বিয়ে

বিয়ে

রাত আটটার দিকে যখন বন্ধুদের নিয়ে টিএন্ডটি মাঠে আড্ডা দিচ্ছিলাম,হঠাৎ বাবার ফোন সাধারণত বাবা আমাকে কখনোই ফোন দেন না রাতে অবশ্যই না.বাবার মতে আমার মত অপদার্থ তিনি দ্বিতীয়টি আর দেখেননি ফোন পেয়ে কিছুটা ভয়ও কাজ করলো,আমি খারাপ কিছুতো আবার করিনি!! ভয়ে ভয়েই বাবার ফোন ধরতেই, তোর ফোন ধরতে এত্তক্ষণ লাগলো ক্যান?

-জ্বী আব্বা শুনতে পাইনি.
-কি করছিলি যে শুনতে পাসনি?যেইখানে থাকিস ত্রিশ মিনিটের মধ্যে যাত্রাবাড়ী আয়

আমাকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই বাবা কল কেটে দিলেন.আমি ভাবতে লাগলাম আমার বাবা আমার জন্য বুঝি প্লেন পাঠিয়েছেন,বনানী থেকে যাত্রাবাড়ী দুই ঘন্টাও যেতে পারবো কিনা সন্দেহ আছে হঠাৎ খালার বাসায় কি এমন হলো যে আমাকে যেতে হবে!! রাত সাড়ে নয়টার দিকে খালার বাসায় পৌঁছালাম,বাসায় গিয়ে দেখি আমাদের ফ্যামিলি, খালার ফ্যামিলি ছাড়াও ছোট চাচার ফ্যামিলিও এসেছে বাবা আমাকে দেখেই আগুন চোখ নিয়ে জিগ্যেস করলো, এত্তক্ষণ লাগে আসতে? আমি যদি আম্মার কসম দিয়াও বলি জ্যামে ছিলাম,বাবা বলবে কোথায় বসে নেশা টেশা করছিলি সেটা বল!!
সো চুপ থাকাই ভালো.

খালার বাসায় আসার কারন জানতে পারলাম দশ মিনিট পর.শিফার সাথে নাকি আমার বিয়ে!! যে মেয়ে আমাকে বিয়ে তো দূরে থাক দুচোখে দেখতে পারেনা সে কেন বিয়েতে রাজি হলো মাথায় ডুকলো না শিফা খালাতো বোন,কোন এক কারনে শিফা ছোট বেলা থেকেই আমাকে দেখতে পারতো না.অথচ খালা বলতে আমার প্রাণ ছিলো ছোট বেলায় যখন খালার বাসায় বেড়াতে যেতাম তখন শিফার সাথে খেলার জন্য ওকে জোর করে টেনে নিয়ে যেতাম,ও আমার সাথে খেলতো চাইতো না দেখে চুল টেনে দিতাম ওমনি নাক চোখ ফুলিয়ে এত্ত জোরে কান্না করতো যেন আমি ওকে খুন করেছি. খালা চিৎকার শুনে এসে শিফাকে জিগ্যেস করতো কাঁদছিস কেন? ও আমার দিকে আঙ্গুল তুলে বলতো মেরেছে খালা আমাকে বলতো মেরেছিস কেন? আমি বলতাম ও কেন আমার সাথে খেলেনা?

শিফা আরো জোরে কান্না করতে করতে বলে তুমি পঁচা,আমি তোমার সাথে খেলবো না খালা আমাদের ঝগড়া দেখে হাসতে হাসতে বলতো তোদের দুইটারে নিয়া আর পারা যায়না বড় হলে দুইটারে বিয়া দিবো,তখন দেখবো দুইটা কত চুল ছেঁড়া ছিঁড়ি করতে পারিস একটা সময় বড় হয়ে গেলাম,শিফার সাথে আমার তেমন কথা হতো না,বড় হওয়ার পরে খালা মাঝে মাঝে আমাদের বাসায় আসলেও শিফা আসতো না হয়তো আমার জন্যেই আসতো না.

বাসায় এত গুলা মানুষ থাকলেও খালা ছাড়া আর কেউ আমারে দাম দেয় না ভাবলাম গেস্ট রুমে গিয়ে কতক্ষণ গেমস খেলি,গেস্ট রুমে গিয়ে দেখি আমার পিচ্ছি চাচাতো বোন মিহি দুই হাতে দুইটা মিষ্টি নিয়ে খাচ্ছে. সামনে এক প্লেট মিষ্টি. এই পিচ্ছি যে কত খেতে পারে আল্লাহ জানে দিন দিন আলুর বস্তা হচ্ছে তবুও খাওয়ায় কোন কমতি নেই পাশে বসে মাথা হাত বুলিয়ে মিহিকে বললাম,মিহি আপু তুমি যদি বলতে পারো তোমার শিফা আপুর কেন বিয়ে হচ্ছে তাহলে আমি তোমাকে আস্ত একটা পিৎজা খাওয়াবো পিচ্ছি ৭০/৮০ বছরের বুড়ির মত চোখ কপাল টেনে বলল,ইয়ে, রোমন ভাইয়া তুমি জানোনা,শিফা আপুকে না একটা বদ ছেলে বিয়ে করবে বলছে বিয়ে না দিলে বলছে জোর করে তুলে নিয়ে বিয়ে করে ফেলবে.তাই তোমার সাথে বিয়ে দিচ্ছে.
ওহ তাই বুঝি?!

আচ্ছা আজকে তুমি এই বাসায় যা আছে এইগুলা খেয়ে শেষ করো,কাল আমি তোমাকে পিৎজা এনে খাওয়াবো.
সবার কর্মব্যস্ততা দেখে মনে হলো, সবাই আমার স্বাধীন জীবনকে পরাধীন করতে আমার বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য ট্যাংক,কামান,মিসাইল নিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছে একটু পরেই কবুল বলার মধ্য দিয়ে যুদ্ধ শুরু হবে,তারপরই আমাকে পরাধীন করে শিফা নামক মার্কিন মেরিন সেনা আমার ঘাড়ে চাপিয়ে দিবে.

রাত এগারোটায় শিফা আর আমার বিয়ের মধ্য দিয়ে আমার সর্বনাশের ষোলকলা পূর্ণ হয়েছে বিয়ে হলে নাকি বাসার হয়,যদিও আমার তাতে আগ্রহ নাই.বাসর তো দূরের কথা,সারা রাত ছাদে বসে-দাড়িয়া মোবাইলের প্লে লিস্টে থাকা সমস্ত গান শুনে কাটলো পরেরর দিন শিফাকে আমাদের বাসায় নিয়ে আসা হলো.এর মধ্যে শিফার সাথে আমার একবারও কথা হয়নি ইতি মধ্যে আমার বন্ধু মহলের সবাই জেনে গেছে আমিও বিবাহিত চিড়িয়াখানার জন্তুতে পরিনত হয়েছি যদিও তারা ২০টাকার টিকেট কেটে আমাকে দেখতে না আসলেও আমার বৌকে ঠিকই হাবিজাবি নিয়ে দেখতে আসে.

সারাদিন অনেক ধকল গেছে,রাতে ঘুমাতে যাবো রুমে গিয়ে দেখি মার্কিন মেরিন সেনা একপাশে শুয়ে অন্য পাশে কোলবালিশ কে আড়াআড়ি ভাবে রেখেছে যেন আমি ঘুমোতে না পারি কি আর করবো,নিরীহ প্রাণী বলে কথা.ইরাকি জনগন যেমন মার্কিন আগ্রাসন সহ্য করে,আমার তেমনি সহ্য করতে হবে.বালিশ চাদর নিয়ে ফ্লোরে ঘুমিয়ে গেলাম এতদিন বেকার ছিলাম বলে বাবার ঘ্যান ঘ্যান শুনতে হতো,এখন যেই দেখছে সেই এসে জ্ঞান দিয়ে যাচ্ছে.আর কত বাবার ঘাড়ে বসে খাবি?এবার বিয়ে করেছিস এখন তো কিছু একটা কর তাদের কথা শুনে মনে বিয়াটা আমি ইচ্ছে করে করেছি.

তিনদিন পরেই আমার একটা চাকরী জুটলো,মার্কিন মেরিন সেনার বডিগার্ড হিসেবে আমাকে নিয়োগ দেওয়া হলো.
এতো করে বললাম আব্বা ও একাই একশো,ও একা একাই যেতে পারবে.আমার মত একটা নিরীহ ছেলেকে কেন এর মধ্যে টানছেন? আব্বা বললেন থাপ্পড়াইয়া তোর দাঁত কপাটি খুলে ফেলবো বেয়াদব.যা বলছি সেটা কর এরপর রোজ নিয়ম করে সকালে তাকে কলেজে দিয়ে আসতে হয়,আবার বিকেলে নিয়ে আসতে হয় একদিন বিকেলে আনতে গিয়ে দেখি ও ওর বন্ধুদেরসাথে আইসক্রিম খাচ্ছে,কয়েকটা ছেলেও ছিলো,আমার প্রচণ্ড রাগ হলো.বৌ হচ্ছে আমার,ব্যাটা তোরা ক্যান আমার বৌ এর সাথে আইসক্রিম খাবি!!

আমার সাথে সবার পরিচয় করিয়ে দিলো খালাতো ভাই হিসেবে সেদিন বাসায় আসার পর বললাম আমার সাথে বাহিরে ঘুরতে যেতে,কিন্তু ও রাজি হলো না আমি যে ওর স্বামী এটা মনে হয় ওর মনেই হয়না আমার প্রতি ওর কোন কেয়ার নেই.রাতে খাওয়ার সময়ও কোনদিন ডেকে বলেনি খেতে আসো,চুপচাপ খেয়ে এসে ঘুমিয়ে যাবে কেন জানি ওর অগ্রাহ্য গুলোই ভালো লাগতে শুরু করলো,কিন্তু কখনোই প্রকাশ করতাম না.ও যেই মেয়ে,হয়তো আমি তাকে ভালোবাসি শুনলে বলবে আমি আপনাকে স্বামী হিসেবেই মানিনা ওর সাথে যখন গাড়িতে করে যেতাম, আমি চাইতাম ও আমার কাধে মাথা রেখে ঘুমিয়ে যাক,কিন্তু এমনটা কখনওই হতো না ইচ্ছে হতো বুকে জড়িয়ে ঘুমোতে,কিন্তু আমার জায়গা তো বিছানাতেও হয়না আমাদের বিষয়টা মা বাবা বুঝতো কিনা জানিনা,মা জিগ্যেস করেছিল তুই শিফার সাথে কথা বলিস না?

-বলিতো.তোমরা খেয়াল করো না হয়তো.সারাদিনই তো কথা হয় সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা খেলাম খালার বাসায় যাওয়ার পর. আমাদের চালচলন দেখে খালা সন্দেহ করলো  আমাকে ডেকে নিয়ে বললো আব্বু শিফা কি তোমাকে মেনে নেয়নি?

আমি কি বলবো বুঝতে পারছিলাম না.খালাই আমাকে বেশী বুঝতো খালাকে বললাম সমস্যা নেই,ও এখনো ছোট ঠিক হয়ে যাবে ওকে বিভিন্ন ভাবে ইমপ্রেস করার চেস্টা করতাম,ওকে দেখে মনে হতো না ইমপ্রেসড হয়েছে উল্টো মনে হতো ও আমাকে আরো বেশী ঘৃণা করছে সেদিন ফন্দী করলাম যেই করেই হোক বিছানায় ওর সাথে ঘুমাবো. যেই ভাবা সেই কাজ ও ঘুমোতে যাওয়ার আগেই আমি বিছানায় এসে শুয়ে পরলাম. ও যখন এসে দেখলো আমি শুয়ে আছি আমাকে বলল….

-আপনি আমার বিছানায় কেন?
-কে বলল এটা তোমার বিছানা? আমি তোমার স্বামী…তোমার যা আমারও তা.
-আমি আপনাকে স্বামী হিসেবে মানি না.
-মানলে মানো,না মানলে শুয়ে পড়ো.

-আমি আপনার সাথে ঘুমাবো না,উঠুন আপনি আমি উঠছিনা দেখে ও বালিশ টান দিয়ে আমাকে ফেলে দিলো, আমি জানিনা তখন আমার কি হলো,রেগে উঠে গিয়ে ওকে খাটের সাথে দুইহাতে চেপে ধরলাম ওর ঠোঁট আমার ঠোঁটের চেয়ে মাত্র কয়েক সেন্টিমিটার দূরে ও বুঝতে পরলো ওর সাথে কি ঘটতে চলেছে.

-দেখুন এটা ঠিক না,আপনি আমাকে ছেড়ে দিন তারপর ও কাজটা করলো তা আমি কখনো ভাবিনি এক ধাক্কায় আমাকে নিচে ফেলে দিলো,পড়ে গিয়ে চেয়ারের বের হয়ে থাকা তারকাটার সাথে হাত চিলে গেলো হাত থেকে অঝরে রক্ত বের হতে লাগলো নিজের মধ্যে অপমানবোধ জাগলো যদিও স্ত্রীর হাতে স্বামী নির্যাতিতটা ব্যাপারটা কেউ দেখেনাই,তবুও আমি ওর স্বামী.আমার যদি এই সামান্য অধিকারটুকুও না থাকে তাহলে কিসের এই বাঁধন?!! হাত এতটাই কেটেছে যে দুইটা সেলাই পর্যন্ত দিতে হয়েছে মা বলল কেমনে কাটছিস আমি বললাম বিছানা থেকে পড়ে গেছি.

সেদিন পর থেকেই শিফাকে যথা সম্ভব এড়িয়ে চলা শুরু করলাম যার কাছে আমার জন্য বিন্দু মাত্র ভালোবাসা নেই তার কাছে বারবার অপমান হওয়ার কোন মানে নেই  বাবার কল্যাণে একটা ছোটখাটো চাকরী পেয়েছি সকালে অফিস যাই,রাতে অফিস থেকে ফিরে ফ্রেশ হয়ে আবার বাসা থেকে বের হয়ে যাই ফিরি এগারো অথবা বারোটায় ইদানীং মার্কিন মেরিন সেনার কি হয়েছে কে জানে, আমি যত রাতেই আসি না কেন আমার জন্য খাওয়ার টেবিলে বসে থাকে,মুখে অবশ্য কিছু বলেনা আমিও পাত্তা না দিয়ে শুয়ে পড়ি অফিস থেকে বাসায় আসলে আমার রুমের সামনে ঘুরঘুর করে.সেজেগুজে থাকে শাড়িও পড়া শুরু করেছে আমাকে দেখলেই মুখে হাসি এনে রাখে,অথবা চোখ নামিয়ে নখ দিয়ে আঙ্গুল খামচায় সকালে কলেজ যাওয়ার জন্য আমার রুমের সামনে এসে দাড়িয়ে থাকে, মা বলেছিলো ড্রপ করে আসতে,আমি অফিস যাওয়ার কথা বলে পাশ কেটে যাই.

শিফা কথন :- আমার ছোট থেকে এখন পর্যন্ত একটা মানুষকেই দেখে গা জ্বালা করে সেটা রোমন ভাই ছোট বেলায় আমাকে কত মেরেছে…. ভেবেছে আমি এইসব ভুলে যাবো আর সেই রোমন ভাইয়াকেই আমার বিয়ে করতে হলো পাড়ার পুঁচকে মাস্তান খন্তে জসিমের হাত থেকে আব্বু আমাকে বাচাঁতে তার চেয়ে বড় মাস্তানের হাতে আমাকে তুলে দিলো!! আব্বু আম্মুকে একটু বেশীই ভালোবাসি কিনা তাই বিয়েতে মানা করতে পারিনি কিন্তু আমিও দেখবো ব্যাটা রোমন কতদিন আমার অত্যাচার সহ্য করে সেদিন আমার বন্ধুদের সামনে আসছে নায়ক হতে,আমি পরিচয় করিয়ে দিয়েছি খালাতো ভাই বলে.

ইশ তখন তার মুখটা দেখার মত ছিলো.কি যে মজা লেগেছে বেচারার মুখখানা দেখে রাতে ঘুমাতে এসে দেখি ছাগলটা আমার বিছানায় ঘুমাচ্ছে!! এহ আসছে আমার সাথে বিছানায় একসাথে ঘুমাতে,দিছি ধাক্কা দিয়ে ফেলে মজা বুঝুক এবার শয়তানটা কিন্তু শয়তানটা আমাকে জোর করে কিস করতে আসবো আমি তা ঘুণাক্ষরেও ভাবিনি.আমার কেন যেন অনেক ভয় ভয় লাগছিলো,এত করে বললাম আমাকে ছেড়ে দিতে কিন্তু ছাড়লো না,দিলাম আবার ইশ,আমি সত্যি এমন ভাবে ওনাকে আঘাত করতে চাইনি কতখানি কেটে গেছে,কত রক্ত বের হচ্ছে,সব আমার জন্য হয়েছে কি এমন হতো একটা কিস করলে,তিনি তো আমার স্বামীই ছিলো আমার উপর তো তার অধিকার আছে…

সেদিন পর থেকে রোমন ভাইয়ার (না ভাইয়া না,শুধু রোমন) প্রতি অন্যরকম ফিলিংস হতে লাগলো আমি তাকে কত কষ্ট দিয়েছি,আমাকে কোনদিন কিছু বলেনি, কষ্ট করে ফ্লোরে ঘুমালেও কোনদিন অভিযোগ করেনি  ইদানীং ছাগলটার জন্য কত কষ্ট করে শাড়ি পড়ি,তবুও ছাগলটা একটুও দেখেনা এত রাত পর্যন্ত একসাথে খাবো বলে বসে থাকি, একটু জিগ্যেসও করেনা আমি খাবো কিনা এখন আর আমার সাথে কলেজও যায় না আমাকে এত ইগ্নোর করছে আমার সহ্য হচ্ছেনা অনেক হয়েছে আজকে একটা বিহিত করতেই হবে বাসায় আসার পর মা বললো কোথাও আজ না যেতে বাবা বললো অনেকদিন সবাই একসাথে খাওয়া হয়না খাওয়ার সময় খেয়াল করলাম শিফা আজ অনেক সেজেছে,দেখে মনে হয় আজকে আবার ওর বিয়ে দেওয়া হবে!! যত্তসব আহ্লাদ ঘুমাতে যাবো দেখি শিফা বালিশ নিয়ে আমার রুমে….

-তুমি এই রুমে কেন?
-আমার স্বামীর রুমে আমি থাকবো না তো কে থাকবে!!?
-কে তোমার স্বামী? আমার রুম থেকে যাও..
-তুমি আমার স্বামী… আমার স্বামীর রুম থেকে কোথাও যাচ্ছিনা.
-এই মেয়ে তুমি আমাকে তুমি বলছো কেন? আপনি করে বলো.বলো আপনি……
-পারবো না..
-তুমি যাবে,নাকি তোমাকে বের করে দিতে হবে?

কি ভেবেছো সব ভুলে গেছি? হাতের দাগটা এখানো যায়নি.. ভালো করে ধমকও দিলাম না,এই মেয়ে ভ্যাঁ ভ্যাঁ করে কেঁদে দিলো..আমাকে জড়িয়ে ধরে বলল, প্লিজ আমাকে মাফ করে দাও.তুমি যা বলবে আমি তাই শুনবো.যেই শাস্তি দাও তাই মেনে নিবো.প্লিজ ক্ষমা করে দাও.

-সত্যি তো? আর কখনো এমন করবানা?
-হুম.
-কেঁদে যে আমার বুক ভাসিয়েছো এখন আমার ঠাণ্ডা লাগলে?
-আমি আছি কেন? ঠাণ্ডা লাগতে দিলো তো…
-এত দূরে শুয়েছো কেন?
-যদি আবার ফেলে দাও..
-কি?!! এই দিকে আসো,দেখি কিভাবে পড়ে যাও তুমি..
-এইভাবে জড়িয়ে ধরেছো কেন? গরম লাগে….
-লাগলে লাগুক.. আর ছাড়ছি না..

গল্পের বিষয়:
ভালবাসা
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত