‘ছেলেটা তো অনেক ভালো ছিলো। তবু কেনো প্রস্তাব টা ফিরিয়ে দিলি?
আর কতগুলো প্রস্তাব তুই এভাবে ফিরিয়ে দিবি?
যতগুলো তুমি নিয়ে আসবে ঠিক ততগুলো।
তুই আসলে কি চাস আমাকে একটু খুলে বল তো?
আমি চাই তোমরা আমাকে এই ব্যাপারে আর জোরাজুরি করো না।
তোর কি কোনো পছন্দ আছে? সত্যি করে বল?
হুম মা আছে।’
কে ছেলেটা কি করে? বল তার সাথেই তোর বিয়ে দিবো।
হেসে উঠে দিবা।
মা আমার কোনো পছন্দ নেই। আমি যদি তোমাদের বোঝা হয়ে না যাই তবে বিয়ে কর বিয়ে কর বলে আমার মাথা টা গরম করে দিও না।
বিয়ের প্রতি তোর এত অনীহা কেন? তোর বয়স এই বছরে ত্রিশ এ পড়বে।
তোকে দেখে বয়স বুঝা যায় না তাই কোনো ছেলে ই এই পর্যন্ত তোকে অপছন্দ করে নি।
তুই ই সব ছেলে কে রিজেক্ট করেছিস। আমরা বেঁচে থাকতে তোর একটা গতি না করলে মরে ও ত শান্তি পাবো না।’
আর কত গতি করতে চাও আমার। ছোট বেলা থেকে খুব ভালভাবে পড়াশুনা করিয়েছো যাতে জীবনে অনেক বড় হতে পারি। আজ আমি ব্যাংক এ অনেক বড় পদে আছি। বেতন ও অনেক ভালো। ভালোভাবে চলছি ফিরছি নিজের মত করে অনেক সুখে আছি। আর সুখে আমি থাকতে চাই না মা।’
এটা কোনো কথা হলো। বয়স হলে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে হবে এটাই ত চিরাচরিত নিয়ম। কেনো এত পাগলামি করছিস তুই?
তোর কি মা ডাক ও শুনতে ইচ্ছে করে না?
না করে না।। যাও ত তুমি এখন জালিও না।
দীর্ঘনিশ্বাস ছেড়ে উঠে গেলেন রেশমা বেগম।
তিনি রুম থেকে বের হয়ে যাওয়ার পরে আরো একটি দীর্ঘনিশ্বাস শোনা গেলো রুমে।
বুকের খুব গভীর থেকে উঠে আসা দীর্ঘনিশ্বাস টি।
আবারো দিবার মনে পড়ে যায় খুব যতনে পুষে রাখা গোপন কষ্ট টিকে।
ভার্সিটি ছিল সব সময় দিবার স্বপ্নের জায়গা। কারন সে জানতো ইন্টারমিডিয়েট পর্যন্ত মায়ের ছায়াতলে থাকা এই জীবনটা র স্বাধীনতা মিলবে ভার্সিটি তে উঠলেই।
তা ই হলো। নতুন নতুন সব কিছুই তার রঙিন লাগতো। মনে হত জীবনটা কত সুন্দর।
কতগুলো বন্ধু ও জুটিয়ে ফেলেছিলো। হাসি আড্ডা গান বেড়াতে যাওয়া সব মিলিয়ে নতুন একটা জীবন শুরু করেছিলো সে।
কিন্তু তার জীবনে একটা সীমাবদ্ধতা রেখেছিলো সে। অনেক প্রেমের প্রস্তাব পেয়েছিলো প্রথম থেকেই কিন্তু কোনোটাই সে গ্রহন করে নি। আসলে প্রেম করবে এসব ভাবনাই তার মনে কখনো আসে নি। তাই কখনো এসব প্রেমের প্রস্তাব কে সে পাত্তা ই দেয় নি।
কিন্তু তার জীবনেও হঠাৎ করে একদিন রাজকুমারের আর্বিভাব হয়।
দিবার বান্ধবী জয়ী র জন্মদিনের দাওয়াত ছিলো সেদিন। বন্ধুরা সবাই দলবেঁধে গিয়েছিলো। হই হুল্লোড় করে তারা মাতিয়ে দিয়েছিলো অনুষ্ঠান কে।
জয়ী র পরিবারের ও অনেকে এসেছিলো দাওয়াতে।
তাদের মধ্যেই ছিলো অভি। জয়ীর খালাতো ভাই। লন্ডন থেকে পিএইচডি করে সবে ফিরেছে।
অভির চোখ পড়েছে দিবার উপর। দিবার প্রানোচ্ছলতা খুব টানছিলো অভিকে।
পরদিন ক্লাসে জয়ী বলে, ‘ আজ ক্লাস শেষে তুই একটু আমার সাথে বের হইস তো’
কোথায় যাবি?’
তোর জন্য একটা সারপ্রাইজ আছে।
খুব একটা পাত্তা দেয় না দিবা। জয়ী নির্ঘাত ফাজলামো করছে।
ক্লাস শেষে দুজন বের হয়। একটা কফি শপে ঢুকে ওরা।
পুরো দোকান টা খালি কিন্তু খুব সুন্দর করে কাঁচা ফুল দিয়ে সাজানো। দেখেই মনটা ভালো হয়ে যায়। কিন্তু এরকম সুন্দর একটা কফি শপ এমন ফাঁকা কেনো?
কেমন জানি খটকা লাগলো দিবার মনে।
হঠাৎ খেয়াল করলো কর্নারে একটি ছেলে হাতে একগুচ্ছ গোলাপ নিয়ে বসে আছে। আরে এতো জয়ী র খালাতো ভাই কি যেন নাম মনে করতে পারলো না দিবা।
জয়ী হাত ধরে টেনে নিয়ে যায় ওকে অভির কাছে।
অভি উঠে দাঁড়ায়।
দিবা কে অবাক করে দিয়ে হাঁটু গেড়ে বসে গোলাপ গুচ্ছ এগিয়ে দিয়ে বলে, ‘দেখো দিবা আমি সরাসরি কথা বলতে ভালোবাসি। জয়ী র জন্মদিনে তোমাকে দেখে আমার শুধু মনে হয়েছে এত দিন আমি যাকে খুঁজছিলাম তুমি ই সে।
তাই আর দেরি করার ঝুঁকি নিলাম না। তোমাকে প্রপোজ করার জন্য আর তর সইছিলো না। আমি আর জয়ী মিলে প্ল্যান করে কফি শপ টা শুধু তোমার জন্য ই সাজিয়েছি। আমাকে কি চিরদিনের মত তোমাকে ভালো রাখার, ভালোবাসার সুযোগ দিবে?
তোমার সুখ দুঃখের ভাগীদার করবে আমায়?’
দিবা একদম চুপ। ঘটনার আকস্মিকতায় সে কি বলবে বুঝে উঠতে পারছে না।
শুধু বললো, ‘ আমি পরে আপনার সাথে কথা বলি। ‘
একথা বলে বেরিয়ে এলো দিবা। এতক্ষণ তার দম বন্ধ লাগছিলো এখন মনে হচ্ছে একটু শ্বাস নিতে পারছে।
পরদিন ক্লাসে
জয়ী বললো, ‘ তুই এভাবে চলে এলি কেন? ভাইয়া তোর জন্য কত কষ্ট করে সব এরেঞ্জ করেছে। আর তুই কিছু না বলেই এভাবে চলে এলি?’
;’আমি ত বলিনি আমার জন্য এভাবে নাটকীয় ভাবে সব করতে। দেখ হঠাৎ করে এরকম পরিস্থিতিতে তুই আমাকে কেনো ফেললি?
তোর কাছে ত আমি এরকম আশা করি নি।’
;’দেখ ভাইয়া দেশে এসেছে বিয়ে করতে কিন্তু
কোনো মেয়ে ই ভাইয়ার পছন্দ হচ্ছিলো না। সবাই হতাশ হয়ে পড়েছিল ভাইয়াকে নিয়ে। ঠিক এসময় ভাইয়া তোকে পছন্দ করলো। শুধু পছন্দ না ভাইয়া তোর প্রেমে পড়ে গেছে।
কাল তুই এভাবে চলে আসার পর ও ভাইয়া কিচ্ছু মনে করে নি। বরং দুঘন্টা বসে বসে আমার কাছ থেকে তোর ভালোলাগা খারাপ লাগা পছন্দ অপছন্দ সব শুনলো। ভাইয়া তোর ব্যাপারে খুব ডিটারমাইন্ড।’
দিবা কিছুক্ষণ চুপ থেকে বললো,’ দেখ ভালবাসা ত এভাবে বলে কয়ে হয় না। আর এসব ব্যাপারে আমি খুব একটা ইন্টারেস্টেড ও না। তুই তোর ভাইয়া কে বলে দে এসব পাগলামো না করে অন্য কোনো মেয়ে দেখে বিয়ে করে ফেলতে।’
;’আমি ভাইয়াকে খুব ভালো করে চিনি ভাইয়া যা চায় তা সে অর্জন করে ই ছাড়ে। মনে হয় না ভাইয়া এত সহজে হাল ছাড়বে।’
বাসার কলিংবেল বাজছে। দিবা দরজা খুললো।
একটা বাক্স এসেছে কুরিয়ারে। ওতে তার নাম লেখা। অবাক হয় সে। রুমে এসে বাক্স খুলে দেখে এক বাক্স তিন গোয়েন্দার বই। এত বড় হয়ে ও সে মন্ত্রমুগ্ধের মত এখনো তিন গোয়েন্দা পড়ে। কিন্তু এগুলো এলো কোথেকে?
সাদা একটা চিরকুট দেখা যাচ্ছে ।
হাতে নিয়ে দেখে ওতে লেখা, ‘তোমার পছন্দের আমি মুল্য দিতে জানি, অভি। ‘
বসে পড়ে দিবা। পাগল নাকি ছেলেটা। এমন করছে কেনো?
ফোন বাজছে। জয়ী ফোন করেছে।
;’কিরে তোর জিনিস বুঝে পেয়েছিস ত?’
দিবা একটু খেপে যায়।
;’এসব তো আমার জিনিস না। তোর ভাইকে বল এসব পাগলামি বন্ধ করতে।’
;’আচ্ছা বাবা বলবো।
শুন আজ বিকেলে মুভি দেখতে যাব যাবি নাকি?’
একথা শুনে উৎফুল্ল হয়ে উঠে দিবা। হলে গিয়ে মুভি দেখার মধ্যে অন্য রকম এক আনন্দ পায় সে।
;’অবশ্যই যাব।’
;’তাহলে ৪ টার দিকে সরাসরি হলে চলে আসিস ওখানেই তোর সাথে দেখা হবে,’
;’ওকে।’
বলে রেখে দেয় দিবা।
বিকেলে হালকা সেজে বের হয় দিবা। হলের সামনে এসে দেখে জয়ী দাঁড়িয়ে আছে।
টিকেট টা দিবার হাতে দিয়ে জয়ী বলে,
;’ শুন তুই ভেতরে গিয়ে বস আমি পপকর্ন কিনে নিয়ে আসি।’
ভেতরে এসে বসলো দিবা। মুভি শুরু হয়ে গিয়েছে। জয়ী র কোনো খবর নেই। এখটু পর দিবা দেখে জয়ী র সিটে অভি এসে বসেছে হাতে পপকর্ন। মিটিমিটি করে হাসছে সে।
কি বেহায়া ছেলে রে বাবা। দিবা মনে মনে ভাবে।
সেদিন ছিল দিবার জন্মদিন। ভার্সিটি থেকে ফেরার পথে এক পিচ্চি ওর হাতে এক গাদা কাগজ ধরিয়ে দিলো। দূরে তাকিয়ে দেখে অভি দাড়িয়ে আছে। দূরে তাকিয়ে চোখ রাঙিয়ে কাগজ হাতে নিয়ে বাসায় চলে আসে সে।
ফ্রেশ হয়ে কাগজ গুলো হাতে নেয়। গুনে দেখে ২০ টা কাগজ। একটা একটা করে দেখতে থাকে। প্রতিটির মধ্যেই বড় করে লেখা শুভ জন্মদিন।
শেষ টায় এসে থমকে যায় সে… লেখা..
,’ একের ঘর ছেড়ে দুইয়ের ঘরে তোমার বয়সের পদার্পন হয়েছে। এখনি সময় তোমার ও একা থেকে দোকা হবার। সময় ও সুযোগ এভাবে হেলায় নষ্ট করোনা। তোমার সাথে তোমার আশিতম জন্মদিন একসাথে উদযাপন করতে চাই। ‘
হেসে ফেলে দিবা। এত পাগল মানুষ হয়!
দিন কে দিন অভির পাগলামো বেড়েই চলে । এভাবে মাস তিনেক কেটে যায়।কিন্তু দিবা এখনো তার সিদ্ধান্তে অটল।
দুইদিন হলো দিবা খেয়াল করলো অভির কোনো খবর নেই। রাস্তায় চলার সময় তার মনে হল এই বুঝি অভি কে দেখবে।
বার বার মনে হতে থাকলো এই বুঝি অভির কোনো পাগলামি তার সামনে এসে হাজির হবে।
কিন্তু না কোনো খবর নেই অভির। বুকের মধ্যে কেমন যেন চিনচিন ব্যাথা অনুভব করলো দিবা। রাতে ঘুম আসছিলো না তার। বার বার অভির কথা মনে পড়ছে। কেমন অস্থির লাগছে। এই অনুভুতির সাথে আগে কখনো যোগাযোগ ঘটে নি তার।
পরদিন ক্লাসে জয়ী আসতেই জয়ী কে জিজ্ঞেস করলো,
;’ কিরে তোর ভাইয়ের পাগলামি কি সেরে গেছে?’
জয়ী মন খারাপ করে বললো,’ এভাবে বলিস না। ভাইয়া এক্সিডেন্ট করেছে। অল্পের জন্য প্রানে বেঁচেছে। কিন্তু মাথায় আর হাতে খুব ব্যাথা পেয়েছে। এখন হাসপাতালে ভর্তি।’
আর কিছু বলতে পারে না দিবা। সে বুঝতে পারে না তার এত খারাপ লাগছে কেন?
সপ্তাহ খানিক পর ভার্সিটি যাওয়ার পথে হঠাৎ করে অভির আগমন। হাতে ব্যান্ডেজ বাঁধা।
;’ কেমন আছেন এখন আপনি? ‘
দিবা জিজ্ঞেস করে।
;’ভালো নেই। আমার ত শরীর অসুস্থ আর মনটা খুবই অসুস্থ।
গত এক সপ্তাহ তোমার সাথে দেখা হয় নি বলে।
এই যে দেখো আমি প্রতিদিন তোমার কথা মনে করেছি আর ব্যান্ডেজ এ লিখে রেখেছি, ;’মিস উ দিবা।’
দিবার চোখ ছলছল করে উঠে। সে বলতে চেষ্টা করে, আমি ও আপনাকে মিস করেছি। কিন্তু বলতে পারে না। অভি বলে উঠে তোমাকে দেখে আমি বুঝতে পারছি তুমিও আমাকে অনেক মিস করেছো।
দিবা অবশেষে অভির প্রেমে পড়েই যায়।
শুরু হয় দুজনের রঙ্গিন পথচলা। দিবার জীবনের সবচেয়ে সুখের সময়। ভালবাসা দিয়ে প্রতিটি মুহুর্তকে অনন্য করে দিয়েছিলো অভি।
এরমধ্যে খবর আসে কিছু কাজে অভি কে লন্ডন ফিরতে হবে। তখন অভি এক অদ্ভুত গোঁ ধরে । সে দিবা কে বিয়ে না করে কিছু তেই যাবে না। দিবা কত বুঝালো এখন সম্ভব না তার বাবা মা এত তাড়াতাড়ি তাকে বিয়ে দিবে না । কিন্তু অভি শুনলো না।
সে দিবার বাসায় বিয়ের প্রস্তাব পাঠাল । দিবার বাবা মা বললেন তারা এখন মেয়ের বিয়ের কথা ভাবছেন না। পড়াশুনা শেষে তবে ই মেয়ের বিয়ে দিবেন।
কিন্তু অভি নাছোড় সে দিবা কে বললো,;’ তাহলে এখন আমরা কোর্ট ম্যারিজ করে রাখি পরে সময় হলে সামাজিক ভাবে বিয়ে করব’।
দিবার তাতে সায় নেই । কিন্তু শেষ পর্যন্ত অভি ইমোশনালি বাধ্য করলো দিবাকে।
বিয়ের দিন সারা দিন দিবা কেঁদেছে ।
এর মাস খানেক পরেই অভি চলে গেলো।হঠাৎ করে দিবার মনে হলো সে শূন্যতায় ভাসছে। এতটা মিস করছিল সে অভি কে।
কিছুদিন পর দিবা তার মধ্যে আরেকটা জীবনের অস্তিত্ব টের পেলো । দিশেহারা হয়ে পড়লো সে। অভিকে ফোনে সব জানালো । কিন্তু অভি যা বললো তার জন্য সে প্রস্তুত ছিলো না।
অভি বললো,’ নষ্ট করে ফেলো । এখন ও বাচ্চার রেসপন্সিবিলিটি নেয়ার সময় আসে নি ,।’
তাছাড়া তার দেশে ফিরতে বেশ কিছুদিন সময় লাগবে ।
বাবা মা কে কিছু বলার মত মুখ ও নেই দিবার । কি করবে সে ভেবে পাচ্ছে না। বাচ্চাটাকে ত তার বাঁচাতে হবে।
পরদিন জয়ী এলো বাসায় । ওকে ডাক্তার দেখাতে নিয়ে গেলো।
ডাক্তার কি যেন এক ইঞ্জেকশন দিলেন । এরপর আর কিছু মনে নেই দিবার। যখন ওর জ্ঞান ফিরলো টের পেলো তার বাচ্চা টা আর নেই।
পাথর হয়ে গেল সে। জানতে পারলো । অভি ই জয়ী কে দিয়ে এসব করিয়েছে।
সারা টা রাত পেট ধরে পাগলের মত কেঁদেছিল দিবা। অভিকে তার খুনি মনে হচ্ছিলো।
তার বাচ্চার হত্যাকারী।
দুই বছর হয়ে গেলো অভি দেশে ফিরলো না। কিন্তু ডিভোর্স পেপার টা সে পাঠিয়ে দিল ।
সে শুনেছে অভি নাকি আবার বিয়ে করেছে ঐ দেশে। কিন্তু তার দোষ টা কি ছিলো অভি তা জানায় নি।এত ভালবাসা কিভাবে এক নিমিষেই কর্পুরের মত উবে গেলো জানে না সে ।
আর জানতে ও চায় না দিবা। সবার অলক্ষ্যে সে জীবনের কাছ থেকে যে চরম শাস্তি পেয়েছে সব ভুলে যেতে চায় সে।
কিন্তু এ জীবনে আর বিয়ে নয় ।
মনটা তার শুধু হাহাকার করে তার বাচ্চাটার জন্য । বড্ড যে মা ডাক শুনতে ইচ্ছে করে তার।