জীবন আর টুনির ভার্চুয়াল ভালোবাসা

জীবন আর টুনির ভার্চুয়াল ভালোবাসা

-এই ইশিতা।
-(no reply)
-এই হ্যালো শুনেন।
-(no answer)
এমন প্রায় 2/3 টা ম্যাসেজ
দিয়েও ওপাশ থেকে উত্তর পাচ্ছেনা জীবন।
ভাবছে,ফেসবুকে মেয়েরা ভাব মারতেছে নাকি? উত্তর
দেয়না।
অবশ্য ওরে ম্যাসেজ দেয়ার
কারন ছিল। আইডি নাম অনেক কিউট
লাগছিল তাই ভাবল একটু
পরিচিত হতে,
কিন্তু বালিকা ইহা
দেখিলনা।
কিছুদিন পর, -ওই ইশিতা, সমস্যা কি?
-ইশিতা??
-হুম,
-সরি,রং আইডি।
-আরেহ কি কন।
-আমি যে ইশিতা আপনেরে কইছে কে? আজব।
-এই এই টুনির মা,,আপনে
ইশিতাা না হইলে এই
নামেই
আইডি খুলা কেন।
-ফেক না,
-আমার বান্ধবির
নাম ইশিতা, আমি পাখি।
-ওহ আচ্ছা, পাখি আখি।
-ওই,,আখি না,শুধু পাখি ।
-হুম আচ্ছা, তো টুনির
মা,থুক্কু,পাখি কই থাকেন। -কেন, আসবেন?
-না আসলে কি বলবেননা?
-না তা নয়, পিরোজপুর থাকি,
আপনি?
-ওহ আচ্ছা, পিরোজপুরর লক্ষি
মেয়ে।
-আমি বরগুনা থাকি।
>ভাল।
*
*
একটু মিস্টি আর হালকা
ঝগরা সাথে পরিচয়ের মধ্য দিয়ে জীবন আর পাখির কথা
হল প্রথম দিনের।
এরপর থেকে টুনির মা বা
পাখি আখি বলে ডেকে
দুস্টামি আর আড্ডার মধ্যে
কথা হতে থাকে। .
ও হ্যা,বলাই হয়নি,,পাখি
এবার কলেজে পড়ে,আর
জীবন S.S.C পরিক্ষার্থী।
পাখি বা জীবন কেউই অন্য
কারো সাথে বেশি সময় দিতনা।
এফবিতে আসলে এই ২ জনে
মেতে উঠত দুস্টামি আর
আড্ডা গল্পে।
*
*
-3 দিন পর।
-এই টুনির মা, কই আফনে?
-কেরে টুনির বাফ,ডাকেন
কেরে?
-ওমাগো, টুনির বাপ কিডা?
-ইসস,,আমারে টুনির মা কইতে পারলে আমি টুনির
বাপ কইতে পারমুনা???
-হেহেহে কইতে থাহেন।
—-কিছুক্ষন নিরবতা,
এই,শুনো
-হুম।
-টুনি কই?
-আছে, আসমানে।
-আসবে কবে?
-টুনির বাপের সাথে আসবে।
-আমিইতো। তো টুনি কই।
-আসবে সেও।
-আচ্ছা টুনির মা,আমারে
তোমার বাবুর আব্বু বানাবা?
-মানা করছে কে?
-মানা করেনি কিন্তু
বলেওনি।
-হুম।
-হুম কি? বউ হবে আমার?
-নাহ,
-কেন? আমি পচা নাকি?
-মা তাতো বলিনি। আমি
টুনির বাপের বউ।
-আচ্ছা আমারে টুনির বাপ বানাবা?
-হুম ভেবে দেখি।
*
*
জীবন গ্রিন সিগনাল পেয়ে
এক্সাইটেড হয়ে আছে, কখন যে উত্তর পাবে।
ভাবতে ভাবতে সন্ধা হল
জীবন ফেসবুকে ঢুকল।
চিরচেনা নাম থেকে
ম্যাসেজ বক্সে ম্যাসেজ
আসছে,, হুম এটাই আশা করছিল
জীবন.
ভয় আশংকা আর একটু লাজুক
ভাবে ওপেন করল পাখির
ম্যাসেজ।
যা লিখা ছিল তাতে এতে জীবন ব্যাপক নিস্তব্ধ
হল।
কারন এত খুশি লাগছিল যা
ভাষায় প্রকাশ করার
নয়।
হুম, পাখি তার ডাকে সাড়া দিছে।
এক কথায় জীবন এহন টুনির
বাপ আর তার পাখি আখি এহন
টুনির মা।
পাখি উত্তর দিয়ে অফলাইনে
গেছে, কিজানি,হয়ত মেয়েটা লজ্জা
পেয়েছে।
এরপর দিন ভরে দুস্টামি আর
রাত জেগে আড্ডা চলতে
থাকে এই যুগলের।
*
*
অনেক দিন পরের কথা।
জীবন একটু বেলা করে উঠত
ঘুম থেকে।
প্রতিদিন পাখির ডাকে ভোর
হয়। পাখি উঠেই আগে জীবনকে
ম্যাসেজ দিয়া রাখত।
প্রতিদিনের মত আজও
ম্যাসেজ পেল,
কিন্তু আজ ৪/৫টা।
খুলে দেখল ২টা গোলাপের ছবি।
পরের ম্যাসেজে উইশ করছে।
হুম আজ জীবন আর পাখির 2 তম
মাসিক রিলেশন
দিবস।
কোনো ঝগরা ব্রেকআপ ছাড়া অনেক দুস্টামি আর
গল্প আর ভালবাসার মধ্যে 2
মাস পার হল।
হুম..জীবনও উইশ করল।
তবে হ্যা, পাখির মাঝে
মাঝে মন খারাপ হত,
কিন্তু জীবনকে বলত না
যদিনা
তারও মন খারাপ হত।
জীবন অনেক সময় বুঝে
ফেলত দুস্টামি করে ভাল করার
চেস্টা করত। জীবন যখন কস্ট
পেত পাখি তারে শান্তনা
দিত। তা অনেক আগের,
পাখিকে আর পাখির ভালবাসায়
জীবন ভাল আছে।
পাখির ছবি দেখে আর কথা
বললে এক নিমিষেই জীবন
সমস্ত ভাল+সুখির
মধ্যে একজন হয়ে যায়। জীবন আর পাখির ভালবাসা
কমবার নয়,,
দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে।
জীবন বা পাখি কেউই কম
নয়,অনেক অনেক ভালবাসে
একে অপরকে। আজও দুস্টামি গল্প আড্ডার
মধ্যে বেচে আছে
ভালবাসা,
অমর হোক জীবন পাখির ভালবাসা।
*
>>>
*
হুম, আজও চলছে ভালবাসা,
কে বলছে ভারচুয়ালে
ভালবাসা নাই?
জীবন পাখি আমি
দেখেছি, এমন ভালবাসা যেখানে নাই
কোনো
অপবিত্রতা নাই স্বার্থ নাই
অন্যায় আবদার..আছে
সীমাহিন ভালবাসা আর
মনের মিল।

গল্পের বিষয়:
ভালবাসা
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত