সুতো কাটা ঘুরি

সুতো কাটা ঘুরি

বয়স হয়ে যাচ্ছে বিয়ে কবে করবেন?(আভা) কথাটা শুনে কিছুটা চমকে উঠে সানভি। বিরবির করে বলে,

– বিয়ে হ্যা বিয়ে তো করতে হবে।কিন্তু…(সানভি)
– কিছু বললেন?(আভা)
– না মানে হ্যা না কিছুনা।(সানভি)

আভা কিছুটা অবাক হয়। এতো সাহসি একটা মানুষ ইতস্তত করছে কথা বলতে। ব্যাপারটা বুঝে উঠতে পারেনা আভা। অনেকদিন ধরে যে আভা তাকে চিনে তাও না কয়েক ঘন্টার পরিচয় মাত্র। এইতো কয়েক ঘন্টার পরিচয় মাত্র।

রাত ১ টা আজকে প্রাইভেট ছুটি একটু দেরিতে দিছে তার ওপর থার্টি ফাস্ট নাইট একটু পার্টি না হলে কি চলে।আভা অবশ্য এসব ব্যাপারে তেমন আগ্রহি না সে তো একা থাকতে পছন্দ করে।তবুও জোর করে নিয়ে যায় তার বান্ধবি তাসনিম মানে তার বান্ধবি। কিন্তু সেখানে সবাই নেশা করে শুধু তাসনিম আর আভা বাদে। ১২ টা বাজতেই শুরু হয় পার্টি কিন্তু এসব নেশাজাতিয় দ্রব্য আর এতো শব্দের কারনে আভা কাওকে না জানিয়েই চলে আসে। ঢাকা শহড় রাত একটা খুব একটা রাত না তার ওপর থার্টি ফাস্ট চারদিকে দম বন্ধ করা সব সাউন্ড।কানটা ফেটে যাচ্ছে তার। কানে হেডফোনটা গুজে দিয়ে হাটতে থাকে রাস্তার সাইড দিয়ে। কিছুটা ভয় পাচ্ছে সে এতো রাতে একা রাস্তায় চলতে।

ভয়টা তিব্র হলো গলিতে ঢুকে। চিপা গলিতে ঢুকতেই দেখলো তিনটা ছেলে দাড়িয়ে আছে। খুব একটা সুবিধার মনে হলোনা তাদেরকে। তারপরও বাসায় যেহেতু যেতেই হবে তাই ভয়টাকে জয় করে সবরকম প্রিপারেশন নিয়ে এগুলো আভা। ভয় লাগতাছে খুব তার। তারপরও হাটতাছে। যতই এগুচ্ছে ভয়ের মাত্রাটা ততই তিব্র হচ্ছে। ছেলেগুলার কাছে যেতেই বুঝতে পারলো খুব খারাপ কিছু হতে চলেছে। ছেলে তিনটা পথ আটকে দাড়ালো আভার।

– রাস্তা ছাড়ুন।
– আচ্ছা যাও।

সাইড দিয়ে বললো কথাটা। আভা যখনই তাদের মাঝখানে গেছে দুইটা ছেলে হাত ধরে ফেললো তারপর চেপে ধরলো দেয়ালের সাথে।একজন মুখটা চেপে ধরলো। আভা ভয়ে কাপতাছে চিৎকার করতাছে কিন্তু শব্দ হচ্ছেনা। ছেলেটা খুব কাছে চলে আসলো আভা ভয়ে চোখ বন্ধ করে ফেলছে বুঝতে পারতাছে এরপর কি হবে। কিন্তু হঠাৎ হাতটা খোলা মনে হলো। ভয় কাটিয়ে সামনে তাকিয়ে দেখে একটা ছেলে লাঠি হাতে দাড়িয়ে আছে আর ছেলেগুলা ভয়ে পালাচ্ছে।

– আপনার আর কোনো ভয় নেই।(সানভি) আভা কিছু বলতে পারতাছে না থরথর করে কাপতাছে এখনো।
– আপনার বাসা কোথায় চলুন পৌছে দিয়ে আসি।(সানভি) আভা এবারো চুপ।সানভি ব্যাপারটা বুঝতে পেরে বলে,
– আমারর পেছন পেছন আসুন।(সানভি)

আভা সানভির পেছনে হাটে। সানভি একটু পর পর পেছনে তাকিয়ে দেখে মেয়েটা কি করে। আভা চুপচাপ হাটতে থাকে। সানভি জিজ্ঞেস করে,

– আপনার নাম কি?(সানভি)
– জ্বি আভা।(আভা)
– এতো রাতে কোথায় গেছিলেন?(সানভি)
– একটা পার্টিতে গেছিলাম।(আভা)
– আজকালকার মেয়েদের এই একটা জিনিস খুব বাজে লাগে বুঝলেন রাত বিরাতে ছেলেদের সাথে পার্টি করে বেড়াবে তারপর মদ সিগারেট তো থাকবেই আর ড্রেসের কথা নাহয় বাদই দিলাম। (সানভি কিছুটা আভাকে ইঙ্গিত করেই বলে কথাটা)

আভা লজ্জা পেয়ে যায়।কারন তার পোশাকটাও আজকে মর্ডান মেয়েদের মতোই।আভা কোনোদিন এসব পোশাক পড়েনি আজকেও পড়তে চায়নি কিন্তু তার বান্ধবি জোর করে পড়িয়ে দিছে। আভা চুপ করে থাকে কিছুটা রাগ হয় লোকটার ওপর, কোনো কিছু না জেনেই মন্তব্য করা শুরু। অবশ্য উপদেশ হিসেবে নিলে ক্ষতি নেই। অন্ধকারে লোকটার মুখ এখনও দেখেনি আভা না দেখেছে সানভি আভার।

এরপর দুজনেই চুপ।হাটতে হাটতে সানভির বাসায় চলে আসে আভা। সানভি তালা খুলে ভিতরে ঢুকে। তারপর ভেতরে ঢুকে আভাকে সোফায় বসতে বলে। সানভি রান্নাঘরে চলে যায়। দু কাপ কফি বানিয়ে আনে। আভা কিছুটা অবাক হয় লোকটাকে দেখে। বয়স ৩৫-৩৬ হবে দুই একটা চুল পাকা। তবে লোকটাকে দেখে মনে হয় ২৭ বছরের যুবক। সানভি লজ্জায় আভার দিকে তাকাতে পারছেনা। কারন ড্রেসটা এতোটাই মর্ডান যে হাটু পর্যন্ত দেখা যায়। সানভি চুপচাপ আবারো তার রুমে চলে যায়। আলমারি থেকে একটা নীল শাড়ি বের করে। শাড়িটা নিলিমার জন্য কেনা হইছিলো। কিন্তু সেতো আর আমার হলোনা তাই শাড়িটাও দেওয়া হয়নাই। ওদিকে আভা বাড়িটা দেখতাছে খুটিয়ে খুটিয়ে। এতো বড় আর সুন্দর বাড়ি অথচ কোনো মানুষ নেই। আভা ভাবনায় পড়ে যায় এই লোকটারর খারাপ মতলব নেইতো? কফিটা রেখে দেয় সে যদি কিছু মিশিয়ে থাকে সেই ভয়ে। সানভি ততক্ষনে শাড়িটা নিয়ে বের হয়ে আসছে। আভা মাথা নিচু করে বসে থাকে সানভির সামনে।  লজ্জায় মাথা নিচু হয়ে গেছে এমন পোশাকে তার মন মানছে না। ঠিক তখন সানভি বললো,

– নিন শাড়িটা পড়ে নেন এই ড্রেসটা ভালোনা।শয়তান কু মন্ত্রনা দিচ্ছে বারবার ড্রেসটা চেন্জ করে নেন।(সানভি)

আভা অবাক হয়ে ভাবতে থাকে। লোকটা চাইলেই তো যা খুশি করতে পারতো কিন্তু করলোনা। সানভির প্রতি সম্মানটা একটু বেড়ে গেলো আভার। আভা শাড়িটা নিয়ে একটা রুমে ঢুকে গেলো। সানভি কফি খেতে লাগলো। রাত্রিবেলা কফি না খেলে তার ভালো লাগেনা বলতে গেলে মাথায় গল্পও আসেনা। টুকটাক গল্প লিখে আর সেগুলা প্রকাশ করা হয় বই আকারে। সেই সুবাদে ভালোই পরিচিতি তার তবে আড়ালে থেকেছে সবসময়। নিজেকে প্রকাশ করতে চায়না সে।আড়ালে থাকতেই পছন্দ করে সে। কিছুক্ষন পর আভা শাড়িটা পড়ে বেরিয়ে আসে। সানভি সামনে তাকিয়ে অবাক হয়ে যায়। শাড়িতে প্রায় নিলিমার মতোই লাগছিলো তাকে। আভা সোফায় এসে বসে। সানভি চোখ সরিয়ে নেয় তবে আভা বুঝতে পারে ব্যাপারটা। আভা প্রশ্ন করে,

– বাড়িতে একাই থাকেন??
– হ্যা।
– বয়স হয়ে যাচ্ছে বিয়ে কবে করবেন?(আভা) কথাটা শুনে কিছুটা চমকে উঠে সানভি। বিরবির করে বলে,
– বিয়ে হ্যা বিয়ে তো করতে হবে।কিন্তু……(সানভি)
– কিছু বললেন?(আভা)
– না মানে হ্যা না কিছুনা।(সানভি)

আভা কিছুটা অবাক হয়। এতো সাহসি একটা মানুষ ইতস্তত করছে কথা বলতে। ব্যাপারটা বুঝে উঠতে পারেনা আভা।

– আচ্ছা আপনার নামটা আমি এখনও জানিনা।(আভা)
– জি আমার নাম সানভি।(সানভি)
– পুরো নাম – সানভি আহমেদ সাকিব।গল্প লিখেন? (আভা)
– হ্যা। কিন্তু এতোকিছু কিভাবে জানেন?(সানভি) অবাক হয় কিছুটা।
– আপনার সব গল্প আমার পড়া হয়ে গেছে।আমি আপনার ফেসবুক ফলোয়ার বইও পড়েছি অনেকগুলা।(আভা)

আভা ভাবতেই পারছেনা যে সে সানভির সাথে বসে আছে। যাকে দেখার প্রচন্ড ইচ্ছা ছিলো তার। তার গল্প পড়তে পড়তে আভা ভালোবেসে ফেলে সানভিকে। অনেকেই হয়তো ভালোবাসে তবে আভা পাগল ভক্ত তার। অনেকবার মেসেজ করেছে কিন্তু রিপ্লাই পায়নি। সব আশা যখন ছেড়ে দিছিলো ঠিকক তখন এমন একটা ঘটনা। আভা আরেকটা বার মনে করলে আল্লাহ চাইলে সব হয়। ঠিক তখন আভার মনে প্রশ্ন জাগে নিলিমা টা কে? কারন সানভির সব গল্পে নিলিমার নাম। খুব জানতে ইচ্ছে হয় কে এই ভাগ্যবতী নিলিমা। যে কিনা এমন একটা মানুষের গল্পে থাকে। আভা ভয় ও উত্তেজনা কাটিয়ে প্রশ্ন করে,

– নিলিমা কে?(আভা)

সানভি চুপ হয়ে যায়। কিছু বলেনা।আভা আবারো জিজ্ঞেস করে,

– কে এই নিলিমা যাকে নিয়ে আপনি গল্প লিখেন?(আভা)
– অন্য একদিন বলবো। আপনি এখন ঘুমান অনেক রাত হইছে।(সানভি)
– আপনার সাথে সারারাত আড্ডা দিলে কি সমস্যা আছে?(আভা)
– না সমস্যা না তবে আপনার ঘুমটা দরকার।(সানভি)
– একটা রাত নাহয় নির্ঘুম কাটালাম।(আভা)
– আচ্ছা।…

সারারাত আড্ডা দেয় দুজনে।কত প্রশ্ন কত কি।অনেক কথা। আভার কথা যেনো ফুরায় না সানভি কিছুটা বিরক্ত হলেও। আভার মধ্যে নিলিমাকে দেখতে পায় সে তাই কিছু বলেনা। বরং কিছুটা ভালোলাগা কাজ করে সানভির মধ্যে। বিয়ে করার ইচ্ছাটা পুরোদমে মরে গেছিলো। তবে আভাকে দেখে কেনো যানি আবারো ইচ্ছে হচ্ছে নতুন করে স্বপ্ন দেখার। নতুন করে সবকিছু সাজানোর। দেখতে দেখতে রাত ফুরিয়ে যায়। ভোর হতেই আভা বিদায় নেওয়ার সময় আভা বলে,

– আমি কি প্রতিদিন আসতে পারি আপনার সাথে কথা বলতে?(আভা)
– আসতে পারেন তবে একটা শর্ত আছে।(সানভি)
– কি শর্ত?(আভা)
– নিল শাড়িটা পড়ে আসতে হবে।(সানভি)
– ধন্যবাদ।(আভা)

তারপর চলে আসে আভা। সানভি একটা শুন্যতা অনুভব করে। কি হয়ে গেলো একরাতের মধ্যে তার। প্রেমে পড়ে গেলো নাকি। কিন্ত কথা দিয়েছিলো নিলিমাকে তাকে ছাড়া কাওকে বিয়ে করবেনা। সেও তো কথা দিয়েছিলো তবে কেনো আজ একা। সে তো প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করেছে। তাই বলে কি আমিও করবো? নাকি একজন ভাঙলে দুজনেরই ভেঙে যায়। বিয়ে তো করতেই হবে নইলে তো জান্নাত থেকে বন্চিত হতে হবে। সানভি জানেনা জান্নাতে সে যেতে পারবে কি না তবে বিয়ে না করলে তো শেষ সুযোগটাও মিস হয়ে যাবে। একটাবার নিলিমার সাথে দেখা করতে পারলে তবু মনটা শান্ত হতো সব কথা ভেঙে ফেলতে পারতো। যদিও নিলিমা বলেছিলো বিয়ে করে নিয়ো। তবুও একবার দেখা করতে ইচ্ছে হয় সানভির। কিছু ইচ্ছা অপুর্ন থেকে যায়। এটাও নাহয় থাকুক।

এরপর থেকে প্রায়ই আভা মেয়েটা সানভির বাসায় যাতায়াত করে। মাঝে মাঝে ঘুরতে যায় দুজনে। প্রায় তিনমাস হলো একসাথে চলে তারা। আভা সব জেনে গেছে সানভির ব্যাপারে এতোদিনে তবে শুধু জানা হয়নি নিলিমার ব্যাপারটা। যতবারই বলছে ততবারই কোনো না কোনো অজুহাত দেখিয়ে সানভি আড়াল করেছে ব্যাপারটা। সানভি অবশ্য এতোদিনে আভাকে ভালোবেসে ফেলেছে। কি হবে একা থেকে যদি সে আরেকজনকে নিয়ে ভালো থাকতে পারে। আমি কেনো পারবো না তাহলে। আমারও তো একটা জিবন।আমারও চাওয়া পাওয়া আছে। বলা হয়নি আভাকে ভালোবাসার কথা। আভা ঠিক করছে আজকে নিলিমার ব্যাপারটা না জেনে ছাড়বে না। দরকার হলে বন্ধুত্ব শেষ করে দিবে তবুও ছাড়বে না আজকে। আভা কলিংবেল বাজাতেই দরজা খুলে দেয় সানভি। দুজনে বেশ কিছুক্ষন আড্ডা দেয় তারপর আভা জিজ্ঞেস করে,

– সানভি আজকে নিলিমার কথা বলুন প্লিজ।(আভা)
– বাদ দাও তার চাইতে চলো একটা কবিতা শোনাই তোমাকে।(সানভি)
– আজকে যদি নিলিমার কথা না বলেন তাহলে আমি আর কোনোদিন কথা বলবো না তোমার সাথে।(আভা)
– সানভি বাধ্য হয়ে বলতে থাকে,

মেয়েটার সাথে পরিচয় হয়েছিলো ফেসবুকে। এক বন্ধুকে মেসেজ দিয়েছিলাম কিন্তু ওর আইডিটা দিয়েছিলো নিলিমাকে। বুঝতে কিছুটা সময় লাগে কিন্তু তারপর বুঝে গিয়েছিলাম। তারপর থেকে বন্ধুত্ব তারপর প্রেম ভালোবাসা। আর একদিন হুট করেই বলে আমার বিয়ে হয়ে গেছে। তারপর থেকে আর কোনোদিন কথা হয়নি। ফোন নাম্বার বন্ধ ফেসবুক আইডি ডিএক্টিভ। মাঝে মাঝে ওই বন্ধুর থেকে ওর খোজ নিতাম কিন্তু তারপর থেকে ও ও কথা বলেনা। ব্যাস তারপর থেকে আর কোনোদিন কথা হয়নি। আর ওই নিল শাড়িটা ওর জন্যই কিনেছিলাম ৭ বছর আগে।(সানভি)

– কিছু মনে না করলে একটা পিক দেখতে পারি ওর.?(আভা)

সানভি কিছু না বলে ফোন থেকে নিলিমার একটা পিক দেখায়। আভার মাথা ঘুরে যায় পিকটা দেখে। কারন ছবির মানুষটা আর কেও নয় তার বড় ভাবি। এটা কিভাবে সম্ভব। আভার মস্তিষ্ক কিছুক্ষনের জন্য ব্লান্ক হয়ে যায়।

– জানো আভা আজো তার সাথে একটাবার দেখা করার জন্য আল্লাহর কাছে হাত তুলে কাদি। জানিনা কোনোদিন তার দেখা পাবো কিনা।(সানভি) আভা কাপাকাপা কন্ঠে বলে,

– আমি চিনি এই মেয়েকে।(আভা)
– কি? কিভাবে?(উৎকন্ঠা নিয়ে)
– আমার ভাবি এই মেয়েটা।(আভা)

আজ ৪ তারিখ। সানভি আভা আর নিলিমা দাড়িয়ে আছে একটা নির্জন জায়গায় কারোর মুখেই কথা নেই। নিরবতা ভেঙে সানভিই বলে,

– আমার দোষটা কি ছিলো?(সানভি)

নিলিমা উত্তর দিতে পারেনা। আজ ৭ বছর পর দেখা। তবুও একটাবার জড়িয়ে ধরতে পারছেনা নিলিমা। খুব ইচ্ছা করছে সানভিকে একটাবার জড়িয়ে ধরতে। আভা নিরব দর্শক হয়ে দেখছে সবই। হঠাৎ সানভি নিলিমাকে একটা থাপ্পড় মারে।

– একটাবার বললেই হতো ভালোবাসো না আমি মেনে নিতাম এভাবে ৭ টা বছর কষ্ট দেওয়ার কোনো মানেই হয়না। আজ সব কষ্টের অবসান ঘটাতে চলেছি।(সানভি) সানভি হাটৃ মুরে আভার সামনে বসে পড়ে,তারপর প্রোপোস করে আভাকে। উঠে দাড়ায় সানভি। আভা জড়িয়ে ধরে সানভিকে। নিলিমার চোখের কোনে জল চিকচিক করে উঠে।জড়িয়ে ধরার কথাটা তার ছিলো। কিন্তু ভুলটা তারই। সেই অধিকার অনেক আগেই মেরে ফেলেছে সে।

সানভি নিলিমার সামনেই আভার কপালে একটা চুমু একে দেয়। তারপর হাতটা ধরে হারিয়ে যায় গোধুলির মায়ায়।
নিলিমা বসে কাদতে থাকে। কি হবে কেদে? কিছু ভুলের মাশুল এভাবেই দিতে হয়। কিছু শুন্যস্থান কখনো পুর্ন হয়না। পুর্ন করে নিতে হয়। লুকোনো কথা পুরনো ব্যাথা কখনো ধরে রাখতে নেই উড়িয়ে দিতে হয় সুতো কাটা ঘুড়ির মতো। ঘুড়িটা উড়ে যাবে দুর বহুদুর।

গল্পের বিষয়:
ভালবাসা
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত