অনেক ভালোবাসতে হবে

অনেক ভালোবাসতে হবে

আমার পায়ে নূপুর পড়িয়ে দিবে? প্লীজ? আমি অবাক চোখে সাথীর দিকে তাকালাম।সাথী কিছুটা অপ্রস্তুত হলো।ও এমন এক দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে আছে বুঝা যাচ্ছে যেন ওর চোখের দৃষ্টি আমাকে বলছে এই পড়িয়ে দাও না প্লীজ!

এই মেয়েকে নিয়ে ত আমি পারছিনা। আমি বললাম আমি পারবো না।বলেছো। কিনে দিয়েছি।ব্যাস। পড়ে নাও নিজে।আর বেশি মেশামেশি আমার সাথে করবে না। প্লীজ।দাও না ! এ মেয়ে ত সাংঘাতিক রকমের বেহায়া! কতকরে বলেছি আমার সাথে না মিশতে।আমার উপরে এত অধিকার না খাটাতে। গতকাল রাতে আমি যখন দেরী করে বাসায় ফিরি। তখন শুরু হলো উনার খানদানি কিচ্ছা। সবাই যখন খাবার টেবিলে বসি।বাবা মার সামনে বলতে লাগলো রিদি আপু কি খাইয়ে দেয় নি? কতোবড় ইবলিশ! রিদি খাইয়ে দিবে কেন? বাবা মা প্রশ্নবোধক দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকালেন।উনাদের দৃষ্টি দেখে বুঝা যাচ্ছে যে তারা জানতে চাইতেছেন যে “রিদি” কে!! আমিও সাথীর দিকে বিরক্তি ও প্রশ্নবোধক দৃষ্টিতে তাকালাম।তারপর সাথীকে বললাম রিদি কে? এতক্ষণ সাথী রিদির কথা বলে আমার দিকে অনেকটা হিংসা হিংসা দৃষ্টিতে তাকিয়েছিলো। কিন্তু এবার সে অবাক হলো।

মুখ হা করে দিলো। ভাবতে পারেনি আমি এমন উত্তর দিব। আসলে রিদি হলো আমার কলিগ। খুব স্মার্ট,খুব ভালো মনের মেয়ে।তবে সাথী রিদির চেয়েও ওভার স্মার্ট। রিদির সাথে বেশ কিছুদিন ধরে অফিসের একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজে মেশা হচ্ছে।অফিসে কাজ শেষে বাসায় ও ফোনে যোগাযোগ হচ্ছে। আর এই ব্যাপারটা সাথী খুব ভালো করেই লক্ষ্য করেছে।তাই ত ক্ষোভের বশেই সাথী বাবা মার কাছে শুধু শুধু রিদির কথা বলছে। আমি তারপর বললাম রিদি! ওহ বসের মেয়ে।রিদি আপুর কথা বলছো বুঝি।উনার সাথে একটা প্রজেক্ট নিয়ে বিজি ছিলাম। খাব কেন।বাইরের খাবার আমি পছন্দ করিনা।জানোই ত। আমার কথায় ঠিক ভরসা পান নি বাবা মা।বুঝা যাচ্ছিল। সাথী এবার রাগী ভাব নিয়ে আমার দিকে তাকালো। ও কি প্রমাণ করতে চেয়েছিল ও নিজেই জানে।আমি সেদিন কোনোভাবে উদ্ধার পেলাম। কিন্তু এই মেয়েকে বেশি দূর এগুতে দেওয়া যাবে না। বউ বলে এতো বেশি কেয়ার!! দূর ছাই এটা কেয়ার না শাষন মনে হচ্ছে।

সেদিন অফিস শেষে বাসায় খুব ক্লান্ত হয়ে শুয়েছিলাম। শুয়েছিলাম বললে ভুল হবে টিভির রুমে সোফায় এলান দিয়ে বসেছিলাম। কাছে বাবা এসে বসলেন।তারপর বললেন শুভ্র, তোকে বিয়ে করাবো। এই মাসেই। মেয়ে দেখেছি।আমি বাবার দিকে আশ্চর্য দৃষ্টিতেতা কালাম।কিছু বললাম না।বলার প্রয়োজন নেই। শুধু মেনে নিতে হবে। বাবা যা বলেন তাই মেনে নিতে হবে। কিছু বললেই বাবা আমাকে চড় মেরে দিবেন।আমি জানি। একবার আমি অফিস থেকে বাসায় ফিরেছিলাম দেরী করে।সেটা সমস্যা না।সমস্যা হলো আমি ড্রিংক্স করে ফেলছিলাম।অবশ্য নিজ ইচ্ছে ত নয়।বন্ধুরা জোরাজুরি করছিলো।একরকম জোর করেই খাইয়ে দিয়েছিলো। বাসায় যখন ফিরি এবং ঘরে ডুকে দেখি বাবা আমাকে দেখে বসা থেকে উঠে কাছে আসলেন। বাবা কিভাবে যেন বুঝে যান আমি ড্রিংক্স করেছি। মনে আছে আমাকে পাঁচটা চড় মেরেছিলেন।

তাই বাবার মতের বিরুদ্ধে যাওয়া আমার পক্ষে অসম্ভব।তবুও কিভাবে যেন বলে ফেলি বাবা আমি এই মেয়েকে বিয়েকরবো না।আমি অন্য আরেকজনকে ভালো বাবা আমার কথা শুনে মুখ ফিরিয়ে আশ্চর্য হয়ে আমার কথা কেড়ে নিয়ে বললেন কি বললি? আবার বলতো? আমি কিছু বলতে পারলাম না।বাবার দিকে করুণ দৃষ্টিতে তাকিয়েছিলাম শুধু।আসলে আমি আমার বাবা মাকে খুব ভালোবাসি ত তাই কখনো উনাদের মতের বিরুদ্ধে কিছু করিনি। প্রেমা আমার কলিগ।মোটামুটি প্রেমার সাথে আমার খুব ভালোই সম্পর্ক।খুব ভালো বন্ধু বটে।অফিস শেষে প্রায়ই আমরা ঘুরতে যাই। প্রেমা খুব সুন্দর করে হাসতে পারে।খুব ফর্সা না হলেও শ্যামলা মায়াবী চেহারার। অফিসের সবাই জানে আমার আর প্রেমার মাঝে কিছু একটা আছে। এমনকি বস ও জানেন।কিন্তু আমি আর প্রেমা জানি আমাদের মাঝে সুন্দর একটা বন্ধুত্ব চলছে।কথায় আছে না একটা ছেলে ও মেয়ে কখনোই ভালো বন্ধু হয়ে থাকতে পারবে না।

তাদের মাঝে খুব আশ্চর্যভাবে এক বন্ধনের সৃষ্টি হবে। যেটাকে বন্ধুত্ব বললে ভুল হবে।বন্ধুত্বের চেয়েও বেশি কিছু। প্রেমার আচরণে তা ফুটে উঠেছিল ভালো ভাবেই।আমিও যে ওর প্রতি দুর্বল না। তাও না।আমিও প্রেমার প্রতি ভীষণ দুর্বল ছিলাম। প্রেমা আমার জন্য প্রতিদিন দুপুরের লাঞ্চ নিয়ে আসতো।আমি যে লাঞ্চ সাথে নিতাম ওটা প্রেমা খেত।আর ওর লাঞ্চ আমাকে খেতে দিতো। কি আশ্চর্য!! মাঝে মাঝে আমরা অফিস ছুটির দিন দূরে কোথাও বেড়াতে যেতাম।ওর পছন্দের জায়গা হলো কোনো এক নিরিবিলি স্থান। চারদিকে গাছগাছালি থাকবে, মাঝে পুকুর একটা থাকবে।পাখীর কিচিরমিচির থাকবে। পুকুর বাধানো থাকবে,ঘাটে বসে পা দুলিয়ে দুলিয়ে বসবে।ঢিল ছুড়বে। গুন গুন করে গান গাইবে। আমি পাশে বসে থাকি।আড়চোখে প্রেমাকে দেখি।একটু পর বলবে “অই চলো পানিতে পা ভিজাই।”

বাবা এমন একটা প্রস্তাব করলেন।সত্যি কষ্ট লাগছে ভীষণ। প্রেমাকে আমি পছন্দ করি।সেটা বলিনি প্রেমাকে। কিন্তু নিশ্চয় প্রেমা সেটা বুঝতে পারছে। অফিস শেষে প্রেমাকে বললাম চলো। প্রেমা বললো কই? আমি প্রেমাকে কিছু বললাম না।ওর হাত ধরে নিয়ে গাড়ীতে উঠলাম। প্রথম যখন আমরা বেড়াতে গিয়েছিলাম সেখানে গেলাম। প্রেমা আমার দিকে অনেকটা অবাক ও প্রশ্নসূচক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।আসলে অফিস শেষে কোথাও ঘুরতে গেলে আমি প্রেমাকে বলি চলো ঘুরতে যাই অথবা প্রেমা বলে।তাই হুট করে এভাবে নিয়ে আসায় প্রেমা আশ্চর্য হলো। আমি বললাম প্রেমা আমি আমার বাবা মাকে খুব ভালোবাসি। ওরা বিয়ের আগের প্রেম ভালোবাসা মোটেও পছন্দ করেন না।

আমাকে কেন এগুলা বলছো? আমার না বাবা বিয়ে ঠিক করছেন। খুশির খবর।ভালোই ভালোই। ভালো?? এটা খুশির?? আমার না বাসায় কাজ আছে।সন্ধ্যা ও হয়ে আসছে।চলো ফিরি।আর বিয়ের নিমন্ত্রণ দিতে ভুলবে না কিন্তু।কেমন? হু। আমি প্রেমার দিকে আশ্চর্য হয়ে তাকালাম। প্রেমা কি সত্যি খুশি? না কি কষ্টে এসব বলছে।আমিও কাপুরুষ একটা।সিনেমাতে দেখেছি মেয়েরা এভাবে তারা প্রেমিক কে বলে,,” আমার বাবা বিয়ে ঠিক করেছেন।আমি বাবার কথার অবাধ্য হতে পারবো না।আমাকে ভুলে যাও।” কিন্তু আমার জীবনে সেটা উল্টো ঘটলো !! তারপর কিভাবে যেন সবকিছু উলট পালট হয়ে যায়।আমার বিয়ে হয়ে যায়। প্রেমা ঠিকি বিয়েতে আসছিলো। সাথীকে বলেছিলোও ” ছেলেটা কে দেখে রাখিও কেমন? খুব ভালো ছেলে।”

বিয়ের কিছুদিন পর অফিস যাই।কিন্তু প্রেমাকে পাইনি।জানতে পারলাম প্রেমা অফিস ছেড়ে চলে গিয়েছে। ফোনেও পেলাম না। অফ করা ছিল।ওর বাসার ঠিকানা জানতাম কিন্তু সেখানে যেয়ে পাইনি।ও চলে গেছে এখান থেকে।তাহলে কি প্রেমাও আমাকে! সেদিন আমি খুব কেঁদেছিলাম।মেয়ে দের মতো করে।যেই জায়গায় প্রথম বেড়াতে আসি আমি আর প্রেমা।সেই জায়গায়। সাথীকে আমি একদম সহ্য করতে পারিনা।স্ত্রীর মর্যাদা দেই নি আমি। বিয়ের পর দিন থেকেই স্ত্রীগিরি করতে লাগলো।আমি সব বুঝি। বাবা মাকে পটানোর ধান্দা।আমাকে পটানোর ধান্দা। আমার উপর অধিকার খাটাতে লাগলো।প্রেমিকা যেভাবে প্রেমিককে বলে “এই এটা করো না,ওটা করো।এইটা খাবে না,ওটা খাও।এটা পড়ো না ওটা পড়ো।ওটায় তোমাকে সুন্দর লাগবে।” বউরা এভাবে করে? আগে বিয়ে করিনি ত তাই অভিজ্ঞতা নাই।থাকার দরকার নাই। এই মেয়েকে প্রশ্রয় দিলেই মাথায় উঠবে।

আমি অবাক হতাম আমি অনেক খারাপ আচরণ করা সত্ত্বেও সাথী একটুও টলে যেত না।আরো দ্বিগুণ আগ্রহ নিয়ে আমার কেয়ার করতো।কেউ কি শিখিয়ে দিত ওকে? মেয়েরা এমনি হয়! হায়রে মেয়ে জাতি তোমাদের বুঝা বড়ই দায়। কারণে অকারণে সাথী আমাকে বাবা মার সামনে ধরিয়ে দিত। বাবা মার সামনে বলে দিত “টিভিতে নতুন একটা ডিজাইনের শাড়ী দেখেছি।কিনতে যাব।তোমার সময় হবে?” “বাবা মাকে দেখতে ইচ্ছে করছে।সময় হবে তোমার?” “কতোদিন হলো ঘুরতে যাইনা।সময় হবে?” কত বড় ডেঞ্জারাস মেয়ে! জানে আমাকে প্রাইভেটে বললে কাজ হবে না।তাই বাবা মার সামনে বলে দিত। যাতে আমি না করার সাহস দেখাতে পারিনা যেন।জানে আমি বাবা মাকে শ্রদ্ধা করি।উনাদের কথা ফেলা দেওয়ার সাহস দেখাতে পারবো না। সেখানেই ঢিল ছুড়ে।

সেই সুবিধা নিয়ে কয়েকদিন আগে বলছে নূপুর এনে দিতে।দিলাম এনে। অবশ্য সাথীর আবদারের কিছুদিন পরে বাবা বলেছিলেন কই সাথীর পায়ে নূপুর কোথায়? এইতো। বেতন টা পেয়েই দিয়ে দিব। গতকাল নূপুর এনে দিয়েছিলাম।আর আজ বলছে পড়িয়ে দিতে।আমি পড়িয়ে দেই নি।চলে আসি ওর কাছ থেকে। আমি অফিসের উদ্দ্যেশে বেড়িয়ে পরি।পিছনে একবার তাকিয়ে দেখি বাবা,মা অবাক ও হতাশ চোখে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।তারা সম্ভবত ভাবতেই পারেননি তাদের উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও আমি অতোটা সাহস দেখাবো।সাথীর চোখ থেকে জল গড়িয়ে পড়ছে। সাথীর চোখে জল দেখে কেমন যেন বুকের মাঝে একটু চিনচিনে ব্যাথা অনুভব হলো। অফিসের দেরী হচ্ছিলো তাই বেড়িয়ে যাই।

অফিস থেকে যখন বাসায় ফিরছিলাম। গাড়ি জ্যামে আটকে পড়ছিল।দেখলাম খুব সুন্দর বেলী ফুলের খুপা,বিভিন্ন রংঙের চুড়ি। কি মনে করে,কি মনে করে যেন কিনে নিলাম। বাসায় এসে সাথীকে পেলাম না।মা চা দিলেন।চা খেয়ে টিভি দেখছিলাম।ভালো লাগছিলো না টিভি দেখতে।কাউকে যেন খুঁজতে ছিলাম।আশ্চর্য আমি সাথীকে কি মিস করছি! আমিতো ওকে ভালোবাসি না! মা সম্ভবত আমার অসস্তিটা বুঝতে পারলেন। রান্নাঘর থেকে আমার দিকে চেয়ে চেয়ে মিটিমিটি হাসলেন।তারপর কাছে এসে বসলেন।বললেন বাবা।এত অবহেলা করা ভালো না বুঝেছো।কেউ তোমার দেখাশুনা করলে সেটার গুরুত্ব দিতে হয়।এভাবে কষ্ট দিলে বিপরীতে থাকা মানুষটি খুব কষ্ট পায়।সেটা বুঝা উচিৎ।

কিছু কিছু জিনিষ আছে যেগুলো মেনে নেওয়া কষ্ট হলেও মেনে নিতে হয়।ভালো জিনিষের মর্যাদা দিতে হয়।না হলে ভালো জিনিষ হারিয়ে যায়। আমি মাকে জড়িয়ে ধরলাম। কেন যেন চোখের অবাধ্য জলগুলো চোখের কঠিনবাধা ভেদ করতে চাইছে।মা মাথায় হাত বুলিয়ে দিলেন। মা বললেন সাথীকে নিয়ে আয়। কই সাথী? রাগ করে ওর বাপের বাড়ি চলে গেছে। আমি আর অপেক্ষা করিনি।সাথী এর আগেও অনেকবার এভাবে আমার উপর রাগ করে ওর বাবার বাড়ি গিয়েছিল। আমি গুরুত্ব দিতাম না।ফলে নিরাশ হয়েই আবার চলে আসতো।আমি সব বুঝতাম।কিন্তু এবার গুরুত্ব দিব।আমি যে সত্যি সাথীর প্রেমে পড়ে গেছি। সাথীর প্রেমে! কি সাংঘাতিক মেয়ে।ওর প্রতি দুর্বল করিয়ে ছাড়লো। আধা ঘন্টায় শশুড় বাড়ি চলে আসি। যেহেতু খুব কাছেই আমার বিয়ে হয়েছিল।

দরজা নক করতে সাথে সাথে সাথীই খুলে দিল।সম্ভবত সে আশেপাশে ছিলো।আমার দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকলো। সে ভাবেই নি আমি আসবো।কিন্তু এভাবে ! সাথীকে যেন ভালো করে আজ দেখছি।সাথীর চোখের দিকে তাকালে ঘুর লেগে যায়।আমি ওর চোখের দিকে তাকিয়ে থেকে আস্তে আস্তে হাতটা ধরে বললাম চলো বাড়ি যাই। এখন ত রাত! কাল যাই? ছাদে বসে আছি। আজ পূর্ণিমা। চাঁদ টা কি সুন্দর তাই না! আমি সাথীকে বললাম।সাথী বললো হু। আমি দুইটা চাঁদ দেখছি। কিভাবে? পাশে একটা চাঁদ আছে।যে আমার কাঁধে মাথা রেখে আছে। ধ্যাত।মিথ্যা।আমি দেখতে সুন্দর না। ওই চাঁদই সুন্দর। আমি থাকি নি।শ্বশুর,শ্বাশুরির শত মানা উপেক্ষা করে সাথীকে নিয়ে চলে আসি।সাথীও জোর খাটায়নি। চলে আসে সাথে।

বিয়ের পর এই প্রথম চন্দ্র দর্শন করছি একসাথে। আরে তুমি খুব সুন্দর। তাহলে এতদিন এতো অবহেলা করলে কেন।আমি বুঝি কষ্ট পাইনা। সরি।আর হবে না।এখন ত ভালোবাসবো খুব করে বাসবো। হবে না?? না হবে না যাও।রিদিকে ভালোবাসা যাও। কি বললে রিদিকে! ওকে যাচ্ছি। রিদিকে ভালোবাসতে। সাথী অভিমান নিয়ে আমাকে ঘুসি দেখায়।কিন্তু দেয় না।আসলে বাইরে থেকে অধিকার খাটালেও সাথী কাছে এসে অধিকার খাটাবে। সেই অধিকার দেই নি কোনোদিন।তাই বললাম দাও না।রুপসী ললনার নরম হাতের ঘুসি খাইনি কোনোদিন।দাও প্লীজ। যাও।রিদিকে বলো। উফ।রিদি।রিদি।রিদি।আর বলবে না।

আমি বিকালে যে কিনেছিলাম বেলী ফুলের খুপা ও চুড়ি। সেগুলো সাথীকে পড়িয়ে দিলাম।দিতে দিতে সাথীকে বলি এগুলো কেন কিনেছি জানো কি রুপসী?  কেন? এগুলো যৌতুক। অনেকদিন ধরে আমাদের সংসার চারজনের।বৃদ্ধি করতে হবে না কি! ইশ।কি দুষ্ট। বলেই সাথী বুক মাথা গুঁজলো।আমি খুব শক্ত করে জড়িয়ে ধরলাম সাথীকে। অনেক ভালোবাসতে হবে সাথীকে। খুব অবহেলা যে করেছি! জোনাকিপোকা, চাঁদ যেন লজ্জাহীনভাবে আমাদের ভালোবাসা দেখে যাচ্ছে। দেখুক,এখন থেকে রোজ দেখে যেতে হবে।কিচ্ছু করার নাই।লজ্জা লাগলে চোখ দুটি যেন ঢেকে নেয়।

গল্পের বিষয়:
ভালবাসা
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত