নিয়তি , পার্ট:-১

নিয়তি ,  পার্ট:-১

পার্ট:-১
.
১..সিগারেট টা তারাতারি শেষ করতে হবে তানাহলে মেয়ে দেখলে খবর আছে।

এতটুক একটা পিচ্ছি মেয়ে ঠিক মত কথা বলতে পারেনা অথচো বাবার খুব কেয়ার করে।

সিগারেট টা শেষ করে মাউত ওয়াশ দিয়ে মুখটা পরিষ্কার করে। মেয়ে টাকে ডাকতে গেলাম।
-মা উঠো……
-আথথালামু ওলাইকুম
বাবা।
-ওয়ালাইকুম
আসসালাম মা
তারাতারি উঠো।
-উঠছি বাবা।
-তারাতারি কর তোমার স্কুলের লেট হয়ে জাবে।
মেয়েটাকে ফ্রেশ করিয়ে নাস্তা করিয়ে স্কুল জাওয়ার জন্যো রেডি করলাম।
বাইকে উঠিয়ে স্কুলের দিকে যাচ্ছি। মেয়েটা শক্ত করে ধরে আছে আমায়।
-বাবা আমার স্কুল এসে গেছি।
-ওহ তাইতো এসে গেছি
-বাবা আজ থন্ধায় আসতে আর লেত কলবানা …
-ঠিক আছে মা তোমার ব্যাগে টিফিন রাখা আছে খেয়ে নিও..
-থিক আছে বাবা
-এবার একটা পাপ্পি দাও(গাল দেখিয়ে)
-উমমমা…….
-আমাকে দাও আমিও একটা কপালে পাপ্পি দিলাম। এটা স্কুল বল্লে ভুল হবে এটা একটা বেবি ডে
কেয়ার ওকে কেয়ারে রেখে সোজা বাসায় চলে এলাম।আজ আর আফিস জাবো না আজ
আমার জীবনের একটা বিশেষ দিন।আজ আমার মেয়ের বার্থডে তবে আমি পালন করি
না।দেখতে দেখতে আমার মেয়ের বয়স চার বছর হয়ে গেছে।

২.তিন বছর রিশেষন করার পর যখন Gf বলে। আমার অনেক বড় লোক ছেলের সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়েছ।
আমি ওকেই বিয়ে করবো।আর বিয়ের পর আমরা বিদেশে চলে জাবো।তখন মনের অবস্থা কেমন হবে।
হুম ঠিক এমন টাই বলেছিল আমার Gf তাই রাগ করেই আম্মুর পছন্দের মেয়েকে বিয়ে করে ফেল্লাম।

তবে জানেন কি আমার জীবনটা বড়ই অত্ভুত আমি কিছু পেলে কিছু হারিয়ে ফেলি।

S.S.C তে গোল্ডেন A+ পেয়েছিলাম তখন বাবা আমাকে ছেরে চলে যায়।আবার যখন ভালো
জব পেয়ে বিয়ে করলাম ঠিক তখনি জীবন থেকে মা চলে গেল। যাকে বিয়ে করেছি ওর নাম নীলা। গ্রামের
মেয়ে তো অনেক লাজুক আর ধর্ম ভিরু আমাকে আপনি করেই বলতো।জীবন থেকে মাকে হারিয়ে ওকে
নিয়ে আমার থেমে জাওয়া জীবনটা শুরু করে ছিলাম। ও আমার অগোছালো জীবনটাকে গুছিয়ে দিয়েছিলো।আমাদের
জীবন ভালোই চলছিলো। হঠাত্ একদিন নীলা বল্লো আমাদের ঘরে নতুন কেউ আসছে। সত্যিই অনেক খুশি
হয়েছিলাম আমাদের ঘরে নতুন কেউ আসছে ভেবে। ওকে সব সময় রেস্টে রাখতাম কোন কাজ করতে দিতাম না।
আমাদের বেবি হওয়ার তিন মাস আগে জব ছেরে দিয়েছিলাম যাতে ওর কোন সমষ্যা না হয়।ডক্টর এর
দেওয়া ডেট এর কয়েক দিন আগেই ওকে নার্সিং হোমে নিয়ে গিয়ে ছিলাম।যেদিন ওর ব্যাথা উঠে ছিলো
ঐ দিন ওর বাবা মা গ্রাম থেকে এসে ছিলো। ওকে অপারেষন থিয়েটার নিয়ে গেল ও আমার হাত ছারতেই
চাইছিলো না। তবুও হাতটা ছেরে দিয়েছিলাম। আমরা সবাই বাইরে অপেক্ষা করছি।প্রায়
তিন ঘন্টা পর একটা নার্স বাইরে এসে বল্লো আমার একটা মেয়ে হয়েছে। অনেক খুশি হয়েছিলাম কারন
নীলার মনের আশা পূরন হয়েছে।নার্স কে জিঙ্গাসা করলাম নীলা কেমন আছে। নার্স এর কাছ থেকে
কোন উওর এলো না।খুব ভয় হচ্ছিলো আমার যদি আবার নীলার কিছু হয়ে যায়।

ডক্টর বের হলো।
-স্যার আমার নীলা
কেমন আছে।
-(কোন উওর নেই)
-স্যার কিছু বলছেন না ক্যানো
-আমি দুঃখিত
-মানে
-আপনার ওয়াইফ কে
বাচাতে পারলাম না।
.
সত্যিই চোখে পানি ধরে রাখতে পারছিলাম না।
ডক্টর একটা চিরকুট দিয়ে গেল হাতে। চিরকুট খুলে দেখি এটা নিলার হাতের লেখা।
“যেদিন প্রথম চেকআপ এ এসে ছিলাম ঐ দিন ডক্টর বলেছিলো এই
বেবি নিলে আমার জীবনের রিক্স আছে। আমি এই কথাটা তোমাকে বলিনি কারন
যেদিন তোমাকে আমাদের বেবির কথা বলেছিলাম ঐ দিন তোমার মুখের হাসিটা
অনেক ভালো ছিলো। আমি চাই নি হাসিটা হারিয়ে যাক।যদি বেচে থাকি চিঠিটা তুমি
পাবে না আর যদি মারা যাই তাহলে পাবে।ভালো থাকিও আমাদের
বেবিকে ভালো রাখিও। আর হ্যা আমার দেওয়া নামটা দিয়ো কিন্তু
আল্লাহাফেজ”
চিঠিটা পরে নিজেকে ধরে রাখতে পারি নি দৌরে গিয়েছিলাম নীলার পাসে।
নীলা ক্যান চলে গেলা আমাকে ছেরে ক্যান। সব হারিয়ে তোমাকে নিয়ে বাচতে চেয়ে ছিলাম আর তুমিই চলে গেলা।
.
৩.কখন যে ঘুমিয়ে পরেছি জানিনা। ফোনের শব্দে ঘুম ভাংলো।ঘুম থেকে উঠে দেখি সন্ধা হয়ে গেছে।
নিশির স্কুলের গেট ম্যান এর নম্বার থেকে ফোন এসেছে।
-বাবা তুমি কই
-মা আমি যাচ্ছি তুমি একটু অপেক্ষা কর..
-বাবা তালাতালি আছো
-ঠিক আছে মা তুমি গেট ম্যান আংকেল এর কাছে বসে থাকো আমি যাচ্ছি।
-থিক আথে বাবা। আজ বড্ড লেট করে ফেলেছি।সৃতিতে
ফিরে গিয়ে কখন যে ঘুমিয়ে পরেছিলাম বুজতে পারি নি।
-বাবা তুমি আথছো
-হুম মা এসে গেছি
-বাবা চলো(বাইক এর পিছনে উঠে)
-শক্ত করে ধরিও মা। মেয়েটাকে নিয়ে বাসায় চলে এলাম।বাইক
থেকে নামার পর থেকে ক্যান জানি মেয়েটা কথা বলছে না।
-মা কথা বলছো না
ক্যানো
-(উওর নেই)
-মা আমি কি কিছু ভুল করেছি
-বাবা তুমি আবাল সিগালেট খেয়েচ।
-ওর আমার মা টা এ
জন্যো রাগ করেছে বুজি।
-জি
-ঠিক আছে মা আর
খাবো না কানে ধরছি।
-থিক আছে বাবা।
-এখন চলো মা রাতের
খাবার খাবা।
-কি লান্না কলেথ বাবা
-তোমার সব প্রিয়
খাবার মা।
মেয়েটাকে রাতের
খাবার খাওয়াইয়ে
ঘুমাতে নিয়ে গেলাম।
প্রতি রাতেই ওর
মায়ের গল্প শুনেই
ঘুমায় মেয়েটা।
-বাবা একটা স্টলি
বলবো
-হুম মা বলো
-জানো বাবা আমাদেল স্কুলে নতুন একতা মিস এসেছে অনেক
সুন্দল আমাকে অনেক ভালো বাসে আজ যখন শুনলো আমার মা নেই
তখন আমাকে কোলে নিয়ে কান্না করেছে।
-ও তাই মা
-হুম বাবা।
-ওহ তুমি এখন ঘুমিয়ে যাও।
মেয়েটা কে ঘুমিয়ে রুমে এলাম।আজ আর ঘুম হবে না।

৪. নিশির নতুন মিস ওনার অফিসে ডাকছে। আজ আফিস থেকে ফেরার পথে নিশিকে
নেওয়ার সময় ওনার সঙ্গে দেখা করতে হবে।নিশি একটু দুষ্টমি করছে হয়তো
তাই ডাকছে। আজ আফিস থেকে একটু তারাতারি বের হলাম। নিশির স্কুলে
গিয়ে নিশিকে নিয়ে ওর মিস এর কাছে গেলাম।ওর মিস কে দেখে আমি অবাক হয়ে
গেলাম। এ কেন এই স্কুলে আমি ভুল দেখছি নাতো। চসমাটা খুলে ভালো ভাবে মুছে
দেখলাম।না আমি ঠিকি দেখছি।সত্যিই ওকে দেখে আমি বিশ্বাস করতে পারছিলাম না যে ও
এখানে ক্যান। এটা কিভাবে সম্ভব…

গল্পের বিষয়:
ভালবাসা
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত