happy family – 1

happy family – 1

বড়মা, বড়মা কি হলোরে হতচ্ছাড়ী আমি বের হবো।জলদি এক কাপ চা দাও। তোর মাকে বল না। আমার হাত জোড়া। রান্নাঘর থেকে মা চেঁচাল। হ্যা বড়পা, মেয়ে তো শুধু পেটেই ধরেছিলাম।শত্রুর আমার। যত আবদার তোমার কাছে।

পাশ থেকে ছোটমা শব্দ করে হাসলো।টুপাই ডাইনিং থেকে অধৈর্য হয়ে হাঁক দিল। মা যাই টুপাইয়ের সামনে চা আর আলু পরোটা রাখলো ছোটমা। আলুপরোটা? হুম।সাথে ধনে পাতা দিয়ে ডিম ভাজি। গ্রেট ছোটমা হ্যা রে! আজ এত সকাল সকাল বের হচ্ছিস যে?ভার্সিটিতে কাজ আছে? উঁহু তাহলে? ইন্টেরিয়র ডিজাইনিং এর একটা কাজ পেয়েছি। যদি কাজটা শেষ করতে পারি তাহলে একটা অফিস নিব। তো সেজকা কে বললেই হয়। উঁহু। বাসা থেকে কোনো সাহায্য নিব না। বলেই চা টা কোনমতে শেষ করেই ছুট দিল টুপাই। পেছনে তাকালে দেখতো ছোটমা সস্নেহে তাকিয়ে আছে। টুপাইদের বাড়িটা একান্নবর্তী।ওর বাবারা চার ভাই।বড় চাচা রিটায়ার্ড ব্যাংকার। একটাই মাত্র ছেলে। শান্ত। মাস্টার্স করছে। মেজ টুপাইয়ের বাবা। বিজনেসম্যান। টুপাইরা দুই ভাই বোন।টুপাইয়ের বড় ভাই,শিপলু। শান্তর সমবয়সী। মাস্টার্স করছে। টুপাই অনার্স থার্ড ইয়ার।

সেজকা ভার্সিটিতে আছে। ফিলসফির প্রফেসর।তিন ছেলে মেয়ে। বড় হলো টুনি, ইন্টার দেবে । ছেলে অপু ক্লাস নাইনে। ছোট মেয়ে মৌ সেভেন এ। আর ছোটকা?বাড়ির সব গুলো ছেলে মেয়ে ছোটকা বলতে পাগল।ওদের ছোটকা ইংলিশে মাস্টার্স কমপ্লিট করে বসে আছে। মাঝে মাঝেই বাড়ি থেকে উধাও হয়ে যায়। বয়স হয়ে যাচ্ছে কিন্তু গোঁ ধরেছে বিয়ে করবে না। ভার্সিটি লাইফ থেকেই সব ফ্রেন্ডদের বিয়ে দিয়ে বেড়াত। আর বাড়ির সবচেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ সদস্য হলো টুপাইয়ের দাদী। আর তিন বউ। এমন ভাবে মিশে গেছে যেন তিন বোন।সব কাজে তিনজন পাশাপাশি থাকে। বাড়িতে ছেলে পুলের উৎপাত ছাড়া ঝগড়াঝাঁটি নেই।এই হলো টুপাইদের সুখী পরিবার। টুপাই চলে যেতেই হন্তদন্ত হয়ে নীচে নামলো শান্ত। ছোটমা টুপাইয়ের গলা শুনলাম।উঠেছে নাকি? টুপাই একমাত্র প্রাণী!যে ভোরে ঘুমায়। হ্যা, উঠেছে, বেরিয়েও গেছে। বলো কি? বলেই শান্তও ছুট দিলো।টুপাইকে ধরলো গলির মাথায়।

শান্তকে দৌড়ে আসতে দেখে থামলো। গাড়ি নিয়ে যাচ্ছিস না? ভাইয়া, এইটা বলার জন্য তুই দৌড়ায়ে আসিস নাই।কি বলবি জলদি বল। শান্ত হা করে দম নিচ্ছিল।মাছের মত খাবি খেয়ে বললো, ব্যাপারটা তো সিরিয়াস। তুই ঘুরে আয়।তারপর বলি? উফ! ভাইয়া, তুই যে কি না। এক কাজ কর।ভার্সিটির কাজ না থাকলে চল। আমার এসিসটেন্ট বানায়ে নিব। শান্ত কাঁচুমাচু মুখ করে বললো, এই ড্রেসেই যাব? বিয়ে তো আর করতে যাচ্ছিস না। যাব বলছিস? হু চল। টুপাই শান্ত কে নিয়ে রিকশায় উঠে পড়লো। পাবনায় কৃষ্ণপুর নামটার বেশ সুখ্যাতি আছে। শান্ত টুপাইয়ের সাথেই আছে।টুপাই মালিকের সাথে কথা বলছে। শান্ত এদিক সেদিক হাঁটাহাঁটি করছে। শান্ত ভাইয়া, চল হয়ে গেছে? উঁহু। কাজ বুঝে নিলাম।কাল থেকে শুরু করবো। চল কোনো রেস্টুরেন্টে বসি টুপাই চোখ ছোট করে শান্তকে দেখলো।

তারপর বললো, ভাইয়া,মেয়েঘটিত কিছু বলবি না তো? শান্ত নার্ভাস ভঙ্গীতে মাথা ঝাঁকালো।টুপাই চোখ বড় বড় করে বললো, ভাইয়া,তাহলে আমার একার বুদ্ধিতে কাজ হবে না । ছোটকাকে ডাকি।আমাদের বংশে একমাত্র ছোটকাই নিজে বিয়ে না করে সবার বিয়েশাদি দিয়ে বেড়ায়। সব শুনে ছোটকা গম্ভীরভাবে শুধু বললো ‘হুম।সিরিয়াস অবস্থা। ভাবতে দে। ‘কিছুক্ষন চুপ করে থেকে ছোটকা লাফিয়ে উঠে বললো, ইউরেকা’।অন্যরা ঘাড় ঘুরিয়ে ছোটকাকে দেখলো।ছোটকা সেসব গায়েই মাখলো না। শোন। মেয়েটার যেহেতু বড় বোন আছে, সেহেতু বড় বোনকে আগে বিদায় করতে হবে ।আমি কথা বলবো বড় বোনের সাথে। তারপর ডিটেইলস প্ল্যান করবো।বাসা কোথায় বল? শালগাড়িয়া গুড। চল যাই। আজকেই? হ্যা। চল। ছোটকাকে বাসা চিনিয়ে দিয়ে টুপাই আর শান্ত বাইরে হাঁটাহাঁটি করছে। প্রায় মিনিট বিশেক পর ছোটকাকে হনহনিয়ে আসতে দেখা গেল।কিছু না বলে টুপাইদের পার হয়ে একটা রিকশা নিল। টুপাই আর শান্ত ডাকলো কিন্তু ফিরেও তাকালো না।

ওরা দুজনেই ভ্যাবাচ্যাকা খেয়েছে। বাসায় যেয়ে দেখে ছোটকার রুম ভেতর থেকে বন্ধ। আমরা কিছু করতে পারবো না। চল শিপলু ভাইয়ার কাছে যাই। টুপাই শান্তকে বললো। শান্ত বললো, চল সব শুনে শিপলু বললো, অবস্থাতো সিরিয়াস মনে হচ্ছেরে শান্ত শান্ত উত্তর দিল না। ছোটকা আর যাই হোক।রাগ করে বেশিক্ষন থাকতে পারে না ।রাগ ভাঙলে আসল খবর জানা যাবে। তক্ষুনি দেখা গেল প্রায় বিধ্বস্ত অবস্থায় ছোটকা শিপলুর রুমে ঢুকছে। টুপাইরা তিনজনই চুপ করে আছে।ছোটকাই কথা শুরু করলো, ওই মেয়েকে বিয়ে করা যাবে না। তিনজনই চুপ।প্রশ্ন করলেই ছোটকা কথা ফেনাবে। ওই মেয়ের বড় বোন ভাল না আমার সাথেই পড়তো। ভাল স্টুডেন্ট ছিল।ফার্স্টক্লাস ফার্স্ট হয়েছে। আমি পছন্দ করতাম।একদিন সাহস করে এক ফ্রেন্ডকে দিয়ে প্রপোজও করি।

কিন্তু আর চুপ করে বসে থাকতে পারলো না শান্ত,শিপলু, টুপাই ।ওদের ছোটকার লাভ স্টোরি গোপন ছিল এতদিন!তিনজন সমস্বরে প্রশ্ন করলো, কিন্তু?? কিন্তু মেয়েটা তো রাজি হলোই না উলটো সবার সামনে আমাকে কাপুরুষ, ভীতু বলে গালিগালাজ করলো। আর আর?? আর থাপ্পড় মারলো দু সেকেন্ড পর অট্টহাসিতে ভেঙে পড়লো তিন ভাই বোন।ছোটকা আহত গলায় বললো, তোরা হাসছিস? শিপলু বললো, আহ! ছোটকা। হাসবো না?তুমি এমন একটা ঘটনা লুকিয়ে রেখেছিলে? শান্ত বললো,  এইজন্যই তো বলি তুমি সন্ন্যাসের ভড়ং কেন ধরেছ।মেয়েটাকে এখনো ভালবাসো।না? ছোটকা রাগে গজরাতে গজরাতে চলে গেল।তখন টুপাই বললো, শান্ত ভাইয়া,তোর বিয়ে বাদ। আঁৎকে উঠলো শান্ত। কি!!! আরে আপাতত। আমাদের উচিত ছোটকার বিয়েটা আগে দেয়া। শিপলু হাতে কিল দিয়ে বললো, ঠিক তাহলে বিচ্ছু তিনটাকে ডাকি। ওদের কেন? আরে, ওদের মাথায় আমাদের চেয়েও ভাল বুদ্ধি আছে। শান্ত, শিপলু ঘাড় নেড়ে সায় জানালো। টুনি আর অপু দাদীর কাছে বসে আছে দেখতে পেয়ে ছোটমা একেবারে বাড়ি মাথায় করে ফেললো।

বড়পা,মেজপা দেখে যাও।কি সব্বোনেশে কান্ড! বড় বৌ আর মেজ বৌ দৌড়ে এলো। বড় বৌ প্রশ্ন করলো, কি হয়েছে রে ছোট? দ্যাখো,ছয় শয়তানের দুইটা আজ মায়ের পাশে বসে আছে। কি মতলব ভেজেছে সেটাই দ্যাখো।নিশ্চিত রেজাল্ট খারাপ এসেছে।  আহ!চুপ কর। মেজ বৌ, টুপায়ের মা দাদীকে প্রশ্ন করলো। মা,কি হয়েছে? ফুলটুসি, দ্যাখতো কিসব মাস্টার ফাস্টার লাগবে ওদের। আমি কি বুঝি নাকি সব? দাদী জোবায়রা খাতুনের মেয়ে নেই বলে ছেলের বউ গুলোকে মেয়ের মতই দেখে, নাম ধরে ডাকে। ছোটবৌ অর্থাৎ ছোটমা এগিয়ে এসে বলবো, কি হয়েছে? টুনি বললো, আসলে আমাদের পরীক্ষায় আরো ভাল করা উচিত।তাই ভাবছি বাসায় একটা টিউটর রেখে দেয়া লাগবে। ছোটমা চোখ ছোট ছোট করে বললো, গাব্দা গাব্দা তিনটে ছেলেমেয়ে লেখাপড়া শেষ করে ফেললো।ওদের তো কোনদিন মাস্টার লাগেনি? বিপদ দেখে শিপলু আড়াল থেকে বেরিয়ে এলো।

কি হয়েছে কি ছোটমা? দ্যাখতো, ওদের নাকি টিউটর লাগবে।তোদের তিনভাইবোনের তো লাগেনি বাপু। আহ ছোটমা। এখন যুগ পাল্টেছে না। লাগবে দিয়ে দাও।আমার অল্প পরিচিত এক ম্যাডাম আছে। স্কয়ার স্কুলে আছে। রেহানা ইয়াসমিন।কথা বলে দ্যাখো। বলে শিপলু চলে গেল।টুনি, অপুও সটকে পড়লো।জাল ফেলা হয়ে গেছে। ছোটমা চিন্তিত মুখে বললো, বড়পা, ওদের কারো মতিগতিই সুবিধার লাগছে না। কে জানে কি খিচুড়ি পাকিয়েছে। বড়মা বললো, তুই অযথাই চিন্তা করছিস। দ্যাখ নিজেদের ব্যাপারে নিজেরাই সচেতন হচ্ছে ওরা। সেটাই তো বড় চিন্তার বিষয় বড়পা। কি এমন হলো যে সব বানর একেবারে কলা খাওয়া ছেড়ে দিল! রেহানা ইয়াসমিনকে রাজি করাতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। কিছুতেই যখন রাজি হয় না তখন টুনি আর অপু দুজন দুহাত চেপে ধরে রেখেছে।অগত্যা রাজি হতেই হয়েছে।

মাসখানেক হলো পড়ানো শুরু করেছে।এর মধ্যেই বাড়ির সবাই মাস্টারনির কাছে কুপোকাত।মাস্টারনির হাবভাবে মনে হয় বাড়ির সে একজন নিয়মিত সদস্য। শান্ত আর শিপলু এই একমাস পড়ানোর সময়টুকু ছোটকাকে ব্যস্ত রেখেছে বাইরে।ঠিক রেহানা আসার আগে ছোটকাকে বাসা থেকে বের করে নিয়ে যায় দুজন।পুরো বাড়ির সদস্য যখন মাস্টারনির প্রতি খুশি তখন একদিন ডিনারে দুম করে প্ল্যান মোতাবেক কথাটা তুললো শান্ত।শিপলু সেদিন ছোটকাকে নিয়ে বাইরে বাইরে ঘুরছে অযথা।আচ্ছা!টুনিদের মাস্টারনি এত ভাল একটা মেয়ে। বিয়েও হয়নি।এক কাজ করলে কি হয়? টুপাই প্লেটে বেশি করে চিংড়ির মালাইকারী তুলে নিতে নিতে বললো, কি কাজ রে ভাইয়া? সবাই শুনতে পাবে এভাবে বললো, ছোটকার সাথে মাস্টারনির বিয়ে দিয়ে দিলেই তো হয়। মুহূর্তে সব চুপচাপ।নিরবতা ভাঙলো বড়চাচা। শুনছিস মেজ? শুনলাম তো।

সেজ? হু বড়চাচী বললো, এত বছর পর মনে হচ্ছে ছেলেটা বড় হয়েছে।ঠিক কথাই বলেছে। বড়দের মধ্যে জল্পনা শুরু হয়ে গেছে। আস্তে করে টুপাই আর শান্ত প্লেটে গাদা খানেক খাবার তুলে নিয়ে সটকে পড়লো। পিছু পিছু টুনি,অপু আর মৌ। পাঁচজন শিপলুকে ছাড়াই তৃতীয় ধাপের প্ল্যান করা শুরু করলো।সবচেয়ে কঠিন অংশ।ছোটকাকে দিয়ে প্রপোজ করানো আর মাস্টারনির রাজি হওয়া। ছোটকা ড্রইং রুমে ঢুকেই ফ্রিজ হয়ে গেল রেহানাকে দেখে।মাস্টারনিও অপুকে কিছু বলার জন্য সবেই হা করেছিল।হা টা আর বন্ধ হলো না বরং আরো বড় হলো। ছোটকা তোতলাতে তোতলাতে  বললো, ত..ত..তু..তুমি? মাস্টারনি উল্টে ছোটকাকে প্রশ্ন করলো, তুমি? ছোটকা সামলে নিয়ে বললো, আমার বাড়িতে আমি থাকবো না তো কি তুমি থাকবা? মাস্টারনি প্রথমে লজ্জা পেল তারপর উঠলো রেগে।

তুমিই আমার খোঁজ দিয়ে আমাকে এখানে পড়ানোর ব্যবস্থা করেছ। তাই না?আমি এক্ষুনিচলে যাচ্ছি। ছোটকাকে হতবাক করে টুপাইদের হতাশ করে মাস্টারনি তক্ষুনি বেরিয়ে গেল। শান্ত মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়লো ওদের প্ল্যান ভেস্তে যাওয়ায়।ছোটকা রেগে কিছু বলার জন্য মুখ খুলতেই ট্রাফিক পুলিশের মত হাত তুলে থামতে বললো টুপাই। ছোটকা। মাস্টারনি তোমার মত গাধার প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে।তুমি তৃতীয় শ্রেণীর গাধা তাই বুঝতে পারনি।মেয়েরা চায় ছেলেটি নিজেই প্রপোজ করুক।তুমি আজকের মধ্যেই মাস্টারনিকে প্রপোজ করবা। একজন মজনু আরেকজন লাইলি হয়ে থাকা চলবে না। বলে টুপাই ঘুরে চলে গেল।ছোটকা এবার হতাশ।কারণ টুপাই কে ভয় পায়। মেয়েটা রেগে কি যে করে। শিপলুর দিকে তাকাতেই চোখ মারলো ছোটকাকে। ছোটকা হেসে ফেললো।শিপলুর মাথায় নিশ্চয়ই কোনো ইউনিক আইডিয়া এসেছে।

রাত নটা। রেহানাদের বাসার ড্রইং রুমে টুপাইরা সবাই গম্ভীর মুখে বসে আছে।ছোটকার হাতে তিন রকমের গোলাপ।মাস্টারনি প্রথম প্রশ্ন করলো, তোমার হাতে তিন রকমের গোলাপ ক্যান? ছোটকা মাথা চুলকে বললো, ইয়ে, তোমার যে রঙ পছন্দ হয়। এই প্রথম রেহানা দুষ্টুমির হাসি হাসলো। ছোটকা তোতলাতে বললো, উইল ইইইউ বববি মমমাই গার্লফ্রেন্ড? প্রচন্ড শব্দে ছোটকার গালে একটা চড় পড়লো। ফাইজলামি করো?এতদিন পর এখন গার্লফ্রেন্ড হই।বিয়ে কি ষাট বছর বয়সে করবো? মাস্টারনি উঠে চলে যাচ্ছিল।চট করে ছোটকা হাত ধরে ফেললো।ভরাট গলায় কোট করলো, ‘তবুও এ দুঃসাহস।বসন্তের সঞ্চিত সংগীত যদি তুমি ভেঙে দাও ছিঁড়ে দাও জিয়ানো কুসুম স্রোতগ যাত্রার ছায়া ফেলে দাও। দূর্বাদল ঘুম যদিই জ্বালিয়ে দাও দীপ্ত লঘু কৈলাসের শীতে তবুও এ দুঃসাহস।

রেহানা, তুমি কি আমার ডজন খানেক বাচ্চাকাচ্চার আম্মু হবা?’ ‘ঠাস ‘মাস্টারনির চড় খেয়ে ছোটকা হতবাক হয়ে গেছে। এবার তো সুন্দর করেই প্রপোজ করলো। ডজন খানেক বাচ্চাকাচ্চা? এমনি বাংলাদেশের জনসংখ্যা বেশি। কথা শুনে টুপাইরা এমনকি রেহানার বাবা মা পর্যন্ত হো হো করে হেসে উঠলো।রেহানা লজ্জায় পালিয়ে গেল ভেতরে। দাদী হাসিমুখে বললো, বাচ্চাকাচ্চা গুলা একটা কাজের কাজ করলো।ওদের আর বকাবকি দেয়া যাবে না। বিয়েটা হোক তাহলে। সবাই হুল্লোড় করে উঠলো।

গল্পের বিষয়:
ভালবাসা
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত