ভালবাসা পাওয়ার আনন্দের

ভালবাসা পাওয়ার আনন্দের

দেখুন ফর্সা মেয়ে আমার একদম পছন্দ না তাই আপনাকে আমি বউ হিসাবে মানি না তাই আমার কাছ থেকে দূরে দূরে থাকবে।আমার কথা শুনে মেয়েটা অদ্ভুত ভাবে তাকালো আর তাকানোরি কথা বাসর রাতে নিজের হাসবেন্ড এর কাছ থেকে এমন কথা শুনলে অবাক হয়ার ই কথা

-আমাকে কি আপনার পছন্দ হয় নি?
-আমি তো বললাম ফর্সা মেয়ে আমার পছন্দ না
-তাহলে বিয়ে করলেব কেনো?
-বাবার চাপে পরে
-আমি কি দেখতে খুব বাজে?
-না আপনি দেখতে অনেক সুন্দর আর ফর্সা এটাই প্রব্লেম
-কেনো জানতে পারি?
-কারন ফর্সা মেয়েরা লুচ্চা হয় আরো অনেক কারন আছে যা আপনাকে বলতে চাচ্ছি না এই কথা বলাতে মেয়ে আমার দিকে কটমট করে তাকায় আছে

-এভাবে তাকাবেন না রাত অনেক হয়েছে ঘুমিয়ে পরেন আমি ছোফায় ঘুমাচ্ছি
-কেনো আপনি ও খাটে ঘুমান আমার সাথে

-বলেছিনা আপনাকে আমি মেনে নিতে পারবো না বলেই চাদর আর বালিস নিয়ে ছোফায় শুয়ে পরলাম।আমার পরিচয় ই তো দিলাম না আমি রাসেল একটা ছোট খাটো জব করি আমার ফর্সা মেয়ে পছন্দ না তাউ বাবার চাপে এই মেয়েটাকে বিয়ে করতে হল মেয়েটা যথেষ্ট সুন্দরী নাম নয়না কিন্তু তাউ আমার পছন্দ না যদি ও পছন্দ না হউয়ার আরো কিছু কারন আছে পরে জানতে পারবেন।হঠাৎ ঘুম ভেংগে গেলো একটা গুন গুন আওয়াজে দেখি নয়না জায়নামাজ এ বসে কোরান তেলাওয়াত করতেছে নতুন বাসা ও কোরান পেলো কোথাত তখন ভাবলাব কোরান তো আমার টেবিলের উপরেই থাকে সেখান থেকে নিয়েছে হয়তো আমি ওর তেলাওয়াত শুন্তেছি ঘুমের ভান করে আহ কি মিস্টি কন্ঠ হটাৎ তেওলাওয়াত বন্ধ করে আমার কাছে এসে

-এই যে উঠেন ভোর হয়ে গেছে নামাজ পরবেন না?
-হ্যা পরবো কিন্তু আপনাকে ডাকতে হবে না বলেই উঠে ওজু করে মসজিদে চলে গেলাম এসে দেখি ও ঘরে নেই ভাবলাম ওয়াসরুম এ গেছে মনে হয় একটু পর দেখি আমাকে ডাকতে এসেছে
-বাবা আপনাকে নাস্তার জন্য ডাকে
-আমি এখন নাস্তা করবো না আপনি করেন যান -বাবা বলেছে সবাই একসাথে নাস্তা করবো অজ্ঞতা বাবার জন্য যেতে হলো নাস্তা শেষ এ আমি অফিসে চলে গেলাম কাজের চাপে আমি বাসার কথা ভুলেই গেছি অফিস শেষে রাতে বাসায় কলিংবেল বাজাতেই নয়না দরজা খুলে দিতেই ওর দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি কালো শারি কালো ব্লাউজ আর ছোট্ট টিপে নয়নাকে অপ্সরার মত লাগছিল কতক্ষন তাকিয়ে ছিলাম জানি না ঘোর কাটলো নয়নার ডাকে

-কি দেখছেন এভাবে
-কই কিছু না তো
-তাই (বলে একটা মুসকি হাসি দিলো)
-হুম বলেই ভেতরে চলে এলাম।রাতে খাবার শেষ এ সাদে বসে আছি হঠাৎ কাধে কারো হাতের ছোয়া পেলা ঘুরে দেখি নয়না

-একি আপনি এখানে কেনো?
-কেনো আসতে কি বারন আছে নাকি?
-আপ্নাকে না বলেছি আমার কাছ থেকে দূরে থাকবেন
-প্রতিটা মেয়ের ই কিছু ইচ্ছা থাকেন জানেন?(কেমন যেনো আবেগি কন্ঠে কথাটা বল্লো)
-থাকতে পারে
-জানেন আমার ও কিছু ইচ্ছা ছিলো।আমার উত্তর এর আশা না করে নয়না বলা শুরু করলো
-আমার ইচ্ছা ছিল বিয়ের পর জামাই এর সাথে প্রেম করবো এর জন্য কোন ছেলের সাথে প্রেম করিনি ইচ্ছে ছিলো

এমন একটা জোসনা রাতে জামাই এর কাধে মাথা রেখে চাঁদ দেখবো কিন্তু দেখেন আমার কি কপাল আপনি আমাকে দেখতেই পারেন না

-যার মন নেই সে কিভাবে আপনাকে ভালবাসবে?যার জীবন ই আধারে ডাকা সে কিভাবে আপনাকে নিয়ে চাঁদ দেখবে বলতে পারেন?

-মানে আপনার কি এতো দুঃখ আমাকে বলবেন যার জন্যে আপনি আমাকে এতো দূরে দূরে রাখছেন
-সমুস্রের কাছে যদি প্রশ্ন করেন কত জল আছে তোমার মাঝে সে কি উত্তর দিতে পারবে?
-তা পারবে না।কিন্তু আধার আছে বলেই তো সেথায় চাঁদ উঠে তাই না?
-কিন্তু এ যে এক বরষার আধার যেথায় চাঁদ উঠার কোন সম্ভবনা নাই
-আমি যদি ভালবাসা দিয়ে সেই বরষার আধার দূর করে দেই তাহলে কি সেথায় চাঁদ উঠবে?
-ভালবাসা সে তো আমার কাছে এক মরিচিকা যা ধরতে গিয়ে আমি গভীর আধারে নিজেকে হারিয়ে ফেলেছি
-আমি যদি চাঁদ হয়ে আপনার সেই আধার দূর করে আপনাকে হাত ধরে আলোর মাঝে ফিরিয়ে আনি তবে কি খুব বেশি ভুল হবে?খুব বেশি কিছু কি চাওয়া হবে?

-হাত সে তো কোন এক ছলনাময়ী ধরেছিলো আলোর কথা বলে আমাকে আধারে ফেলে চলে গেছে
-আরেকবার কি হাতটা ধরার সুযোগ দেয়া জায় না
-ভয় হয় যদি এবার আধারে হারিয়ে জাই
-ভালবাসা নামক বিনি সুতার দারা না হয় বেধে রেখো
-যদি সুতা কেটে জায়?
-মততার প্রলেপ দিয়ো সুতার উপর যাতে কেটে নায় যায়
-আজকের চাঁদ টা হিংসা করছে মনে হয়
-কেনো?
-আমার পাশে যে আরেকটা চাঁদ বসে আছে তাই(কথাটা বলেই আমি নয়নার হাত আমার হাত দিয়ে চেপে ধরলাম)জানিনা নয়না কি বুঝলো ও আমার কাধে মাথা রেখে

-জীবনে শেষ কাল পর্যন্ত এভাবে হাত ধরে রেখো
-না পারবো না
-কেনো?(আমার দিকে তাকিয়ে)
-কারন আমি শুধু জীবনের শেষ কাল পর্যন্ত না জান্নাত পর্যন্ত তোমার হাত ধরে থাকতে চাই।আমার কথা শুনে নয়না চোখের জল ফেললো জানি এ জল কষ্টের না ভালবাসা পাওয়ার আনন্দের

গল্পের বিষয়:
ভালবাসা
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত