রাস্তায় হাঠছিলাম ঠিক তখনি বৃষ্টি। কত ভালো লাগছিলো হাঠতে এখনি কি বৃষ্টি আসার খুব প্রয়োজন ছিলো? ধ্যাত মেজাজ টাই কারাপ হয়ে গেলো। দৌড়ে একটা ছোট টি-স্টলে ডুকলাম-
-পিচ্ছি এককাপ চা দেতো। (আমি)
-একটা মিনিট ভাইয়া।
এই নিন। (পিচ্ছি)
-নাম কি তোর? (আমি)
-শুভ। (পিচ্ছি)
-বাহ সুন্দর নাম তো। (আমি)
-চাতে চুমুক দিয়ে রাস্তার দিকে নজর গেলো, চোখ দুটো যেনো বেরিয়ে পরবে। এক অপূর্ব সুন্দরি গাড়ি থেকে নেমে বৃষ্টি বিলাস করছে (বিঝতেছে), আমি অপলক দৃষ্টিতে মেয়েটাকে দেখছিলাম। মেয়েটা গাড়ি নিয়ে আবার চলে গেলো, খেয়াল করলাম বৃষ্টি থেমে গেছে, চা চায়ের জায়গায় রয়ে গেছে।
-আরে হ্যা আমি সানি, ঢাকা কাকরাইল থাকি, একটা অফিসে ম্যানেজার পদে চাকরী করি। আজ ছুটির দিন ছিলো তাই একটু হাঠতে বেড় হয়ছিলাম আর হঠাৎ বৃষ্টি, তবে এই বৃষ্টি নাহলে হয়তো এমন সুন্দর পরী দেখার সুযোগ হতো না।
-এই পিচ্ছি….. (আমি)
-ভাইয়া আমার নাম শুভ। (শুভ)
-আচ্ছা শুভ এই মাত্র একটা মেয়ে গেলো দেখছিস? (আমি)
-কই কখন? (শুভ)
-এই যে এইমামাত্র একটা সাদা গাড়ি থেকে নেমে বৃষ্টিতে বিজছিলো। (আমি)
-না খেয়াল করিনি। (শুভ)
-আচ্ছা ধর। (কাপটা ওর হাতে দিয়ে)
-এদিকে প্রায় যায় দেখছি। বৃষ্টি হলেই বিজে। (শুভ)
-তাহলে যে বললি, খেয়াল করিস নি। (আমি)
-সত্যি খেয়াল করিনি, (শুভ)
-তাহলে তুই জানলি কেমনে? (আমি)
-কেনো জানবো না, আমি একটা মেয়েকে যতদিন দেখছি, সাদা গাড়ি আর বড় কথা বৃষ্টিতে ওনাকে প্রায় বিঝতে দেখি, তাই না দেখোও আমার বিশ্বাস ওই মেয়েটাই হবে। (শুভ)
-আচ্ছা কোন সময় মেয়েটি এদিকে যায় জানিস? (আমি)
-তা ঠিক জানিনা, তবে সবসময় দেখি না। (শুভ)
-আচ্ছা যাই কাল আবার আসবো, ভালো থাকিস। (আমি)
-চায়ের দাম দিয়ে চলে আসলাম,
জাদু আছে বটে মেয়েটির মাঝে, তা না হলে কেনো বারবার ওকেই মনে পরছে? পরেরদিন অফিস থেকে ছুটি নিলাম, উদ্দেশ্য -মেয়েটি কোথায় থাকে তা জানার জন্য। বেশ কতক্ষণ অপেক্ষায় ছিলাম কিন্তু আজ মেয়েটি এদিকে আসে নি।কিছুদিন শুধু মেয়েটির কথাই চিন্তা করছি। ইদানীং অফিস থেকেও অনেক ছুটি নিছি বস অনেক করা মেজাজ নিয়ে বলছিলো আর ছুটি দিবে না, শেষমেশ চাকরী টাই হারাতে হবে তাই মেয়েটিকে প্রায় ভুলেই যাচ্ছি, ভুলার চেষ্টাও করছি, হঠাৎ এক বৃষ্টি আবার জীবনে প্রথম একটা মেয়েকে দেখে নিজের সময়নিষ্ঠা করছি, তাও আবার চেনা নাই যায় জানা নাই এমন একটা মেয়ের জন্য। শুক্রবার ছুটির দিন জুম্মার নামাজ পরে একটু হাঠছিলাম, হাঠতে হাঠতে শুভ(চায়ের দোকানের পিচ্ছি) ওর দোকানে গেলাম-
-শুভ চা দেতো (আমি)
-(চা নিয়ে এসে) তারপর ওই মেয়েকে পাইছেন?? (শুভ)
-মেয়েটির কথা মনে পরলো শুভর বলাতে, আজকাল মেয়েটির কথা ভুলেই গেছিলাম।
-না রে আর পাইনি, তুই দেখেছিস? (আমি)
-কি আর বলবো সারাদিন সবাইকে চা দিতে দিতে সময় পেরিয়ে যায়, রাস্তায় কে যাচ্ছে কে আসছে এসব দেখার সময় হয় নাকি। (শুভ)
-হুমম। (আমি)
-চা খেয়ে চলে আসছিলাম কিছুদূর হাঠার পর হঠাৎ বৃষ্টি, বৃষ্টি আসায় মেয়েটির কথা স্মরণ হয়ে গেলো, একটা গাড়ি যাচ্ছিলো সামনে দিয়ে, আর সাথে উপহার দিলো অনেক গুলো কাদাজল, মেজাজটা কারাপ হয়ে গেলো, এতো সখের সাদারঙের সার্টটা কাদা দিয়ে কালোরঙের বানিয়ে দিলো।
-ওই দেখে চালাতে পারিস না, গাড়িতে উঠলে মনে হয় বিমান চালাচ্ছিস তাই না?? (আমি)
-মনে হয় শুনতে পায় নি, চলে যাচ্ছিলো, আরে না গাড়ি তো আমার কাছেই আসছে।
-কি, আবার কেনো আসলেন?? (আমি)
-গাড়ি থেকে এক রমনি ছাতা টাঙিয়ে বেড়িয়ে আসলো-
-কি যেনো বলছিলেন? (রমনী)
-গাড়ি Drive করছিলেন না উড়োজাহাজ?? (আমি)
– Sorry অনেক কাদাজল তো রাস্তায় তাই আপনার গায়ে ছিটকে পরছে। (রমনী)
-হয়েছে হয়েছে যান, যা হবার তা তো হয়েই গেলো আর Sorry বলে লাব কি? (আমি)
-মুখখানি বেসে উঠলো, আর সাথে আমিও চমকে উঠলাম, এতো সেই মেয়ে যাকে নিয়ে আমার সারাক্ষণ ভাবনা।
-হুমম, রাগ করবেন না। (মেয়েটি)
-আরে এতে রাগের কি আছে সমস্যা নাই। (আমি)
-অল্পতেই আপনার রাগ শেষ! (মেয়েটি)
-(মিনমিনিয়ে) কি আর বলবো তোমাকে এতদিন খোজার পর যখন হালছেড়ে দিছিলাম তখন তোমায় পেলাম, আর কি রাগ করে থাকা যায়? (আমি)
-Sorry কিছু বলছেন? (মেয়েটি)
-না কিছুনা, আপনার নামটা কি? (আমি)
-হুমম, আমি পাপিয়া। (পাপিয়া)
-সুন্দর নাম। তা কোথায় থাকেন? (আমি)
-জানার কি খুব প্রয়োজন? (পাপিয়া)
-না, তা না, এমনি জানতে চাইছিলাম। (আমি)
-এইতো সামনেই থাকি। (পাপিয়া)
-ওহ আচ্ছা, তা আপনি তো বৃষ্টি খুব ভালোবাসেন, কিন্তু আজ বৃষ্টি বিলাস করবেন না?
-না একটা কাজ আছে তাই আজ বৃষ্টিতে বিঝবো না, কিন্তু আপনি জানলেন কি করে আমি যে বৃষ্টি খুব ভালোবাসি? (পাপিয়)
-ওঠা নাহয় পরে একদিন বলবো, আপনার নাম্বার টা দেওয়া যাবে? (আমি)
-কেনো? (পাপিয়া)
-আসলে আমি না যা বলার সরাসরি বলতে পছন্দ করি, (আমি)
-হ্যা তাই বলুন। (পাপিয়া)
-আমি কিছুদিন আগে আপনাকে বৃষ্টিতে বিঝতে দেখি, আর সেদিন দেখার পর থেকে আপনাকে অনেক খুজছিলাম কিন্তু পাইনি, মনে হয় আপনাকে ভালোবেসে ফেলেছি। (আমি)
-What চেনা নাই জানা নাই প্রথম দেখায় Proposed!! (পাপিয়া)
-হুম, I Love You….. (আমি)
-এভাবে আর কতজন কে বলছেন? (পাপিয়া)
-আপনিই প্রথম। (আমি)
-এক কাজ করুন, ভালো একটা মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসা নিন। (পাপিয়া)
-বলেই চলে গেলো, ভাবলাম আর কবে দেখা হবে ঠিক নাই তাই অগ্রিম ভালোবাসার কথা বলেদিলাম আর ও দেখছি পাত্তাই দিলো না, সালার ভালোবাসায় যে কি এমন আছে বুঝতে পারছি না। আমার মত মেধাবী পুরুষটাকে বলে কিনা পাগল!!
-কিছুদিন যাওয়ার পর বস সবাইকে ঘোষণা দিলো, আগামী বুধবার ওনার মেয়ের আংটি বদল(এংগেজমেন্ট) হবে থাতে সবাই উপস্থিত থাকার জন্য। আমি সাধারণত বসের পরিবার বিষয় কিছুই জানিনা, ওনার যে মেয়ে আছে সেটাও আজ জানলাম।
-বস আমাকে আলাদাভাবে ডাকছেন তাই ওনার কাছে গেলাম।
-আসতে পারি স্যার? (আমি)
-হ্যা সানি আসো। (বস)
-জ্বি বলুন….(আমি)
-বসো, দেখো বাবা সানি আমার তো কোনো ছেলে নাই, থাকলে হয়তো তোমার সমান থাকতো, একটামাত্র মেয়ে দুদিন পর ওর আংটি বদল, আমার তো আর বয়স কম হয়নি তাই আমি চাইছিলাম আংটি বদল থেকে বিয়ে পর্যন্ত সব দায়িত্ব তোমাকে দেওয়ার জন্য, যদি তোমার অমত না থাকে। (বস)
-জ্বি না, অমত থাকবে কেনো, আপনার ছেলে থাকলে হয়তো আমাকে এভাবে বলতেন না, আর যখন বলছেন তখন না করি কিভাবে বলুন। (আমি)
-তুমি আজ থেকে সব Arrangement করা শুরু করো, একটা মাত্র মেয়ে আমি চাই তার বিয়েটা দুমদাম করে দিতে, আর ছেলে পক্ষ দাবী করছে বিয়েটা যত তারাতারি সম্ভব দিয়ে দেওয়ার জন্য, তাই আগামী শুক্রবারই ওদের বিয়েটা সম্পন্ন করতে চাই। (বস)
-কিন্তু এতো তারা কিসের? (আমি)
-ছেলে অস্ট্রেলিয়ায় Job করে কিছুদিনের জন্য ছুটি নিয়ে এসেছে আর কদিন পর চলে যাবে তাই তারা চাচ্ছে বিয়েটা দ্রুত সমপন্ন করতে আর আমিও না করতে পারিনি। (বস)
-থাহলে তো ভালোই। (আমি)
-হ্যা তুমি আজ থেকে কাজ শুরু করো। (বস)
-জ্বি স্যার। (আমি)
-ওনার কাছ থেকে আসার পর, অফিস থেকে বেরিয়ে এংগেজমেন্ট থেকে বিয়ের জন্য বাড়ি সাজানোর জন্য আয়োজন শুরু করলাম। সম্পূর্ণ কাজ শেষ করলাম, অথচ যার বিয়ে থাকে একবারও দেখলাম না। আগামীকাল সন্ধায় আংটি বদল, আমি বসকে আগে থেকে বলেছি আমি আংটি বদল এবং গায়ে হলুদে আসতে পারবোনা ওনি হাজার বার বলা সর্তেও আমি রাজি হইনি। দুদিন শুভর দোকানে অপেক্ষা করছি শুধু পাপিয়াকে একবার দেখার জন্য কিন্তু কোনো খবর নাই। আগামীকাল বসের মেয়ের বিয়ে- ঠিক সময় উপস্থিত হয়ে গেলাম, বিয়ের কাজ শুরু হলো। হঠাৎ অনেক গুলো লোক আসলো-
-বন্ধ করুন বিয়ে? (একজন লোক)
-কেনো কি হইছে আর আপনারা কারা? (বস)
-আমি এলাকার ওসি। (ওসি)
-আপনারা এখানে কেনো? (বস)
-পুলিশের কাজ হচ্ছে, আসামী ধরা আমরা তাই করতে এসেছি, আমাদের কাছে Information আছে আপনি যার সাথে আপনার মেয়েকে বিয়ে দিচ্ছেন সে এক নারীপাচার কারী। (ওসি)
-মানে? (আমি)
-মানে টা খুব সহজ, ও মানুষকে নানান ভাবে দোকা দিয়ে বিয়ে করে, তারপর ওই মেয়েকে পাচার করে দেয়। (ওসি)
-আমিও সেটাই ভাবছিলাম, হঠাৎ বিয়ে তাও আবার যতো তারাতারি সম্ভব। (আমি)
-ছেলে টাকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেলো, এদিকে বস দৌড়ে নিজের রুমে গেলো, মনে হয় মানসম্মানের কথা ভেবে কিছু করতে চলেছে- আমিও ওনার পেছন পেছন গেলাম, দরজা খুলাই ছিলো,(আমি মনে করছি বাংলা চলচ্চিত্রের মতো দরজা ভেঙে ঢুকতে হবে) আমি ঘরে ডুকতেই বস দরজা লাগিয়ে দিলো-
-স্যার কি হইছে? (আমি)
-বাবা সানি, ছেলেটা যে নারীপাচার কারী এটা আমি জানতাম কিন্তু অনেক দেড়িতে। আমার এক বন্ধু দুধক কমিশনার আর আমি ওরে যখন বিয়ের কার্ড দিতে গেছিলাম ও আমায় চমকে দিলো-
-আচ্ছা শুন তোর কাছে কি তোর হবু জামাতার কোনো ফটো আছে? (বন্ধু)
-হ্যা সাথে নেই তবে, বাড়িতে আছে, কেনো? (বস)
-দুধক তো এমনি এমনি হইনি, তোর জামাতা মানে আমার জামাতা, তাই দেখি ছেলেটার কোনো কারাপ গুণ আছে কিনা। (বন্ধু)
-তোরা মানুষের কারাপ গুণি খুঁজিস কখনো ভালো খুঁজিস না। (বস)
-আমাদের কাজই তো এটা তাই না বল? (বন্ধু)
-ওর সাথে অনেক কথা হলো, কিন্তু আমি ওর কোনো কথার গুরুত্ব দেই নি। কিন্তু আজ সকাল আমি কি মনে করে ওরে হবু জামাতার একটা ফটো দিয়ে দিছিলাম, যখন ও আমায় ফোনে বলল যে ছেলেটি নারীপাচার কারী, তখন চাইছিলাম বিয়েটা ভেঙে দিতে কিন্তু দুইটা কারণে পারিনি।
১- আমার বন্ধুর Request ছিলো আমি ওরে এই নারীপাচার কারীটাকে ধরতে সাহায্য করি, তাই।
২- কম বেশ সব গম্যমান্য ব্যক্তিদের নিমন্ত্রিত করা হইছে এবং সবাই উপস্থিত আর তাদের কাছে আমার মানসম্মান মাটির সাথে মিশে যাবে। (বস)
-কিন্তু আপনি আমায় এসব বলছেন কেনো? (আমি)
-বাবা সানি, এখন একমাত্র তুমিই আমার মানসম্মান রক্ষা করতে পারো, আর আমার কোনো ছেলে নাই তুমিই আমার ছেলের অভাবটা মিটিয়ে দিতে পারোনা করো না বাবা, (বস)
-কিন্তু
-কোনো কিন্তু নেই বাবা, আমি তোমার মা- বাবাকে বুজাবো তুমি একবার রাজি হয়ে যাও। তা না হলে আমার আত্মহত্যা ছাড়া উপায় নাই বাবা। (বস)
-পাপিয়ার কথা মাথায় গুরুপাক কাচ্ছে বারবার। অনিচ্ছা সত্ত্বেও রাজি হলাম।
বিয়ের কাজ সম্পন্ন করার পর- নতুন বউকে নিয়ে বাড়িতে গেলাম- এর আগে আমার শশুর(বস) আমার পরিবারকে বুঝিয়ে বলল। যাক ভালোয় ভালোয় ঘরে টাই পেলেই হবে। আরে বাহ, মনে হয় আমার বিয়ে হবে তা আমার পরিবার আগে থেকেই জানতো। তা না হলে ঘরে পালং ফুল দিয়ে সাজানো কেনো? বাথরুমে গেলাম Fresh হওয়ার জন্য, ফিরে দেখি বউ নাই। (এখন পর্যন্ত চেহারা টাও দেখি নাই) বাহিরে বৃষ্টি হচ্ছে- আর এই রাতের বেলায় ঘরে নতুন বউ গায়েব হয়ে গেলো কোথায়? দরজা খুলা দেখে ভাবলাম নিচে গেছে। কিন্তু নিচেও নাই। একটু অভাক হলাম, কোথায় গেলো? অনুমান করলাম ছাদে গেছে- ছাদে গেলাম-
-এই যে আপনি এখানে এই রাতের বেলায় বৃষ্টিতে বিঝতেছেন আর আমি পুরো বাড়ি আপনাকে খুজে বেরাচ্ছি। (আমি)
-তোমাকে না বললাম একটা মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য। (বউ)
-(অভাক হয়) পাপিয়া???? (আমি)
-হুমম, চেনা নাই জানা নাই Propose! আবার বলা নাই কওয়া নাই বিয়ে! এই তোমার Problem টা কি? (পাপিয়া)
-হঠাৎ বৃষ্টিতে তোমার দেখা পেলাম, আবার হঠাৎ বৃষ্টিতেই হারালাম- আবার এই হঠাৎ বৃষ্টিতেই তোমাকে ফিরে পেলাম। আমিও বুজতে পারছিনা এ কেমন পুরাকপাল আমার? (আমি)
-এই পুরা কপাল মানে? তুমি কি বলতে চাইছো? (পাপিয়া)
– না মানে, আমি বলতে চাইছিলাম, আমার ভাগ্য কতো ভালো। (আমি)
-কেনো কেনো? (পাপিয়া)
-আচ্ছা আজ না আমাদের বাসর, তা তুমি কি এখানে সারারাত থাকবে না বাসরঘরে যাবে? (আমি)
-কক্ষনো না, যতক্ষণ বৃষ্টি হবে ততক্ষণ তুমি আর আমি এই বৃষ্টি বিলাসিতা করবো। (পাপিয়া)
-তুমি কি পাগল হইছো? এতরাতে বৃষ্টিতে বিঝলে শরীর কারাপ হবে। (আমি)
-আসবা না টেনে আনতে হবে? (পাপিয়া)
-না। (আমি)
-টান মারতে এসে পা পিছকে পরবে- তখন পাপিয়াকে ধরে খুলে তুলে নিলাম। অনেক্ষণ দুজন ছাদে বৃষ্টিতে বিঝলাম, আর এখনো হঠাৎ বৃষ্টি হলে দুজন বৃষ্টি বিলাস করি।
The End