আমি মনির অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র। প্রথম দিনের ভার্সিটি ক্লাশ নিয়ে অনেক উত্তেজিত আমি। তাই সকালে উঠেই তারাতারি রেডি হয়ে ভার্সিটির দিকে যাচ্ছি। নতুন জায়গা নতুন সবকিছু তাই চিনতে একটু অসুবিধাই হচ্ছে। তারপরেও সব মানিয়ে নিচ্ছি। প্রথম ভার্সিটিতে গেলাম অনেক খুশি মনে। ক্যাম্পাসে গিয়ে অনেক খুশি লাগছে কেননা আমার স্বপ্নের এক চূড়ায় আমি এসে পৌছেছি। তবে আমার এখানেতো কোনো বন্ধু নেই তাই একাই হাঁটছি। এক বড় ভাইয়ের সাহায্য নিয়ে আমি ক্লাশে গেলাম। অনেকেই ক্লাশে বসে আছে। আমি তাদের মাঝে গিয়ে বসলাম। কিছু ছেলের সাথে আমার ফ্রেন্ডশিপ হলো। প্রথম দিন ক্লাশ করে আমি চলে আসলাম। সবার সাথে তেমন ভালো ফ্রেন্ডশিপ হয়নি তাই আর ওখানে থেকেই বা কি করবো। পরদিন আমি ভার্সিটি গেলাম, আজ আমি সকলের সাথে অনেক ফ্রি হয়ে গেছি। আমরা সবাই ক্লাশে আড্ডা দিচ্ছি তবে আমি লক্ষ করছি একটা মেয়ে আমার দিকে বারবার তাকাচ্ছে। আমিও মেয়েটার দিকে তাকাচ্ছি, অনেক সুন্দর মেয়েটা।
=> কিরে তুই কোথায় তাকিয়ে আছিস?( রিফাদ)
=> আরে না কোথাও না, বল তোরা?
=> ক্লাশে থেকে কি করবো, চল ক্যাম্পাসে গিয়ে বসি?
=> হ্যা চল।
আমরা সবাই ক্যাম্পাসে চলে গেলাম। সবাই বসে আড্ডা দিচ্ছি। আড্ডা শেষ করে আমি সবাইকে বিদায় দিয়ে বাসার দিকে যাচ্ছি হঠাৎ দেখলাম মেয়েটা গেটের দিকে যাচ্ছে।
=> হাই আমি মনির।
=> ও, হাই আমি সুমা।
=> শুধুই কি সুমা?
=> না আরো আছে।
=> তাহলে পুরোটা বলো?
=> থাক আর একদিন বলবো।
=> আমরা কি ফ্রেন্ড হতে পারি?
=> উমমমহহহ,,, কাল বলবো।
=> কাল কেনো?
=> আজকে ভেবে কাল বলবো।
=> ঠিক আছে কালকেই শুনবো কি তোমার ডিছিশন হয়।
=> হুম, তোমার বাসা কোথায়?
=> বাসা নেই, আমি গ্রামের ছেলে, এই ভার্সিটিতে চাঞ্জ পেয়েছি তাই এখানেই মেসে থাকি।
=> ও আচ্ছা। তাহলে ঠিক আছে আজ বাই কাল কথা হবে।
=> আচ্ছা ঠিক আছে।
সুমা চলে গেলো। অনেক সুন্দর মেয়েটা। চোখে অনেক মায়া, কথা বললে শুধু বলতেই ইচ্ছা করে।যাইহোক দেখি কাল কি বলে কালকের অপেক্ষাতেই থাকি। আমি চলে গেলাম মেসে। আমি গিয়ে শুয়ে শুধু সুমার কথাই ভাবছি, অনেক কিউট মেয়েটা। ওর কথা ভাবতে ভাবতে কখন যে ঘুমাই গেছি মনেই নেই। পরদিন সকালে উঠে আমি ভার্সিটি গেলাম। গিয়ে দেখি সুমা একাই ক্যাম্পাসে বসে আছে। আমি গিয়ে ওর পাশে বসলাম।
=> হাই,
=> ও হাই
=> কেমন আছো?
=> হুম ভালো, তুমি?
=> ভালো নেই।
=> কেনো?
=> কাল তোমায় একটা প্রোপোজাল দিয়েছিলাম ওটার উত্তর পাইনিতো তাই।
=> ও আচ্ছা, কি উত্তর শুনলে তুমি খুশি হবা।
=> আমার খুশিতে কি সবকিছু হবে? তোমার ইচ্ছার ওপর ডিফেন্ড করবে তুমি কি উত্তর দিবা। আর আমি তার ওপর এটা চাপিয়ে দিতে চাইনা।
=> ও আচ্ছা? খুব ভালো, তবে যদি আমার মন থেকে উত্তরটা দেই তাহলে এর উত্তর হবে হ্যা আমি তোমার প্রোপোজালটা এক্সেপ্ট করতেই পারি।
=> আর যদি এটা আমার খুশির জন্য হয়?
=> তাহলেও উত্তর হ্যা।
=> বাহ!খুব ভালো তাহলে আমরা এখন থেকে ফ্রেন্ড?
=> অবশ্যই।
অনেক খুশি খুশি লাগছে আজ কেননা এমন একটা কিউট মেয়ের সাথে আমার মতো একটা ছেলের ফ্রেন্ডশিপ হয়েছে। ফ্রেন্ডশিপতো বাহানা আসলে আমি ওকে ভালোবাসি। এতো তারাতারি বলবো কিভাবে তাই ফ্রেন্ডশিপটাই আগে করলাম। ক্যাম্পাসে একটু গল্প করে আমি আর সুমা ক্লাশে গেলাম। আমি গিয়ে আমার ফ্রেন্ডদের সাথে বসলাম।
=> কিরে মামা দুই দিন হলো আসতে আর তিনদিনেই কি শুরু করে দিলি?
=> আরে ধুর কি বলিস আমরা জাস্ট ফ্রেন্ড।
=> আরে আমরা বুঝিতো।
=> বুঝলেই ভালো, তোরা যেমন ভাবিস তেমন কিছুই না।
=> আমরা তোর ফ্রেন্ড আর তুই আমাদের মিথ্যা বলছিস?
=> এই আমি তোদের মিথ্যা বলতে যাবো কেনো? বাজে কথা বাদদে আমায় ক্লাশ করতে দে।
=> হুম, মামা ট্রিট এর ব্যবস্থা করো তারাতারি।
আর এই হারামি বন্ধুদের একটাই ন্যাচার,কারো সাথে কিছু হোক আর নাহোক একটু ঘুরতে দেখলেই সর্বপ্রথম এরা জিগাইবে ট্রিট কবে দিবি। ধুর টাকা কি গাছে ধরে? আমি ক্লাশ শেষ করে বাইরে আসলাম। একটু পর সুমা আসলো,,
=> এই তুমি আমায় রেখে আসলা কেন?
=> কেনো তোমার কি পা নেই তুমি একাই আসতে পারোনা?আর তুমি কি বাচ্চা না কি যে তোমায় নিয়ে আসতে হবে?
=> কি বললা? আচ্ছা ঠিক আছে কাল থেকে আর বলবোনা।
=> আচ্ছা ঠিক আছে সরি, কাল থেকে এমন হবেনা।
=> কান ধরো যে আর এরকম করবা না?
=> আচ্ছা সত্যি আর এরকম করবোনা।
=> হুম এবার ঠিক আছে। এই চলোনা আজ ঘুরতে যাই
=> কোথায় যাবা?
=> যেখানে ইচ্ছা হবে সেখানেই যাবো চলো।
সুমা আমাকে জোর করে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। কি আর করার আমিও যাচ্ছি ওর সাথে। আমরা রিক্সায় করে ঘুরছি।
=> আচ্ছা মনির তোমায় একটা কয়হা বলি?
=> হুম বলো?
=> তোমার কি কোনো গার্ল ফ্রেন্ড আছে?
=> না, এতাওদিন ছিলো না, তবে কিছুদিন থেকে একটা মেয়েকে খুব পছন্দ করি।
=> তাই না কি? কে সে মেয়েটা?
=> একবারেই সব শুনতে চাও, ধীরে ধীরে বলি।
=> ও, আমার ডায়লগ আমায় ঝারলে?
=> তো কি করবো? আচ্ছা তোমার ফোন নাম্বারটা দিবা?
=> অবশ্যই নাও ০১৭……………….522
=> ধন্যবাদ।
সুমার সাথে অনেক পথা ঘুরে আমি ম্যাসে চলে আসলাম। এভাবেই চলছিলো আমাদের ফ্রেন্ডশিপ, প্রায় একবছর হয়ে গেলো না ও আমায় কিছু বলছে না আমি কিছু বলছি, কিন্তু এভাবে আর কতোদিন? না আমি ওকে বলে দেবো যে আমি ওকে ভালোবাসি। আমি ফোন বের করে সুমাকে ফোন দিলাম।,,,,
=> হ্যা বলো।
=> কাল আমার সাথে একটু দেখা করতে পারবা?
=> প্রতিদিনিতো তোমার সাথে আমার দেখা হয়।
=> কিন্তু কাল একটু আলাদা একাই দেখা করবা।
=> আচ্ছা ঠিক আছে এ আবার এমন কি কথা, তা হঠাৎ আলাদা দেখা করতে চাচ্ছো কেনো বলতো?
=> কথা আছে তোমার সাথে আমার।
=> আচ্ছা ঠিক আছে।
আমি ফোন কেটে দিয়ে আমার সব ধরনের প্রিপারেশন নিলাম। কিভাবে প্রপোজ করবো সবকিছু ঠিক করলাম। শুয়ে আছি, একদিকে খুশি লাগছে অন্য দিকে আবার টেনশন হচ্ছে কি জানি বলে কাল। যা হবার হবে সেটা সকালেই দেখা যাবে। আমি রাতে একটু ঘুমিয়ে সকালে উঠলাম। ফ্রেশ হয়ে রহনা দিলাম কলেজের দিকে। সুমা আসার ৩০ মিনিট আগে আমি গিয়ে পৌছালাম। একটু পর দেখতে পেলাম সুমা আসতেছে। ও মাই গড, এটা কোন পরী আসতেছে, সুমা আজ নীল শাড়ী পড়েছে,চুল গুলো খুলে দেওয়া, ঠোঁটে হালকা লিপস্টিক, চোখে কাজল একদম পরীর মতো লাগছে সুমাকে। আমি শুধু ওর দিকেই তাকিয়ে আছি, এভাবেই তাকিয়ে সারাজীবন পার করতে চাই।
=> কি দেখো এরকম করে?
=>,,,,,,,, , হুম? পরী দেখি।
=> এই মনির কি হয়েছে?
=> ও না কিছুনা, তুমি কখন আসলা?
=> কখন আসলাম মানে? তুমিতো আমাকে আসার সময় দেখলা?
=> ও হ্যা সেখেছি।
=> কি কথা বলার জন্য ডেকেছো সেটা বলো।
=> হুম বলছি।
আমি একটা ফুল পকেট থেকে বের করে হাঁটু গেরে বসে পড়লাম সুমার সামনে।
=> সুমা তুমি কি আমায় ভালোবাসবে? তুমি কি আমায় সারাজীবন তোমার পাশে চলার সুযোগ দেবে? হবে কি তুমি আমার গল্পের রাণী? হবে কি আমার মনের রাজ্যের রাণী? i love you suma. সুমা মুখে হাত দিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে আর চোখের পানি ফেলছে।
=> কি হলো কান্না করছো কেনো? আমি কি ভুল কিছু করে ফেলেছি? তুমি না চাইলে আমায় রিজেক্ট করো তারপরেও তুমি কান্না করিওনা।
=> কুত্তা এটা খুশির কান্না। তোমার কাছ থেকে এই কথাটাই কবে থেকে শুনতে চাচ্ছি আমি জানো? আমিও তোমায় অনেক ভালোবাসি মনির অনেক।
আর কি সোজা উঠে গিয়ে আমি সুমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলাম সুমাও আমায় জড়িয়ে ধরলো। ঠিক কতোক্ষন এভাবে ছিলাম মনে নেই।
=> এই মনির?
=> হুম বলো?
=> চলো এখন, আর কতোক্ষন থাকবা এখানে?
=> না, এভাবেই খুব ভালো লাগছে।
=> না এখানে আর থাকে যাবেনা,প্লিজ জানু চলো?
=> আচ্ছা ঠিক আছে চলো।
আমি আর সুমা ক্যাম্পাসে চলে গেলাম।
=> এই আজ কোনও ক্লাশ করবোনা? শুধু ঘুরবো।
=> এই না একদম না।
=> আজ আমি তোমার কোনো কথাই শুনবো না।
=> কিন্তু,,,,,,,,
=> কোনো কিন্তু নেই চলো।
আমি আর সুমা বেরিয়ে গেলাম। তারপর আমরা অনেক জায়গা ঘুরে আসলাম। অনেক মজা হয়েছিলো আজ তবে আজ আমি অনেক খুশি কেননা সুমা আমায় ভালোবাসে। এভাবেই আমাদের ভালোবাসা ঠিক চলছে। আমি অনেক অনেক ভালোবাসি সুমাকে। এর মাঝেই আমার এক বড় ভাইয়ের সাথে ফ্রেন্ডশিপ হয়ে যায়। অনেক ফ্রি কিছুদিনের মধ্যে আমি অনেক ফ্রি হলাম। ওর প্রায় কথাই আমায় বলে। অনেক ভালো লাগছে একদিকে আমার লক্ষি আমার ভালোবাসা যে আমায় অনেক বেশি ভালোবাসে সুমা আর অন্যদিকে আমার এই বেস্ট ফ্রেন্ড আমি আজ অনেক খুশি। রাতে গিয়ে সুমার সাথে কথা হলো,,
=> হ্যালো জান,
=> হ্যা জান তুমি কোথায়?
=> আমিতো বাসায়, তুমি কোথায়?
=> আমি ম্যাসে আছি, খাইছো তুমি?
=> হ্যা তুমি?
=> না খাই নাই এখনো।
=> খাও নাই কেনো তারাতারি খেয়ে নেবে যাও।
=> জান কাল একটু দেখা করতে পারবা?
=> কেনো?
=> তোমায় দেখতে ইচ্ছা করেছিলো তাই।
=> কিন্তু জান আমি যে কাল একক্ষানে যাবো আম্মুসহ?
=> ও আচ্ছা ঠিক আছে তাহলে পরশু দেখা করবো।
=> আচ্ছা ঠিক আছে।
আমি ফোন কেটে দিয়ে একটু বাইরে গেলাম এসে দেখি আমার সেই বড় ভাই বেস্ট ফ্রেন্ড ফোন দিয়েছে,
=> হ্যা ভাই বলেন।
=> এই মনির কাল কি ফ্রি আছো?
=> হ্যা ফ্রি আছি কেনো?
=> কাল এক জায়গায় যাবো।
=> কোথায়?
=> গেলেই দেখতে পারবি, সকালে রেডি হয়ে আমার বাসার সামনে আসিস।
=> আচ্ছা ঠিক আছে।
যাক কালকের দিনটা আর বোরিং লাগবেনা, একজনকেতো সাথী পেয়েছি। আমি তারাতারি ঘুমিয়ে গেলাম। সকালে উঠে আমি ফ্রেস হয়ে রেডি হয়ে বড় ভাইয়ের বাসার সামনে গেলাম। বড়ভাইকে ফোন দিলাম ও একটু পর বেরিয়ে আসলো।
=> হুম চল।
=> হুম চলো, কিন্তু আমারা কোথায় যাচ্ছি এটাতো বলবা?
=> কেনো আমায় কি তোমার বিশ্বাস হয়না যে একটা সারপ্রাইজ দেবো তোমায়?
=> হয় কিন্তু আমায় একটু খুলে বলবা আসলে ঘটনাটা কি?
=> আহ! কি করবো তোকে নিয়ে, আচ্ছা ঠিক আছে আমি তোকে সামান্য একটু বলবো আর বাকিটা তুই ওখানে গিয়ে দেখবি ওকে?
=> আচ্ছা ঠিক আছে বলো?
=> আমার গার্ল ফ্রেন্ডকে তোর সাথে মিট করাতে নিয়ে যাচ্ছি।
=> ও এটা বলবেতো তা কে তোমার গার্ল ফ্রেন্ড?
=> সেটা গেলেই দেখতে পারবা।
=> ঠিক আছে।
আমি আর বড় ভাই ভাই গেলাম আমাদের গন্তব্যে। মেয়ে উল্টা পাশে দাড়িয়ে ছিলো, খুব চেনা চেনা লাগছে মেয়েটাকে। কে হতে পারে। যতই কাছে যাচ্ছি মেয়েটার ততই বুকটা ব্যথা করছে। কাছে গিয়ে বড় ভাই ডাক দিলো মেয়েটাকে,
=> জানু তুমি কখন আসছো?
=> এইতো জানু এক,,,,,,,,,,,,,,,
একি এতো সুমা। আমার জান, আমার পরী সুমা। সুমা মুখ ঘুরে আমাকে দেখেই আমার দিকে তাকিয়ে আছে কিছু বলছে না। কিন্তু সবচেয়ে অবাক আমি। না এ আমার সুমা হতে পারেনা,আমি ভুল দেখেছি, আর আমার জানতো ওর আম্মুর সাথে কোথায় জানি গেছে, না এটা আমার সুমা না, আমার সুমা কোনোদিন এমন কিছু করবে না, আমায় কখনো কষ্ট দেবে না সে। অনেক ভালোবাসে আমায়। আমি নিজেকে বিশ্বাস করতে পারছি না কি হচ্ছে এখানে।
=> এই মনির তুই এমন নিস্তব্ধ হয়েছিস কেনো? আর জানু তুমি কিছু বলছোনা কেনো?
=> হুম, কিছুনা,,,, তুমি এখানে?
=> আসলাম দেখতে তোমাদের প্রেম, কিভাবে প্রেম করো।
=> আমি সরি,
=> প্লিজ আমায় কিছু বলিও না।
=> কি হচ্ছে এখানে আমিতো কিছুই বুঝতেছিনা।
=> সরি রাকিব, আসলে মনির আমার বয়ফ্রেন্ড আমি মনিরকে ভালোবাসি।
=> হোয়াট?
=> এক মিনিট, আসলে আমার টাইমিংটাই খারাপ ছিলো। আমি চাই তুমি ভালো থাকো সুমা, তোমার খুশিটাই আমি সবচেয়ে আগে দেখি কেননা ভালোবাসি আমি তোমায় অনেক অনেক বেশি।
=> প্লিজ মনির আমায় ক্ষমা করে দাও, আমি আর এরকম ভুল করবোনা।
=> প্লিজ সুমা, তুমি আমার কাছে আমার ভালোবাসাকে ছোট করোনা, অনেক ভালো থাকো তোমরা।
=> কিন্তু ম,,,,
=> আর কিছু শুনতে চাইনা আমি।
আমি ওদের রেখে চলে হেটেই চলে আসছি। আমি কি দেখলাম এটা এই আমার সুমা যে আমায় পাগলের মতো ভালোবাসতো? এই আমার সুমা যার জন্য আমি পাগল ছিলাম, এই আমার সুমা যার জন্য আমি স্বপ্ন দেখতাম, এই সুমা প্রতিটা ইচ্ছাকেই আমি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতাম আজ সেই সুমাই আমায় এভাবে ঠকালো, কি দোষ ছিলো আমার? ওকে মন থেকে অনেক ভালোবাসাটাই কি আমার অপরাধ? না আর আমি কিছু ভাবতে পারছি না, মাথাটা কেমন যেনো করছে।
আমি মাথা তুলে সামনে তাকাতেই একটা বাসের সাথে ধাক্কা খেয়ে অনেক দূরে ছিটকে পড়লাম। অমার একদম কলিজায় আঘাত করে গেছে, আমার রক্ত আমি দেখতে পাচ্ছি, রাস্তা ভিজে যাচ্ছে। আমি কিছু শুনতে পারছি না, দুনিয়ার সব শব্দ আমি শুনতে ভুলে গেছি। মাথাটা চিনচিন করছে। আমার বুঝতে বাকি নেই এটাই আমার শেষ সময়।সুমা রাকিব আমার দিকে দৌড়ে আসছে। সুমা কান্না করতেছে, আমার বা কি করার আছে। আমি চেয়েছি তুমি ভালো থেকো সারাক্ষন, আমার সমস্ত খুশি আমি তোমায় দিয়ে তোমার দুঃখটা আমি নিয়ে যেতে চাই, তোমায় শুধু তোমায় ভালোবেসেই আমি মরে যেতে চাই। যদি আমার ভালোবাসাটা সত্যি হয়েই থাকে তাহলে যেভাবেই হোক আমাদের মিলন হবেই, বিদায়। তুমি ভালো থেকো জান, আর কিছু মনে নেই আমার।
সমাপ্ত