিস করেছি।
ছেলেঃ হ্যা, তো ?
মেয়েঃ সত্যি আমি তোমাকে অনেক কাছে পেতে চেয়েছি।
ছেলেঃ ঠিক আছে, বিশ্বাস করলাম।
মেয়েঃ আমাকে “ক্ষমা” করে দাও
ছেলেঃ কেনো ???
মেয়েঃ তুমি আমার সাথে যোগাযোগ এর জন্য যতচেষ্টা করেছো সব ইগনোর করার জন্য।
ছেলেঃ ওহ!! ব্যাপার না। প্রথম প্রথম খারাপ লাগতো , তার পর একসময় আমি ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম, তার পর আমি চেষ্টা ছেড়ে ভুলা শুরু করেছিলাম।
মেয়েঃ আমি ও তোমাকে ভুলতে চেয়েছি কিন্তু তোমার কথা শুধুই আমার মনে পরতো। আর…
ছেলেঃ ……
মেয়েঃ আমি ভেবেছিলাম হয়তো আমি তোমাকে আরপাবো না, কারন ছয় বছর পার হয়ে গিয়েছিলো।
ছেলেঃ ঠিক আছে।
মেয়েঃ কিভাবে ঠিক আছে ? আমি কিছুই ঠিক দেখতে পাচ্ছিনা।
ছেলেঃ আমি ভাবতাম তুমি ফিরে আসবে । কিন্তু তুমি ছয় বছরে ও আসোনি। তার পর প্রকৃতি আমাকে বাস্তবতা শিখিয়েছে। আর আমি ও আশা ছেড়ে এগিয়ে চলেছি।
মেয়েঃ মানে ? আমি কি খুব দেরি করেছি ??
ছেলেঃ কিসের জন্য দেরি করেছো ?
মেয়েঃ তোমার কাছে ফিরে আসার জন্য ??
ছেলেঃ 🙂 জানো এই কথাটা আরো ২ বছর আগেও আমি শুনতে চেয়েছিলাম তোমার কাছে। কিন্তু এটা শুধুই ইচ্ছা হিসেবে রয়েগিয়েছে। তার পর আমি অনুভব করেছি ইহা সম্ভব নয়। তার পর আমি আশা করা ছেড়ে দিয়েছি।
মেয়েঃ আমি আন্তরিক ভাবে দুঃখিত, এইবার আমি তোমার সব স্বপ্ন পূর্ন করবো।
ছেলেঃ এটা আর কখনোই সম্ভব নয়। আমার জীবনে কেউ একজন চলে এসেছে ২বছর আগে।
মেয়েঃ তোমার জন্য এটা ভালো হয়েছে, কে সে ? আমি কি তার সাথে দেখা করতে পারি ?
ছেলেঃ সে তোমার সাথে কখনোই দেখা করবে না।
মেয়েঃ কেনো ????
ছেলেঃ (ধীরে ধীরে বলছে) সে এমন কারো সাথে দেখা করতে চায় না যে আমাকে অনেক কষ্ট দিয়েছে। তোমার কাছে এইবার আমি “ক্ষমা” চাই । তুমি একবার আমার হৃদয় ভেঙ্গেছো। আমি আবার সেই ঝুকি নিতে পারবো না। যাই হোক ৬টি বছর নিরব থাকার পর আমারসাথে কথা বলতে আসার জন্য ধন্যবাদ তোমায়। মেয়েটি কাঁদতে কাঁদতে চলেগেলো (মেয়েটি চলে যাবার পর) ছেলেটি তার মানিব্যাগ বের করলো আর সেখান থেকে মেয়েটির ছবি বের করলো। কয়েকফোটা জল তার চোখ থেকে বেয়ে বুকের উপর পড়লো। আর সে বলল “সেই মেয়েটি আজো তুমি”