ভালোবাসার গল্প

ভালোবাসার গল্প

এই জুনায়েদ তোমার কি হয়েছে বলো না তুমি অমন করছো। প্লিজ জুনায়েদ তোমার শরীর ঠিক আছে ত প্লিজ বলোনা ( কান্না করতে করতে। কি হলো চোখ বন্ধ করছো কেনো? ( নিঝুম) জানিনা চোখ টা ঝাপসা লাগছে কেমন যেনো মনে হচ্ছে, মনে হচ্ছে পৃথিবী টা চারেদিকে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তোমার কোলে একটু মাথা রাখতে দিবা ( আমি )

নিঝুম: পরে মাথা রেখো এখন হাসপাতালে চলো।

আমি: আমি যে পারছি না মনে হয় মারা যাবো।

নিঝুম: কি বাজে বকো। তাড়াতাড়ি চলো।

আমি: বিছানা থেকে উটঠে পারছি না তো।

নিঝুম: দাড়াও আব্বু কে ফোন দেই।

আমি: হুম।

নিঝুম: হ্যালো আব্বু তুমি কোথায় তাড়াতাড়ি বাড়ি আসো।

নিঝুমের আব্বু: কেন মা কি হয়েছে আর তুই কান্না করিস কেন?

নিঝুম: আব্বু আমার জুনায়েদ যেনো কেমন করছে প্লিজ আব্বু বাড়িতে আসোনা প্লিজ আব্বু জুনায়েদ অনেক কষ্ট পাচ্ছে।

নি: আব্বু: আচ্ছা তোর মাকে ডেকে নিয়ে আসছি।

নিঝুম: আম্মু কোথায়?

নি: আব্বু: তোর মা আর রিয়া রাখি পূজা করছে।

নিঝুম: আব্বু প্লিজ তাড়াতাড়ি আসো না জুনায়েদ অনেক কষ্ট পাচ্ছে ত।

নি: আব্বু: তুই এক কাজ কর উপরের ফ্লাটে সুভাস দাদা আছে তার সাথে সদর হাসপাতালে চলে যা আমরা পোছায় যাবোনি।

নিঝুম: সুভাষ কাক্কু দোরজা টা খুলো প্লিজ।

সুভাস কাক্কু: রাই তোর কি হয়েছে এমন করে কান্না করিস কেন? ( নিঝুমের নাম রাই)

নিঝুম: তুমি তাড়াতাড়ি

হাসপাতালে চলো জুনায়েদ অসুস্থ হয়ে গেছে। সুভাষ কাক্কু: চল তাড়াতাড়ি চল। সুভাষ কাক্কু আর নিঝুম হাসপাতালে নিয়ে আসে। কিছুক্ষন মধ্যে নিঝুমের আব্বু আম্মু আর দিদি চলে আসে। ডাক্তার দেখে বলে যে রুগি আপনাদের কে হয়? তখন নিঝুমের আব্বু আম্মু বলে আমাদের হবু জামাই। ডাক্তার বলে তেমন কিছু হয়নি শরীর দুর্বল হয়েছে তাই এমন হয়েছে। এই দিকে নিঝুমের কোলে মাথা রেখে জুনায়েদ ঘুমিয়ে আছে আর নিঝুম এখনো কান্না করেই যাচ্ছে।

ডাক্তার আবার বলে রুগির এমন অবস্থা হওয়ার কারন আছে। সবাই জিজ্ঞাসা করল কি কারন। তখন ডাক্তার বলে কালকে এই ছেলে এক রুগী কে রক্ত দিয়েছে আর রুগীর ৩ ব্যাগ রক্ত লাগতো কিন্তু খুজে পাওয়া যাচ্ছিলো না। তাই ছেলেটা দেড় ব্যাগ রক্ত দিয়েছে, আমি অনেক বারন করেছিলাম তাও শুনে নাই। সেই জন্য এমন হয়েছে। এই কথা শুনে সবাই অবাক হয়ে জুনায়েদের দিকে তাকিয়ে আছে আর ভাবছে নিজের শরীরেই ত রক্ত নাই কেন আবার অন্য কাউকে রক্ত দিতে গেলো।

রক্ত দেওয়ার কথা শুনার পরে নিঝুম আরো বেশি কান্না করে। আর নিঝুমের চোখের পানি জুনায়েদের মুখে পড়লে জেগে যায় আর চোখ খুলে দেখে সবাই ওর দিকে তাকিয়ে আছে। কিছুক্ষন পর ডাক্তার বলে বুঝলাম না ছেলেটা মুসলিম তাহলে আপনাদের জামাই হয় কিভাবে? উত্তরে সবাই বলে আমরা র্ধম নিয়ে কিছু ভাবি নাই আমরা মেয়ের হাসি চাই সব সময়। তখন ডাক্তার বলে আবার র্ধম হেরে গেলো। জুনায়েদ চোখ খুলার পরে অনেক বকা দিয়েছে নিঝুম কেন সে রক্ত দিতে যাবে নিজেই চলতে পারেনা আবার রক্ত দিতে গেছে। জুনায়েদ মুখ বুঝে নিঝুমের মধুর কন্ঠলিলা শুনছে। বিকালে জুনায়েদ কে বাসায় নিয়ে আসা হয়।।

নিঝুম: হা করো।

জুনায়েদ: এই গুলো কি?

নিঝুম: কি আবার ফুসকা।

জুনায়েদ: ফুসকা কেন?

নিঝুম: জানোনা প্রতিদিন তোমায় ফুসকা না খাওয়ালে ভালো লাগেনা।

জুনায়েদ: এখন তুমি কই পাইলে ফুসকা।

নিঝুম: আব্বু কে দিয়ে এনেছি।

জুনায়েদ: ওহ খেতে পারি তবে তোমার কোলে মাথা রেখে খাবো।

নিঝুম: রাখি ওই রাখি এই দিকে আই।

রাখি: আপু তুমি দাকতিলে।

নিঝুম: হুম এখানে এসো তোমার ভাইয়া কে একটু খাইয়ে দিই আর তুমি এইই ফুসকার প্লেট টা ধরে রাখো।

রাখি: জিজুর আতে আলিও কাবো।

নিঝুম: আচ্ছা খেয়ো।

রাখি ফুসকা নিয়ে বসে আছে আর নিঝুম জুনায়েদ কে খাইয়ে দিচ্ছে আর মাঝে মধ্যে রাখি ফুসকার টক হাতের আঙুল চুবিয়ে মুখে দিচ্ছে। নিঝুমের আব্বু আম্মু দেখে গেছে। একটু পর রিয়া আপু মানে নিঝুমের বড় বোন আসে। এসে বলে কিগো বর বউ ভালোই ত আদর যত্ন হচ্ছে। তখন রাখি বলে বলো আপু তুলি হুসকা কাবা। না পিচ্ছু আমি খাবোনা তোমার জিজুকে খাওয়াও।

জুনায়েদ: আর খাবোনা।

নিঝুম: তুই খাবিনা মানে তোর বউ  শালি শাশুড়ি সবাই খাবে।

নিঝুমের আম্মু: কে কি খাবে রাই

নিঝুম: দেখোনা আম্মু ও খেতে চাচ্ছে না।

নি: আম্মু: এই গুলো কি খাওয়াচ্ছো তুমি।

রাখি: হুসকা আম্মু।

নি: আম্মু: রিয়া ফ্রিজে থেকে কিছু ফল বের করে আনো আর এই ফুসকা বাদ দাও।

রাখি: আপু আমি তালে হুসকা গুলো খেয়ে নিই।

নিঝুম: আচ্ছা।

তারপরে সবাই মিলে গল্প করতে লাগলো নিঝুমের আব্বুও তাদের গল্পে যোগ দেই আর নিঝুমের কোলে জুনায়েদ মাথা রেখে গল্প শুনে।

the End

গল্পের বিষয়:
ভালবাসা
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত