আমি এখন যে ঘটনা টি শিয়ার করবো তা হলো একটি কবর স্তানের রহস্যময় ঘটনা, যার মুখ থেকে ঘটনা টি শুনা তার ভাষা বলছি, অনেক আগের কথা আমি তখন মাঠে লাউ,শস্যা,তরমুজ চাষ করতাম , আর ক্ষেতের পাশে খর দিয়ে বানানো ছোট একটি বাসা ,সেই বাসায় তেকে রাতে ক্ষেতের শস্য লাউ তরমুজ পাহারা দিতাম, ক্ষেতের ঠিক পশ্চিম পাশে একটি কাচা রাস্ত ও একটি কবরস্তান,আর দক্ষিন পাশে ছোট একটি জলসায় যে খানে বৃষ্টির পানি জমে রয়েছে, দেখলে মনে হয় ছোট খাটো একটি নদী, তো একদিন রাতে বাসায় বসে পাহারা দিচ্ছি, এমন সময় দেখি ক্ষেতের পাশে তিন চার টা ছেলে ক্ষেতের ভিতর ঢুকে যাচ্ছে, তারাতারি বাসা থেকে বাহির হলাম গিয়ে বললাম কি চাই?
ছেলে গুলো বললো চাচা শস্য খাবো, এ কথাটি শুনে আমার মেজায টা খারাপ হয়ে গেলো মনে মনে ভাবলাম এতো রাতে শস্য খেতে এসেছে ,শালার পুত্রেরা, কি করা যায় কয়েটা শস্য দিয়ে বিদায় করে দিলাম, এলাকার পোলা পায়ন না দিলে চুরি করে সব শেষ করে দিবে, তাই আবার গিয়ে বাসায় বসলাম ,বাসাটা খরের তৈরী একটু খানি খর সরালে বাসা তেকে বসে বাহির টা দেখা যায়,তাই পাহারা দিতে লাগলাম, কারন আমার বাড়ি পাশের গ্রামে আর ওই গ্রামের ছেলে পেলেরা একটু আগে শস্য নিয়ে গেছে আবার যদি গভীর রাতে চুরি করতে আসে তাই ঘুম আসছিলো না ,বসে বসে পাহারা দিচ্ছি, রাত যখন অনুমানিক সাড়ে বারো টা হবে তখন বরাবরের মত মতিন ডাইভার তার গাড়ি নিয়ে ধোয়ার জন্য এলো ওই ছোট নদীর পাশে ,মতিন ছেলেটি নেশা করে গভীর রাত পর্যন্ত গাড়ি চালায়, হঠ্যাত আমি খেয়াল করে দেখলা আমার ক্ষেতের মধ্যখানে অপূর্ব এক সুন্দরী নারী ক্ষেতের ভিতর দিয়ে হেটে আসচ্ছে রাত টা ছিলো চাঁদনী রাত, চাঁদের আলোতে মেয়ে টি কে পুরা পুরি দেখা যাচ্ছে, মেয়ে টি আসতে আসতে এসে মতিন ডাইভার কে বললো ভাই জান পাশের গ্রামে যাবেন , মতিন বললো আরে না না গাড়ি টা ধোয়ে নিয়েছি যাবো না, মেয়ে টি বললো চলো না ভাই আমার খুব বিপদ ,আরে না আমি যাবো না ,১০ টাকার ভাড়া হেটে যান আমি যামুনা মেয়ে টি বললো যদি আপনাকে ৫০০ টাকা দেয় তা হলে যাবেন, মতিন বললো হ্যা যাওয়া যাবে আপনি গাড়িতে গিয়ে বসেন , মেয়ে টি গাড়ি সামনের সিটে গিয়ে বসেছে অথচ মেয়ে টির পাশের সব কিছু মেয়ে টি কে বেধ করে দেখা যাচ্ছে মনে হচ্ছে একটি ছায়া বসে আছে, কোন জিবন্ত মানুষ আমাদের সামনে থাকলে যেমন তার পিছন টা দেখা যায় না, কিন্তুু মেয়েটির পিছন টা দেখা যাচ্ছে, শুধু মনে হচ্ছে একটি ছায়া বসে আছে ,তার পর মতিন গাড়িতে উঠে গাড়ি ইস্টট দিলো ,হয়তো মতিন কিছুটা বুঝতে পেরেছিলো যে ওই মেয়েটা মানুষ না তাই সে যখন গাড়িটা কবর স্তানের কাছা কাছি নিলো তখন গাড়ির দরজাটা খুলে কবরস্তানের মধ্যে লাফ দিলো, এবং পাশের সিটে বসে থাকা মেয়েটি বিকট চিৎকার করে হাত বারি মতিন কে ধরার চেষ্টা করলো কিন্তুু মতিনে শাটের অধেক টা মেয়েটির হাতে এলো আর মতিন লাফ দিয়ে কবরস্তানে পরে গেলো ।
তখন মেয়েটি মতিন কে ধরতে না পেরে রাগে চিৎকার করে এমন একটি বিকট চেহারায় রুপ ধারন করলো তা দেখে আমার হৃদপিন্ড কেপে উঠলো ,রাগে মেয়েটি যখন কবরস্তানে ঢুকার চেষ্টা করলো এমন সময় কবর থেকে একজন বয়সক লোক সাদা পাজ্ঞাবী পরা হাতে একটি লাটি নিয়ে বেড়েয়ে এলেন,ওই লোকটি কে দেখে
মেয়েটি আবারও বিকট চিৎকার করে দৌড়াতে লাগলো ,এবং ওই লোকটি ও মেয়েটির পিছনে পিছনে দৌড়াতে লাগলেন,তার পর সকাল বেলা মতিন কে জ্ঞানহারা অবস্তায় কবরস্তান থেকে উদার করা হয়,এবং তার বা পায়ে অনেক আঘাত পায় ,লাফ দিয়ে মতিন পুরাতন ভাঙা কবরে পরে যাওয়ার ফলে বাঁশের সাথে হাটু চট লেগে পা টি ভেঙে যায়, সেই অবস্তায় প্রায় চার থেকে পাঁচ মাস পর্যন্ত বেচে ছিলো মতিন।
লেখার মধ্যে ভুৃল হলে ক্ষমা করবেন।