আনিতার প্রেম

আনিতার প্রেম

কিছুটা অধিকারের দাবি, কিছুটা অভিমান। ভালোবাসা পাওয়ার জন্য কিছুটা পাগলামীর ছলনা।

ভাগ্য যেটা লিখা বিধাতা কর্তৃক, খন্ডানোর কোন নেই উপায়। ঈশ্বর যাহা করেন সকলের মঙ্গলের জন্যই করেন।
.
–কি করছেন আপনি?
আনিতা এমনভাবে কথাটা জিজ্ঞাসা করলো, যেন মনে হয় উনিই আমার গার্ডিয়ান। কিছুটা বিরক্তবোধ করে আমি বললাম,
—হুমম, কবিতা লিখছি।
–আপনি ঘুমাবেন না? এত রাতে লিখতে বসছেন!
উনি শাসন করছেন আমাকে। বাচ্চা মেয়ে, খুব ঢং দেখাচ্ছে।
—এত রাত কোথায় পেলেন আপনি? মাত্র ১১:৩০ বাজে, এখনি মনযোগ আসে বেশি।
–আপনি আমাকে তুমি করে বলতে পারেন না? নাকি গলা আটকে পড়ে তুমি বললে? মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যাবে আমাকে তুমি বললে?
—আচ্ছা তো আপনি! এখানে মহাভারত অশুদ্ধ হতে যাবে কেন? ওটা একটা পবিত্র গ্রন্থ, ওটাকে সবসময় এভাবে কথার মাঝে টানা ঠিক না।

আর আমি কোন মেয়ে মানুষকে তুমি করে বলতে পারি না, অভ্যেস নেই।
–নিজের বউকেও না? আমি তো আপনার অনেক ছোট, তাও বলবেন না?
—ঘুমান তো আপনি, বিরক্ত করবেন না!!
–যাক বাবা, মহাশয় রেগে গেলেন নাকি?
উনার বয়স কম হলে কি হবে, কথা-বার্তায় পাকা হয়ে গেছে। খানিকটা রাগে আমি বললাম,
—অদ্ভুদ সব কথা-বার্তা বললে রাগাটাই স্বাভাবিক। আপনি ঘুমিয়ে পড়েন, আমি পরে ঘুমাব!
–না, আমি আপনাকে ছাড়া ঘুমাতে পারব না। আপনি যতখুশি কবিতা-গল্প লিখেন!

আচ্ছা এসব লিখে আপনি কি মজা পান? নিজেকে কি মনে করেন এসব করে?
—আপনি এসবের কি বুঝবেন? আর বুঝার বয়সই বা কত হয়েছে আপনার? শুধু পাকা পাকা কথা বলতে পারেন!

এটা হল আত্মার তৃপ্তি, মনের ইচ্ছা, কিছুটা ত্যাগ-সাধনা। ওসব আপনি বুঝবেন না।
.
আনিতা বিছানায় শুয়ে হাম খাচ্ছে আর বকবকাচ্ছে। হাতে শাঁখার ওজনটাও মনে হচ্ছে বইতে পারছেনা, ঠিকমত সিঁথিতে সিঁদুরটাও দিতে পারেনা।

আবার উনি আসছেন আমার গল্প-কবিতা লেখার মর্ম বুঝতে। ইসসসসসস বাবার উপর প্রচন্ড রাগ ওঠছে, কোত্থেকে এক পাগলীকে ধরে নিয়ে এসেছে?

ঢাক-ঢোল আর সানাইয়ের বাজনা। হুট করেই বিয়ে দিয়ে দিল, এখন কি আমার বিয়ে করার বয়স?

কোথায় এখন নিশ্চিন্ত মনে একাগ্রতা হয়ে আমার ইচ্ছে ভাবনাগুলো স্মৃতির পাতায় অঙ্কিত করব?

-আর আজব একটা মেয়ে নিয়ে গছিয়ে দিল, সামলাতে হবে আমার। ইসসসসস মাঝেমধ্যে মনে হয় সবকিছু ছেড়ে দিয়ে ভ্রমণ পিপাসায় মগ্ন হই।

ধুরররররর, খামাখা এই মেয়েটাকে কষ্ট দিতে যাবো কেন? সে কি অন্যায় করেছে? তারও তো কোন দোষ নেই।

তাই বলে ওর পরিবারের লোকজন এই অল্প বয়সেই বিয়ে দিয়ে দেবে। ওর বয়সই বা কত হবে? ১৭ বছর, আমার থেকে ৭ বছরের ছোট।

গ্রামের লোকজনগুলোনা কেমন স্বভাবের? মেয়েদের বাড়িতে রাখতেই চায় না, বিয়ের বয়স হতে না হতেই মেয়ের বিয়ের জন্য ওঠে পড়ে লাগে।

জয়দেব মানুষটা ভীষণ একরোখা। যদিও সম্পর্কে আমার বাবা, উনার জন্যই আমাকে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে হল।

দ্যাত… মানানসইয়েরও একটা ব্যাপার আছে। আগাছা গাছের মত শুধু শরীরটাই বেড়েছে।

আচ্ছা আমি কি এখন ওকে নিয়ে ভাববো নাকি লেখায় মনযোগ দিব?
এই মেয়েটা আমার মনকেও গ্রাস করেছে, কোন কথা বলছে না তবুও মনে হচ্ছে কিছু একটা বলছে।
.
–আপনি কি এখনো লিখছেন?
দশ মিনিটও পার হলোনা আবার প্রশ্ন করলো। আমি বললাম,
—লিখব কেন, সাঁতার কাটছি দেখছেন না?
–আপনি আমার সাথে এমন করে কথা বলেন কেন? শুনেছি যারা লেখালেখি করে তারা নাকি উদার মনের মানুষ হয়!

আপনি তো দেখছি তার উল্টোটা। আচ্ছা, আপনি কি কাউকে ভালবাসেন?
কিছুটা বিস্মিত হলাম। আর হবারই তো কথা, ঘরের বউ যদি এমন প্রশ্নে উত্তর দিতে বলে খানিকটা লজ্জিতও হতে হয়।

লেখাটা বন্ধ করে আনিতার চোখের দিকে তাকালাম অপলক দৃষ্টিতে। আমি কিছু না বলাতে সে বললো,
–আমি ভূল কিছু জিজ্ঞেস করলাম? থাক বলতে হবে না।
হু হু হু, খুব হাসি পাচ্ছে। তাকাতেই ভয় পেয়ে গেল, এমন মেয়েই তো দরকার। আমি আবার লেখায় মনযোগ দিলাম।

আনিতা কোন কথা বলছে না, আবার ঘুমাচ্ছেও না। আমার দিকে তাকিয়ে আছে গভীর মনযোগে।

ওর প্রতি কিছুটা মায়া হচ্ছে। তাই নরম সুরেই বললাম,
—আপনি এখনো ঘুমান নি? আপনার না ঘুম পেয়েছে। ঘুমিয়ে পড়েন, আমার জন্য অপেক্ষা করতে হবে না! দেরি হবে।

আর আমি এখনো কাউকে ভালবাসি না।
–হিহিহিহিহিহি!!
—আজব তো! দাঁত বের করে হাসছেন কেন?
ইসসসস মনে হচ্ছে উনি রাধা-কৃষ্ণের প্রেমলীলা শুনার জন্য গভীর আগ্রহে বসে আছেন!

স্বামীর প্রেমের কাহিনী শুনতে স্ত্রীর ভালোলাগে জানতাম নাতো! রাগান্বিত হয়ে বললাম,
—এই যে মহারানী, আপনি হাসছেন কেন? আমার লেখায় ডিস্টার্ব হচ্ছে। দয়া করে হাসিটা বন্ধ করুন এবং চুপচাপ ঘুমিয়ে পড়েন!
–না, আমি বলেছি না। আপনাকে ছাড়া ঘুমাব না!
বিছানা থেকে নেমে আমার চেয়ারের দিকে আসছে আনিতা। পায়ে নূপুরের ঝনঝন আওয়াজটা এই রাতের বেলা খুব বিরক্তিকর লাগছে।

মনে হচ্ছে যেন, এক হরর কাহিনী হতে যাচ্ছে। আমার ওসব কিছুটা ভয় করে।

মাথার খোপাটা এলোমেলো হয়ে আছে, এই রাতেরবেলা আর গুছানোর প্রয়োজনবোধ করছেনা সে।

আমার পিছনে আসতেই ওর মিষ্টি গন্ধে ছুঁয়ে দিল মন। খানিকটা ব্যাঘাত ঘটাল সে। এবার কিন্তু কোন কথা বলেনি।

তাই কিছু বলার সাহসটা পেলাম না। আনিতা নিজে থেকেই বললো,
–আপনার হাতটা ধরতে পারি?
—এই মূহুর্তে আমার হাত ধরাটা খুব জরুরী?
–না, তেমনটা না। তবে খুব ইচ্ছে করছে।
—আপনি কেন শুধু শুধু আমাকে ডিস্টার্ব করছেন? আচ্ছা নেন ধরেন! ওভাবে তাকিয়ে আছেন কেন? আমি কোন জ্বীন-টিন নই।
–আপনি সবসময় আমার সাথে এমন করেন কেন? আপনার হাত ধরলে কি এমন ক্ষতি হয়ে যাবে? স্ত্রী হয়ে কি স্বামীর হাত ধরা নিষেধ?
এমন অদ্ভুদ সব কথা-বার্তা, যেন উনি ইচ্ছে করেই এসব করছেন।
—ডান হাত দিতে পারব না, ইচ্ছে হলে বাম হাত ধরতে পারেন! আর আপনার কেমন সব ইচ্ছে?
.
আমার হাতটা ও কিভাবে যেন আঁকড়ে ধরে আছে। আর বারবার আমার শরীরে ইচ্ছে করেই স্পর্শ করছে।

ওর পাগল করা গায়ের সুগন্ধে কি সব বদ ইচ্ছে জাগ্রত হচ্ছে মনে। নিজেকে বুঝাতে গিয়ে আমি বললাম,
—এবার হাতটা ছাড়েন! অনেক লেখা বাকি আছে।
–আরেকটু ধরে থাকিনা! খুব ভালো লাগছে! রাগ করছেন আপনি?

আচ্ছা, আমি যদি আপনার মাথায় হাত বুলিয়ে দিই তাহলে কি রাগ করবেন??
—কি সব আজেবাজে বকছেন? আপনার খুব ঘুম পেয়েছে, যান ঘুমোতে যান। আর কোন কথা বলবেন না।
মুখ বাকিয়ে একটা ভেঙচি দিয়ে হাতটা সরিয়ে নিল, তৎক্ষনাৎ বিছানায় শুয়ে পড়লো অভিমানে।
আমি এদেশের অর্থমন্ত্রী হলে মেয়েদের ভেঙচিতে ভ্যাট বসাতাম। আমি প্রায়ই খেয়াল করেছি, কিছু হলেই ওরা মুখ ভেঙচি দেয়।

ওটা কি ওদের ফ্যাশন নাকি নরমাল বুঝে ওঠতে পারিনা। ভাগ্যিস আমাকে ওসব দায়িত্ব দেয়নি।
.
লেখালেখি অনেক হয়েছে, আজ আর নয়। রাতও হয়েছে অনেক, এখন ঘুমাতে হবে।

বিছানায় চাদরটা গায়ে দেওয়ার সময় আনিতার মুখটা চোখে পড়ল। বেশ ঘুম পেয়েছিল ওর। কি মায়াবী চেহারা!

ঠোঁটগুলো একদম আলতা রাঙানোর মত লাল টুকটুকে, চোখের পাতাগুলো বেশ সুন্দর।

বুকের উপর শাড়ির আঁচলটা এখন আর নেই, ঘুমের ভারে কোথায় যেন লুকিয়ে আছে। গলায় স্বর্ণের চেইনটা একটু ঝিলিক দিয়ে উঠলো।

আনিতাকে এভাবে দেখে ভেতরের অসভ্য মানুষটা জেগে ওঠার প্রয়াস চালাচ্ছে। মূহুর্তেই চোখটা ঘুরিয়ে নিলাম। কিসব অদ্ভুদ চিন্তা-ভাবনা!
.
সকালে শাঁখার টুকটুক শব্দে ঘুমটা ভাঙল। আনিতা আয়নার সামনে দাড়িয়ে ভেজা চুলগুলো লাল গামছা দিয়ে এপাশ ওপাশ করে ঝাঁকাচ্ছে।

মাঝমাঝে চুলের পানি ছিটিয়ে মুখের উপর এসে পড়ছে। এইমাত্র স্নান করে এসেছে। সকালে আমাকে ডাক দেওয়ার সাহসটা পায়নি।

নির্লজ্জের মত আনিতার দিকে তাকিয়ে আছি। ও আমার দিকে তাকাতেই ভীষণ লজ্জা পেয়ে ওপাশে চলে গেল।

ঘুমটা মনে হয় আর হবেনা। এক্ষুণি বাবার চেঁচামেচি শুরু হয়ে যাবে। নিত্যদিনের অভ্যেস এটা, আনিতা মনে হয় এ ব্যাপারে বেশ আগ্রহী।

মাঝেমধ্যে ইচ্ছে করেই বাবার সাথে তাল মিলায়। অল্প কয়েকদিনেই বাবার মনটা জয় করে ফেলেছে।
.
আনিতা আবার এসেছে, সিঁথিতে সিঁদুর দিতে। এবার এসেই ভেজা ঠোঁটের ভেঙচিটা দেখালো। আজব তো!!

কথা নাই বার্তা নাই হঠাৎ ভেঙচি! না হেসে পারলাম না। সে একটা লাজুক হাসি দিয়ে বললো,
–আপনি কি উঠবেন না? বাবা একবার দেখে গেছে আপনি ঘুমাচ্ছেন, আবার আসলে তো বুঝতেই পারছেন কি হবে??
আজব তো! বিয়েটা হয়ে আমার সবকিছুতে প্রবলেম হচ্ছে।

আগে দরজাটা লক থাকতো, বাহির থেকে বাবা চেঁচামেচি করলেও খুব বেশি একটা শোনা যেত না।

ইচ্ছামত ঘুমোতে পারতাম। আর এখন উনি আসায় বড্ড অসুবিধায় ফেলে দিয়েছে। আনিতার কথায় আমি বললাম,
—আমাকে বাবার হুমকি দেওয়া হচ্ছে? ঠিক আছে বাবা আসলে বলবো যে, আপনি আমাকে রাতে ঠিকমত ঘুমাতে দেননি। তাই উঠতে দেরি হচ্ছে।
–আপনি না মিথ্যে বলা পছন্দ করেন না, তাহলে এখন বলবেন কেন??
—কি করবো তাহলে? আপনিই তো আমাকে ফাঁসাতে চাচ্ছেন!! যাইহোক, আপনি অনেক সুন্দর করে ঘুমাতে পারেন!
–মানে? আপনি কি লুকিয়ে লুকিয়ে আমাকে দেখেন? তাহলে আমার সাথে এমন করেন কেন?
—দুস্কর কথা-বার্তা, বলা বাহুল্য। আমি একটু ঘুমাই, কাল সারারাত আপনাকে দেখেছি!
ইসসসসস, লজ্জাবতী লজ্জায় মুখটা ঘুরিয়ে নিল। আমাকে আর কিছু বলার ভাষাটা সে পাচ্ছেনা। ওকে দেখেছি বলে অনেকটাই খুশি হয়েছে।
.
ওদিকে সকালের তাজা খবর পড়তে বেলকনির চেয়ারে বসে পড়েছেন বাবা।

খবরের কাগজের পাতাগুলো এপিঠ-ওপিঠ করে বারবার পড়ছেন। কিছুক্ষণ পর আনিতা এককাপ চা দিয়ে আসলো।

চায়ের সাথে খবরের কাগজ পড়াটা বেশ স্বাচ্ছন্দ্যকর।
আনিতা এখন মায়ের সাথে সকালের নাস্তা বানানোর কাজে সাহয্য করছে। মেয়েটা কাজেরও আছে, কিছু না বানাতে পারলেও শেখার ইচ্ছেটা আছে।

আমার ঘুমটা চমৎকারই কাটছিল, কখন যে বাবার পত্রিকা পড়াটা শেষ হয়ে গেলো। শুরু হয়ে গেলো ডাকাডাকি।
.
অনেকদিন যাবত ক্রিকেট খেলা হয় না। শরীরটাও কেমন জানি করছে, ক্রিকেটের নাম শুনলেই মন কেঁপে ওঠে।

শৈশবের কত স্মৃতি বিজড়িত এই ক্রিকেট নিয়ে। খেলাঘর থেকে একটা ক্রিকেট ব্যাট কিনে আনলাম।

আমার হাতে ব্যাট দেখে আনিতার কেমন জানি সন্দেহ হচ্ছে।

যে যাই সন্দেহ করুক, আজ বিকেলে মহল্লার ছেলেদের সাথে ক্রিকেট খেলতে হবে। বাবাকে ব্যাটের বিষয়ে জানতে দেওয়া যাবেনা।

তাহলে ওটা পোড়ার জন্য শ্মশানে নিতে হবেনা। ইতিমধ্যে আনিতার হাব-ভাব সুবিধের মনে হচ্ছেনা, খুব লোভ ব্যাটটার প্রতি।

কিছু বুঝার আগেই আনিতা বললো,
–আপনি কি ক্রিকেট খেলতে পারেন?
আমি ওর প্রতি অবাক হলাম, আমি খেলতে পারি মানে। শৈশব কেটেছে আমার ক্রিকেট দিয়েই।

আনিতা মনে হয় সেটা বিশ্বাস করতে পারছেনা। লেখালেখি করা মানুষ আবার খেলতেও পারে নাকি? আমি বললাম,
–জ্বী, খেলার জন্যই ব্যাটটা এনেছি। আপনাকে একটা কথা বলার আছে, দয়া করে ব্যাটের বিষয়টা বাবাকে বলবেন না!

উনি খেলাটা একদম পছন্দ করেন না।
আনিতা খিলখিল করে হাসছে, আমি ওর হাসার কারনটা বুঝতে পারলাম না। আনিতা হাসি মুখেই বললো,
–আমি কিন্তু ক্রিকেট বেশ পছন্দ করি। আপনার সাথে আমাকে খেলায় নিবেন? অনেক ইচ্ছে ছিল ক্রিকেট খেলার।
মেয়েটা বোধই সত্যিই পাগল। তা নাহলে বাড়ির বউ হয়ে বাহিরে ক্রিকেট খেলতে চায় কেন? না, এ বিষয়ে ওর সাথে আর কথা বলা যাবেনা।

গল্পের বিষয়:
ভালবাসা
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত