—প্রেম করবো!
—কর।
—তোর সাথে!
—চুপ!!
—সত্যি সত্যি।
—এত কথা বলিস কেন?
—ভালোবাসি তো।
—মাইর খাবি,চুপ থাক একদম!
—ওকে চলে যাচ্ছি…..
—কই যাস?
—আমার কথার তো দাম নেই তোর কাছে। তাহলে থাকবো কেন?
—আরে বস।এমন কথা বলতে বারন করেছি না তোকে।
—আমি তোকে সত্যি ভালোবাসি।
এবার চুপ করে রইলো বৃষ্টি।ওর চুপ করে থাকা মানে কথা ঘুরাবে।বৃষ্টি আমার ফেন্ড ওকেঅনেক ভালোবাসি।বলেছি তাকে পাত্তাই দেই না কেন যে এমন করে বুঝি না। আমার মাঝে তো কোন কিছুর কমতি নেই তাহলে এমন করে কেন?
—কিরে বলনা।
—কি বলবো?
—একবার বল না তুই আমাকে ভালোবাসি।
—দেখ তুই এমন করলে তোর সাথে আর কথা বলবো না!
—আচ্ছা যাই রে……
—কই যাস?
—বাসায় যাবো।
—আমাকে নিয়ে যাবি না?
—না তুই চলে যাস আমি যাই।
ওর পাশ থেকে উঠে চলে এলাম।বাসায় ভালো লাগছে না।ওকে অনেক ভালোবাসি।কিন্তু কেমন জানি মন খারাপ করে বাসায় ফিরলাম।ওর সাথে এমন করা উচিতহয়নি।প্রতিদিন ওকে বাসায় দিয়ে আমি বাসায় ফিরি।আজ ওকে রেখে বাসায় চলে আসাতে খুব খারাপ লাগছে। বাসায় এসে কল দিলাম
—হা বল ( বৃষ্টি)
—কোথায় এখন তুই?
—রাস্তাই হাটছি।
—হেটেই বাসাই যাবি নাকি?
—তাতে তোর কি আমি হেটে যাই আর যে ভাবেই যাই।
—SoRrY!
—কেন?
—তোকে রেখে চলে এলাম আর এমন হবে না।
—জানি এমন আর হবেনা।
—মানে?
—আজই তোর সাথে শেষ দেখা।
—সরি এমন আর করবো না।
—করতে হবে না এটাই শেষ কথা।
—এমন করছিস কেন ভুল হয়েছে।বন্ধু হিসেবে ক্ষমা করে দে।
—তুই তো ভুল করিস নি। আমি তোকে ভালবাসতে পারিনি।
—সরি আর এমন হবে না প্লিজ!
—হুম।
কলটা কেটে দিয়ে ভাবছি। নিজেকে বদলাতে হবে। ওকে ভালোবাসি সেটাও লুকাতে হবে। লুকাতে হবে ওর জন্য পাওয়া কষ্টগুলো। সবার ভালোবাসার পুর্নতা পাই না।আমারভালোবাসাটা না হয় নাই পেল পুর্নতা।তবুও ও ভালো থাকুক।ওর বন্ধু হয়ে পাশে থাকি। হা আমি পেরেছিলাম ওর বন্ধু হয়ে পাশে থাকতে। একদিন একটা খবর শুনে অবাক হলাম,
—তোকে একটা কথা বলার ছিল? ( বৃষ্টি)
—হুম বল।
—আমি একজন কে ভালোবাসি। (কথাটায় খুব আঘাত করলো।তবুও মুখে হাসি রেখে বললাম)
—কে রে সে?
—শরীফ ফেইসবুকে পরিচয়।
—ও কি করে?
—জব করে।
—আচ্ছা কত দিন তোদের রিলেশন?
—৬ মাস!
—এতদিন তুই বলিস নি কেন?
খাওয়ানোর ভয়ে নাকি? চল আজকে খাওয়াবি তুই। বৃষ্টি অবাক হয়ে তাকিয়ে ছিলো আমার এমন আচরন বা এমন কথা হয়ত আশা করেনি। নিজেকে সামলে ওকে নিজের হাসি মুখটাদেখাতে পেরেছিলাম। জানি ও খুব কষ্ট পেয়েছে আমার এমন আচরনে।তবুও সেদিন আমাকে বৃষ্টি খাইয়েছিল। অবশ্য বৃষ্টি খাই নি। আমার দিকে তাকিয়ে ছিলো খাবার সময়। ওর চোখ দুটো ছল ছল করছিলো কেন জানি। খেয়ে ওর পাশে বসে গল্প করছিলাম,,
—আচ্ছা,অনেক ক্ষন ধরে বকবক করছি।তুই কিছু বলছিস না যে?
—তোর সাথে একটা কথা বলার ছিলো?
—কি কথা?
—শরীফ কে নিয়ে।
—বল।
—শরীফকে তোর কথা বলেছিলাম।তোর সাথে সম্পর্ক রাখতে না করেছে!
—ও এই কথা।এটা নিয়ে তুই এত আপসেট?
—কিছু না বলে আমার দিকে তাকিয়ে আছে বৃষ্টি।
—আরে শরীফকে ভালোবাসিস তো শরীফকেই তো বিয়ে করতে হবে নাকি?
—হুম।
—যাকে বিয়ে করবি তার সাথে সারাটি জিবন কাটাতে হবে তাইনা?
—হুম।
—তো আমি কেরে পাগলী।
আজ আছি কাল নেই। আর আমার মত ছেলে জীবনে থাকা আর নাথাকা একি কথা।কিন্তু যাকে ভালোবাসিস তার থাকাটাপ্রয়োজন। বৃষ্টি আমার দিকে তাকিয়ে আছে একদৃষ্টিতে।
—ওই কি ভাবছিস এত আমার কষ্ট হবে না।তোর সুখই তো আমার সুখ পাগলী।এখন চল সন্ধা হয়েআসছে। কিছু না বলে উঠে দারালো বৃষ্টি। রিকশাতে দুজন বসে আছি।আজ হয়ত শেষ বসা বৃষ্টির পাশে,,
—দেখ আমাদের তো আর কথা হবে না।চুপ থাকবি না কিছু তো বল? (বৃষ্টি)
—হুম বল। ( আমি)
—শোন নিজের খেয়াল রাখবি।
যদি কোন দিন কিছু করতে না পারিস আমাকে স্বরন করবি, অবশ্য যদি বেঁচে থাকি। কিছু বলছি না দেখে বলে উঠলাম আরে চিন্তা করিস না।বেঁচে থাকবো আল্লাহ না নিলে তোর জন্য। খুব ইচ্ছে করছিলো বলতে বৃষ্টি আমি তোকে ভালোবাসি অনেক বেশি ভালোবাসি। প্লীজ আমাকে একা রেখে যাস না। পারিনি বলতে। কেন জানি বার বার কোথাই বেধে যাচ্ছে বলতে।জানি সেদিন বলেও লাভ হতো না।কারন,বৃষ্টি অন্য একজনকে ভালো বাসে।এক জনের পক্ষে দুজন কে ভালোবাসা অসম্ভব। দেখতে দেখতে বৃষ্টির বাসার সামনে চলে আসলাম। বৃষ্টি এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আমার দিকে আর কাঁদছে!
—কিরে কাঁদছিস কেন?
—ভালো থাকিস,বলে মুখ চেপে ধরে দৌড়ে চলে গেল বৃষ্টি।চলে যাওয়ার সময় সবাই বলে”ভালো থাকো”। কিন্তু ভালো থাকতে যে তাকেই পাশে দরকার ছিল।সেটা বুঝার ক্ষমতা সবার কেন যে থাকে না পিছন থেকে খুব ইচ্ছা হলো ডাকতে তবুও ডাকলাম না।একটুও কাঁদলাম না।শুধু তাকিয়ে চলে যাওয়াটা দেখলাম। আজ ওর কলের জন্য বসে থাকি।ভাবি এই বুঝি বৃষ্টি কল করবে। কিন্তু অপেক্ষা শুধুই অপেক্ষা।ভালোবাসি তোমাকে ভিষন ভালোবাসি।