—: কি করে ঘরে যাব? ইশশ রে ভাবতেই তো লজ্জা লাগছে আজকে আমার বাসরাত তা ও আবার আমার ই বেস্ট ফ্রেন্ড ঠিক বেস্ট ফ্রেন্ড না ও হচ্ছে আস্ত একটা ডাইনি ফ্রেন্ড শালি চুন্নিবিল্লি যেই বাবা মা বিয়ের কথা বলল নাচতে নাচতে রাজি হয়ে গেলো একবার ও ভাবল না কিচ্ছু করতে গেলেই যে দুজন লজ্জায় লাল টমেটো হয়ে যাব অবশ্য ওই বান্দরনি টা লজ্জা পাবে না হারামিনি শেষ মেশ কি না আমার কপালেই জুটলি ( আমি নীল আজকে আমার বিয়ে গেলো সামনে বাসররাত নাকি পুলসিরাত অপেক্ষা করছে কে জানে বিয়ে করেছি আমার -ই প্রানের প্রিয়তমা ডাইনি ফ্রেন্ড কে ডাইনি টার নাম ও ডায়নির মতো ডায়না।।আমি মজা করে ঢাব বলে ডাকতাম)
:— ওই কুত্তা, বিলাই, পচা আলু, ঘরে আসছিস না কেন?.. আমার একা একা ভয় করছে… ( দেখলেন তো ডায়নি টা কিভাবে গালি দেয় তা ও আবার বিয়ে করা স্বামী কে)( আমার বাবা মা টা ও যে কি… আমরা বুঝবার আগে ওনারা বুঝে গেছেন আমরা নাকি একেওপর কে ছাড়া চলতে পারবো না…বলি কি ওই ডাইনি কি চাকা আর আমি কি গাড়ি যে একেওপর কে ছাড়া অকেজো.. এর থেকে তো অন্য কোনো মেয়ে কে বিয়ে করলে এতক্ষনে ঘরে গিয়ে গল্প জুরে দিতাম এসব ভাবতে ভাবতে ঘরে ডুকলাম
:— ওই গান্ধা আলু কই ছিলি রে হ্যা মানুষ বাসর রাত কতো গল্প করে কাটায় আর তুই আমায় একা রেখে অর্ধেক রাত বাইরে কাটিয়ে দিলি?
:– ওই মুখ সামলে কথা বল বুঝলি? তর স্বামী হই এখন এখন থেকে সম্মানের সাথে কথা বলবি।কই এসে সালাম করবি তা না দিচ্ছিস গালি। পাপ হবে তর গান্ধী( পাঞ্জাবি খুলতে খুলতে)।
–: ওই একদম গান্ধী বলবি না আমায়
:– কি করবি?
–: প্যান্ট খুলে বাইরে দাড় করিয়ে রাখবো।
:–( হাত দিয়ে মুখ ঢেকে) এমা এই মাইয়া বলে কি?। আল্লাহ গো এ কেমন স্ত্রী দিলা গো আমার কপালে( বলে বিলাপ করতে লাগলো।
:—উঁহু এই শুন তর ভাগ্য ভালো যে আমি তকে বিয়ে করেছি।
:— হুম তা তো আর দেখতেই পাচ্ছি গো। এমন স্ত্রী কয়জনের কপালে জুটে যে কি না বিয়ের রাত্ররেই স্বামীর সম্মানের ওপর আঘাত করে।
:— নীল শুন না রে খুব ক্ষিদে পেয়েছে ( কাতর হয়ে)
:– আমি কি করব?
:— কি করবি মানে? কিছু এনে দেনা প্লিজ?
:— পারবো না আগে ভালো ভাবে বল।
:— ( শয়তান তরে তো আমি পরে মজা বুঝাব আগে পেট ঠান্ডা কইরা লই দাড়া) ও গো খুব ক্ষিদে পেয়েছে গো একটু খাবার এনে দেবে?।
:– ( হেসে) বাহবা… ঢাব এই রকম করে বললে তকে সেই রকমের কিউট লাগে রে… দাড়া আনছি…
:–( ডায়না একাই সব খাচ্ছে
দেখও ডাইনি টা কেমনে খাচ্ছে আমাকে অন্তত বলতে পারতো রাক্ষসী একটা)
:— খাওয়া শেষ করে ডায়না ফ্রেশ হয়ে আসলো
:— ডায়না?( খাটে হেলান দিয়ে শুয়ে শুয়ে বলছে)
—: হ্যারে বল।
:– এখন আমি তর স্বামী তুই আমার স্ত্রী। so নো তুইতুকারি তুমি করে বলবি।
:– পারবো না
:— কেন? আর কেউ আছে নাকি। যে আমাকে বলতে পারবি না?
:–+ ডায়না এবার মুখ ঘুরিয়ে তাকালো নীলের দিকে।
আমি তকে তুমি করে বলবো তকে স্বামী বলে ও মানবো,, অনেক অনকে আদর ও করব কিন্তু তার বিনিময়ে আমার ও কিছু চাই আমার শর্ত মানলে ভাববো সত্যি ই তুই আমার স্বামী। আর স্ত্রীর কাছে স্বামীর যা অধিকার সব পাবি?
:—( ভ্রু কুছকে তাকাল) তর আবার এমন কি চাই?
:— ৪ টা বেবি চাই আমি.
:— হায় আল্লাহ। বলিস কি? মাথা খারাপ?
–: তাহলে যা কিছুই পাবি না।
:– ডায়না একটা কাজ করলে কেমন হয় চল না দুজন মিলে বাচ্চার একটা ফার্ম দিয়ে ফেলি
:— ওই তুই মজা করছিস হে। এটা আমার জিবনের সব চেয়ে বড় শখ আমি ছোট বেলা থেকে ভেবে আসছি আমার বেবি থাকবে ৪ টা।
:— বললাম তো yaar ফার্ম বানাবো।
:– আবার মজা করে… ( বলেই নীল কে বালিশ দিয়ে মারছে)…
:— ওই বুড়ি ছাড় বলছি ছাড় একটা শিক্ষিতা মেয়ে হয়ে অশিক্ষিতার মতো কাজ করবি?
:— এই সব আমি কিচ্ছু জানি না আমায় বিয়ে করেছিস এখন আমায় ৪ টা বেবি ও দিবি nd that’s final
:— ডায়না? পাগল নাকি রে তুই দেখ দু টার বেশি আমি আর বেবি চাই না।
:– কিন্তু আমার চাই পাক্কা ৪ টা ( চোখ বড় বড় করে বলল)
:— কেন বুঝতে চাইছিস না বেবি বেশি নেওয়া ভালো না রিস্কি একটা ব্যাপার। এই সব আমার এমনিতেই ভয় করে। দুটার বেশি আর একটা ও চাই না।
:— ভয় পাস তুই?..হাহাহা বেবি জন্ম তুই দিবি না আমি?..ভয় পাওয়ার কথা আমার পাচ্ছিস তুই?
:— হ্যা পাচ্ছি.। কারণ আজকে থেকে তুই আর একা না তুই আমার অর্ধাঙ্গিনী।
:— আমায় হারানোর ভয় পাচ্ছিস?
:….. (নিরব)
:—- ভালবাসিস?
—: হ্যা আমি ভালবাসি তকে না আমার বউ কে। আমি স্বপ্ন দেখে আসছি ছোট বেলা থেকে আমার বউকে নিয়ে তুই হয়ে গেলি মাঝ পথে আমার বউ। তাই তকেই ভালবাসি।আর এমনি তে ও আমি তকে হারাতে চাই না।
:– কেন?
:—তুই ছাড়া ঢাব বলে ডাকার মতো কেউ নাই তাই
—: শয়তান বলেই দিলো মাইর।।
—: মারলি কেন?
–: ঢাব বললি কেন?..আমি কি ওইটা?
:— না তুমি তো আমার ডাইনি?
:– কি আবার?
—: এই না না মারবি না একদম স্বামী কে মারলে পাপ হয় জানিস না?
:-+-তুই স্বামী?
:– সন্দেহ আছে?
:– আমার শর্ত টা মেনেছিস?
-::: বললাম ত রে পারবো না আমার ভয় করে
:– হাহাহা গাধা ভয় পাওয়ার মতো কিচ্ছু নাই বুঝলি। এত দিনে বুঝতে পারলি না আমি তকে ছেড়ে কোথাও যাব না দেখ তাই ত আজকে তর গলায় ই জুলে আছি প্লিজ না করিস না
:— প্লিজ
—: নীল? প্লিজ না করিস না দেখ আমায় যদি ৪ টা বেবি দিস তবেই স্বামী বলে মানবো। নয়তো মানবো না
:— আচ্ছা টিক আছে ৪ টাই দেবো।
—: সত্যি? (খুশি হয়ে)
:— হুম…
—: পাক্কা ত? promise কর তরে দিয়া বিশ্বাস নাই
:— নে promise এর পর আবার বলিস না ক্রিকেট টিম বানাবি
:– – ( একদম উড়ে এসে জরিয়ে ধরল মনে হল)। না গো ক্রিকেট না ফার্ম দিব।
:— কিহ?
–: তুই ই ত বললি?
:— ডায়না( রাগ করে) কিস। গালে হাত দিয়ে থ মেরে গেলো ( আরেহ ডায়না যে কিস করবে ভাবে নি)
:— আরেহ আমার পরানের স্বামী রে আমার খুব শখ রে আমার জামাই যখন আমার সাথে রাগ করব আমি সাথে সাথেই তারে এইভাবে কিস করবো।
:— তুমি ত তুমার সব শখ ই মিঠিয়ে দিলে গো।এবার আমার টা আদায় করে নেই….
( বুঝলেন নাহ? ভালবাসা আদায় করবে নীল তো আমি আর নাই এখানে বুঝলেন আপনারা ও চলে যান)
সমাপ্ত