আমাকে ভালবাসবা

আমাকে ভালবাসবা

বড় খালার বাসায় দুপুরে সপরিবারে যেতে বলেছে, কি নাকি গুরুত্বপূর্ণ কাজ আছে। আমাদের বাসা থেকে বেশি দূর না। রিকশায় পনের মিনিট লাগে। আব্বু-আম্মু আর রিয়াদ (ছোট ভাই) আরো আগেই গেছে। আমি বলেছি একটু পরে যাব। রিকশার অপেক্ষাতেই আছি। এমন সময়ই একটা রিকশা গা ঘেসে দাঁড়াল। রিকশার ভিতর থেকে একটা মেয়েলি কণ্ঠ বলল,

– আরে অপু ভাইয়া না?
– জ্বী
– কোথায় যাচ্ছেন?
– এইতো খালার বাসায়
– জামিলা খালার বাসায়?
– হ্যা
– উঠে আসুন। আমি সেদিক দিয়েই যাব
– না, থাক। আপনি যান।
– আরে আসুনতো। লজ্জা পাচ্ছেন কেন? একধরণের অনিচ্ছা সত্ত্বেই উঠলাম। কিন্তু চিন্তার ব্যাপার হচ্ছে মেয়েটাকে চিনা চিনা লাগলেও পুরোপুরো চিনতে পারি নি।

– তো বলুন, কেমন আছেন? (মেয়ে)
– এইতো ভালই, আপনি?
– ভাল কিন্তু আপনি বোধ হয় আমাকে ঠিক চিনতে পারেন নি?
– সত্যি বলব?
– অবশ্যই
– আপনি ঠিক ধরেছেন। আমি চিনতে পারিনি।
– সেকি? না চিনে একটা মেয়ের সাথে উঠে পড়লেন রিকশায়? এখন যদি আপনাকে নিয়ে ভেগে যাই? {মুচকি হেসে- (মেয়েটি)}

– তাহলে লাফ দিবো
– থাক দিতে হবে না। আচ্ছা মনে করার চেষ্টা করুন।
– মনে পড়ছেনা
– হিন্টস্ দিচ্ছি, একটা ফুলের নাম
– আমার ফুল সম্পর্কে ধারণা নাই। আলু সম্পর্কে কিছুটা আছে, গোলা আলু আর মিষ্টি আলু।
– বোকার মতো কথা বলবেন না তো, ভাবুন
– পেঁপে?
– পেঁপে ফুল? ওটা তো সবজি (একটু রেগে)
– পেঁপে গাছেও তো ফুল হয়। সেগুলোর নাম নিশ্চই পেঁপে ফুল?
– আপনার মাথা। আমার নাম জুঁই।
– তাহলে পুরো নাম ” আপনার মাথা ইসলাম জুঁই”?
– আপনি কি রসিকতা করছেন?
– হুঁ!
– এরকম ধরণের রসিকতা করবেন না।
– আপনার মা কেমন আছে?
– ভালই, কাল বোধ হয় আপনাদের বাসায় যাবে
– ও আচ্ছা। রিক্সাওয়ালা মামা, সামনে থামান!
– কি হলো রাগ করলেন?
– না, এসে পড়েছি
– ও আচ্ছা ভাল থাকবেন। বাই
– বাই দুই… বাসার ভিতরে গেলাম,
– কিরে বাবা? কেমন আছস্? এমন শুকনো লাগছে কেন? খাওয়া দাওয়া নিশ্চই ঠিকমতো করিস্ না? দেরি করলি কেন এতো? কোনো সমস্যা হয়নি তো?

– আরে না খালা, তেমন কিছুই না। তোমরা কেমন আছ বলো?
– আছি তো ভালই। তোর সাথে অনেক কথা আছে। সন্ধ্যায় বলবো। এখন ফ্রেশ হয়ে খেতে আয়। সবাই অপেক্ষা করছে
– ব্যাপার কি? এত আনন্দিত দেখাচ্ছে কেন তোমাকে? স্পেশাল কিছু?
– আরে বললাম তো পরে বলবো, তাড়াতাড়ি খেতে আয়।
-আরে ইয়াং ম্যান, কি খবর? (খালু)
– ভাল খালু, আপনার শরীর কেমন আছে?
– হাহা বুড়ো বয়সে আর শরীর! তুমি দাঁড়িয়ে কেন? খেতে বোস।
– জ্বী

সবাই খেয়ে উঠলাম। খালু আর বাবা গল্প করছে বসার ঘরে আমিওসেখানে। আম্মু, খালা আর রিমিঅন্য রুমে। রিমি হচ্ছে খালার বড় মেয়ে। অনার্স কম্পিট করেছে। তাদের ছোট ছেলে আমার ভাইর বয়সী রাহাত। ওরা দু’জন একটা রুমে খেলছে। রিমি কেমন যেন গোমরামুখো হয়ে আছে। এসেছি পর্যন্ত কথাও বলে নি। যাক বাবা, মেয়েদের মন বুঝা যায় না। আমি আপাতত বুঝার প্রয়োজনও বোধ করছি না। আমি সেখান থেকে উঠে ছাদে চলে গেলাম। বেশ খোলামেলা। পিছনে কেউ আসছে বলে মনে হচ্ছে। হ্যা, তাকিয়ে দেখি রিমি।

– কিরে? হুতুম পেঁচার বেশ ধরলি কেন?(আমি)
– তুই একদম কথা বলবি না আমার সাথে (রিমি)
– সে না হয় নাই বললাম
– সত্যিই বলবিনা নাকি?
– তুই ই তো বলতে নিষেধ করলি
– তুই এই রকম গাধা কেন? আমি তোর ছোট না? আর একজনে বললেই শুনতে হবে?
– আরে কোথায় একজন আর কোথায় তুই! এত মিষ্টি একটা বোন আমার।
– হইছে! এতোদিনে তো ফোন করে খোঁজও নিস্ নি
– আরে ধুর! ফোন টোন ভাল লাগে না। এখন দেখা হইছে মন খুল কথা বল।আচ্ছা? আমাদের হঠাৎ ডেকে পাঠালো কেন? বলতো

– আমি বলতে পারব না, মা-কে জিজ্ঞেস কর।
– করেছি তো, সন্ধ্যার পর নাকি বলবে।
– তাহলে তখনই শুনিস্
– আচ্ছা, যা তোকে ডাকছে আরো কিছুক্ষণ থেকে নেমে এলাম ছাদ থেকে। সন্ধ্যার পর সবাই একসাথে বসেছে। আরো কিছু আত্মীয়-স্বজন এসেছে।
– ইয়াং ম্যান, তোমাকে তো কিছুই বলা হয়নি। রিমির বিয়ে ঠিক করেফেলেছি। ছেলে বেশ উঁচু বংশেরভদ্র-নম্র। বাবার বিশাল ব্যবসা সামলায়। (ফুফা)

– বেশ তো, ভালই হলো। দিন-তারিখ ঠিক হয়েছে? (আমি)
– না তবে হয়ে যাবে
– করে ফেলুন, শুভ কাজে দেরী করে লাভ কি?
– হ্যা, সেটাই করে ফেলি। কি বলো? (আমার বাবকে উদ্দেশ্য করে) আব্বু হ্যা সূচক মাথা নাড়ল। আমি একটু আসছি আঙ্কেল, আপনারা কথা বলুন, গেলাম রিমির কাছে,

– কিরে! আমাকে বললে কি হতো?
– এমন ভাবে বলছিস্ যেন প্রেম করে বিয়ে করছি?
– তা ঠিক না। ছেলেকে দেখেছিস্?
– হু
– কেমন?
– বেশি ভাল না, ছেলে শ্যামলা।

আর সারাদিন শুধু ফোন করে জ্বালায়। (অভিমানের স্বরে) কিন্তু চোখে তার আনন্দ ঝড়ছে সেটা আমি ঠিকই লক্ষ করছি তিন বিয়ে বেশ ধুমধাম করেই হচ্ছে। কোনোদিকে কমতি নেই। খালু যদিও বলে দিয়েছে, ইয়াং ম্যান, সব দায়িত্ব কিন্তু তোমার। সবদিকে খেয়াল দিতে হবে। তবুও আমার কোনো কাজ নেই। তবুও একটা দায়িত্বতো আছেই। গেস্টদের রিসিভ্ করছি, এটা ওটা এমন সময়ই পেছন থেকে একটা পরিচিত মেয়েলি কণ্ঠ,

– আরে অপু ভাইয়া! কেমন আছেন?
– ভাল, আপনি?
– ভাল। চিনতে নিশ্চই পেরেছেন?
– হু
– বলেন তো আমার নাম কি?
– পেঁপে?
– মজা করছেন?
– না, ভুলে গেছি
– জুঁই
– হু
– কি হু?
– মনে পড়ছে।
– একা একা ভাল লাগছে না, চলেন গল্প করি এক জায়গায় বসে।
– একা কেন? আপনার বাবা-মা আসেন নি?
– হ্যা, এখন কি আমি তাদের সাথে গল্প করবো?
– করেন, ক্ষতি কি?
– না, ক্ষতি নেই। আচ্ছা থাকেন। গেলাম (রাগী মুডে)
– আরে রাগ করলেন?
– না, করিনি
– চলেন গল্প করি
– না, পরে একসময়
– আরে না এখুনি আসুন। পরে যদি দেখা না হয়!
– এখন এতো উদ্বিগ্ন হয়ে উঠছেন কেন? তখন আমি বললাম ভাল লাগেনি?
– সরি, এবার তো চলুন
– হুম, চলেন ওইখানটায় বসি।

কিছু টুকটাক কথা-বার্তা হয়েছে ওইদিন। নাম্বার আদান প্রদানও হয়েছে। ওর পরিচয় তো এখনো দিলাম না, অনেকে হয়তো আন্দাজ করে নিছেন; অনেকে আবার গালাগালি শুরু করছেন। ও আমার আম্মুর এক ঘনিষ্ঠ বান্ধবীর মেয়ে। ওই আন্টি প্রায়ই আমাদের বাসায় আসে, মাঝে মাঝে এই পেঁপে, সরি জুঁই ও আসে। আম্মু-আব্বুরও যাওয়া আসা আছে কিন্তু আমি যাইনি কখনো তবে বাসাটা চিনি। অবশেষে, অনুষ্ঠান বেশ ভাল ভাবেই শেষ হলো। চার একদিন সকালে ফোনের প্যাঁন প্যাঁনানিতে ঘুম ভাঙলো,

– হ্যালো (ঘুম ঘুম স্বরে)
– কি মিস্টার? এখনো ঘুমোচ্ছেন?
– জ্বী আন্টি, কে আপনি?
– ওই! আমি আপনার আন্টি লাগি?
– লাগেন না?
– মোটেও না
– তো কি লাগেন?
– সেটা তো জানিনা
– তাহলে ফোন রাখেন
– কেন?
– এসব লাগালাগির মধ্যে আমি নাই,

আমি এখন ঘুমোবো, বাই। (ফোন কেটে দিছি) সকাল সকাল ডিস্টার্ব। কে না কে? ধ্যাত, যে হয় হোক। পরে দেখা যাবে। ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে দেখলাম, এই নাম্বার জুঁইর। এই মেয়ে ফোন দিলো কেন? নাম্বার পেল কই? ওহ্! ওইদিন তো নিলো। রেগে গেছে নাকি? ওইদিন হুট করে যেভাবে রাগলো। রাগলে রাগুক, আমার কি? আমি তো আর ইচ্ছে করে করিনি। আচ্ছা, একটা কল দিয়ে দেখবো?

_রিং হচ্ছে_
– হ্যালো (জুঁই)
– কেমন আছেন?(আমি)
– ভাল, আপনি?
– ভাল। সকালে কল দিছিলেন?
– হ্যা
– ওহ্, বলবেন কিছু?
– না, এমনি দিয়েছিলাম।
– আচ্ছা, বাই
– আরে শুনেন!
– জ্বী?
– আমি বললাম আর আপনি মেনে নিলেন?
– কোনটা?
– কেউ নিশ্চই কাউকে কিছু বলার জন্যই ফোন দেয়।
– আপনিই তো বললেন কিছু বলবেন না।
– না, বলবো শুনুন।
– বলেন
– আমি আপনার একটা নাম দিছি
– কি নাম?
– আপনি পেঁপে ডাকতেন না আমাকে? সেজন্য আমিও আপনাকে একটা নাম দিছি।
– ঢেরস?
– না টমেটো। হিহি
– আমার সঙ্গে টমেটোর কোনো সম্পর্ক নাই।
– আমার আর পেঁপের সঙ্গে যেন ছিল?
– আপনিই তো বলেছিলেন ফু…
– আবার?
– সরি, মুখ ফসকে সত্যি বেড়িয়ে যায়
– কিইইই?
– আচ্ছা, বাই, আম্মু ডাকছে।

কেটে দিছি। সকাল সকাল এর সঙ্গে ঝগড়া করার ইচ্ছে নাই। সব মেয়ে এরকম ঝগড়াটে কেন? ঝগড়া না করলে কি পেটের ভাত হজম হয় না? তবে রাগলে কিন্তু জোশ্ লাগে পাঁচ…

– অপু, এ্যাই অপু (আম্মু)
– জ্বী, আম্মু
– এদিকে আয় তো
– বলো
– তোর রেশমা আন্টির (পেঁপের আম্মু) বাসায় একটু যা তো। গিয়ে ওদের নিয়ে আয়। তোর তো কোনো দায়িত্ববোধই দেখছি না। ওদের না আজ দাওয়াত দিলাম? আর তোরকোনো পাত্তাই নেই।

– আমি গিয়ে কি করবো? আঙ্কেল আছে না? পুরুষ তো ওদের সাথে একজন আছেই।
– না, ওর হাজবেন্ড তোর আব্বুর অফিসে গেছে। ওখান থেকে তারা দু’জন একসাথে আসবে। তোর আব্বু ফোন করে বললো ওদের যেন তুই গিয়ে আনিস্।
– আচ্ছা, যাচ্ছি। কোলে করে নিয়ে আসবো নাকি?
– মাইর না খেতে ভাগ এখান থেকে! দু’বার কলিং বেল দিতেই, জুঁই দরজা খুললো,

– ও আপনি; ভেতরে আসুন। এই মেয়েকে এরকম লাগছে কেন? রেগে আছে নাকি? আরেকটু আপ্যায়ন তো আমার প্রাপ্য।
– আরে অপু, বোস বাবা, তোমাকে কষ্ট করে আসতে হলো আবার (আন্টি)
– না না, সমস্যা নেই (আমি)
– বাসা চিনতে অসুবিধে হয়নি তো?
– না আন্টি
– তুমি তো আসই না
– সময় হয়ে ওঠে না
– আচ্ছা, বোস বাবা, আমি আসছি
– জ্বী, আন্টি। একটু তারাতারি বের হলে ভাল হয়
– এইতো আমরা প্রায় রেডি কিছুক্ষণ পর জুঁই নাস্তা নিয়ে আসলো।
– এসবের কি দরকার ছিল (আমি)
– দরকার নেই সেটা তো জানি, ভাব দেখাতে হবে না?(জুঁই)
– এক্সকিউজ মি, কি বলতে চাচ্ছেন?
– না কিছু না, বলেই উঠে গেল।

ছয় ওদের নিয়ে বাসায় এসেছি।কিছুক্ষণ পর আব্বু আর আঙ্কেলও পৌঁছে গেছে। সাথে খালা-খালুও এসেছে। ওনারা আসবে জানতাম না। যাক ভালই হলো, মজা হবে সবাই মিলে। খাওয়া-দাওয়ার পর্ব বেশ ভাল ভাবেই শেষ হলো। সবাই গল্প-গুজব করছে আমি বসে আছি সেখানেই। জুঁইও সেখানে। খালা-খালু রিমির ব্যাপারে কথা বলছে, বেশ ভাল যায়গায়ই বিয়ে দিয়েছে। অনেক আদর-যত্ন করে সবাই। আরো অনেক কিছু..

– কি জুঁই? শরীর খারাপ নাকি? (আম্মু)
– না আন্টি, আমি ঠিক আছি। (জুঁই)
– অ্যাই অপু, যা না, জুঁই কে নিয়ে ছাদ থেকে ঘুরে আয়, মেয়েটার বোধ হয় একা ভাল লাগছে না। (আম্মু)

– জ্বী, আম্মু। চলুন মিস. (আমি) মুখ বাঁকিয়ে আমার আগেই হাঁটা শুরু করলো জুঁই। এতো ভাব আগে দেখিনি। আমিও গেলাম পিছন পিছন। আম্মুর আদেশ বলে কথা।
– কি ব্যাপার? কোনো সমস্যা হয়েছে? {ভয়ে ভয়ে-(আমি)}
– না, কিছু হয়নি। আর হলেও, আপনার জেনে কি লাভ? আপনি তো বেশ ব্যস্ত মানুষ, ঘুমের জন্য ফোন কেটে দেন। কথা বলার সময় থাকে না। {রাগী মুড-(জুঁই)}

– ওহ্, এই ব্যাপার? আচ্ছা তুমি একটু বুঝতে চেষ্টা করো। আমার ঘুম একদিকে আর বাকি সব আরেকদিকে তাই ওইদিন…
– আপনার সাহস তো কম না, আমায় তুমি বলছেন কেন?
– সরি, মুখ ফসকে বেড়িয়ে গেছে। কিছুক্ষণ নিরবতার পর,
– একটা কথা কথা বলি? (জুঁই)
– হুম, নিশ্চই (আমি)
– আচ্ছা থাক, পরে বলবো।
– ওকে
– আপনার জানার কৌতূহল নাই?
– আছে, তবে খুব কম। আমি কিছুটা ধারণা করতে পারছি।
– তাই? বলুন তো, কি বলবো?
– বলবেন, জীবনে কোনোদিন যেন তুমি করে না বলি।
– হি হি, এতো বোকা কেন আপনি? আর শুনেন, এখন থেকে আমাকে তুমি করেই বলবেন, আমিও বলবো।
– না, আমি সবাইকে তুমি বলি না।
– তা কেন বলবেন? তাহলে তো আপনার ভাব কমে যাবে। অবৈধ ভাবে বলতে পারেন, বৈধতা পেলে ভাব দেখান। যাক বলতে হবে না।

– আরে না না, এটা হয় নাকি? রাগ করো কেন? তুমি করেই বলবো।
– গুড বয়। আর কখনো আমার ফোন এভাবে কথা না শুনে কাটবেন না। খুব রাগ হয় আমার।
– এতো রাগ রাখো কই?
– তোমার মাথায়, বুদ্ধু
– চলো, নিচে যাই, বাকিরা আবার অন্য কিছু ভাবতে পারে
– অন্য কিছু কি? (লাজুক চাহনি)
– ভাববে হয়তো প্রেম করছি
– খুব বাজে ভাববে কি?
– না, খুব একটা না
– আচ্ছা, তোমার তো গার্লফ্রেন্ড নাই, তাই না?
– ক্যামনে বুঝলা?
– তোমার মতো হাদারামের সাথে আবার কে প্রেম করবে?
– ওই মিস. এই পর্যন্ত শ’খানেক প্রপোজ পাইছি, বুঝছো? বাট রিজেক্ট করে দিছি?
– এক্সেপ্ট করলেই পারতা
– মনে ধরেনি…
– আমাকে ধরবে? এই মেয়ে বলে কি? আমি তো পুরাই অবাক..
– সরি, কি বললা?
– বললাম, আমার সাথে প্রেম করবা?
– মা..ম…মানি কি? (তোতলিয়ে)
– মানে আমাকে ভালবাসবা।
– আমি তোমার বড় না? আমার সামনে এসব বলো কেন?
– প্রেম কি ছোটদের সাথে করবো? তাছাড়া তুমিও তো ভালবাসো আমায়, আমি কি বুঝি না?
– তাই? এতো কনফিডেন্স?
– হুম
– পরে দেখা যাবে, চলো..

ঐদিনের মতো ওরা চলে গিয়েছিল। এদিকে আমাদের কথা-বার্তা বলা পরিমানও বেড়েছে। খুন-শুটি ঝগড়া, অনেক কেয়ার, ভালবাসাতো শুরু হয়েই গেছে। বলা হয়নি বললে ভুল হবে, ইঙ্গিতে তো বলা হলোই, আনুষ্ঠানিকতা বাকি শুধু সেটাও হয়ে যাবে, কোনো এক পড়ন্ত বিকেলে।

গল্পের বিষয়:
ভালবাসা
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত