আজকে আমার বিয়ে ।বাবা মায়ের পছন্দ করা মেয়েকেই বিয়ে করছি । মেয়ের একটা ছবি দেখেছিলাম । কিন্তু আর কিছুই জানি না মেয়েটার সম্পর্কে। । যাক বিয়ে সম্পুর্ন হয়েছে। এখন বাসর ঘরে যাওয়ার পালা। কিন্তু কেনো জানি অনেক ভয় করছে। দরজার বাইরে দারিয়ে আছি। এমন সময় কিছু বন্ধু এসেই জিজ্ঞেস করলো কিরে ভিতরে যাস নাই এখনো!
আমিঃআমার অনেক ভয় করছে। প্রথম বিয়েতো তাই।
এইটা শুনেই বন্ধু গুলা আমার দিকে তাকিয়ে আছে অবাক চোখে। একটা ফেন্ড – তো কয়টা বিয়ে করতে চাছ যে প্রথম বিয়ে বলছিস। ( বলেই সব হেসে দিল) ।এবং আমাকে ধাক্কা দিয়ে রুমে ঢুকিয়ে দরজা লাগিয়ে দিল। আমি ভিতরে ডুকেই দেখি খাটের মাঝখানে একটা মেয়ে বড় একটা ঘুমটা দিয়ে বসে আছে। আমি আসতে আসতে পাসে গিয়ে বসলাম ।তারপর কিছুটা সাহস জুগিয়ে ঘুমটা উঠালাম ।। উঠিয়েই দেখি আমার বউ রাগি চোখে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আমার কেনো জানি অনেক ভায় করছে।
আমিঃআপনি আমার দিকে এভাবে তাকিয়ে আছেন কেনো? রিয়া(আমার বউয়ের নাম) ;আপনি এত দেরিতে আসলেন কেনো? কতক্ষন ধরে অপেক্ষা করছি। আমার পা বেথা হয়ে গেছে বসে থাকতে থাকতে ।
আমিঃএকটু বন্ধুদের সাথে কথা বলছিলাম ( আমিতো ভয়ে শেষ)
রিয়াঃআজকেও বন্ধু ? আজকেতো আমাদের প্রথম রাত। আজকে তারাতারি আসা যেতো না!!
আমিঃ sorry .
রিয়াঃনা কোনো ক্ষমা নেই। যান গিয়ে নিচে ঘুমিয়ে পরুন ।
আমিঃআমি নিচে ঘুমাতে পারি না। কখনো ঘুমাইনি।
রিয়াঃকখনো ঘুমাননি আজকে ঘুমাবেন ।
আমি ভয়ে শেষ ।কি মেয়ে আমার কপালে পরলোরে বাবা। পুরাই গুন্ডি। আমি তারপর ওয়াসরুমে চলে গেলাম আসুন ফ্রেস হতে হতে পরিচিত হয়ে নেই। আমার নাম অয়ন। অনেক শান্ত সভাবের। আর বাবাকে অনেক ভয় পাই।তার কথাতেইতো বিয়েটা করলাম ।আর আমার বউয়ের নামতো জানেনি -রিয়া । ফ্রেস হয়ে নিছে শুতে যাবো এমনসময়-
রিয়াঃএই নিছে শুতে হবে না উপরে আসুন । আমি ভাবছি যাক মেয়েটার মায়া মমোতা আছে। উপরে গিয়ে বসলাম।
রিয়াঃআপনার কোনো গফ ছিল?
আমিঃনা না আমার কখনো গফ ছিল না।
রিয়াঃগুড।আমারো ছিল না। আর এখন যদি কোনো মেয়ের দিকে তাকান তাহলে আপনার চোখ আমি তুলে নেবো।
আমিতো ভয়ে শেষ। কেমন মেয়ে -বাসর রাতে বরকে কেও এভাবে বলে । আমি বললাম আচ্ছা। এখন আমরা ঘুমিয়ে পরি আমার অনেক ঘুম পাচ্ছে। রিয়া বললো ঠিক আছে কিন্তু আপনার সাথে যেন আমার শরীর না লাগে বুঝছেন ?
আমিঃহুম।
তার পর শুয়ে আছি। আমার চোখে একটুও ঘুম নেই একটু পরে দেখলাম রিয়া আমার দিকে মুখ করেছে ঘুমের ঘরেই। বাহ মেয়েটাতো দেখতে ছবির থেকেও সুন্দর। এতক্ষন খেয়ালি করিনি। আর ঘুমের মাঝে অনেক কিউট লাগছে। তারপর নিজেকে বলছি -কিরে রাগি বউয়ের প্রেমে পরে গেলি নাকি। কিন্তু মেয়েটা একদম পরীদের মত। আমিতো চোখ ফেরাতেই পারছি না। কখনযে ঘুমিয়ে গেছি খেয়াল নেই। কিছুক্ষন পরে কারো স্পর্শ আমার দেহে অনুভব করলাম।দেখলাম রিয়া আমাকে জরিয়ে ধরে সুয়ে আছে। আমার অনেক লজ্জা লাগছিল। তাই সরিয়ে নিতে চাইছি। এমন সময়–
রিয়াঃএই কি করছো ।ধরে রেখেছি খারাপ লাগছে?
আমিঃআপনি ঘুমাননি?
রিয়াঃছিলাম কিন্তু আপনাকে জরিয়ে ধরবো তাই আবার ঘুম থেকে উঠেছি।
আমিঃআপনিনা বললেন যাতে টাচ না লাগে
রিয়াঃআমার মন পালটে গেছে। আর আমি আমার বরকে ধরেছি । আমার ইচ্ছা হলে ধরবো আমার ইচ্ছা হলে ছেরে দিব।
আমিঃআচ্ছা এখন ঘুমান । অনেক লেট হয়ে গেছে।
রিয়াঃএই কি আপনি আপনি করছো। তুমি করে বলো। আমি একটু ভয় পেয়ে আচ্ছা এখন ঘুমাও। তারপর খুব আদর করে আমাকে জরিয়ে ধরে ঘুমিয়ে পরলো। সকালে কে জানি ডাকছে। চোখ খুলে দেখি রিয়া। ভেজা চুলে মেয়েটাকে অপরুপ লাগছে। আমি মনে হয় আবার প্রেমে পতে গেলাম৷
রিয়াঃএই উঠ । আর কত ঘুমাবা। আম্মা ডাকছেন । তারপর ওয়াসরুম থেকে বের হয়ে খাবার জন্য বায়রে গেলাম । গিয়ে দেখি আমার আম্মু এবং রিয়া কত সুন্দর বান্ধবিদের মত কথা বলছে । খাবার তৈরি করছে। তার পর খাবার খেয়ে । সবার সাথে আড্ডা দিলাম । আবার রাতে যে যার ঘরে।আমি ঘরে যেতেই –
রিয়াঃএই তুমি সারাদিন আমার সাথে কথা বলনি কেনো?
আমিঃএমনি।(আসিলে ভয়ে বলিনি। যদি সবার সামনে ধমক দেয়)
রিয়াঃঠিকি আছে । কথা বলবা কেনো ।আমাকেতো আর আপন ভাবো না। (রাগ করে)
আমিঃনা তেমন কিছু না ।আসলে তোমার সাথে আসতে আসতে মিসে যাবো । আচ্ছা এইবাদ ঘুমিয়ে পর। (রাতে রিয়া আবার আমাকে জরিয়ে ধরে ঘুমিয়েছে) পরেরদিন আম্মু বললো রিয়াকে নিয়ে একটু ঘুরে আসতাম । তাই গেলাম সারাদিন ঘুরলাম । রিয়া সারাক্ষন আমার হাত ধরে রেখেছে। আর কোন মেয়ের দিকে তাকালেই সেকি বকা। কিন্তু আমার অনেক খেয়াল রাখে। আমিতো আগেই প্রেমে পরে গেছি। এখন মনে হয় আর কিছু হয়ে যাবো।
তার পর বাসায় আসি। আম্মুর সাথে কথা বলার সময় । কথায় কথায় আম্মু বলে ফেলে রিয়াকে যে সে যেন তারাতারি মা হয়। এতে তারা খেলার একটা সাথি পেয়ে যাবে। রিয়ে শুনেই লজ্ঞায় শেষ। চেহারা লাল হয়ে গিয়েছিল।
তার পর এভাবেই কয়েকটাদিন চলে যায়। আজকে আমার ইচ্ছা আমি আমার বউ মানে রিয়ার সাথে কিছু একটা করবো। মানে একটা কিস ।তাই ভাবছি কি করবো । অনেক ভেবে একটা ring কিনে নিয়ে যাই। তারপর ওকে বলি —
আমিঃতোমার জন্য একটা গিফট এনেছি?
রিয়াঃকি গিফট?(একটা হাসি দিয়ে)
আমিঃএইটা।
রিয়াঃওয়াও অনেক সুন্দর ।তুমি পরিয়ে দাও।
তার পর রিয়ার আংগুলে পরিয়ে দিয়ে হাতেই একটা আলতো কিস করলাম ।রিয়া একটু কেপে উঠলো। আমি তারপর রিয়াকে কলে করে নিয়ে বিছানায় রাখলাম ।তার পর উর একটু কাছে চলে গেলাম । রিয়া চোখ বন্ধ করে রেখেছে। আমি রিয়ার কানে আলতো করে বললাম আম্মুর কথাটাকি রাখার কাজ আজকেই করবে?
রিয়া লজ্জায় আমার বুকে ওর মুখ লুকিয়ে নিলো । তারপর—
(সমাপ্ত)