জানালার পাশে বসে আছি। বাহিরের পরিবেশ দেখছি। রাত ২:৩০ মিনিট। এই সময়টাতে সাধারনত আমার এইখানে বসা হয় না। সময়টা অনেক খারাপ লাগে। তবে আজ কেন জানি লাগছে না। আমি কেন জানি বুঝি বুঝি করেও বুঝতে পারছি না, বের করতে পারছি না এর কারন। নিজের প্রিয় ড্রিংকসটাতে আরো এক চুমুক দিলাম। ভাবলাম এইটাতে যদি কিছু হয়। কারন আমি আমার জীবনের অনেক সিদ্বান্ত আমার প্রিয় ড্রিংকসটাতে চুমুক দেয়ার পর নিয়েছি। নিয়েছি বললে ভুল হবে। এইটা খেলে আমার যেন কোন টেনশন থাকে না। দীর্ঘ ১২ বছর ধরে এই জিনিসটা আমার সাথে আছে। কখনো দেরি করেনি কোন প্রশ্নের উত্তর দিতে। তাহলে আজ এতো করছে কেন। এইসব ভাবতে ভাবতে আমার চোখ গেল বিছানায় শুয়ে থাকা মেয়েটার দিকে। কেমন করে শুয়ে আছে। তাকে দেখলেই মনে হয় চোখে নেশা লাগে। আজ ৫ বছর হয় আমরা একসাথে আছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত বিয়ে করি নি। করি নি বললে ভুল হবে, আসলে আমরা সময় পাই নি। ইয়াবা, গাঁজা, হেরোইন, সীসা খেতে খেতে কখন যে ৫ বছর চলে গেল বুঝতেই পারি নি। আচ্ছা, আজ ওকে এত ক্লান্ত লাগছে কেন? লাগারই তো কথা। সারাদিন কত ধকল যায়!
কি মনে করে জানি ক্যালেন্ডারে দিকে চোখ গেল। তারিখটা দেখতেই মনটা খুশী হয়ে উঠলো। বুঝতে পেরেছি ভাল লাগার কারন। আজ তো আমাদের বিয়ে। গত রাতেই তো আমরা সিদ্বান্ত নিলাম। এই সময়ের ভিতরেই ভুলে গেলাম? আজকাল যে আমার কি হয়েছে আল্লাহ জানেন। সবকিছু কেন জানি ভুলে যাচ্ছি। অবশ্য ডাক্তার বলেছিলেন যে এইরকমই কিছু নাকি হবে। আজকে কেন জানি পাশের মেয়েটার দিকে তাকিয়ে থাকতে অনেক ইচ্ছে করছে। অনেক নিস্পাপ লাগছে ওকে। অনেক। সব অতীত কেন জানি আজ চোখের সামনে ভেসে আসছে।
তখন আমি ২০ বছরের একটা পরিণত যুবক। সারাদিন পরে থাকতাম নেশা নিয়ে। ক্লাশ করার আগে নেশা, ক্লাশের পরে নেশা। বন্ধু বান্ধবীদের সাথে নেশা, বাসায় লুকিয়ে লুকিয়ে নেশা। আসলে আমি নেশা নামক এক বেড়ার মাঝে আটক ছিলাম। এইটা ছাড়া আমার আর কিচ্ছু ছিল না। কোন মেয়েকেও আমি অন্য চোখে দেখতে পারতাম না। নেশাকেই সব কিছু মনে হত।
কোন এক বছরের ১৪ই ফেব্রুয়ারী। আমরা সব বন্ধুরা মিলে প্ল্যান করলাম এইবারের ভ্যালেন্টাইনস ডে অনেক ভালোভাবে সিলেব্রেট করব। সবাই মিলে চললাম সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সিলেব্রেট করব বলে। একটা জায়গায় আমরা সবাই গোল হয়ে বসে প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এমন সময় খেয়াল করলাম যে একটা বিদেশী মেয়ে অনেকগুলা বস্তির বাচ্চাদের সাথে মজা করছিল। অনেক ভালো লাগছিল দেখতে। জানিনা কতক্ষন ওর দিকে তাকিয়ে ছিলাম বলতে পারি না। শুধু বলতে পারি যে বন্ধুদের ধাক্কায় আমি সম্বিত ফিরে পেয়েছিলাম। ওরা তখন অবাক হয়ে গিয়েছিল এই ভেবে যে, যে আমি কোন মেয়ের দিকে এইভাবে তাকাই নাই আজ আমার কি হয়েছে। আসলেই এই মেয়েটাকে আমি চোখ থেকে সরাতে পারছিলাম না। জীবনের প্রথমবারের মতো আমি নেশা হাতের কাছে এনেও রেখে দিলাম। ধীরে ধীরে মেয়েটার কাছে গেলাম। গিয়ে দেখলাম ও মনের আনন্দে ছেলেমেয়েদের সাথে খেলছে।
– হাই।
– হ্যালো।
– মাই নেম ইজ হিমেল, এন্ড ইউ?
– নাসা!
– ওয়াট? নাসা! রিয়েলি ভেরী ইন্টারেস্টিং নেম।
– ইয়েস। আই নো।
– আর ইউ ফ্রম ………………
– আই এম ফ্রম বাংলাদেশ!
– কি? আপনি বাংলাদেশী? কিন্তু আপনাকে দেখে তো বুঝাই দায় যে আপনি বাংলাদেশী।
– জ্বি, আমি বাংলাদেশী। আপনার কোন সমস্যা?
– না না। আমার সমস্যা থাকবে কেন? কোন সমস্যা নেই। আপনার সাথে পরিচিত হয়ে অনেক ভাল লাগলো।
– আমারো ভালো লেগেছে। আচ্ছা, আজ আমি একটু ব্যাস্ত। আপনার সাথে অন্য একদিন দেখা হবে। ভালো থাকবেন।
– আপনিও ভালো থাকবেন।
এই বলে যে আমি চলে এলাম তারপর প্রতিদিন ওর দেখা পাবার উদ্দেশ্যে ওই জায়গায় যেতাম কিন্তু পেতাম না। হঠাৎ করে একদিন তার দেখা পেলাম। ঠিক একই ভাবে বাচ্চাদের সাথে খেলা করছে।
– হাই।
– হ্যালো।
– আমাকে চিনতে পেরেছেন?
– স্যরি? মনে করতে পারছি না।
– ওকে সমস্যা নেই। মনে করিয়ে দিচ্ছি। ১৪ই ফেব্রুয়ারী, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, আপনার সাথে দেখা হয়েছিল। আপনি বাংলাদেশী শুনে অবাক হয়েছিলাম।
– ওহো! চিনতে পেরেছি। কেমন আছেন? আপনার নামটা যেন কি? হি… হি…
– হিমেল।
– ইয়েস! হিমেল। কেমন আছেন?
– জ্বি, ভালো। আচ্ছা, আজ কি আপনার সাথে কিছু কথা বলতে পারি?
– কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে?
– আরে নাহ, এমনিতেই। কি, পারবেন একটু সময় দিতে?
– ওকে। একটু ওয়েট করুন, আমি বাচ্চাদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে আসছি।
– ওকে। আমি আছি।
– (কিছুক্ষন পর এসে) বলুন।
– এখানে না। চলুন, ডিঙ্গিতে যাই।
– ডিঙ্গি তো অনেক দূরে। এই মুহূর্তে যাওয়া কঠিন হয়ে যাবে আমার জন্য। অন্য কোথাও যাওয়া যায় না?
– কোন সমস্যা নেই। আপনার ভয়ের কিছু নেই। আমি আবার আপনাকে এইখানে পৌছে দিব।
– (একটু ভেবে) চলুন।
এইভাবেই শুরু হয় ওর সাথে আমার সম্পর্ক। ঠিক যেন সিনেমার মতো। পরিচয়, ঘুরতে যাওয়া, বন্ধুত্ব, প্রপোজ, প্রথমে মানা করা, পরে মেনে নেয়া। প্রথম দিকে ও জানত না যে আমি নেশা করি। আমিও বুঝতে দিতাম না। কারন, ও অনেক ভালো ছিল। আমি ওকে এইগুলার সাথে জড়াতে চাই নি। কিন্তু একদিন জানি কিভাবে ও জেনে গেল। আমার কাছ থেকে যে জানেনি আমি শিউর। তাহলে মনে হয় আমার বন্ধুদের মধ্যে থেকে কেউ বলেছে। কারন ওদের কেউ কেউ ওকে ভালোবাসত। ঘটনা জানার পর এজ ইউজুয়াল ঝগড়া। তুমি একটা খারাপ। তুমি নেশাগ্রস্ত, তুমি একটা পাপ। তুমি জীবনে আমার সাথে যোগাযোগ রাখবা না। কথাটা মনে থাকে যেন। এইসব কথা বলে ও চলে গেল।
প্রায় ২ মাস ওর সাথে কোন কথা হয় না। মাঝখানে অনেক বার ওকে ফোন দিয়েছি। ও রিসিভ করে নি। ওদের বাসার সামনে দাঁড়িয়ে ছিলাম। পাত্তা দেয় নি। আমি চাচ্ছিলাম ও যদি আমাকে মাফ করে দেয় তাহলে জীবনে আর নেশা করবো না। কিন্তু তা না হওয়াতে আমি আরো নেশার দিকে ঝুকে গেলাম। সারাদিন এইটা নিয়ে পরে থাকতাম। হঠাত একদিন সন্ধায় আমার মোবাইলে ওর নাম্বার থেকে ফোন আসলো।
– হ্যালো, তুমি কই?
– আমি তো বাসায়। কেন?
– তুই বাসায় থাক। আমি আসছি।
– এই সময় তুমি আসবা কেন?
– কোন কথা বলবা না। আমি আসতেছি।
– ওকে।
প্রায় আধ ঘন্টা পর ও আমার বাসায় আসলো। এসেই ধপ করে বসে পড়লো।
– কি হয়েছে?
– কিছু না। আমাকে একটু রেস্ট নিতে দাও।
– (কিছুক্ষন পর) আচ্ছা, অনেক্ষন হয়েছে। এখন বল কি হয়েছে?
– আমি বাসা থেকে বের হয়ে আসছি।
– মানে? কেন? কি হয়েছে?
– আমি এডিক্টেড। তাই আমাকে টাকা যোগার করতে হবে।
– তুমি এডিক্টেড মানে? কি বলতেছ তুমি এইগুলা? তোমার মাথা ঠিক আছে?
– জ্বী। আমার মাথা ঠিক আছে। তোমার কাছ থেকে যাওয়ার পর আমি অনেক এলোমেলো হয়ে যাই। তাই তোমার উপর রাগ করে কিছু কষ্ট ভুলে থাকতে চেয়েছিলাম। অনিচ্ছা বসতই জিনিসটার সাথে আলিঙ্গন করি। এতটুকু এগিয়ে যাব ভাবতে পারি নি। একটু কষ্ট ভুলে থাকতে গিয়ে আজ আমি তোমার মতো। এখন বলো আমাকে তোমার সাথে রাখবা কি না?
ভাবলাম আমি নিজেই তো বাসা ছাড়া। ওকে কিভাবে রাখবো? তারপরেও কি ভেবে যেন বললাম থাকতে কোন সমস্যা হবে না তো? আমি কিন্তু তোমাকে তোমার বাসার মতো সুখ দিতে পারবো না। এখন দেখ কি করবা। আমাকে অবাক করে দিয়ে ওই মেয়েটা রাজি হয়ে গেল। নিজেকে অনেক ভাবে বুঝাতে চেষ্টা করলাম যে কোন সমস্যা হবে না। তারপরেও মন মানছিল না। সবকিছু ভাগ্যের উপর ছেড়ে দিলাম।
সেই থেকে আজ পর্যন্ত আমরা এক সাথে আছি। নেশার টাকা যোগাড় করতে যে কি কি করতে হয়েছে তা বলার বাহিরে। নিজেকে বিক্রী করে দিতেও আমরা দ্বিধা বোধ করি নি। যখন টাকা থাকত না তখন রাতে মাঝে মাঝে ভাবতাম যে ছোটবেলায় আব্বুকে বলেছিলাম যে ওকে কখনো কষ্ট দিব না। আম্মু, ছোট ভাই বোনের দায়িত্ব আমি নিব। কি হতে গিয়ে কি হয়ে গেল। সব ওলট পালট হয়ে দিল। এইসব ভাবতে ভাবতে প্রায়ই চোখের কোনে পানি আবিষ্কার করতাম।
মাস ছয়েক আগের কথা।
সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠেই নাসা চিৎকার করতে লাগলো। ওর বুকে অনেক ব্যাথা করতেছে। ডাক্তারের কাছে গিয়ে যা শুনলাম তাতে বুক কেঁপে উঠলো। ব্রংকাইটিস এর পাশাপাশি শুনলাম যে তার নিজের শরীরের সব রক্ত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। মাথা কাজ করছিল না। এই সবের উপরেও ডাক্তার আরেকটা খুশীর খবর দিলেন। আমি বাবা হতে যাচ্ছি। বুঝতে পারছিলাম না কি করা উচিত। হাসব না কাঁদবো। নাসার কাছে গেলাম। চুপ করে দাড়িয়ে থাকলাম পাশে। ইচ্ছে করছিল জড়িয়ে ধরে খুশীর খবরটা জানাই। কিন্তু পারছিলাম না। ও বোবার মতো আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আজকে ওর চেহারাটা অনেক নিস্প্রান মনে হচ্ছে। কপালে একটা চুমু খেয়ে বললাম তুমি আম্মু হতে যাচ্ছ পাগলি। এইকথা শুনার পর ওর চোখের কোনে আসা পানি হাতে নিলাম। বুঝতে পারলাম ওর মনে লুকিয়ে থাকা কষ্টটা। এই মাদকটা আমার জীবনে এইভাবে কষ্ট নিয়ে আসবে ভাবতে পারিনি।
গতকাল রাতে আমাদের ভবিষ্যত নিয়ে কথা উঠায় আমরা বিয়ে করার সিদ্বান্ত নিলাম। কারন আমাদের সন্তান কোন পরিচয় ছাড়া আসতে পারে না।
আজ আমাদের বিয়ে। গর্ভের বাবু ধরিত্রীতে আসার অপেক্ষায়। এই সময়ে বিয়ে করাটা একটু আজব ই বটে। কিন্তু কিছু করার নাই। আমি চাই না আমার ছেলে অন্যায় ভাবে আসুক। মনের ভিতরে একটা ভয় কাজ করছে। ডাক্তার বলেছেন যে মায়ের অতিরিক্ত পরিমাণ নেশা গ্রহন বাচ্চার জন্য ভয়ংকর হতে পারে। এইসব ভাবতে ভাবতেই রাত শেষ হয়ে গেল। সকাল বেলা নাসাকে ডেকে তুললাম। সে অনেক কষ্ট পাচ্ছে বুঝা যায়। কিন্তু আর বেশীদিন নেই। তারপর আমাদের সন্তান তার কোল আলো করে আসবে। বিকেল বেলা আমরা কাজী অফিসে গেলাম। সাক্ষী হিসেবে দুই বন্ধুকে নিলাম। কিন্তু নাসা যখন কবুল বলতে যাবে তখনই সে মাথা ঘুরে পরে গেল। কিছু বুঝে উঠতে পারছিলাম না। কিন্তু একটা জিনিস মাথায় ছিল যে তাকে ডাক্তার এর কাছে নিতে হবে। জলদি করে তাকে হাসপাতালে নিলাম। ডাক্তার বলল যে সিজার করতে হবে। কিন্তু মায়ের অবস্থা অনেক খারাপ। সিউর করে কিছু বলা যাচ্ছে না। বুকে অনেক বড় পাথর রেখে রাজি হলাম। সাইন করতে গিয়ে কলিজা ফেটে যাচ্ছিল। প্রায় দেড় ঘন্টা পর অপারেশন শেষ হলো। ছেলে বাবু হয়েছে কিন্তু মায়ের অবস্থা অনেক খারাপ। রক্তপাত অনেক বেশী হচ্ছে। থামছে না কিছুতেই। ছেলেকে কোলে নিয়ে দেখলাম যে ও কান্না করছে না! ডাক্তার কে জিজ্ঞেস করাতে বলল যে ঠিক হয়ে যাবে। প্রায় এক ঘন্টা পর ডাক্তার এসে বললেন যে রোগীর অবস্থা ভালো না কিন্তু জ্ঞান ফিরেছে। দৌড়ে তার কাছে গেলাম। সাদা একটা বিছানায় শুন্য চোখে তাকিয়ে থাকা আমার নাসাকে দেখলাম। তার হাত আমার হাতের উপর রেখে বললাম যে “তোমার কিচ্ছু হবে না।” সে অনেক কষ্ট করে একটা কথা উচ্চারন করতে চাচ্ছিল। “ক…ক…ক” কিন্তু শেষ করার আগেই তার হাত নিথর হয়ে গেল। কিছুক্ষন বোবা হয়ে তাকিয়ে থাকলাম তার দিকে। যখন বুঝলাম তখন সব কিছু শেষ হয়ে গেল। আমার নাসা আমাকে ছেড়ে চলে গেল। আমার জন্য গ্রহন করা মাদক তাকে আমার কাছ থেকে কেড়ে নিল। নিজেকে মেরে ফেলতে ইচ্ছে করছিল। কিন্তু বাচ্চার কথা মনে আসাতেই তার কাছে গেলাম। বেডে শুয়া। কি নিস্পাপ মুখ। তার মা তাকে দেখে যেতে পারল না। আমার দুই বন্ধু মুখ গোমড়া করে বসে আছে। বাচ্চাটাকে অনেক আদর করে কোলে নিলাম। কিন্তু কোলে নিতে গিয়ে আমি কেঁপে উঠলাম। বাচ্চার শরীর বরফের মতো ঠান্ডা হয়ে আছে। সাথে সাথে বন্ধুগুলা ফুপিয়ে কাঁদা আরম্ভ করল। আমার মনে হচ্ছিল মাটি দুই ভাগ হয়ে যাচ্ছে। আমার জীবনের সব কিছু উলট পালট হয়ে গেল। সাথে সাথে হাসি আরম্ভ করলাম। আমার মনে হচ্ছিল যে হাসি মন থেকে আসছে না। কিন্তু তারপরেও হাসলাম। হাসতে হাসতে চোখ থেকে পানি ঝরছিল। ঝাপসা চোখে আমার বাবুটাকে দেখলাম দাঁড়িয়ে আছে। আজব! এতো তাড়াতাড়ি তো ওর দাড়াবার কথা নয়! সে বলল “তোমাদের পাপের জন্য আজ আমাকে অকালেই চলে যেতে হলো। কখনো ক্ষমা পাবে না তোমরা।” তার এই কথা বলে চলে যাবার পর শুধু একটা জিনিস উপলব্ধি করলাম যে আমি মনে হয় জ্ঞান হারাচ্ছি।