“বিবাহিতদের জন্য সুন্দর একটা গল্প, বিবাহিত সবাই পড়বেন, অবিবাহিতরাও পড়বেন কিন্তু”
স্ত্রী → আচ্ছা তুমি আমার সাথে কত দিন বাচতে চাও,?
স্বামী → তার স্ত্রীকে জরিয়ে ধরে বললো অনন্ত কাল বাচতে চাই তোমার সাথে, যে সময়ের কোন শেষ নাই।
স্ত্রী== আমরা এই দুনিয়াতে তো অল্প কয়দিন বাচবো, এর পরে তো আরেকটা দুনিয়া আছে সেই দুনিয়াতে মানুষ অনন্তকাল ধরে বেচে থাকবে, সেই সময়ে আমি তোমাকে আমার সাথে চাই আমি তোমাকে ছাড়া থাকতে পারবো না,কিছুটা বিনয়ের সুরে।
স্বামী == আচ্ছা আচ্ছা যাইতেছি। স্বামী বুঝে গেলো তার স্ত্রী কি বলতে চায়, মসজিদে আযান দিচ্ছ নামাজ পড়তে যেতে হবে। স্বামী যখন পান্জাবী টুপি নিয়ে রওয়ানা দিলো স্ত্রী মুচকি মুচকি হাসছে।
প্রতিদিন এভাবেই নামাজ পড়তে পাঠিয়ে দেয় স্বামীকে, তার স্বামী নামাজের পক্ষে একটু কাচা যখন আযান হয় তখন স্ত্রী কোন কোন মধুর কথা বলে আর স্বামী সেটা বুঝে চলে যায় নামাজ পড়তে। তখন স্ত্রী মনে করে পৃথিবীর বুকে সেই একমাত্র ভাগ্যবতী স্ত্রী, তারপর সেও নামাজ পড়তে চলে যায়। স্ত্রী নামাজ শেষ করে টেবিলে খাবার নিয়ে স্বামীর জন্য অয়েট করে তারপর স্বামি চলে আসলে দুজনে মিলে একসাথে খায়। স্বামী একটা চাকরি করে প্রতিদিন অফিসে যাওয়ার সময় স্ত্রী নিজে এসে স্বামী শার্ট , কোর্ট, জুতা, পড়িয়ে দেয় স্বামী যখন নিজে পড়তে যায় স্ত্রী দৌড়ে চলে আসে তুমি না তুমি আমি পড়িয়ে দিবো, তারপর যখন অফিস থেকে আসলে নিজে শরীর থেকে খুলে নেয়। কিন্তু স্বামীর কাছে এটা কেমন যেনো ঠেকলো একদিন ফ্রেশ হয়ে আসতেই দেখলো স্ত্রী তার শার্ট কোর্ট উল্টায় পাল্টয় দেখতেছে শুকতেছে এটা বেশকিছু দিন ধরে দেখতেছে।
স্বামী == কি দেখো?
স্ত্রী == কিছুটা আতকে উঠলো, না দেখছি তোমার এগুলা ঠিক আছে কিনা?
স্বামী == না এটার নিশ্চয়ই একটা কারন আছে, আমি অনেকদিন যাবত দেখছি আমি ফ্রেশ হতে গেলে তুমি দেখো। বলো
স্ত্রী == না মানে তুমি একটু বেশি কিউট তো, যে কোন কেউ নজর দিতে পারে যদি আমার কাছ থেকে কেউ তোমাকে কেরে নিতে চায়, বিশ্বাস করো তোমাকে ছাড়া থাকতে পারবো না সে ভয়ে প্রতিদিন তোমার মোবাইল সব কিছু চেক করি বলে স্ত্রী নিচের দিক তাকিয়ে থাকে না জানি তার স্বামী তাকে কি বলে ফেলে। স্বামী তখন স্ত্রীর কাছে গিয়ে মুখটা উচে করে হাসিমুখে বললো
স্বামী == পাগলী তোমার স্বামী তোমার কাছেই থাকবে, পৃথিবীর কেউ কেরে নিতে পারবে না। স্ত্রী তার স্বামীকে শক্ত করে জরিয়ে ধরলো।।
স্ত্রী == আচ্ছা তুমি কোরাআন শরীফ পড়তে পারো?
স্বামী == হুম পাড়তাম কিন্তু এখন সব ভুলে গেছি।।
স্ত্রী == এখন শিখো?
স্বামী == পাগল নাকি তুমি, এখন শিখতে গেলে হুজুর হাসবে তাছাড়া এখন সময় আছে।
স্ত্রী == তুমি যদি কিছু মনে না করো তাহলে আমার কাছে শিখতে পারো।
স্বামী == হেসে বললো আমি রাজি আছি কিন্তু ভুল হলে আমার চুল টেনে দিতে পারবা না। স্ত্রী তখন লাফ মেরে স্বামীর চুল গুলো টেনে বলবো ওকে দিবো না হিহহিহিহিহি, রাতে ঘুমানের সময়
স্ত্রী == কালকে তো শুক্রবার, তোমার অফিস বন্ধ
স্বামী == হুম
স্ত্রী == তাহলে আজকে রাত ৩.০০টায় উঠবো তাহাজ্জত নামাজ পড়বো স্বামি তখন চুপ মেরে ঘুমের বান ধরে অন্যপাশে ফিরে গেলে
স্ত্রী ==হেসে হেসে যতই চালাকি করো তোমাকে উঠতেই হবে না হয় চুল একটাও থাকবে না মাথায় রাত ২ এলার্মের শব্দে ঘুম ভেঙ্গে গেলো স্ত্রী উঠে গায়ের কাথাটা শরিয়ে স্বামীকে ডাকাডাকি শুরু করলো স্বামী চোখ বুঝে হাসতে লাগলো।
স্ত্রী ==উঠো
স্বামী == তুমি পড়ো আমার বিষন ঘুম পাচ্ছে। স্ত্রী অনেক ডাকাডাকি চেস্টা করেও যখন পারলো না
স্ত্রী == তুমি যদি এখন আমার সাথে নামাজ পড়ো তাহলে দুপুরে তোমার সকল পছন্দের খাবার তৈরি করবো, যদি না পড়ো তাইলে পাকই করবো না। স্বামী তখন বাধ্য হয়ে উঠে গেলো। নামাজ পড়া শেষে
স্বামী == নামাজ তো শেষ আমি ঘুমাই
স্ত্রী == না একটু পর ফজরের আযান হবে একসাথে সেটা পড়ে ঘুমাবো
স্বামী ==আমার ঘুম পাচ্ছে কি করবো?
স্ত্রী ==আমাকে জড়িয়ে ধরে বসে থাকো।
তারপর দুজনেই ফজরের আযানের অপেক্ষায় এমন একটা সুন্দর সংসার কয়জনেই বা করতে পারে? আবার একজন স্ত্রী চেস্টা করে তাহলে অনেক সহজে হয়ে যায়।