পিচ্চি বউ কাম ব্যাক

পিচ্চি বউ কাম ব্যাক

প্রায় চার বছর হয়ে গেছে, সেই যে পিচ্চিটাকে ছেড়ে আসছি। কখন ও আর পিচ্চিটার সাথে দেখা করা হয়নি। সব ঠিকঠাকই আছে আমি সেই আগের মতোই আছি বাঁদর মার্কা। খালি চকলেট চাওয়ার সেই পিচ্চি বউটা আমার নাই। তার বাবার কথাই চলে আসছিলাম, শুধু চলে আসিনাই পুরো শহরটা ছেঁরে চলে আসছিলাস। কিন্তুু আগের থেকে একটু দামি চকলেট কেনার টাকা হয়েছে। কীরে ভাই আপনাদের আমাকে মনে নাই আমি সাহরিয়া সেই পিচ্চিটা সাহরিয়া। হি হি আমি জানি আপনাদের মনে থাকবেই থাকবে,কারণ আপনারা তো আর আমার মতো গাধা না। আজকে খুব খুব খুব পিচ্চিটাকে মনে পড়তেছে।

আহা কতই সুন্দর করেই না আমার নাম ধরে ডাকত সাহরিয়া আমার চকলেট কই। পিচ্চিটা ও এখন মনে হয় বড় হয়ে গেছে  মনে হয় এখন ক্লাস টু তে পড়ে, আমাকে মনে হয় এখন ভুলেই  তখনই তো পিচ্চি ছিল। আজকে একটা কাজের জন্য আবার ঢাকাই আসছি, তাই ভাবলাম পিচ্চিটার বাসার ঐ দিকে একটু যাই যদি একটু দেখা হয়। চোরের মতো ঐ দিকে যাইতে লাগলাম, আশেপাশের সব কিছুই কেমন পাল্টে গেছে, পিচ্চিটাদের বাসাটা সেই একই রকম আছে। বাসাই একটু উঁকি দিলাম বাট কোন লাভ হল না। না থাক এই দিকে বেশি ঘোরা ফেরা করলে ঝামেলা হয়ে যেতে পারে। তাই প্রথম দিনের সেই পার্কটাতে গিয়ে বসে বসে চকলেট খাচ্ছি।আমি আগে থেকেই চকলেট খোর ছিলাম বাট পিচ্চিটার সাথে থেকে থেকে আরো বেশি চকলেট খোর হয়ে গেছি। আগে অনেক পিচ্চিটাকে নিয়ে এখানে বেড়াতে আসতাম, এখন আর আসা হয় নাপিচ্চিটাই তো নাই তাই। সন্ধার হতে প্রায় এক ঘন্টা বাঁকি তাই চলে আসছিলাম।

বাসের টিকেট ও কাঁটা শেষ, প্রথম দিনের মতোই কষ্ট হচ্ছে। কিন্তুু কিচ্ছু করার নেই, বাসে উঠতে যাব ঠিক সেই মূহুর্তে পিছন থেকে কেউ চিৎকার করতিছে সাহরিয়া সাহরিয়া। পিছনে তাঁকাইতেই দেখি চার বছর আগেই সেই পিচ্চিটা, এখন একটু বড় হয়ে গেছে বাট সেই আগের মতোই কিউটি আছে। পিছনে দেখেই তার বাবা মা ও আছে, তার বাবাকে দেখে বাসে উঠতে যাব, সেই সময় আবার পিচ্চিটার বাবার ডাক সাহরিয়া।  দূর এত্ত পিচ্চি পিচ্চি করতেছি কেন তুবার বাবার ডাক শুনে থেমে গেলাম। বাসটা ও মুখের আগে দিয়ে চলে গেল। দূর এখন যদি আবার বকা দিতে আসে তাহলে বকার চিন্তা হচ্ছে না, বাসটার জন্য কষ্ট হচ্ছে। তুবা দৌড়ে আমার কাছে আসল। ঐ সাহরিয়া তুমি কই চলে গেছিলে হুমমমম, আমি কত্ত কাঁদছি জানো। আমি খাইনাই পর্যন্ত, কই গেছিলে আমাকে রেখে বলো।

কোথাও না বুড়ি এই তো আমি চলে আসছি, এখন কোন ক্লাসে পড়ো শুনি। আমি ক্লাস টু তে পড়ি। ও মা তাই তাহলে আমার বউটাতো বড় হয়ে গেছে হি হি। এর মধ্যেই তুবার বাবা মা চলে আসছে। আমি মাথাটা নিচু করে আছি। বুড়ি তুমি একটু এখানে থাকো আমি তোমার বাবার সাথে একটু কথা বলে আসি কেমন। না তুমি সেদিন রাতে ও এই কথা বলেই পরের দিন চলে গেছিলে, যা বলার আমার সামনেই বলো, আমি এখন বড় হয়ে গেছি বুঝলা। না না বুড়ি যাব না হুমমমমম, একটু কথা বলি কেমন। না না শাহরিয়া তুমি কী বলবে আমি জানি, কিন্তুু তুমি অনেক কিছুই জানোনা সেটা আমি তোমাকে বলতেছি (তুবার বাবা)। আচ্ছা কী এমন কথা যেটা জানি না। সাহরিয়া তুমি চলে যাওয়ার কয়েক দিন পর ও যখন আসতেছিলে না । তখন তুবা খুব কান্নাকাটি শুরু করে দেই, ঠিক মতো খেতে চায় না। সব সময় তোমার পথ চেয়ে বসে থাকত। তোমাকে আমরা কত জায়গায় খুঁজেছি জানো, তোমার ফোন নাম্বারটা ও বন্ধ।

পরে তুবার এমন অবস্থা দেখে ডক্টরের সাথে যোগাযোগ করি,তাকে সব খুলে বলি। তিনি তুবাকে বুঝিয়ে বলি যে আমিই সাহরিয়া কে চলে যেতে বলছিলাম,  ঘটনা গুলো খুলে বলার। পর থেকে ও আর আমাদের সাথে কথা বলেনা, এখন ও বলে না। আমি তো সব শুনে হা করে আছি, ঐ টুকু পিচ্চির কী রাগরে বাবা। আচ্ছা বুড়ি এখন তো আমি চলে আসছি এখন বাবা মার সাথে কথা বলো। না কখনই বলব না, তারা আমার ভাল থাকার জিনিসটাকেই দূরে সরিয়ে ফেলেছিল। এত্ত গুলা চকলেট এনে দিব বুড়ি কথা বলো বাবা মার সাথে। না চকলেট না আগে বলো যাতে তোমার সাথে আমাকে বিয়ে দেই। আল্লাহ গো আল্লাহ এই ভূতটা এখন ও যাই নাই মাথা থেকে। ঐ পিচ্চি আমাকে যে বিয়ে করতে চাও আমার বয়স কত এখন জানো। কত বয়স তোমার হুমমম।

হি হি মনে নাই তো, আচ্ছা সব বাদদিয়ে বিয়ে কেন হুমমম, তোমাকে বিয়ে করলে পুলিশ আমাকে ধরে নিয়ে যাবে চিরদিনের মতো হুমমমম, আমার কষ্ট  হোক সেটা কী চাও বলো। কী যেন একটু ভাবল তারপরে। আচ্ছা ঠিকআছে বিয়ে করতে হবে না কিন্তুু আমরা বর বউ, আর তুমি আমার কাছে সারাজীবন থাকবে বলো। এখন কী বলব কিছুই মাথাই আসছে না, মাথা চুলকাইতেছি শুধু। হুমমমম মা সাহরিয়া সারাজীবন তোমার সাথেই থাকবে, এবার কথা বলো আমাদের সাথে (তুবার মা)। ওকে তাহলে আমার চকলেট কই সাহরিয়া। এইরে চকলেট তো নাই এখন। তুমি কোনদিন আমার চকলেট আনো না যাও তোমার সাথে আর কথা নাই। না না বুড়ি চলো চকলেট নিয়ে দিচ্ছি। ঐ তোমার কছে না আগে টাকা থাকত না, এখন কেমনে আছে হুমমম। তোমারে ছেঁড়ে যাওয়ার জন্য তোমার বাবা টাকা দিছিল বুড়ি। ছি সাহরিয়া তুমি এমন। এইরে এখন কী বলি,,আরে না না বুড়ি তুমি যা ভাবছ আমি তেমন না।

সেদিন টাকা না নিলে আজকে কেমনে আসতাম হুমমম আর চকলেট কেনার টাকা তোমার বাবার কাছে চাইতে সরম করত না বলো, আমরা তো এখন বড় হয়ে গেছি তাই না বলো। হুমমমম সেটা অবস্য ঠিক। তা হলে আড়ি কেঁটে দাও। ঠিকআছে তা হলে এত্ত গুলা চকলেট কিনে দাও। হুমমম চলো। তারপরে তুবাকে চকলেট কিনে দিয়ে, ওদের বাসাই যাচ্ছিলাম। আচ্ছা তুবা তুমি অনেক কষ্ট পাইছিলে তাই না। হুমমমম অনেক। আমি ও অনেক কষ্ট পাইছি বুড়ি। আব্বুর সাথে আর কথাই বলব না সাহরিয়া। এই না না তাহলে আমাদে বাড়িতেই ঢুকতে দিবে না, কথা বইল সোনাডা আমার। হি হি সাহরিয়া তুমি ও না আগের মতোই আছো, তাই তো তোমাকে দেখেই চিনতে পাড়ছি জানো। হুমমমম বুড়ি। কথা বলতে বলতে ওদের বাসাই গেলাম। তারপরে ফ্রেস হয়ে খেয়ে দেয়ে রুমে আসছি, তুবা ও সবার সাথে কথা বলছে।

তুবার বাবা আস্তে আমাকে ডেকে নিয়ে গিয়ে বলল।  সাহরিয়া আমাকে মাফ করে দাও, আমার ভুল ধারনার জন্য মেয়েটাকে কত্ত কষ্ট দিছি আমি। এবার আমি বুঝলাম তুবার সুখে থাকা একমাএ তোমার ঘিরেই। এর মধ্যে তুবা বুড়িটা ও চলে এসেছে, কী বাবা আবার সাহরিয়া কে চলে যেতে বলছ না। না না সাহরিয়া আর কোথাও যাবে না, তোমার সাথেই থাকবে সবসময়। বলে চলে গেল তুবার বাবা।  বুড়ি একটু মাথা টিপে দিবা হি হি।  না দিব না।  কেন।  এমনি।  কালকে খুব সকালে তোমাকে ঘুরতে নিয়ে যাব কেমন এবার রাগটা একটু কমাও বুড়ি।  হুমমমম চকলেট দাও তাহলে।  যাক তবুও পকেটে দুইটা রাখছিলাম, বুড়ি দুইটা দিলে চলবে।  হুমমমম দাও। ওই নাও ধরো। চলো এবার ঘুমাবা না। তারপরে ঘুমাতে চলে গেলাম।

বুড়ি আজকে আম্মুর সাথে থাকো কেমন। হুমমমম ওকে। সকালেই কিন্তুু বেড়াতে নিয়ে যাবে কেমন। হুমমমম রে বাবা সকালেই নিয়ে যাব যাও। ওকে এবার ঘুমাতে যাও। তারপরে ঘুমাতে চলে আসলাম। চার বছর পরে আবার সেই রুমে শুয়ে আছি, এই রুমেই একদিন কত্ত কষ্টে ছিলাম। এই সব ভাবতে ভাবতে ঘুমাই গেলাম। সাত সকালবেলা তুবা বুড়ি এসে ঝুকাই ঝুকাই ডাকতেছে। সাহরিয়া ঐ সাহরিয়া তারাতারি ওঠ।  হুমমমম এত্ত সকালে কেউ ডাকে।  হুম আমি ডাকি তারাতারি ওঠে ফ্রেস হয়ে নাও, আমি আসতেছি রেডি হয়ে। তারপরে আর কী করার ফ্রেস হয়ে রেডি হলাম। এর মধ্যে তুবা ও চলে এসেছে। পুরাই আমার গেটাপ। গেঞ্জির উপরে একটা শার্ট পরে শার্টেরবোতাম সব খুলে দিছে, গ্যাভাডিং প্যান্ট পড়ছে, হাতে ঘড়ি আরো অনেক গুলো কী আবরি জাবরি পড়ছে। হায় হায় আপনি কে। আমি সাহরিয়া। হি হি তাই বুঝি, এই সব কেন পড়ছ।

আজকে আমি ও সাহরিয়া আর তুমি ও সাহরিয়া কেমন। হুমমমম ওকে।  চলেন ম্যাডাম এবার যাই।  হুমমমম চলো।  আমাদের দেখে সবাই হা  করে আছে, আমি ও যেমন যেমন  পড়ছি তুবা ও তেমন তেমনই পড়ছে। যাই হোক অনেক ঘুরলাম।  তুবা বুড়ি চলো অনেক খিদা লাগছে  খেয়ে আসি।  ঐ এত্ত খাই খাই করো কেন।  ওকে ওকে খাব না যাও।  ঠিকআছে চলো।  না না থাক খাব না।  ঐ সাহরিয়া চলো না, আমি খাইয়ে দিব চলো। হুমমমম চলো। আমিরে খাইয়ে দিচ্ছে পিচ্চিটা। হি হি সবাই এখানে ও হা করে তাঁকাই আছে। খেয়ে দেয়ে অনেক জায়গায় ঘুরলাম, ঘুরতে ঘুরতে সন্ধা হয়ে গেছে। সাহরিয়া হেঁটে হেঁটে বাসাই যাব চলো। হুমমমম চলো। ঐ গান গাও একটা। হি হি আমি গান পারি না তো। গাও না সাহরিয়া। ওকে গাইতেছি।

আমার রাতের যত তারা সব ভালবাসাই ভরা আমার আছে বিশাল আকাশ বইছে শ্রাবন ধারা  অনেক ভাল হইছে, এবার রাস্তার মধ্যে দাঁড়িয়ে জোরে প্রপোজ করো। কী এই সময়। হুমমমম এখনই করবা নাকি তাই বলো। আচ্ছা আচ্ছা করতেছি। তুবা বুড়ি আই লাভ হউ। না না হয় নাই বুড়ি বললা কেন। ভালো করে করো। আল্লারে আল্লাহ,,, ওকে করতেছি। আই লাভ ইউ তুবা সাথে সাথে আমারে এসে জরাই ধরল। সাহরিয়া আমাকে বিয়ে করতে হবে না আমাকে রেখে আর যেও না ঠিকআছে। হুমমমম বুড়ি যাব না আর কখন ও তোমাকে ছেড়ে। হুমমমম চলে এবার। হি হি হি ওকে চলো। তার পরে এই তো যাইতেছি তো যাইতেছিই।।

সমাপ্ত

গল্পের বিষয়:
ভালবাসা
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত