ফাস্ট লাভ

ফাস্ট লাভ

– এই যে মিস্টার ! আপনি কি চোখে দেখেন না ?
– কি হয়েছে ?
– নিচের দিকে তাকান !

নিচের দিকে তাকিয়ে দেখি আমার এক পা কাদার মধ্যে আর সেই কাদা ছিঁটে মেয়েটার ড্রেস ময়লা করে দিয়েছে । বন্ধুদের সাথে কথা বলতে বলতে হাঁটার সময় কখন যে কাদার মধ্যে পা দিয়েদিয়েছি খেয়াল করি নি । মাথা তুলে তাকালাম মেয়েটার দিকে ।

একটা ভেংচি দিয়েমেয়েটা চলে গেল , একবার স্যরি বলার সুযোগ ও পেলাম না ! এভাবেই মেয়েটার সাথে আমার প্রথম দেখা ফার্মগেটের এক ব্যস্ত রাস্তায় ভার্সিটি ভর্তি কোচিং এর প্রথম ক্লাস ছিল সেদিন । এইঘটনার পর বন্ধুদেরকে বিদায় বলে কোচিং করতে গেলাম । ক্লাসে ঢুকে দেখি টিচার ভাইয়া এসেপড়েছেন আর প্রত্যেকটা বেঞ্চ পূর্ণ । ভাইয়া আমাকে একদম পিছনের একটা বেঞ্চে যেতে বললেন যেখানে শুধুমাত্র একটা মেয়ে বসা ছিল । পিছনে গিয়ে বসতে যাব তখন দেখি এই মেয়েটা হল সেই মেয়েটা যার ড্রেস একটু আগে আমিময়লা করে দিয়েছি ! একবার মেয়েটার মুখের দিকে তাকিয়েই চুপচাপ বসে পড়লাম । ভাইয়া ক্লাসের শুরুতে নিজের পরিচয় দিলেন আরএর পর একে একে সবার নাম জিজ্ঞাসা করলেনআর এভাবেই আমি জানতে পারলামযে মেয়েটারনাম অহনা । ক্লাস শুরু করলেন ভাইয়া , ম্যাথ ক্লাস ছিলসেদিন । খাতায় নোট করছি এমন সময় অহনার দিকেতাকিয়ে বললাম ,

– একটু আগের ঘটনার জন্য স্যরি
– ব্যাপার নাহ্ ! আমি ও স্যরি
– আপনি কেন স্যরি বলছেন ?
– খারাপ ব্যবহার করার কারণে
-নাহ্ , দোষটা তো আমার
– ঐ বিষয় বাদ ! আপনি তাহলে রাফিন ?
– হ্যাঁ , আর আপনি অহনা ?
– হ্যাঁ , পরিচিত হয়ে ভাল লাগলো
– আমার ও ভাল লাগলো

এভাবেই অহনার সাথে আমার পরিচয় নিছক একদুর্ঘটনার মধ্যে দিয়ে অহনার সাথে পরিচয়টা খুব ভালভাবেই হয়েছিল যারকারণে প্রতি ক্লাসেই একটা মিষ্টি হাসি বিনিময় হত আর সামান্য কথাবার্তা । সামান্য কি আর সামান্য থাকে ? তারস্বভাব হল ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধিপাওয়া । এভাবেই আমাদের কথা বলার হারও বৃদ্ধি পেতে থাকলো তবে তা শুধুমাত্র পড়ালেখার বিষয়ে অন্য কোন বিষয় নয় । একজন আরেকজনকে বিভিন্নভাবে সাহায্য করার মধ্য দিয়ে ভালোই চলছিল সময়ের বয়ে চলা । একসময় পড়ালেখার সীমানা ছাপিয়ে পারিপার্শ্বিক কথাবার্তা ওশুরু হল আমাদের । ফোন নাম্বার ও বিনিময়হল দুইজনেরমধ্যে । কোচিং না থাকার দিনগুলোতেফোনে কথা হত একটু-আধটু । বুঝতে পারলাম আমাদের মধ্যে হয়তো বন্ধুত্বেরএকটা ভাল সম্পর্কের সৃষ্টি হয়ে গেছে । একদিন অহনাকে জিজ্ঞাসা করে ফেললাম ,

– আচ্ছা অহনা আমরা কি বন্ধু হয়ে গেছি ? চোখগুলো বড় বড় করে আমার দিকে তাকালো অহনা ! তারপর বললো ,
– আচ্ছা তুমি কোন দেশের গরু আগে বল তো ? ডেনমার্ক না নিউজিল্যান্ড ?
– আমি গরু হতে যাব কোন দুঃখে ? আমি বাংলাদেশের মানুষ
– তোমাকে গরু বলবো না তো কি বলবো ( রেগে গিয়ে ) ? এতদিনে ও বুঝতে পারলে না যে আমরা খুব ভাল বন্ধু ।
-এত রাগ করার কি আছে , বুঝিয়ে বললেই তো হয় !
– গরু যে তাই বুঝিয়ে বলতে হয় !

এই কথা বলে অহনা চলে গেল , আজকে তাহলে ভালোই রাগ উঠেছে মেয়েটার । একটাব্যাপার আজও বুঝতে পারলাম না মেয়েটা আমাকে গরু ডাকে কেন ? গরুর প্রতি অহনার আকর্ষণ বেশি মনে হয় পড়ালেখার ব্যাপারে ব্যাপক পরিমাণে সিরিয়াস ছিল অহনা আর আমি ছিলাম এর উল্টো ! তবে ঐ মেয়ের সংস্পর্শে এসে আমিও খানিকটা সিরিয়াস হয়েছিলাম । ভালোই লাগতো মেয়েটার সাথে মিশতে , অনেক সহজ-সরল । ওর যে ব্যাপারটা আমাকে সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ করতো তা হল ওর কথা বলারভঙ্গি । হাত নাড়িয়ে কেমন করে যেন কথা বলতো , আর আমি তা শোনা ও দেখা দুইটাই একমনে চালিয়ে নিয়ে যেতাম। রিকশা করে ঘুরতে অহনার খুব ভাল লাগতো । তাই মাঝে মাঝে ক্লাস শেষে দুইজন একসাথে ঘুরতে বের হতাম । একটামেয়ে যে কত কথা বলতে পারে তা আপনি কখনোই বুঝতে পারবেন না যদি মেয়েটার সাথে না মেশেন ! তবে অহনার কথাগুলো শুনতে ভালোই লাগতো ।

ওর খারাপ লাগা , ভাল লাগা ,ওর স্বপ্ন , ওর ভবিষ্যত নিয়ে ভাবনা এসব প্রতিদিনই নতুন নতুন রূপ ফিরে পেত ওর কথার মাঝে । স্বাভাবিকভাবেই বুঝতে পারছিলাম যে আমি ওর প্রতি দুর্বল হয়ে পড়ছি । তারপর ও চেয়েছিলাম এই দুর্বলতা কাটাতে , কারণ প্রেম-ভালবাসা এসবের প্রতিকখনোই কোন আগ্রহ প্রকাশ করতে দেখি নি অহনাকে । অযথা , বন্ধুত্ব নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা ! একজন বিখ্যাত লেখক বলে গেছেন যে ,একজনছেলে এবং একজন মেয়ে যত ভাল বন্ধুইহোক না কেন , একসময় তারা একে অপরেরপ্রেমে পড়বে ! আমার ও ঠিক তাই হয়েছিল । অনেক চেষ্টা করা সত্ত্বেও নিজেকে মানাতে পারি নি । অবশেষে বাধ্য হয়ে ঠিক করলাম যে , অহনাকে বলে দিব আমার ভালবাসার কথা গত কিছুদিন ধরে শরীরটা খারাপ , কোচিং এ ও যেতে পারছি না । কিন্তু , সবচেয়ে অবাক করাব্যাপার হচ্ছে এই কয়েকদিনেরমধ্যে অহনা আমাকে একবার ও ফোন দেয়নি , আমি যে কোচিং এ যাচ্ছি না এই ব্যাপারে ওর কোন খেয়ালই নেই ! হতেপারে পড়ালেখা নিয়ে ব্যস্ত । সকালে ঘুম থেকে উঠে যখন এসব ভাবছিলাম তখনই অহনার ফোন …

– হ্যালো !
– রাফিন তুমি কোথায় ?
– বাসায় ।
– প্লিজ , কোচিং এ আসো না তোমার সাথে জরুরী কথা আছে , প্লিজ !
– আসছি ।

তাড়াতাড়ি কোন রকমে নাস্তা খেয়ে অসুস্থ শরীরটা নিয়েই বের হলাম । ক্লাসে যে ঢুকলাম ঐদিকে অহনার কোন নজর নেই । কোচিং শেষে অহনার সাথে দেখা হল

– কি ব্যাপার ! কি এমন জরুরী কথা বল তো ।
– বলবো , বলবো অবশ্যই বলবো !
– হুম বল ।
– তুমি জানো আবির আমাকে প্রপোজ করেছে আর আমি একসেপ্টকরেছি । কি আশ্চর্যের ব্যাপার আমি আবিরকে পছন্দ করতাম , চেয়েছিলাম আমি আবিরকে প্রপোজ করবো অথচ আবির নিজেই করে দিল ! আবির আমাকে ভালবাসতো তা আমি জানতাম না।

– তুমি আবিরকে ভালবাসতে ? কবে আবির তোমাকে প্রপোজ করলো ?
– হ্যাঁ , কোচিং এর প্রথম থেকেই আবিরকে ভাল  লাগতে শুরু হয় কিন্তু কখন যে এই ভাল লাগা ভালবাসায় রূপ নিয়েছে বুঝতেই পারি নি । এক সপ্তাহ আগে আবির প্রপোজ করেছে একদম সবার সামনে । তোমাকে সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য এতদিন বলি নি ।

– সত্যিই অনেক বড় সারপ্রাইজ পেয়েছি অহনা !

আমাদের কথার মাঝখানেইআবির এসে অহনাকেনিয়ে যায় । আসলেই জীবনের সবচেয়েবড় সারপ্রাইজ পেলাম আজকে কিছু বলার আগেই সব এভাবে শেষ হয়ে যাবে তা কখনো কল্পনা ও করি নি । আসলে মানুষ যা কল্পনা করে না, তা ই তার সাথে ঘটে ! যত চেষ্টাই করি না কেন অহনা কে আমি কোনদিন ভুলতে পারবো না, এটা আমি ভালো করেই জানি ।

প্রথম ভালবাসা কোনদিন ভুলে থাকা যায় না । যখনঅহনার কথা মনে হয় তখন কেন জানি অজান্তেই চোখটা ভিজে উঠে । সবকিছুর পর ও এই ভেবে আমি সুখী যে অহনা সুখেআছে এবং থাকবে । আবির যথেষ্ট ব্রিলিয়ান্ট একটা ছেলে , সবার ভাষ্যমতেও আবির অনেক ভাল একটা ছেলে । ব্রিলিয়ান্ট আরব্রিলিয়ান্টে জুটি হয়েছে , একদম পারফেক্ট একটা জুটি ! ভর্তি পরীক্ষার আর একমাস বাকি । এখন আর অহনার সাথে আগের মত যোগাযোগ হয় না । অহনা ও ফোন দেয় না , আমিও না । বোঝা ই যাচ্ছে অহনা অনেক সুখে আছে । সুখে থাকলে বুঝি মানুষ সবকিছুই ভুলে যেতে পারে ! আর আমি তো অহনার কাছে কিছুই না । যোগাযোগ না হওয়াই ভাল , দূরে থাকলে মায়া কম থাকে । আর মায়ার বাঁধন বড় শক্ত বাঁধন সুতরাং এ মায়া না থাকাই ভাল । বেশ কিছুদিন ধরে পড়ালেখায় মনযোগ দেওয়ার চেষ্টা করছি । যেভাবেই হোক একটা পাবলিক ভার্সিটিতে চান্স তো পেতে হবে । পুরো পরিবারের আশা তো এভাবে আমি মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে পারি না ।

পুরোপুরি মনযোগ হয়তো দিতেপারি না তবে চেষ্টা করে যাচ্ছি । আমাকে যে পারতেই হবে অবশেষে এডমিশন টেস্ট শেষ হল । নিজেকে আজ অনেক মুক্ত লাগছে । ভেবে ভাল লাগছে যে , আমার পরিশ্রম বৃথা যায় নি ! ঢাকায় কোথাও চান্স না হলে রাজশাহী ভার্সিটিতে চান্সটা হয়ে গেল । বাসায় সবাই ও খুশি ! অহনা আর আবিরের খোঁজটা নেওয়া দরকার ।অহনা কে ফোন দেয়ার সুযোগ অনেক আগেই বন্ধ হয়ে গেছে। ওদের রিলেশন শুরু হওয়ার দুইমাস পর আবির অহনা কে নিষেধ করে যেন সে আমার সাথে কোন প্রকার যোগাযোগ না রাখে ! অহনা ও শেষমেশ আমাকে মেসেজ করে নিষেধ করে দেয়যেন আমি কখনোই ওর সাথে যোগাযোগ করার কোন প্রকার চেষ্টা না করি । এর পর থেকেই আমাদের মধ্যে সকাল প্রকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন । আবির যে অহনা কে নিষেধ করেছিল তা অহনা আমাকে বলে নি , পরে আমি তা জানতে পারি অহনার এক বান্ধবীর মাধ্যমে ।

কিছুদিন পর অনেক চেষ্টার পর আবির আর অহনার খবর জানতে পারলাম । দুইজনের একজন ও কোথাও চান্স পায় নি । অহনা একটা প্রাইভেট ভার্সিটিতে আর আবির চেষ্টা করছে দেশের বাইরে চলে যাওয়ার । এই খবরে তো আশ্চর্য হয়েছি ই সাথে সাথে আরেকটা খবরে বেশ মন খারাপ হল ! ইদানিং না কি আবির আর অহনার মধ্যে বেশ ঝগড়া চলছে । এরকম কিছু হবে তা কখনোই আশা করি নি । যতবার নামায পড়ি ততবারই আল্লাহর কাছে এটাইচাই যে ওদের মধ্যে যত সমস্যা আছে সব যেন ঠিক হয়ে যায় । ওরা যেন সবসময় ভাল থাকে , সুখে থাকে .টানা ছয় মাস পড়ালেখার পর্ব শেষে ঈদের ছুটিতে বাসায় আসলাম । অনেক দিন পর সব বন্ধুদের সাথে দেখা । বেশ আনন্দেই কাটছিলো সময়গুলো । সেদিন হঠাৎ করেই দেখা হয়ে গেল অহনার বান্ধবী দিশার সাথে । আমি অবশ্য কখনোই চিনতাম না যদি ও ডাক না দিতো

– এই রাফিন !
– তুমি ?
– দিশা , চিনতে পেরেছো ?
– হ্যাঁ দিশা! কেমন আছো ?
– এইতো ভাল , সবাইকে দেখি ভুলে গেছো ?
– আরেহ না , ভুলি নি । আসলে অনেকদিন ধরে দেখাহয় না তো ।
– তুমি কেমন আছো ?
– এইতো আছি একরকম ।
– পড়ালেখার কি অবস্থা ?
– হুম চলছে ভালোই । তোমার কি খবর ?
– এইতো বেশ আছি !
– দিশা , অহনা কেমন আছে ?
– থাক রাফিন , ওর কথা না শোনাই তোমার জন্য ভাল ।
– কেন ? কি হয়েছে ?
– মেয়েটার সাথে কি হয়নি সেটা জিজ্ঞেস কর !

প্রথমে তো ভার্সিটিতে চান্স পেল না । তারপর আবির ওকে ছেড়ে চলে যায় । দেশের বাইরে চলে যাওয়ার পর ও অহনার সাথে কোন যোগযোগ করে নি । শুধু একটা মেইল করেছিল এবং বলেছে ওকে ভুলে যেতে । একটা বন্ধুও এখন ওর পাশে নেই । সম্পূর্ণ একটা হয়ে গেছে মেয়েটা । এখনের অহনা আর আগের অহনা নেই রাফিন । একদম বদলে গেছে ।

– হুম …
– আচ্ছা রাফিন তুমি না অহনাকে ভালবাসতে ?
– হুম !
– এখনো ভালবাসো ?
– হ্যাঁ ।
– তো বসে আছো কেন ? অহনাকে বলছো না কেন তোমার ভালবাসার কথা । হয়তো তোমার হাত ধরেই ও ওর নতুন জীবনটা শুরু করতে পারবে । প্লিজ রাফিন !

– আমি অহনার সাথে দেখা করবো ।
– আচ্ছা ঠিক আছে । আমি তোমাদের দেখা করিয়ে দিব । কোথায় দেখাকরবে আমি সব ঠিক করে তোমাকে জানাবো । এবার আর কোন ভুল কর না রাফিন ।
– না , এবার আর কোন ভুল নয় ।
– তুমি পারবে ! আচ্ছা আমি এখন চললাম । তোমার নাম্বারআমার কাছে আছে । আমি সব জানাবো সময়মত ।
– ওকে , আবার দেখা হবে ।

কি থেকে কি হয়ে গেল ? মাথায় কিছুই কাজ করছে না অনেকক্ষণ ধরে অপেক্ষা করছি । অবশেষে অপেক্ষার প্রহর শেষ হল , দিশা আরঅহনা আসলো। তোমরা কথা বল , এই কথা বলে দিশা সরে গেল

– ভাল আছো , অহনা ?
– হ্যাঁ , তুমি ?
– মিথ্যা বলছো কেন ? আমি জানি তুমি ভাল নেই ।
– আরেহ না , ভাল আছি তো ।
– আমি সব জানি । আবির তোমারসাথে এরকম করবে তা আমি কখনো স্বপ্নে ও কল্পনা করি নি !
– তাহলে তো দেখছি সব জেনেই গেছো ।
– দিশা যদি না বলতো তাহলে কখনোই জানতাম না ! কোন দিন তো যোগাযোগ ও করো নি ।
– কোন মুখ নিয়ে যোগাযোগ করতাম ? যে মুখ দিয়ে তোমার মত ভাল বন্ধুকে দূরে সরিয়ে দিয়েছিলাম ?

– আমি কিন্তু দূরে সরে যাই নি , তোমার পাশেই ছিলাম । কিন্তু , এখন শুধু বন্ধু হয়ে নয় আরো বেশি কিছু হয়ে তোমার পাশে থাকতে চাই !
– মানে ?
– আমি তোমাকে ভালবাসি , অহনা !
– করুণা দেখাচ্ছো ?
– যদি করুণা দেখাতে হত তাহলে এতদিন ধরে ভালবেসেআসতাম না ।
– কি ?
– আমি তোমাকে অনেক আগে থেকেই ভালবাসি । একদম কোচিং এর শুরু থেকেই । কিন্তু তা আর বলার সুযোগ পাই নি । এখন সুযোগ পেয়েও আমি আবার তোমাকে হারাতে চাই না । প্লিজ , অহনা !
– আমার ভয় করে যদি আবার কষ্ট পেতে হয় ?
– আমাকে বিশ্বাস করতে পার , কোনদিন কষ্ট পাবে না । হাতে হাত রাখবে ?
– হাতটা তো আগে বাড়াবে !

এই কথা বলে হাসতে শুরু করলো অহনা । আমিও অহনার হাতটা শক্ত করে ধরলাম , আর কোনদিন ছাড়বো না এই হাত,,,

গল্পের বিষয়:
ভালবাসা
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত