নিপা কলেজ এর খুব মেধাবি ছাত্রি তার বাবার ও অনেক টাকা। একে তো ভাল ছাত্রী আরও বড় লোক বাবার একমাত্র মেয়ে তাই একটু অহংকারী টাইপ এর মেয়ে আর এদিকে কলেজ এর আর একটা ছেলে শিপন নামের নিপা কে ভালবাসত। গরিব এর ছেলে বলে নিপা কে কখনো তার ভালবাসার কথা বলে নি। কিন্তু নিপা কলেজ এর আর একটা ছেলের সাথে প্রেম করত তবে ওই ছেলের চরিত্র এত ভাল না আর এই কথা টা নিপার বান্ধবি রা অনেক বুঝানোরর পরেও নিপা বুঝত না। আর শিপন তো পাগলের মত করে নিপা কে ভালবাসত নিপা জানতো এই কথা। কিন্তু শিপন গরিব বলে পাত্তা দিত না শিপন একদিন সাহস করে কলেজ এর বারান্দায় একটা ফুল নিয়ে দাড়িয়ে রইল যে আজ যেভাবে হোক নিপা কে তার মনের কথা জানাবে। আর নিপা কাছে আসতেই।। শিপন: নিপা তোমাকে একটা কথা বলার ছিল।
নিপা: বল
শিপন: তোমাকে অনেক দিন আগ থেকেই আমি ভালবাসি প্রথম দেখার পর থেকেই কখন যে তোমাকে ভালবেসে ফেলেছি আমি জানি না আমি তোমাকে অনেক ভালবাসি অনেক।
নিপা: রাগান্বিত হয়ে দেখো আমি অন্য কাও কে ভালবাসি আর তুমি আমাকে ভালবেসে দিতে পারবেই বা কি? থাকো তো বস্তির মাঝে আর ভালবাস আমাকে? হাহাহা সত্ত্যি খুব হাসি পাচ্ছে তোমার কথা শুনে।।।
শিপন: মন টা খারাপ করে নিচু স্বরে বলল দেখো নিপা জানি আমি গরিব কিন্তু গরিব বলে কি আমার ভালবাসার অধিকার নেই? আর তুমি আমাকে ভাল নাই বা বাসো তবে তুমি যাকে ভালবাস সেই ছেলে টা ভাল না তোমাকে কষ্ট দেবে আর আমি চাই না কখনো তুমি কষ্ট পাও।
নিপা: আরও রেগে গিয়ে বলল আমার বেপারে তোকে না ভাবলেও চলবে। শিপন এর হাত থেকে ফুল টা নিয়ে ছুরে ফেলে দিল এরপর থেকে যখনি শিপন কে দেখত তখনি নিপা অপমান করত। সবার সামনে অপমান করলেও শিপন কিছু বলত না উলটা বলত আমি যে তোমাকে খুব ভালবাসি তাই তুমি আমাকে যতই অপমান কর একটুও কষ্ট হয় না। সব সময় নিপার পিছে ঘুরত শিপন আর বলত পৃথিবীতে আমার চেয়ে বেশি তোমাকে কেও ভালবাসতে পারবে না। এটা আমি একদিন বুঝিয়ে দেব তোমায়।। নিপা তখন বলল যে যদি আমাকে এতই ভালবাস তাহলে আমার সামনে কখনওই আসবি না তুই।
সেইদিন নিপার বয়ফ্রেন্ড শিপন কে কলেজ এর মাঠে অনেক মেরেছে শিপন তার কোন প্রতিবাদ করে নি কারন নিপা কষ্ট পাবে বলে। পরে নিপা তার বাবা কে বলে শিপন কে কলেজ থেকে বার করিয়ে দেয়। আর দেখা যায় নি শিপন কে সেইদিন এর পর। কয়েক বছর কেটে গেল। একদিন নিপা অসুস্থ হয়ে পড়ে। হসপিটাল এ admit হবার পর জানতে পারে যে নিপার দুই কিডনী ই নষ্ট হয়ে গেছে। তার বাবার তো টাকারর অভাব নাই। সব জায়গা তেই খুজতেছে কিন্তু কোথাও পেল না। নিপার তো হুশ নেই। পরে আছে বিছানায় আর এইদিকে ডাক্তার বলল তাড়াতাড়ি যদি কিডনী না দেয়া যায় তাহলে নিপাকে বাচানো যাবে না। অবশেষে কিডনী পাওয়া গেল। অপারেশন এর পর নিপা সুস্থ হল যখন নিপার হুশ আসতেই চারিদিকে দেখতে লাগল।
তার মা – বাবা সবাই কে দেখতে পেল কিন্তু তার ভালবাসার মানুষটি কে না দেখেই নিপার বুকে যেন কেপে উঠল। তার ভালবাসার মানুষ টা তাকে বাচানোর। জন্যে কিডনী দিয়ে দিল বলে। পাগলের মত হয়ে উঠে নিপা ডাক্তার কে বলল আমাকে কিডনী কে দিল? তখন ডাক্তার নিপা কে নিয়ে গেল সেই লাশ এর সামনে নিপার শক্তি নাই লাশ এর মুখের থেকে সাদা কাফন টা সরানোর,,,,, সাহস করে যখন কাফন টা সরালো নিপা কান্নায় মাটিতে লুটে পড়ল। কথা বলার শক্তি হারিয়ে ফেলল নিপা। কারন এই লাশ তো শিপন এর। যাকে সে সারা জীবন শুধু অপমান করেছে।
ক এরপর ডাক্তার নিপা কে বলল আপনার ভালবাসার মানুষ টি আপনাকে একটি বারের জন্যেও দেখতে আসে নি আর শিপন এর দেয়া একটা চিঠি দিল,,,,চিঠি তে লিখা ছিল,,,,,,তুমি তো আমার মুখ কখনো দেখতে চাও নি। জানো তুমি না বলেছিলা সত্যি যদি তোমা কে ভালবেসে থাকি তোমার সামনে যেন কখনো না আসি। দেখলে তো কত টুকু ভালবাসি তোমায় একটি বারের জন্যেও তোমার সামনে আসি নি।
জানো তোমাকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখেছিলাম আর সেই তুমি তো কখনো আমার ভালবাসা কে বুঝ নি,, বলতে পারো কি করব এই জীবন দিয়ে যেই জীবনে তোমাকে পাব না আর তাই তো চিরবিদায় নিলাম। আর কখনো তোমার সামনে এসে বলব না ভালবাসি তোমায় অনেক বেশি ভালবাসি তোমায়। আমার একটা শেষ ইচ্ছে পুরন করবে? একটি বার এর জন্যে আমাকে বুকে জড়িয়ে ধর না,,,,চিঠি পড়া শেষ হতেই নিপা শিপন এর লাশ টা বুকে জরিয়ে কাঁদতে লাগল আর বলতে লাগল শিপন আমাকে ছেড়ে কেন গেলে,,,,,,