– ভাইয়া, আপনার কাছে ৫০০ টাকা ভাংতি হবে?
আরিফ একটু এদিক ওদিক তাকিয়ে বলল, আমাকে বললেন?
– হ্যাঁ , আপনাকে। থাকলে প্লিজ একটু দিবেন। খুব দরকার।
– আমার কাছে নেই। বলেই আরিফ হাঁটতে লাগল। মেয়েটা বোধহয় দাড়িয়ে আছে এখনও। আবার পিছন দিকে ডাক দিল মেয়েটা।
– একটু শুনবেন?
– জ্বি বলেন।
– একটু উপকার করবেন?
– কি উপকার?
– আপনার কাছে ২০ টাকা হবে? সত্যি দরকার ছিল খুব।
আরিফ চুপ করে কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইল মেয়েটার দিকে। অনেক সাজগোজ করা মেয়েটা। কোথাও যাচ্ছে কিনা কি জানি। ঢাকায় মেয়েরা বাহিরে বের হলে,
এমনিতেই অনেক সাজ করে বের হয়। আরিফ যখন ভার্সিটিতে ক্লাস করত, সকালে ঘুম থেকে উঠে কোনমতে ক্লাসে যেত। কোনদিন ব্রাশ না করেই, মুখে দুর্গন্ধ নিয়ে। কোনদিন প্রাকৃতিক কাজে সারা না দিয়েই। কোনদিন ঘুমাতে ঘুমাতে। আর মেয়েগুলো দেখা যেত, মেকআপ করে সেজে গুজে আসছে। প্রতিটা মেয়েই। কেউ কেউ গোসল করে ভেজা চুলে। মাথায় আসে না, কিভাবে সম্ভব? এতো সময় কোথা থেকে পেত? মুক্তিও ওভাবে সেজে গুজে আসত। অনেক স্নিগ্ধ লাগত দেখতে মেয়েটাকে। আরিফ ভার্সিটিতে যেত ঐ মেয়েটাকে দেখতেই। সকালের মিষ্টি ঘুমের চেয়েও, মুক্তি মিষ্টি। চোখে খুব শান্তি লাগত।
আরিফের পকেটে এখন এক টাকাও নেই। কিছুক্ষণ আগে এক দোকান থেকে চা খেল, ভিড়ের মধ্যে। চা খেয়ে চলে আসল। টাকা দিল না। দোকানদার টেরও পেল না।
মেয়েরা ভালো হয় না, একদম না। এই মেয়েটাকেও এখন অসহ্য লাগছে। মেয়েটার দিকে তাকিয়ে আরিফ বলল, টাকা লাগবে তো, আমাকে বলতেছেন কেন?
– আমার কাছে ৫০০ টাকার নোট। কিন্তু আমার ২০ টাকার খুব দরকার। কয়েকটা দোকানে বললাম, ভাংতি দেয় না। ১০০ টাকার কিছু নিলে ভাংতি দিবে। কিন্তু আমার টাকাটা দরকার খুব। খরচ করা যাবে না।
– কি ঘ্যান ঘ্যান শুরু করলেন? টাকা লাগবে তো আমার কাছে চাচ্ছেন কেন? আমাকে দেখে কি খুব বড়লোক মনে হচ্ছে আপনার? এই যে জুতা দেখেন, সেলাই করা।
কিনেছিলাম কত করে জানেন? ৬০ টাকা দিয়ে, ফুটপাথ থেকে।
– ২০ টাকা থাকতে হলে বড় লোক হতে হয় না। রাস্তায় আরও মানুষ আছে, কিন্তু কেন যেন আপনাকে দেখে ভদ্রলোক মনে হল, বিশ্বাস করে চাইলাম।
– আমি ভদ্র লোক না। চরম অভদ্র মানুষ। এক বছর আগে ভার্সিটি থেকে বহিস্কার হয়েছি। বুঝতে পারলেন কিছু? আর আমার সাথে কথা বলবেন না। ফাও প্যান প্যান কানের কাছে।
– আপনি এভাবে কথা বলছেন কেন? মেয়ে মানুষের সাথে কেউ এভাবে কথা বলে?
– আমার মেয়ে মানুষ পছন্দ না। আমি এভাবেই কথা বলি।
– কেন পছন্দ না? মেয়েরা আপনাকে কি করছে? বিপদে পড়েছি বলেই তো আপনার কাছে একটা সাহায্য চাইলাম।
– আমি কোন মেয়েকে সাহায্য করি না। পৃথিবীতে সবচেয়ে স্বার্থপর জাতি হল মেয়ে জাতি। এরা স্বার্থ ছাড়া কখনও কোন ছেলের আশেপাশে যায় না।
– আজব তো। আপনি এভাবে সব মেয়েকে খারাপ বলছেন কেন?
– কারণ সব মেয়েই এমন। এরা ভালবাসতে জানে না। মানুষকে সম্মান করতে জানে না। ভাল কিছু চিনেও না। চিনে শুধু স্বার্থ , জানে শুধু স্বার্থ।
– চুপ করেন। আপনার টাকা দিতে হবে না। সরি আপনাকে বিরক্ত করার জন্য। আমি আসি।
– জ্বি ধন্যবাদ। আসেন আপনি, দয়া করে।
মেয়েটা চলে গেল আরিফের সামনে থেকে। প্রচণ্ড রাগে হাঁটতে হাঁটতে। মেয়েরা রাগলে চেহারায় অন্য রকম একটা ভাব চলে আসে। কাউকে রাগলে খুব বিচ্ছিরি লাগে।
কাউকে রাগলেও অনেক সুন্দর লাগে। একটা বাচ্চা ভাব ফুটে উঠে। দেখে মনে হয় এখনি কেঁদে দিবে। মুক্তি মাঝে মাঝে রাগলে এই বাচ্চা ভাব ফুটে উঠত। মাঝে মাঝে না প্রায় প্রতিদিনই রাগ করত মুক্তি। ক্লাসে সারাক্ষণ মুক্তিকে দেখত আরিফ।
এতো মিষ্টি একটা মেয়ে। দেখতে দেখতে সময় গুলো কখন যেন কেটে যেত। অনেক সময় ক্লাসে এটেনডেন্সও মিস করে ফেলত। তাতে কিছু যায় আসে না। স্যার এর কোন কথাই কানে যেত না। শুধু হাঁ করে তাকিয়ে মুক্তিকে দেখা। সেই বেশ ছিল। দুই তিন গোছা চুল মাঝে মধ্যেই মুখের উপর এসে পড়ত। মুক্তি নরম হাত দিয়ে, চুল
গুলো সরিয়ে আবার ক্লাসে মন দিত। মাঝে মধ্যে মুক্তিও ক্লাসে ফাকি জুকি দিত। স্যার এর ক্লাস লেকচার না শুনে, মোবাইলে গুতাগুতি করত সবাইকে আড়াল করে। কিন্তু আরিফ তাও দেখত। প্রথম মুক্তিকে দেখে ভার্সিটির অরিয়েন্টেশনের দিন। ভার্সিটি অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠানে আরিফ বিমর্ষ, বিরক্ত হয়ে বসে আছে। কি সব আজে বাজে বক্তৃতা স্যার ম্যাডাম দের। এই করবে তোমরা, ঐ করবে তোমরা। ঘুম চলে আসছিল। ঘুম ভাঙিয়ে দিয়ে, হঠাৎ হন্তদন্ত হয়ে কোথা থেকে যেন এক মেয়ে এসে বসল আরিফের পাশে। লম্বা শার্ট আর জিন্স। একটু আধুনিক বেশ ভূষা। তবুও দেখে চোখ ফেরাবার মত না। একটা মিষ্টি ভাব মুখে, একটা স্নিগ্ধ ভাব চোখে। এসে পাশে বসেই বলল, ‘১৩ ব্যাচ?
– হ্যাঁ।
– আমিও। শেষ হয়ে গেল নাকি অনুষ্ঠান? অনেক দেরী করে ফেললাম।
– না শেষ হয় নি। আর হবে বলেও মনে হয় না। যে বক্তৃতা দিচ্ছে একেক জন। মুখও ব্যথা করে না। আ*ল সব। মেয়েটা একটু বিরক্তি ফুটিয়ে তাকাল আরিফের দিকে।
– স্যার ম্যাডামদের এসব কি বলছ তুমি? খুব খারাপ। সেই মেয়েটাই মুক্তি। প্রথম দিন আরিফের মুখে একটা কু কথা শুনে, আর আগায় নি কথা বলার ক্ষেত্রে। খুব মনোযোগ দিয়ে শুনছিল, অরিয়েন্টেশনের সেই নিষ্প্রাণ বক্তৃতা। আর আরিফ দেখছিল মুক্তিকে। পাশে বসা মুক্তিকে। দেখতে কেন যেন ভালই লাগছিল। কিছু একটা আছে চেহারার মধ্যে, সেই কিছু একটা কি জানেনা আরিফ। খানিক পর মুক্তির আরিফের দিকে চোখ পড়তেই, একটু ভ্রু কুঁচকে তাকায়।
এভাবে একটা ছেলে তাকিয়ে আছে, বেশ অস্বস্তির ব্যাপার। কিন্তু বলে না কিছু। একটু পর পর আড় চোখে দেখে মুক্তি। দেখে পুরো অনুষ্ঠানেই আরিফ তাকিয়ে ছিল মুক্তির দিকে। অনুষ্ঠান শেষে যাবার সময়, আরিফ একবার ডাক দেয় মুক্তিকে। বলে, তুমি কিন্তু দেখতে অনেক সুন্দর।
– স্টুপিড। রাগি রাগি মুখে বলে মুক্তি। এই রাগি মুখের ভাবের মধ্যে, একটা বাচ্চা বাচ্চা ভাব আছে। আরও মিষ্টি লাগছিল মুক্তিকে। স্টুপিড শুনে হেসে দেয় আরিফ।
মুক্তি চলে যায়। সেই অপলকে দেখা শুরু। এর পরদিন থেকে ক্লাসে দেখা। ক্যাফেটেরিয়ায় দেখা, শিট ফটোকপির দোকানে দেখা, ক্লাস শেষে বসে থাকার জন্য রাখা বেঞ্চের উপর বসা অবস্থায় দেখা। দেখেই যায় আরিফ। আর মুক্তির একটু সামনে আসলেই বলে দেয়, তোমাকে কিন্তু অনেক সুন্দর লাগছে। গতদিনের চেয়েও সুন্দর। দিন দিন সুন্দর হচ্ছ। আর মুক্তি বাচ্চা বাচ্চা রাগ ফুটিয়ে বলে, স্টুপিড।
এই স্টুপিড শোনার প্রেমে পরে গিয়েছিল আরিফ। মিষ্টি মেয়েটার প্রেমে। লুকিয়ে একদিন ক্লাসে একটা ছবি তুলেছিল মুক্তির। তাই প্রতি রাতে দেখত। মুক্তি কথা বলতে চাইত না আরিফের সাথে। আরিফ চাইতও না। কেন যেন প্রতিদিন দেখা, আর মাঝে মধ্যে সুন্দর বলে স্টুপিড শোনাটাই ভাল লাগত। কখনও
অধিকার চাইবার, বা খাটাবার ইচ্ছে মনে আসেনি। কখনও হাত ধরবার ইচ্ছে আসে নি, কিংবা নাম্বার নিয়ে সারারাত কথা বলবার বাসনাও জাগে নি। মনের ভিতর মুখ ছাড়া অন্য কিছু দেখে, কু চিন্তা আনার কথাও আসে নি। কখনও ছোঁয়া পেতে, বা ছুঁয়ে দিতেও ইচ্ছে করে নি। এ যেন এক অন্য রকম ভাললাগা, অন্যরকম ভালবাসা। দূর থেকে, শুধু চোখের চাহনিতে। তবে মাঝে মাঝে মন চাইত, যখন মুখের উপর চুল গুলো এসে পড়ে, একটু আস্তে করে ফু দিয়ে সরিয়ে দিতে। এই ইচ্ছেটা শেষ পর্যন্ত পূরণ হয়েছিল। না চাইতেই অনেক কিছু পেয়েছিল আরিফ।
বেশ কয়েকদিন ধরেই, মুক্তির আশে পাশে এক সিনিয়র ভাইকে ঘুরতে দেখছে আরিফ। বেশ বলিষ্ঠ শরীর। নেতা গোছের মানুষ। কয়েকবার মুক্তির সাথে কথা বলার
চেষ্টা করেছে। মুক্তি খুব একটা পাত্তা দেয় নি। তবুও মোটর সাইকেল নিয়ে মাঝে মধ্যে মুক্তির আশে পাশে যায়। ছুটির পর মুক্তিকে মোটর সাইকেলে চড়তে বলে। মুক্তি না করে দেয়। আরিফ আশেপাশেই থাকে। তাই চোখ এড়ায় না বিষয়গুলো। একদিন প্রচণ্ড জ্বর আসে আরিফের। সারারাত প্রলাপ বকে , সকালে ঘুম ভাঙ্গে না ভার্সিটিতে যাওয়া হয় না। দুপুর বেলা ঘুম ভেঙ্গে নিজেই নিজেকে বকে। মুক্তিকে দেখা হল না। পরদিনও একই অবস্থা। মুক্তিকে না দেখে ভাল লাগে না। বেশী মাত্রার এন্টিবায়োটিকের জোরে জ্বর চলে যায়। তবে শরীর দুর্বল খুব। পরদিন ওভাবেই যায় ভার্সিটিতে। মুক্তিকে না দেখে থাকা অসম্ভব। অসুস্থ শরীরে হাজির হয়। ক্লাস ঢুকবার সময়ই মুক্তিকে দেখে। হেসে বলতে যাবে, তোমাকে দেখতে সুন্দর লাগছে। ঠিক তখনি মুক্তি এসে আরিফেরসামনে দাড়িয়ে বলে, গত ২ দিন আসো নি কেন?
হাঁ করে তাকিয়ে থাকে আরিফ। মুক্তি নিজে থেকে কথা বলছে, বিশ্বাস হচ্ছে না। স্টুপিডের বাইরে অন্য কিছু বলছে তাও বিশ্বাস হচ্ছে না।
– কথা কানে যায় না? কি বলি? একটু নড়েচড়ে বলে আরিফ, অসুস্থ ছিলাম। জ্বর।
– এখন কমছে?বলে মুক্তি আরিফের কপালে হাত দিয়ে জ্বর দেখে। সব কেমন স্বপ্নের মত লাগছে। এসব হচ্ছে কি? আরিফ ভাবছে হয়ত জ্বরের ঘোরে স্বপ্ন দেখছে। স্বপ্নটা ভেঙে যাক, চায় না আরিফ। আরিফ বোকা চোখে তাকিয়ে বলল, কমেছে। তবে আবার আসবে।
– আবার আসবে মানে?
– মানে আসতে পারে।
– হিহিহি। একটা নিষ্প্রাণ হাসি দিল মুক্তি। মুক্তির হাসি এতো প্রাণহীন না। তবুও ভাল লাগছে। মুক্তি বলল, আসো তোমার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। তোমার সাথে অনেক কথা আছে। আমার সাথে বসবে আজকে। আরিফ চুপচাপ গিয়ে ক্লাসে বসে মুক্তির পাশে। পাশে বসে পুরো ক্লাস দুজনে গল্প করে। আরিফের মনটা অনেক ভাল, সত্যি অনেক ভাল লাগে। তবে মুক্তির মনটা ভাল নেই। কেমন যেন প্রাণহীন একটা ভাব। আরিফকে কিছু বলতে চায়। আরিফ বলে, তুমি কি আমাকে কিছু বলবে?
– হ্যাঁ।
– বল।
– ক্লাস শেষ হোক, তারপর।
– আচ্ছা।
মুক্তি বলে না কিছু। আরিফ তাকিয়ে মুক্তিকে দেখে। মুক্তিও মাঝে মাঝে তাকিয়ে হাসি দেয়। ক্লাস শেষে সবাই যখন ক্লাস ছেড়ে চলে যায়, তখনও আরিফ আর মুক্তি থাকে। মুক্তির দিকে তাকিয়ে আরিফ বলে, তোমাকে অনেক সুন্দর লাগছে। গতদিনের চেয়েও সুন্দর। মুক্তি আজ স্টুপিড বলে না। শুধু আরিফের নাকে একটা আঙুল
ছোঁয়ায়। আরিফ বলে, ক্লাস শেষ। এখন বল, কি বলবে? মুক্তি মাথা নিচু করে থাকে। আরিফ বলল, বল। মুক্তি তাও কিছু বলে না। মাথা নিচু করে কাঁদে। চোখ দিয়ে টপটপ করে পানি পড়ছে। আরিফ বুঝতে পারে না কি করবে। মুক্তি চোখের পানি মুছে আরিফের দিকে তাকিয়ে, আরিফের হাত ধরে। আরিফ অবাক হয়ে তাকায় মুক্তির দিকে। আরিফের হাত মুক্তির গালে লাগিয়ে বলে, অনেক বিশ্বাস করে এই হাত ধরলাম। জানিনা কেন? তবুও তোমাকে বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করছে। কেন যেন মনে হচ্ছে, আমাকে শুধু তুমিই সাহায্য করতে পারবে। এই মুহূর্তে আমার শুধু তোমাকে দরকার। আরিফের হাত পা জমে যাচ্ছে। বুকের ভিতর কি চলছে জানে না। না চাইতেই অনেক কিছু পাবার মত, সুখ হচ্ছে। এই সুখ না পেলে হয়ত অনুভব করা যায় না। আরিফ বলল, হুম।
– হুমের কিছু না। আরিফ তুমি দুই দিন ক্লাসে আসো নি। আমাকে দেখো নি। এর মধ্যে অনেক কিছু হয়ে গিয়েছে। আমার বার বার মনে হচ্ছিল, তোমাকে পাশে দরকার। তুমি পাশে থাকলে এমনটা কখনও হত না।
– কি হইছে?
– সেজান ভাইয়া, আমার পিছনে ঘুরত, বিরক্ত করত, দেখতে তো?
– হ্যাঁ।
– গত দুই দিন ধরে খুব জ্বালাচ্ছে।
– কি করছে?
– গত কাল মাত্রা ছাড়িয়ে গেছেন। ক্যাফেটেরিয়ার সামনে এসে ,আমার সামনে নিজের বাইক থামিয়ে বলেন, চল, তোমাকে নিয়ে আজ বসুন্ধরা যাই। সিনেপ্লেক্সে মুভি দেখে আসি। আমি বললাম, না ভাইয়া। আমি মুভি দেখি না। সেজান ভাইয়া বলেন, না বললে চলবে না। আজ যেতে হবেই। বলেই উনি আমার হাত ধরেন। হাত ধরে টান দিয়ে বাইকে বসাতে চান। আমার মাথা গরম হয়ে যায়। আমি ওনাকে একটা থাপ্পড় বসিয়ে দেই কানের উপর। দিয়েই চলে আসি। আমার খুব ভয় করছে আরিফ। জানিনা কি হবে? তবুও মনে হচ্ছে আমাকে তুমি সাহায্য করতে পারবে। এই বিশ্বাস টুকু আমার কিভাবে তোমার উপর এসেছে জানিনা। হাতটা আরও জোরে চেপে ধরে মুক্তি বলে, প্লিজ কিছু একটা কর আরিফ। কথা দিচ্ছি ,এর বদলে তুমি যা চাইবে আমি দিব।
আরিফের শরীরের ভিতর রাগে আগুন জ্বলে যাচ্ছে। সেজানের উপর প্রচণ্ড রাগ হচ্ছে। মনে হচ্ছে সামনে পেলে খুন করে ফেলবে। মুক্তির হাত ধরেই বলে, দেখি কি করা যায়। আচ্ছা অনেক বেলা হয়ে গেছে। চল তোমাকে বাসে তুলে দিয়ে আসি।