ক্যাম্পাসে বসে আছি এমন সময় রিদি এসে বলে।
_ রাফি কি কর।
_ এই তো কিছু না।
_ ওহ মন ভাল না নাকি তোমার।
_ ভালই তো।
_ ও আচ্ছা একটা কথা বলতে এসেছি।
_ কি বল।
_ আগামীকাল আমার বার্থডে, তুমি আসবা।
_ সরি আগামীকাল রাতুলের বোনের বিয়ে, তোমার বার্থডে বার বার আসবে কিন্ত রাতুলের বোনের বিয়ে তো আর বার বার আসবে না।
_ কি তোমাকে ইনবাইট করতে আসলাম আর তুমি এত গুলো কথা শোনাইয়া দিলা,, আরতোমার সাথে কথাই বলবো না এই বলে রিদী হেটে চলে গেলো।
পরিচয়টা দিয়ে নেই আমি রাফি এতক্ষন যার সাথে কথা বললাম তার নামটা আপমারাজেনেই গেছেন রিদী, গত এক বছর দরে ওর পেছনে পড়েই আছি,, ভালবাসি বলে বাট ম্যাডামের একটাই কথা আমি তোমাকে খোব ভাল ফ্রেন্ড ভাবী,,। পরের দিন রেডী হচ্ছি রিদীর জন্মদিনের পার্টিতে জয়ন করার জন্য,, রিদীর পছন্দের ব্লাক টি শার্ট পরে বেড়িয়ে পড়লাম,, রিদীর বাড়ির উদেশ্যে,,,।
_ বাড়িতে ডুকতেই শারমিনের সাথে দেখা,, শারমিন হল রিদীর ফ্রেন্ড & বোন,, কি রাফি ভাই আজ দেখি রিদী আপুর পছন্দের সব ডাল ম্যা কুস কালাহে।
_ এই তুমি এত পেকেছো কেন আপুর সাথে থেকে থেকে,,,পেকে গেছো না।
_ আরে লজ্জা পেয়ে লাভ কি জান জান আজ কাজ হবে তবে, কাজ হলে কিন্ত আগামীকাল ট্রিট।
_ ওকে যাও।
_ ভাবছেন ওর কথায় রাজী হলাম কেন,, আসলে আমার আর রিদীর এত টুকু সম্পর্কের মাঝে ওর এ অবধান অনেকটা।
_ বাড়িতে ডুকতেই আমাকে দেখে রিদী মুচকি হাসলো।
_ আমি ও কম কিশের রিদীর সাথে একটু তাল মিলালাম।
_ তারপর ,, শুরু হয়ে গেলো পার্টি।
_ হঠাৎ একটা মেয়ে এসে বললো হ্যালো মিষ্টার।
_ ইয়া।
_ ডান্স করতে পারেন।
_ আমি হেসে বললাম ডান্স।
_ এমন সময় রিদী এসে বলে রাফি এদিকে এসো।
_ হুম বল।
_ ওই তুই কি পার্টিতে আসছোস নাকি মেয়ে পটাতে।
_ বুঝলাম ম্যাডামের বেজে গেছে।
_ মেয়ে পটাবো কেন, ওই মেয়েটা আস্ক করলো যে তোমার গফ আছে।
_ আমি বললাম না, তারপর,,,,,,,,,,,
_ তারপর ওমনি লুচ্চামি শুরু।
_ আরে কি আবল তাবল বকছো।
_ চুপ তোরে আমি চিনি যত সব লুচ্চা।
_আমি আর কিছু বললাম না,,
_ কি হল এতক্ষন দাঁড়িয়ে আছি কিছু কি বলবে।
_ কি বলবো।
_ থাক তুমি কিছু বলতে হবে না।
_ এই বলে চলে যাচ্ছিলো পেছন থেকে হাতটা দরে টান মারলাম।
– রিদী আজকেও কি ফিরিয়ে দিবা?
– মানে?
– মানে আমি তোমাকে ভালোবাসি। এখন যদি ফিরাই তাও তাহলে ওই মেয়ের সাথে প্রেম করবো।
– তোর যা ইচ্ছা তুই তাই কর আমরা তো ভালো ফ্রেন্ড আর কিছুনা।
মুখে এসব বললেও ওর চোখ বলছে ও আমাকে ভালোবাসে। আমিও একটু সুযোগ নিলাম এবার। যা হবার হবে। আজকে এর হেস্তনেস্ত করেই ছাড়বো। আমি আবার বললাম,
– ভেবে বল তুই আমাকে ভালোবাসিস নাতো?
– না বাসিনা যা তো এখানে থেকে।
– ওকে। দেখ কি করি। বলেই ওর কাছ থেকে এসে ওই মেয়েটার কোমরে হাত রেখে বললামম,
– চলো ড্যান্স করি।
– হুমম আসো।
মেয়েটা আস্তে আস্তে আমার কাছে আসতে লাগলো। রিদীর দিকে তাকিয়ে দেখি রাগে লাল হয়ে গেছে। তাতে আমার কি ও তো আমাকে ভালোবাসেইনা। আমি মেয়েটার দিকে তাকালাম। মেয়েটার হাত ধরে যেই একটু নাচা শুরু করছি এমন সময় রিদী এসে গালে একটা থাপ্পড় বসিয়ে দিলো। আমি হা হয়ে গেলাম। সাউন্ডের কারনে কেও বুঝতে পারেনাই। সবাই নাচানাচি করতাছে।
– তুই মারলি কেনো?
– তুই ওই মেয়ের সাথে নাচলি কেনো?
– তাতে তোর কি? তুই আমার কে?
– আমি তোর কে দাড়া দেখাইতাছি। বলেই রিদী আমার গালে একটা কিস করলো।
– ঠাসসস।
– মারলি কেনো?(রিদী)
– একটু আগে যখন বললাম ভালোবাসি তখন বললিনা কেনো?
– আমার ইচ্ছা তাই বলে তুই মারবি আমাকে?
– তুই ও তো মারছিস।
– তুই পচা।(বাচ্চাদের মতো করে কাদতে লাগলো রিদী)
– আমার শার্ট না ভিজিয়ে ভালো করে কেদে আয়।
– একশো বার ভিজাবো এই অধিকার শুধুই আমার। বলেই পাগলিটা শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো।