মেয়েঃ- ঐ গাধা।
ছেলেঃ- ঐ শালি,,আমি তোর কোন জনমের দাদা??
মেয়েঃ- ঐ ফকিন্নি কানে কি কম শুনছ নাকি??
ছেলেঃ- না,,বেশি শুনি।
মেয়েঃ- মানে??
ছেলেঃ- শুনলি না,,কানে বেশি শুনে তোর বাবার আগে আমার সিরিয়াল বসালাম..
মেয়েঃ- দেখ কুত্তা মেজাজ গরম করবি না ভাল হবে না কিন্তু বলে দিলাম..
ছেলেঃ- কে বলছে ভাল হবে না,, তাহলে তো আরও ভাল হবে,,, গ্যাস বিল বেঁচে যাবে।
মেয়েঃ- গ্যাস বিল বেঁচে যাবে মানে??
ছেলেঃ- ভাত,,তরকারি আর চুলায় বসাতে হবে না তোর মাথায় বসালেই হয়ে যাবে।।
মেয়েঃ- তবে রে শয়তান!!বলেই কিল-ঘুষি শুরু করেদিল।।
ছেলেঃ- এই তো,, কথায় না পেরে,,এখন শিশু নির্যাতন শুরু করছেন।
মেয়েঃ- কি তুই শিশু!!তুই শিশু হলে আমার পেটে তিন মাসের বাচ্চাটা কার?? [[সবাই অবাক হচ্ছেন তাই না!! চলেন পরিচয়টা দিয়ে দেই,,,,,ছেলেটির নাম মিরাজ আর ঝগড়াটে মেয়েটির নাম রিয়া। এতক্ষন উপরের কথা পড়ে দুজনকে বন্ধু মনে হলেও আসলে তারা স্বামী-স্ত্রী। এখন যেহেতু পরিচয় পর্ব শেষ,, তাই তাদের আর ছেলে- মেয়ে না ডেকে চলেন নাম দিয়েই গল্প শেষ করা যাক ]]
মিরাজঃ- তা,,আমি কি করে জানব??
রিয়াঃ- তুই জানিস না মানে!!তাহলে এই বাচ্চা আমার পেটে কিভাবে আসল??
মিরাজঃ- আমার মনে হচ্ছে আপনি বাচ্চা হওয়ার ট্যাবলেট খাইছেন…..
রিয়াঃ- এই কুত্তা,,বাচ্চা না হওয়ার ট্যাবলেট হয় কিন্তু বাচ্চা না হওয়ার ট্যাবলেট কোথায় পেলি??
মিরাজঃ- তা আমি কি করে বলব??? আমি কি ডাক্তার নাকি??আমি তো ইঞ্জিনিয়ার!!
রিয়াঃ- তার মানে তুই জানিস না!!এই বাচ্চা কার??
মিরাজঃ- অবশ্যই না!!
রিয়াঃ- ঠিক আছে,, তাহলে আমি কালকেই বাপের বাড়ি চলে যাব,,,,,
মিরাজঃ- আচ্ছা যান,,,কিন্তু বাচ্চা জন্ম হলে আমার কাছে দিয়ে যাবেন…..
রিয়াঃ- আমার বাচ্চা আমি তোকে কেন দিব??
মিরাজঃ- কারণ,,, এই তিন মাস যে আমারটা খাইয়ে বড় করছেন…..
রিয়াঃ- কি!! তুই আমাকে খাওয়ার খোঁটা দিচ্ছিস???
মিরাজঃ- শুধু খাওয়ার খোঁটা কেন দিব?? আপনি তো আমারটা পরেনও….
রিয়াঃ- কি!!তুই আমাকে ভাত-কাপড়ের খোঁটা দিচ্ছিস?? আমি আজই বাপের বাড়ি চলে যাব।।।
মিরাজঃ- তাহলে যাওয়ার আগে কষ্ট করে আমার প্যান্টটা খুলে লুংগি পরাইয়া দিবেন প্লিজ,,,আমি একটু লুংগি ড্যান্স দিতে চাই।
রিয়াঃ- কি!!লুংগি ড্যান্স কেন দিবি??
মিরাজঃ- কেন মানে?? একদিনের ভাত- তরকারি বেচে যাবে এই খুশিতে। তবে যাওয়ার আগে দয়া করে আমার কিনে দেওয়া শাড়ি আর ব্লাউজ রেখে যাবেন।
রিয়াঃ- কেন!!এগুলা দিয়া তুই কি করবি???
মিরাজঃ- কি করব মানে!!! বিয়ে করে,, নতুন বউকে গিফট করবো।।
রিয়াঃ- কি বললি তুই??? আমার শাড়ি আর ব্লাউজ তুই অন্য মেয়েকে গিফট করবি!!! তবে রে এই বলে রিয়া মিরাজের উপর ঝাঁপাইয়া পরলো কথাটা বলেই ধাক্কা দিয়ে মিরাজকে খাটের উপর ফেলে ইচ্ছা মতো কিলঘুসি দিয়ে মিরাজের বুকে মাথা লুকিয়ে কাঁদো কাঁদো ভাবে জিজ্ঞেস করলো…
রিয়াঃ- আমার সাথে এমন করিস কেন তুই??
মিরাজঃ- ভালোবাসি যে তাই,,,,,
রিয়াঃ- ভালোবাসার মানুষের সাথে কেউ এমন করে??( কান্না করতে করতে)
মিরাজঃ- কিন্তু আমি করি।।
রিয়াঃ- কিন্তু কেন??
মিরাজঃ- আমার টক- ঝাল ভালোবাসাটুকু যে আপনাকে দিতে চাই,,,,তাই।
রিয়াঃ- থাক!!অনেক রোমান্টিক কথা হইছে!!এবার বল তোমার কি চাই??
মিরাজঃ- আমার তো মিস্টি চাই।।
রিয়াঃ- দুস্টু পোলা…খালি শয়তানি বুদ্ধি মাথায় ঘুরে?আমি জানতে চাইছি,,, ছেলে নাকি মেয়ে চাই???
মিরাজঃ- অহ তাই বলেন ( ১ বালতি হতাশ হয়ে) তাহলে তো আমার মেয়ে চাই।
রিয়াঃ- মেয়ে কেন???
মিরাজঃ- কারণ,,,আমি চাই আমার মেয়েটা আমার বউয়ের মতো মিস্টি দেখতে হোক আর সব থেকে বড় কথা হচ্ছে মেয়েরা বাবার কস্ট যতটা বুঝে ছেলেরা ততটা বুঝে না,,,,তাই গো টুনটুনি পাখি!!!
রিয়াঃ- অহ তাই!!! তাহলে মেয়ের কি নাম রাখবা শুনি??
মিরাজঃ- কি নাম মানে??? অবশ্যই “রিমি”।।
রিয়াঃ- ” রিমি” কেন???
মিরাজঃ- কারণ,,,রিয়া নামের শুরু থেকে “রি” আর মিরাজ এর নাম এর শুরু থেকে “মি” মিলিয়েই হয়ে গেল “রিমি”।
রিয়াঃ- অহ তাই,,,কিন্তু আপনার তো সে আশা পূরন হচ্ছে না মিরাজ সাহেব…..
মিরাজঃ- কি???
রিয়াঃ- কারণ,,,আমার তো একটা ছেলে চাই…
মিরাজঃ- কিন্তু ছেলে কেন???
রিয়াঃ- কেন মানে!! ছেলেরা মায়ের কস্ট বুঝে তাই…
মিরাজঃ- দেখো রিয়া!! একদম মেজাজ খারাপ করবা না আমার মেয়ে চাই মানে মেয়ে চাই।।
রিয়াঃ- দেখো মিরাজ,,,আমার ছেলে চাই তো চাই আর আমি চাই আমার ফাজিল জামাইর মতো দুস্টু হবে,,,,সারা ঘর মাতিয়ে রাখবে…..
মিরাজঃ- না মেয়ে!!
রিয়াঃ- না ছেলে!!
মিরাজঃ- না মেয়ে!!
রিয়াঃ- না ছেলে!!
এদের ঝগড়া থামবে বলে মনে হয় না।। কারণ,,,এই মিস্টি ঝগড়াগুলোই হলো” ভালোবাসার কেমেস্ট্রি”। যা লাইফের এক সমযোজী ও আয়োনিক বন্ধন। যা মাঝে মাঝে ছোটখাটো মন অভিমানের সময় মনে হলে,,,প্রিয় মানুষটার কাছে ফিরে আসতে সাহায্য করে। বেঁচে_থাক_রিয়া_আর_মিরাজের_এই_ভ ভালোবাসা অনন্তকাল_ধরে।
সমাপ্ত