ডিসেম্বরের শেষের দিকে সময়গুলো অনেকটা ডিপ্রেশন ছাড়াই কাটানো যায়।তখন বাড়তি প্রেসার একদমি থাকেনা।টিউশানি অফ থাকে।ক্লাসেও যেতে হয় না।ফুরফুরে মেজাজ নিয়ে এদিক-সেদিক ঘুরে বেড়ানো যায়।খোলা অাকাশের নিচে হাড়কাঁপা শীতে ব্যাডমিন্টনে রাত নামে, কেরামে অাসর জমে।সবকটা দিন যেন ঈদের মতই মনে হয়।তার উপর বাড়িতে অারশির উপস্হিতি অানন্দ হাজারগুন বাড়িয়েছে।অারশি নামটা শুনলেই বুকের বাঁ পাশটা কেমন জানি করে উঠে।সাদা চামড়ার, মোটা ফ্রেমের চশমা পড়া মেয়েটাকে অামার প্রচন্ড পরিমানে ভালো লাগে।হয়ত ভালোও বেসে ফেলেছি।কিন্তু নানা কারনে বলা হয়ে উঠে না অার।
অারশি হল অামার মামাতো বোন ঐশীর কাকাতো বোন।দুইজনই প্রায় সমবয়সী একসাথে পড়ালেখা করে।সারাক্ষণ একসাথে লেগে থাকে ওরা।যতবার ঐশি অামাদের বাড়িতে বেড়াতে এসেছে ঠিক ততবার অারশিও তার সাথে এসেছে।এমনকি শুধু অামাদের এখানে না ওরা যেখানেই যাক না কেন দুজনেই যাই।অার না গেলে সেখানে একজনও যাই না।ওরা শহরে থাকে।কালেভদ্রে অামাদের বাড়িতে অাসে।যখন মা বলল বাড়িতে ঐশি অাসতেছে তখন অামার খুশি অার কে দেখে।জানতাম ঐশির সাথে সাথে অারশিও অাসবে।তারপর সোজা বাজারে চলে গেলাম।অারশি চিংড়ি বেশি পছন্দ করে। তার জন্য চিংড়ি নিলাম অল্প। বাইরে থেকে ঘরে ঢুকতেই চোখ পড়ল ঐশির দিকে।বললাম-
– কিরে ঐশি কেমন অাছিস?
– ভালো অাছি দাদা।তুমি কেমন অাছ?
– ভালো।তুই একাই এসেছিস নাকি সাথে কেউ এসেছে?
– না ও একা অাসেনি।সাথে অামিও এসেছি।(অারশি)
অারশি অামার ঠিক পিছন দিক থেকেই কথাটা বলল।অামি ওর কন্ঠ শুনে তৎক্ষনাৎ পিছনে ফিরে তাকায়।দেখি ও নিজের একটা হাত তার কোমরে রেখে বাকি হাত দরজার উপরে রেখে দাঁড়িয়ে অাছে।এ অবস্হায় কেমন সুন্দর লাগছিল তাকে।অামি কেবল তাকিয়েই ছিলাম।অারশি অাবার বলল-
– অাপনার বোন এতদূরের পথ একা অাসবে বলে অাপনার মনে হল কি করে?
– সেইজন্যই তো জিজ্ঞাস করলাম সাথে কে অাসছে।
– তা কেমন অাছেন?
– ভালো।তুমি?
– দাদা এখানে অাসো।বসে গল্প করি অামরা।(ঐশি) এরপর অামি অার অারশি খাটের উপর গিয়ে বসলাম।তারপর বললাম-
– তোমাদের পড়ালেখা কেমন চলতেছে?
– দাদা এটা বাদ দিয়ে অন্যকিছু বল।কি বলিস অারশি ভালো হবে না বল?(ঐশি)
– হ্যাঁ হ্যাঁ শিক্ষাসম্পর্কীয় কোন কথাবার্তা এখানে চলবেনা।( অারশি)
যেহেতু দুইজনের কাছেই টপিকটা পছন্দের ছিলনা তাই অামি অন্য টপিকে চলে গেলাম।সেদিন অনেক অনেক কথা হল অামাদের। ঐশি অামার থেকে বয়সে বছর তিনেক ছোট হবে।এবার ইন্টার ১ম বর্ষে পড়ছে।ঐশি অামাকে তুমি তুমি করেই বলে।অার অামি বড় হিসেবে তুই করে বলি ওকে।অন্যদিকে অারশি অামাকে অাপনি অাপনি করেই বলে।অামি ওকে তুমি করেই বলি।অামি সবকিছু অারশির জন্যই করি কিন্তু নামটা রেখে যায় ঐশির।যাতে সন্দেহ না করে কেউ।যেমন- ঐশিও চিংড়ি কমবেশি খায় তবে অারশির মত অতটা পছন্দের না।কিন্তু অামি ঐশির নাম দিয়ে চিংড়ি টাই এনেছি।দুইজন হওয়ায় অামার কাজটা অনেকটা এগিয়ে যায়।তবে একটা বড় অসুবিধা হল অামি বুঝাতে পারিনা কোনটা ভাই-বোনের ভালোবাসা অার কোনটা অন্যরকম ভালোবাসা।
ঘুম থেকে চোখ মেলে প্রথমে দেখি অারশিকে।ও একটা চেয়ারে সামনের দিকে বসে অাছে।তারপর চোখের রেটিনা অারেকটু ঘুরিয়ে দেখি ঐশিকে।সে বসেছে অামার পাশে খাটের উপর।চোখ ঢলতে ঢলতে বললাম-
” এত সকাল সকাল তোমরা এখানে?
– সকাল! ওই অারশি এখন নাকি সকাল??(ঐশি)
– হাহাহাহাহা। মনে হচ্ছে ঘুমে ঘুমে ওনার মাথাটাই গেছে।
– একদম ঠিক বলেছিস রে.. ( ঐশি)
অামি কেবল হাবার মত ওদের দেখি তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছিলাম।বাস্তব জগতে এখনো ফিরতে পারিনি।অারশি অাবার বলল-
– অাপনি তখন দুপুরে খেয়ে শুয়েছিলেন। এখন সন্ধ্যা হয়েছে।সকাল না।
– অহ!
– অাচ্ছা তোমরা এখানে বস।অামি মুখে পানি ছিটিয়ে অাসছি।( অামি)
– হ্যাঁ তাড়াতাড়ি অাসবে।অাবার হারিয়ে যেওনা।(ঐশি)
অারশি কিলকিল করে হেসে উঠল।সাথে ঐশিও। এরপর অামি ফ্রেশ হয়ে অাবার সেখানে অাসি।রুমে ঢুকতে ঢুকতেই অারশি ফিসফিস করে বলল- না হারিয়ে যাইনি দেখছি। অামি ঐশির পাশে গিয়ে বসলাম।অারশি এখনো চেয়ারেই অাছে।বললাম-
– এবার বল কি বলতে চাও তোমরা..
– রাতে অামরা ব্যাডমিন্টন খেলব।এখানে ব্যাডমিন্টনের কোট কোথায়?(ঐশি)
– বাড়ির পিছনে মাঠ অাছে।
– সবকিছু অাছে তো? (অারশি)
– সব অাছে।শুধু বাল্বের লাইনটা দিতে হবে।(অামি)
– চলেন এখন দিয়ে দিই।(অারশি)
– এখন?? ( অামি)
– হ্যাঁ এখন নয়ত কখন…। (অারশি)
– অামি বলছিলাম কি অামরা অাগে চা-নাস্তা খেয়ে নিই।তারপর কাজ ধরব।কতক্ষণ লাগবে অার…
– ঠিক অাছে।তাই কর।অামার এমনিতেই খুদা লাগছে।(ঐশি)
– কি! তোর ক্ষুদা লাগছে অাগে বলবিনা।(অামি)
মাকে ডাক দিয়ে বললাম অামাদেরকে তাড়াতাড়ি নাস্তা দিয়ে যেতে।বলতে না বলতেই মা নাস্তা নিয়ে হাজির।অামরা খেলাম।ঘরে বিশ গজের মত তার পড়ে ছিল।বাল্বও ছিল।অামি তারটা ছেড়া অাছে কিনা দেখছিলাম এমন সময় ঐশি বলল-
– দাদা, লাইন তুমি দিবা?
– হ্যাঁ দিব।
– অাপনি পারবেন??(অারশি)
– দেখিনা চেষ্টা করে।(অামি)
অারশি ব্যাডমিন্টন তেমন পারেনা।তবে মানতে হয় ঐশির চাইতে একটু বেশি পারে।ঐশিকে অনায়াসে হারানো যায়।ওই বেচারি শরীরের ভারে তেমন দৌড়াতে পারেনা।অপরদিকে অারশি হ্যাংলা পাতলা মেয়ে হওয়ায় খুব তাড়াতাড়ি নিজের অবস্হান বদলাতে পারে।দৌড়ে খেলতে পারে ও।তবুও অামার সাথে পারবেনা।প্রথম দুইবারই বিরাট ব্যবধানে হারিয়েছি তাকে।এরপর অামি নিজেই হেরেছি অনেকটা ইচ্ছে করেই।কারন এতে অারশি বেশি খুশি হত।অামি ওকে হারিয়ে যতটা খুশি ছিলাম, তার চেয়ে দ্বিগুন খুশি ছিল ও অামাকে হারাতে পেরে।তাছাড়া ভালোবাসার মানুষকে নিয়ে প্রতিযোগিতায় নামা ঠিক না।এদেরকে প্রতিযোগিতার উর্ধ্বে রাখা উচিৎ।
রাতে ডিনার সেরে অামার রুমে একটু শুয়ে পড়েছিলাম।দেখলাম দুজনেই হেসে হেসে অামার রুমে ঢুকছে।ওরা এখানে অাসলে অনেক বেশি মজা করতে পারে।সবসময় হাসি-খুশিতে মেতে থাকে।ছোট বাচ্চা মেয়েদের মত করে।শহরে তারা এমনটা করতে পারেনা।কারণ শহর মানেই বন্দি জীবন।সারাক্ষণ বই নিয়ে বসে থাকা ছাড়া আর তেমন কিছু একটা করা যায় না।অামি মোবাইল টিপতে টিপতে বিছানার উপর উঠে বসলাম।তারপর বললাম-
– বস। ঐশি অামার পাশে লেগে বসল।কিন্তু অারশি বসল ওই প্লাস্টিকের চেয়ারটাতে।
– কিরে তুই এত দূরে দূরে থাকিস কেন।এখানে বস।(ঐশি)
অারশি অামাকে একটু দূরের ভাবে।নাহয় অন্য কোন সমস্যা।তাই সবসময় অামার থেকে দূরত্ব রেখে চলে।দূরত্ব রেখে কথা বলে।তবুও ঐশির কথায় খানিকটা লজ্জার সহিত সে উঠে এল।অামাদের পাশে এসে বসল।ওর হাঁটু অামার হাঁটুর সাথে লাগতেই অামার দিকে মুখ তুলে তাকাল।ওর লজ্জাতুর চোখ দেখে অামার বুকের বাঁ পাশে কেমন জানি করে উঠল।একটু পিছু সরে বসলাম।
– দাদা তুমি প্রেম কর?? ঐশি এমন হুট করে প্রশ্নটা করে বসবে অামি ভাবিনি।তবুও কথা কাটিয়ে বললাম-
– প্রেম! সেটা অাবার জিনিস।অামি ওসব প্রেম টেম করিনা।
– কাউকে মনে মনে পছন্দ নিশ্চয় করেন।(অারশি)
– হ্যাঁ। সেটা করি।
– সে কে দাদা? তার নামটা বল।(ঐশি)
অামি বলতে চাইনি কথাটা।কথার ভুলে বলে ফেলেছি।চোখ তুলে দেখলাম দুজনেই তাকিয়ে অাছে অামার দিকে।তবে অারশির চেহারায় অামি ভিন্ন কিছু দেখছিলাম।ওর দৃষ্টিটা উৎসুক দৃষ্টি নয়।ভিতর থেকে অনেকটা মনমরা দৃষ্টি।বললাম-
– অাজ না।অন্যকোন একদিন।
– অাজ কেন না।(ঐশি)
– বাদ দে না।ওনি যখন বলতে চাইছেনা কি দরকার জোর করে বলানোর।(অারশি)
অারশির কথাটায় অামার কেমন জানি মনে হল যে কষ্টমাখা ছিল।তবুও বিষয়টা ঠিক স্পষ্ট হল না।এরপর “গুড নাইট” বলে দুইজনেই চলে গেল।ক্লান্ত লাগছে একটু।চোখ জুড়ে ঘুম অাসছিল।তবুও সে রাতে অাশানরুপ ঘুম হয়নি অামার।
পরদিন সকাল সকাল ঘুমটা ভেঙ্গে গেল।রান্নাঘরে প্রচুর শব্দ হচ্ছে।থেমে থেমে খিলখিল হাসির শব্দ ভেসে অাসছে।অামি কম্বলটা এক ছোঁটে গা থেকে সরিয়ে নিলাম।তারপর একপা দুইপা করে রান্নাঘরে উঁকি মারলাম।দেখলাম মাকে সাহায্য করছে দুটো নতুন মুখ।একজন ঐশি অন্যজন অারশি।অারশি বসেছে চুলার সামনে।অার তার পাশে ঐশি পেঁয়াজ কাটছে।মা কতক্ষন পর পর দুজনকেই দেখিয়ে দিচ্ছে।দুইজনই কাঁচা রাঁধুনি।কতক্ষনের জন্য ভেবে নিলাম অারশি অামার বৌ।ঐশি তার ননদ।অার মা তার শাশুড়ি। শাশুড়ি মাকে সাহায্য করছে তার ছেলের বৌ।ভাবনায় ছেদ পড়ল ঐশির ডাকে।
– দাদা, ব্রাশ করেছ?
– না।করব একটু পর।
– এখন যাও।অামাদের নাস্তা বানানো প্রায় শেষের দিকে। এরপর অামি চলে অাসি সেখান থেকে।
বিকালে ওদের দুজনকে নিয়ে খালে ঘুরতে যাওয়ার কথা।কিন্তু ঘুমের মধ্যে থাকায় অামার মনে ছিলনা।সেকথা ওদের ঠিকই মনে ছিল।অামাকে ঘুম থেকে ডেকে তুলল ওরা।অামাদের গ্রামে ওই একটাই খাল অাছে শ্রীমতী খাল।অামাদের ঘর থেকে খালের দূরত্ব খুব বেশি নয়, অাধ কি.মি মত হবে।খালটির একপাশে বাহারি রঙের ফুলের চাষ।অন্যপাশে রয়েছে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক।সত্যি দেখার মত একটা দৃশ্য।এর অাগেও যতবার ওরা এখানে এসেছিল অামি তাদের খালে নিয়ে গিয়েছি।হাঁটতে হাঁটতে অামরা যখন ঝাড়পুকুরের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম ঠিক তখনি একটা মজার ঘটনা ঘটে।অামি অার ঐশি কথা বলতে বলতে পাশাপাশি হাঁটছি।অার অারশি অামাদের সামনে সামনে হাঁটছে। হঠাৎই প্রচন্ড ভয় পেয়ে অারশি অামার বুকে এসে পড়ল।অামি তখন পুরোপুরি অপ্রস্তুত হয়ে বললাম-
– কি হয়েছে?? অারশি মুখ না তুলেই পিছন দিকে অাঙ্গুল দেখিয়ে বলল-
– কুমির! কত্ত বিরাট কুমির।
অামি সামনে তাকিয়ে একটুর জন্য দেখলাম একটা গুইসাপ পানিতে ধপাস করে পড়ল।এটা অনেক পুরোনো গুইসাপ। ঝাড়পুকুরেই তার বাস।লম্বায় ৪ ফুটের মত।বয়সের ভারে লেজের দিকটা অনেকাংশে ঝরে গিয়েছে।বললাম-
– ওটা কুমির না।গুইসাপ। অারশি অাগের মতই অাছে।মুখ তুলেনি।অাবার বললাম-
– ওটা চলে গেছে। এবার মুখ তুল। অারশি মুখ তুলল এবার।খানিক্ষন পর পাশ থেকে ঐশি বলে উঠল-
– অামি তো কুমির গুইসাপ কিছুই দেখলামনা।তবে একটা রোমান্টিক সীন দেখেছি।
অারশি সম্ভবত লজ্জাই পেল। বাকি শুধু একটা রাত।কাল সকালেই চলে যাবে ঐশিরা।মনটা কেমন ছটপট করছে।রাতে সুযোগ বুঝে ঐশির কাছে গেলাম।তার পাশে বসে তারপর বললাম-
– একটা কথা বলি তোকে।খারাপ ভাবিসনা কেমন।
– বল
– অারশির বয়ফ্রেন্ড অাছে??
– কেন! প্রেম করতে চাইছ নাকি?
– অারে দূররর…।এমনি বললাম।
– এমনি না।তুমি কেন বলেছ অামি জানি।তুমি অারশিকে ভালোবাস।
– কিসব ভুলবাল বলতেছস তুই।
– অামি কিচ্ছু ভুল বলছিনা।কি ভেবেছ অামি কিছু জানতে পারবনা।এখন যদি তোমার ফোন গ্যালারি চেক করিনা কম করে হলেও ২০টা ছবি পাব ওর।
অামার মুখ দিয়ে অার কিছু বের হচ্ছেনা।ঠিকই তো বলছে ও।অামার মোবাইলে অারশির ছবি অাছে।এ কয়দিনে চুরি করে অনেকগুলা ছবি তুলে নিয়েছি অারশির।একা থাকলে ওই ছবিগুলাই দেখি।কিন্তু ঐশি কিভাবে জেনে গেল সেটাই তো বুঝতেছিনা।বললাম-
– এ ব্যাপারে অারশিকে কিছু বলিস না কেমন??
– কেন? বললে কি হচ্ছে।
– কি হবে জানিনা।তবুও বলিসনা রে….!
– অাচ্ছা দেখি।(ঐশি)
এরপর অামি ঐশির কাছ থেকে চলে অাসি।অামার কেমন জানি ভয় হচ্ছে যদি কখনও অারশি এটা জানতে পারে তাহলে হয়ত অামাদের বাড়িতে অার কখনই অাসবেনা।অামার সাথে কথায় বলতে চাইবেনা।তাই ভাবলাম থাকনা কি দরকার।
পরদিন সকালটা খুব তাড়াতাড়ি চলে এল।মা বলল- ওদেরকে বাসে তুলে দিয়ে তারপর অাসতে।তাই ওদের সাথে অামিও বাসস্টপ অাসলাম।কেমন জানি মনটা ভারাক্রান্ত লাগছে।খুব খালি খালি লাগবে অাজ ঘরটা।ঐশি অাগেই বাসে উঠে বসল।অারশি অামার সাথেই অাছে।অামি যখনি চলে অাসতে যাব ঠিক তখন অারশি বলল-
– সাবধানে বাড়ি ফিরবেন। অামি মুখে কিছু না বলে শুধু মাথা ঝাকালাম।
– শুধু মাথা ঝাকালে হবেনা।অাপনার কিছু হলে অারো একজন কিন্তু কষ্ট পায়।কথাটা মাথায় রাখবেন।(অারশি)
এটুকু বলেই অারশি বাসে উঠে বসল।অামি যা বুঝার বুঝে নিয়েছি।ঐশির দিকে তাকিয়ে দেখলাম ও প্রথমে চোখ টিপ দিয়ে তারপর মুচকি হাসল।অামিও একটু হাসলাম।তৃপ্তির হাসি।