ভালোবাসার বিয়ে

ভালোবাসার বিয়ে

-বস কিছুদিনের জন্য ছুটি নেওয়া যাবে??? (আমি)(বস তো আমার দিকে অবাক দৃষ্টিতেতাকিয়ে আছেন,মনে হয় ছুটি চেয়ে কোন বড় অপরাধ করে ফেলেছি)

-আজ সূর্য কোন দিকে উটল আরফান সাহেব?? (বসস)
-কেন স্যার কি হইছে???
-নাহহ যে ছেলেটা গত দুই বছর যাবত আমার কম্পানিতে চাকুরি করে সরকারি ছুটি বাবত কোন ছুটি নেইনি,কিন্তু আজ হঠাত ছুটি!তাই অবাক হচ্ছি!
-নাহহ স্যার বাড়িতে তো অনেক দিন যাবত যাওয়া হয়না,তাই ভাবলাম বাড়িতে একটুঘুরে আসি!
-আপনি যতদিন ইচ্ছা ছুটি নিন,কোন সমস্যানাই।
-ধনবাদ স্যার।
-আজকেই রওনা দিবেন?
-না স্যার কালকে সকালে রওনা দিব।
-সবধানে যাবেন,নিজের দিকে খেয়াল রাখবেন।আর যদি কোন কিছুর প্রয়োজন হয় আমাকে জানাবেন।
-ধন্যবাদ বসস,

বলেই নিজের ডেস্কে চলে আসলাম।আসলেই আমার মনে হয়না যে সরকারি ছুটি বাবতস্যারের কাছে ছুটি নিয়েছি।পরিচয়টা দেই- আমি আরফান।গ্রাম আর সহর জীবন মিলিয়ে পড়ালেখা শেষ করে এখন একটা মাল্টিনেশনাল কম্পানিতে জব করি।বাবা নেই,অনেক আগেই মারা গেছেন।আমার ফ্যামেলিতে শুধু আমি মা ।মা আর গ্রামের বাড়িতে থাকেন।কম্পানি থেকে মোটামোটি ভালই বেতন পাই।মাসে মাসে বাড়িতে টাকাও পাঠাই।আর আমি ঢাকায়থাকি,ম্যাচে না অবশ্য,কম্পানি থেকে একটা ফ্লাট দিছে ওটাতেই থাকি। আনেকদিন পর গ্রামের বাড়ি যাবো। ভাবতেই খুব আনন্দ লাগছে। ৩ ঘন্টা আগে-

-হেলো মা,বলো।(আমি)
-কেমন আছিস?(মা)
-ভালো,তুমি কেমন আছো?
-ভাল নেই।
-কেন মা তুমার আবার কি হলো?
-তুই কেমন চাকুরি করিস একদিন ও ছুটি নিয়ে বাড়িতে আসতে পারিস না?
-আসলে মা অফিসে অনেক কাজের চাপ।তাইআসতে পারি না।
-আমি এত্ত কিছু জানিনা,তুই এখুনি ছুটিনিবি,আর কালকে চলে আসবি।
-আচ্ছা মা দেখি কি করা যায়।
-আর হে,কাতার থেকে তর খালা খালু আর তার মেয়ে ঐশি এসেছে।তারাও তকে অনেকদিন যাবত দেখে নাই।তুই কালকেই চলে আয় বাবা।
-আচ্ছা মা এখন রাখি।(টুত টুত টুত)

(ঐশির কথা শুনতেই মনটা কেমন নেচে উঠল। ঐশি ছিল আমার ছোটবেলার খেলার সাথি।অদের বাড়ি আর আমাদের বাড়িপাসাপাশি ছিল।এই ঐশির সাথে ছোটবেলায় কতই না খেলেছি।ঐশি সব থেকে প্রিয় খেলা ছিল কনে বর।ও আমার সাথে প্রায়ই এই খেলা খেলত।আর বলত-দেখিস বড় হলে তুই আমার বর হবি,আব্বুকে বলে তোকে বিয়ে করে নিব।আমি তার কথা শুনে শুধু হাসতাম।কিন্তু খালুর কাজের জন্য ওনারা ঐশিকে নিয়ে কাতার চলে যান।ঐ দিন আমিঅনেক কেদেছিলাম।ঐশিও আমার জন্য অনেক কেদেছিল।আজ না যানি ঐ পিচ্চি ঐশিটা অনেক বড় হয়ে গেছে।প্রায় ১২ বছর পর ওদের সাথে দেখা হবে।মাঝে মাঝে ওর কথা মনে পরলে মনটা খারাপ হয়ে যায়।মনে হয় মেয়েটাও আমাকে প্রায় ভুলে গেছে।)

তার পরের কাহিনী তো আপনাদের আমি প্রথমেই বল্লাম।যাই হোক অফিস শেষ করেট্রেনের টিকিট কেটে বাসায় চলে আসলাম।অবশ্য নিজের গাড়ি করেই যেতাম।কিন্তুআমি একটু অন্যরকম পুরনত্বকে ভালোবাসি।তাইরাতে খাওয়া দাওয়া করে ঘুমিয়ে পরলাম। সকালে ৬টায় ঘুম থেকে ওঠলাম।আমি অবশ্য এতো সকাল ঘুম থেকে ওঠি না।সকাল ৭টার ট্রেনের টিকিট কেটেছিলাম তাই তারাতিইই উটলাম।ফ্রেস হয়ে নাস্তা করে রওনা দিলাম।অতপর ৬:৩০ এ গিয়ে ট্রেন স্টেশনে পৌছালাম।ট্রেন ছারতে আরো ১৫ মিনিট বাকি,খুব বিরক্তি লাগছিল। এগোলতে চরে অবস্ত নই,তো তাই।১৫ মিনিটকে ১৫ ঘন্টা মনে হলো।তারপর ঠিক ৭টায় ট্রেন ছারল।প্রায় ৫ ঘন্টার জার্নি। ঢাকা টু সিলেট। কানে হেডফোন লাগিয়ে গান শুনতে শুনতে কখন যে ঘুমিয়ে পরলাম বুঝি নাই। একজনের ডাকে ঘুম ভাংল-

-রাতে ঘুমান নাই?ট্রেনের টিকিট দেন। (ট্রেনের টিটি)
-জি নেন।(আমি)

ট্রেনের জানালার দিকে চেয়ে দেখি প্রায় চলে এসেছি। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি প্রায় বারোটা বাজার কাছাকাছি। তারপর পৌছে গেলাম সিলেট। ট্রেন থেকে নামলাম।২ বছরে পরে আসলাম,কেমন যানি সিলেট সহরকে অচেনা অচেনা লাগছে,সব কিছু বদলে গেছে।হঠাত একটা মেয়েকে দেখে আতকে ওঠলাম,কিইইই অপোরুপা দেখতে,গোলাপি ঠোটের মধ্য লাল লিপস্টিক লাগিয়েছে,ঠিক যেন বেহেস্তি পরী। আহা এক দেখাতেই ক্রাস। দেখলাম মেয়েটা সাইড দিয়ে চলে গেল। তারপর আমি রেলস্টেশন থেকে বের হয়ে একটা চায়ের টং দোকানে দারালাম,ভাবলাম যা ঠান্ডা পরেছে,এক কাপ চা হলে কেমন হয়!! বসে বসে চা খাচ্চিলাম,হঠাৎ পিছনে কারর স্পর্স পেলাম, পছনে তাকাতেই কেপে ওঠলাম-আহা এইতো সেই মেয়েটি যাকে একটু আগে রেলস্টেসনে দেখে ক্রাস খাইছিলাম,এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি,মেয়েটা বল্ল-

-তুই আরফান না???(অপরিচিতা)
-হুমম।আপনি কে???(আমি) বলতেই মেয়েটা আমাকে জরিযে ধরল,সক্ড খাইলাম-
-আরে আরে ছারুন কে আপনি???(আমি)
-আমাকে চিনতে পারছিস না??(অপরিচিতা)
-না কে আপনি?
-আমি ঐশি!

৪২০ ভল্টের সক্ড খাইলাম।এটা ঐশি বিশ্বাসহচ্ছে না।সামনে তাকিয়ে দেখলাম মানুষ আমাদের দিকে হা করে তাকিয়ে আছে। ঘোর কাটিয়ে বল্লাম-

-হইছে হইছে এখন ছার,মানুষ দেখছে তো! (আমি)
-না ছারব না,মানুষ দেখলে দেখুক।আমার বরকে আমি জরিয়ে ধরছি,তাতে কার কি।(তারপর নিজেই ছারিয়ে নিলাম।মানুষেরএমন চাউনিতে আমি লজ্জা একদম শেষ)

-বিয়ে ছারা বর হইলাম কেমনে?(অবাক হয়)
-মনে নাই তুই আমার সেই ছোট্ট বেলার বর।
লজ্জায় মুখটা আরো সুন্দর লাগছে)
-হাহাহা
-হইছে হইছে এখন বল কেমন আছিস??(ঐশি)
-মোটামোটি ভালই!তুই?
-আমিও!
-তকে এখানে কে পাঠাছে?আর আমাকে চিনলি কেমনে?
-খালা তর ছবি দেখাইছে।আর সারপ্রাইজ দেবার জন্য চলে আসলাম।
-এমন সারপ্রাইজ জীবনেও পাইনি!(মনে মনে)
-কিছু বল্লি?
-কই কিছু না তো!
-হইছে এখন চল,বাড়িতে সবাই অপেক্ষা করছে।
-দারা আগে চা টা শেষ করি। কে শোনে কার কথা আমাকে ওখান থেকে টানতে টানতে একটা রিক্সায় বসাল।
-মাম্মা চলেন!(ঐশি)
-কোথায়?(রিক্সাওয়ালা)
-কুমারগাঁ।(ঐশি) এক রিক্সায় দুজন।হঠাত রিক্সা ওয়াল বলে ওঠল-
-মামুনি উনি(আমাকে দেখিয়ে)তুমার কি হয়??
-আমার বর!কেন?(ঐশি)
-কিইইই বল্লি????(আমি)

বলতেই রিক্সার মধ্য আমার মুখ চেপে ধরল।মনে মনে বল্লাম,খারা আগে বারিতে যাইয়া লই। কি ফাজিল হইছে।তারপর দেখাব মজা। রিকসাওয়ালা মামু আমাদের এ কান্ড দেখে মুচকি মুচকি হাসছে! তারপর বাড়ির কাছে চলে আসলাম।রিক্সা ভাড়া দিতেই দেখি বজ্জাত মেয়েটা পালিয়েছে।যাই হোক পরে প্রতিশোধ নিব। রিক্সা ভাড়া দিয়ে বাড়ির গেট দিয়ে ডুকলাম।সত্তি সব কিছুই যেন পালটে গেছে। নিজের বাড়িকে কেমন অচেনা অচেনা মনে হচ্ছে।সামনে তাকিয়ে দেখি সবাই আমার জন্য ঘরে বাহিরে দারিয়ে অপেক্ষা করছে।দেখি বজ্জাত মেয়েটা মানে ঐশিও মায়ের পাশে দারিয়ে মুচকি মুচকি হাসছে।সামনে যেতেই মার পা ধরে সালাম করলাম।মা বল্ল-

-কিরে বাবা আসতে কোন সমস্যা হয়নি তো? (মা)
-না মা কোন সমস্যা হইনি!(আমি)
-যা সমস্যা তা তো ঐ বজ্জাত মেয়েটাকে নিয়ে,রাস্তার মাঝে আমার পেসটিজ পানচারকইরা দিল।(মনে মনে বল্লাম)
-সমস্যা কেন হবে,ছেলেটা কি আগের মতো ছোট রয়েছে নাকি?(খালু) (খালুর কথায় সবাইইই হেসে ওঠল।তারপর খালা খালুকেও সালাম করলাম)
-থাক বাবা আর সালাম করতে হবে না।(খালা)
-খালা খালু আপনারা কেমন আছেন?(আমি)
-আমরা ভালো।তুমি কেমন আছো বাবা?(খালু)
-জি আমি ভালই।(আমি)
-অনেক কথা হইছে,এখন ফ্রেস হয়ে খেতে আস বাবা।(খালা)

নিজের রুমে আসলাম।সবকিছুই কেমন গোছিয়ে রাখা।দেখতে ভালই লাগছিল।ব্যাগ রেখে ফ্রেস হতে লাগলাম।এসে দেখি বজ্জাতটা মানে ঐশি বিছানায় বসে আমার মোবাইলটা নিয়ে কি যেন করতেছে।বল্লাম-

-ঐ মোবাইল নিয়ে কি করছিস?হুমমম?(আমি)
-কিছুনা এই নে তর মোবাইল!(ঐশি)

(মোবাইলটা দিয়ে মুচকি মুচকি হেসে রুম থেকে চলে গেল।কিছুটা খটকা লাগল।মনে মনে ভয় লাগল,ফেজবুকে কিছু করে নাই তো আবার। পরক্ষনেই ফেজবুকে ডুকলাম।যা ভাবছিলাম সেটাই।এই কয়দিনে কয়টা মেয়ের সাথে ভাব জমাইছিলাম।কিন্তু সবাইকে বল্ক দিয়ে দিছে। আর আমার ফ্রেন্ড লিস্টে যতো মেয়ে আছে সবাইকে আনফ্রেন্ড।দুরররররর মাথাটাই গরম হইয়া গেল। আরেকটা জিনিস দেখেতো আমার মাথায় আঁকাশ ভেঙ্গে পরল।দেখি ঐসরযার ঐশি নামের একটা সাথে In a realationship স্টেটাস ও দাওয়া। আমি নিশ্চিত এটা ঐশির আইডি।কমেন্ট বক্সে ডুইকা দেখি অনেকে কমেন্ট করছে।রাগে তো আমার মাথা একদম শেষ।তারপর কারো হাসির শব্দ শুনলাম।দরজার দিকে তাকিয়ে দেখি ঐশি মুচকি মুচকি হাসছে।দিলাম দৌরানি,,,,দেখি বজ্জাতনিটা রান্না ঘরের দিকে ডুকল।গিয়ে দেখলাম বজ্জাতনিটা মায়ের পিছনে লুকিয়ে আছে।মা বল্ল-

-কিরে তোরা বড় হয়েছিস কিন্তু বাদরামুটা দেখছি সেই আগের মতই আছে।(মা)
-দেখো না খালা এমনি তুমার ছেলেটা আমাকে কেমন দৌরানি দিচ্ছে।(ঐশি)

(ফিসফিস করে মাকে আরো কি যানি বল্ল।মা দেখি উল্ট আমার দিকে রাগি লুক তাকাচ্ছেন)মা বল্ল-

-কিরে তুই ওরে মারছিস কেন?(মা)
-না না মা ও মিথ্যা বলছে।(আমি)
-চুপ করে টেবিলে গিয়ে খেতে বস!শুধু শুধু একটা মেয়ে মিথ্যা বলবে কেন?(মা)

তারপর রাগ করে ওখান থেকে চলে আসলাম। দুরররর মা ও বজ্জাতনিটার পক্ষ নিচ্ছেন!ভাবতেই  রাগ উটতেছে। তারপর খাওয়া দাওয়া করে নিজের রোমেচলে আসলাম।লেপটপ অন করে অফিসের কিছু কাজ করছিলাম।হঠাত রমনীর আগমন।মানে বজ্জাতনিটা আবার আসছে। তাকে দেখে আমার চোঁখ কপালে ওঠল।আহা এমনিতেই পরীর মতো দেখতে তার ওপর হলুদ শাড়ি পরেছে।ঠোটে লাল লিপস্টিক।আবারনতুন করেই ক্রাস খাইলাম।কিন্তু কেন যে মেয়েটা অমন বজ্জাতনির মতন আচরন করে বুঝি না।তারপর আমি বল্লাম-

-কিরে আবার কেন আসছিস হুমমম?(রাগি স্বরে)
-দেখতো আমাকে কেমন লাগে!(ঐশি)
-একদম ডাইনির মতন লাগছে!(রাগানোর জন্য মিথ্যা বল্লাম)

বলতেই আমার শার্টের কলার চেপে ধরল। আমিতো ভয়ে একদম শেষ,কি থেকে যেন কি করে ফেলে।কই এতো জালানোর জন্য সরি বলবে।তা না করে উল্ট আমার দিকে পিকআপ লইতাছে।

-কিইইই বল্লি তুই আমাকে ডাইনির মতো লাগছে হুমম???
-না না কি বলছেন।আমি কি ওসব বলতে পারি হুমম?(ভয়ে)
-এইত লক্ষি ছেলের মতো কথা।তাহলে বল আমাকে কেমন লাগছে?
-একদম পরীর মতন লাগছে আপ্পি! (এখন তো রাগে পুরো লাল পরী লাগছে)
-ঐ আবার কিইই বল্লি?হুমম?আমি তর কোন জনমের আপ্পি?(রাগি স্বরে)
-তাহলে কি?(ভয়ে)
-আমি তর বউ,তা তুই জানস না হুমমম? (শার্টের কলার থেকে ওর হাত সরিয়ে বল্লাম-)
-আরে দুররর বিয়া ছারা বউ হইল কেমনে???
-দারা দেখাচ্ছি মজা!

বলেই হনহন করে চলে গেল।না যানি মায়ের কাছে আবার কি বলে।ঐ রাতের মতো ঘুমিয়ে পরলাম।সকালে মায়ের ডাকে ঘুম ভাংল।মা বল্ল-

-ফ্রেস হয়ে পানজাবিটা পরে নে।(মা)
-পানজাবি কেন পরব??(আমি)
-আমি বলছি তাই পরবি।
-ঠিক আছে।

কিছুই বুঝলাম না।কি আর করার ফ্রেস হয়ে এসে পানজাবিটা পড়ে নিলাম।ঘর থেকে বের হয়ে দেখি-কি বেপার আজকে বাড়িটা এত্ত সাজানো হচ্ছে কেন?খালুকে দেখলাম বাড়িটাকে সাজাতে কয়েক জনকে সাহায্য করছেন!উনার কাছে গিয়ে বল্লাম-

-বাড়ি এতো সাজানো হচ্ছে কেন খালু? কারো বিয়ে নাকি?(আমি)
-তা পরেই বুজতে পারবা(খালু)(মুচকি হেসে)

বলেই চলে গেলেন।যাহহ বাবা,কি এমন হচ্ছে যা আমাকে বলা যাবে না!তারপর মা এসে বল্লেন-

-চল আমার সাথে!(মা)
-কোথায়?আর বাড়ি সাজানো হচ্ছে কেন? (আমি)
-তর বিয়ে!
-কিইইই আমার বিয়!কার সাথে?
-ঐশির সাথে!

বিয়েটা কেমন যানি ধুমমম করে হয়ে গেল। মনে মনে অনেক খুশিই হলাম,পরীর মতো মেয়ে কয় জনের ভাগ্যই না জুটে! বাসর ঘরে ডুকতে কেমন যানি লজ্জা করছে তাই ছাদে একা একা বসে আছি অমন সময় মা আসল, বল্ল-

-কিরে হাদারাম!তোর মাথায় কি একটুও বুদ্ধি হবেনা?(মা)
-কেন মা??আমি আবার কিইই করলাম?(ভয়ে ভয়ে বল্লাম)
-বাসর ঘরে বউ রেখে গাঁধার মতো ছাদে বসে আছিস কেন??
-ইয়ে মানে! অতপর মা আমাকে জোর করে বাসর ঘরে ডুকাল।

খালা- খালু আমার এই হাল দেখে সে কি যে হাসি! তারপর বাসর ঘরে ডুকলাম।মনে হয় বাসর ঘরে চাঁদনির আলোর মেলা বসেছে।বউটা দেখি মুখটা নিচু করে বসে আছে।আহা একদম পরীর মতো লাগছে।ঐশির সামনে যেতেই আমার পানজাবির কলার ধরে বল্ল –

-ঐ কুত্তা এত্ত সময় কই ছিলি হুমমম???(ঐশি)
-বরকে এভাবে কেউ গালি দেয়?(ভয়ে ভয়ে বল্লাম)
-বেশ করেছি,আমার বর আমি গালি দিব তাতেকার কি হুমমমম?এবার বল এতো সময় কোথায ছিলি (রাগি স্বরে)
-ইয়ে মানে বাসর ঘরে ডুকতে কেমন যানি লজ্জা লাগছিল তো তাই ছাদে গিয়ে ছিলাম।
-হাহাহা!আমার বরটার বুঝি লজ্জাওলাগছিল???
-হুমমমম।এখন বলো এত্ত কিছু কিভাবে হলো।
-বাব মাকে আমি মেনেজ করে এসব করেছি।
-বাবাহহহ!শেষ পর্যন্ত বিয়েটাই হলে গেল!
-হুমমমম।এখন তুমি আমার বর।এখন আর না করতে করতে পারবা না!হিহি
-হুমমম!
-এই!
-কি?
-আমাকে ছোট্ট একটা রাজকন্যা গিফ্ট করবা??
-হুমমম।

বলেই বুকে জরিয়ে নিলাম।ও আমাকে শক্ত করে জরিয়ে ধরল। বাকিগোলা ইতিহাস।

 The End

গল্পের বিষয়:
ভালবাসা
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত