happy family – 2

happy family – 2

বউমা যাই রান্নাঘর থেকে বড়চাচী ফোঁড়ন কাটলো, হ্যারে হতচ্ছাড়ী। ছোটন আসতে না আসতেই আমাকে ভুলে গেলি??? টুপাই দাঁতের ডিসপ্লে দিয়ে বললো, বড়মা, বউমার একটা বোন আছে না? লাফিয়ে উঠলো ছোটচাচী।

তবেরে পাজি কি মতলব ভাজা হচ্ছে??? টুপাইয়ের মা বললো, ছোটন, তোর বোনের কথা বাদই দে। এই আজব চিড়িয়া ইদানীং সকাল সকাল ওঠে।নাস্তা করে। তারপর ভার্সিটিতে যায়। আমার তো কিছু ঠিক মনে হচ্ছে না। টুপাইয়ের সেজকাকীকে ছোটমা বলে ডাকে ওরা। তাই ছোটকার বউ হয়ে গেছে বউমা।বউমা বললো, মেজপা তুমি চিন্তা কোরো না। টুপাই আমাদের লক্ষ্মী মেয়ে। টুপাইয়ের মা মাথায় হাত দিয়ে বললো, লক্ষ্মী! তুই ওই জলদস্যুর মধ্যে লক্ষ্মীর কি দেখলি? তক্ষুনি মৌ নেমে এলো। বউমা, আজকের ব্রেকফাস্ট কি? লুচি, বেগুন ভাজি আর নিরামিষ। আহ! জলদি দাও। টুপাই মৌ এর মাথায় গাট্টা মেরে বললো, আমি আরো আধঘণ্টা আগে এসে বসে আছি। আমারে আগে দিব। আপু দ্যাখ।ছোটদের অধিকার আগে। দুজন খুনসুটি করছে টেবিলে। বউমা গরম গরম লুচি,বেগুন ভাজি আর সবজি এনে টেবিলে রাখতেই শান্তও এসে হাজির হলো।

টুপাইদের বাড়িটা একান্নবর্তী।ওর বাবারা চার ভাই।বড় চাচা রিটায়ার্ড ব্যাংকার। একটাই মাত্র ছেলে। শান্ত। মাস্টার্স করছে। মেজ টুপাইয়ের বাবা। বিজনেসম্যান। টুপাইরা দুই ভাই বোন।টুপাইয়ের বড় ভাই,শিপলু। শান্তর সমবয়সী। মাস্টার্স করছে। টুপাই অনার্স থার্ড ইয়ার। সেজকা ভার্সিটিতে আছে। ফিলসফির প্রফেসর।তিন ছেলে মেয়ে। বড় হলো টুনি, ইন্টার দেবে । ছেলে অপু ক্লাস নাইনে। ছোট মেয়ে মৌ সেভেন এ। আর ছোটকা?বাড়ির সব গুলো ছেলে মেয়ে ছোটকা বলতে পাগল।ওদের ছোটকা সদ্যই বিয়ে করেছে। ছোটকাকীকে ওরা বউমা বলে।বউমাও ওদের সবার প্রিয়। আর বাড়ির সবচেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ সদস্য হলো টুপাইয়ের দাদী। চার বউ এমন ভাবে মিশে গেছে যেন চার বোন।সব কাজে চারজন পাশাপাশি থাকে। বাড়িতে ছেলে পুলের উৎপাত ছাড়া ঝগড়াঝাঁটি নেই।এই হলো টুপাইদের সুখী পরিবার। সকাল আর রাতের ডাইনিং টেবিল মানেই হাউকাউ, চিল্লাফাল্লা। বড়চাচা করুণ চোখে একবার লুচির দিকে আরেকবার বড়মার দিকে তাকাচ্ছে। বড়মা,বড়চাচার সামনে দুটো আটার রুটি আর একবাটি সবজি দিয়েছে। অবস্থা দেখে টুপাই খিলখিল করে হেসে ফেললো।

বড়মা, তুমি কি চাও আমাদের সবার পেটে গোলমাল হোক? বড়মা ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞেস করলো , না তো।কেন? তাহলে বড়চাচাকে লুচির ভাগ দাও। যেরকম করুণ দৃষ্টিতে তাকাচ্ছে। হো হো করে হেসে উঠলো সবাই।দাদী বললো, আশরাফের তো বরাবরই ভাল খাবারের দিকে নজর। এইজন্যই ওরে ডায়বেটিসে ধরছে আর আমি বুড়ি একদম ফিট। সবাই আরেকদফা হাসির ফোয়ারা ছুটালো। এরই মধ্যে টেলিফোন বাজতেই ছোটমা ধরলো।তারপর টুপাইয়ের দিকে তাকিয়ে বললো, আজকাল কি তুই ভি.আই.পি হইছস নাকি? তোর ফোন। টুপাই অবাক হয়ে ফোন তুললো।চুপচাপ কয়েক মিনিট কথা শুনে বললো,আমি বিশ মিনিটের মধ্যে পৌঁছাচ্ছি। ফোন রেখে শুধু বললো, আমি শিপলুকা আর ছোটভাইকে নিয়ে যাচ্ছি। টুপাই যে উল্টো সম্বোধন করেছে সবাই খেয়াল করেছে। কিন্তু গম্ভীর মুখ দেখে আর কেউ কিছু বললো না। টুপাই, শিপলু আর ছোটকাকে সোজা বউমার বাসায় নিয়ে আসলো।ছোটকার শ্বশুর নিজেই দাঁড়িয়ে ছিলেন গেটে।

ছোটকাকে দেখে হাউমাউ করে কেঁদে উঠে জড়িয়ে ধরলো। ছোটকা হতচকিয়ে গেল।তাকে স্থির করে যা শোনা গেল তা শুনে ডিসেম্বরের ঠান্ডাতেও কুলকুল করে ঘামতে লাগলো ছোটকা। রেহানার ছোটবোন রিয়া পালিয়েছে। যাওয়ার আগে লম্বা চিঠি রেখে গেছে। যার সারমর্ম ‘শান্ত একটা লেবেনডিশ মার্কা ছেলে।ওর বয় ফ্রেন্ডের সাথে সাময়িক ছাড়াছাড়ি হওয়ায় শান্তর সাথে রিলেশনে জড়ায়। এখন আগের জন ভুল বুঝে ফিরে এসেছে। বাবা মা রিয়ার পছন্দ মেনে নেবে না তাই সে বাড়ি ছেড়ে যাচ্ছে ‘। কয়েকদিন বাড়ির আবহাওয়া খুবই গুমোট। বউমার ইচ্ছে ছিল বোনটাকে নিজেরকাছে রাখবে।কিন্তু শান্তর মত স্মার্ট,কিউট ছেলেকে যে লেবেনডিশ বলতে পারে তার বোন ধারনাই করেনি। কাজেই বউমা খুব মন খারাপ করে থাকে। শান্তর চেহারার দিকে তাকানোই যায় না।ঠিক দেবদাস হয়নাই।আবার হতে বাকীও নাই।ভাইবোনগুলার অত্যাচারে খাওয়াদাওয়া হয় ঠিকমতই কিন্তু মাথার চুল উস্কখুস্ক।খোঁচা খোঁচা দাড়ি, চোখের নীচে কালি।

অবস্থা দেখে টুপাই জরুরি মিটিং ডাকলো যদিও বড়দের ছাড়া। ছোটকাকে ওরা নিজেদের ইয়ার দোস্ত ভাবে, তাই মিটিং এ সে থাকলো।অনুপস্থিত শান্ত। টুনি বললো, টুপাইপু বল আমার মাথায় একটা দারুণ আইডিয়া আছে। তো কথা বাড়াচ্ছিস ক্যান?বলে ফ্যাল। বলছিলাম কি। শিপলু ভাইয়ার এক গুন্ডা বান্ধবী আছে না?পায়েল। হু ওনাকে তো আমরা সবাই পছন্দ করি।শান্ত ভাইয়াকে মেয়েটা পছন্দও করে। বেরসিক ট্রাফিক পুলিশের মতই হাত তুলে থামিয়ে দিল শিপলু। পায়েল যে শান্তকে পছন্দ করে তা আমি ছাড়া তো অন্য কেউ জানেই না।তুই কেমনে জানলি? মৌ অপরাধীর মত মুখ করে বললো, আপু যেদিন তোকে কনফেস দিচ্ছিল সেদিন তোর কাছে যেতে আমি শুনেছিলাম।পরে টুনিপুকে বলি। মাথা নাড়লো শিপলু। সব গুলা বিচ্ছু তোরা।ডাবলক্রস বাইম মাছ। টুপাই বললো, ভাইয়া থামবি।বল টুনি।

কাজেই বড়দের মধ্যে পায়েল আপুর কথা তুলে দে।আর শান্ত ভাইয়ার মনে পায়েল আপুর জন্য ফিলিংস জাগায়ে তুলতে হিবে। অপু বললো, কিন্তু বড়দের মধ্যে কথাটা তুলবে কে? পাঁচ ভাইবোন একসাথে ছোটকার দিকে তাকালো। ছোটকা আঁ আঁ করে বললো, আমাকে তো কেউ বড়ই ভাবে না। ভাবার দরকার নাই তো।প্ল্যান মতো তুমি শুধু কথা বলবা। গাঁইগুঁই করে রাজি হলো ছোটকা। শান্তকে সিঁড়ি দিয়ে নামতে দেখে বউমা বললো, ভার্সিটি যাচ্ছিস? হু খেয়ে যা বাবা হু শান্ত এগিয়ে আসতেই ছোটকা বললো, তোর পায়ে দুইরকমের স্যান্ডেল কেন রে? (প্ল্যান অনুযায়ী মৌ জুতা বদলে রেখেছে) শান্ত পায়ের দিকে তাকায়ে বিরস মুখে বললো, খেয়াল করি নাই।পাল্টায়ে আসি। শান্ত আবার চলে যেতেই ছোটকা বললো, আহা!ছেলেটা কি হয়ে গেছে। বলে বড় করে একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়লো।

সবাই আচমকা গম্ভীর হয়ে গেল।ছোটকা আবার বললো, ভাইয়া বড় তিনভাই একসাথেই উত্তর নিল, হু বলছিলাম কি পায়েলকে তো দেখেছো। মেয়েটা প্রায়ই আসে। শান্তর জন্য মেয়েটা কেমন হয়? বড়চাচা চোখ গোল্লা গোল্লা করে তাকালো প্রথমে। তারপর লাফিয়ে উঠে এসে ছোটকাকে জড়িয়ে ধরে বললো,তুই তো দারুণ আইডিয়া দিয়েছিস। যা, এই মাস থেকে তোর পকেটমানি দ্বিগুণ করে দিব। টুপাইয়ের বাবা দাঁত বের করে বললো, ভাইয়া আমারটাও সেজচাচা বললো, ভাইয়া আমারটাও বড়চাচা বললো, তথাস্তু বড়চাচী মাথায় করাঘাত করে বললো, বুড়োর ভীমরতি আর কাকে বলে!বলি সব ভুলে যাও ভাল।ছোটু তো প্রায় মাস ছয়েক হলো বিয়ে করেছে।একটা প্রাইভেট ফার্মে ঢুকেছে। বড়চাচা বিব্রত কন্ঠে বললো, ভুলে যাই।বয়স হয়েছে। ভাগ্যিস বলো নাই আমাকে ‘তুমি কার বউ? বহুদিন পর খাবার টেবিলে সেই খুশিফিরে আসলো।

শান্ত বের হওয়ার আগে টুপাই বললো, ভাইয়া হু পায়েল আপুকে একটু সাথে করে বাসায় নিয়ে আসবি? শিপলুকে বল শিপলু বললো, আমি আজ ভার্সিটি যাচ্ছি না। ফোন দে ফোনে পেলে তো আর তোকে বলতো না। শান্ত চলে যেতেই দুইবোন হাই ফাইভ দিল। শান্ত যখন পায়েলকে বললো ওর সাথে বাসায় যেতে তখন পায়েল ভয়ানক বিষম খেল।স্থির হয়ে বললো, তোমার সাথে যাব কেন? টুপাই যেতে বলছে। টুপাই আমাকে ফোন দিলেই পারতো। তোমার ফোন তো অফ। পায়েল আকাশ থেকে পড়ল।ফোন অফ হয় কিভাবে?সকাল থেকে শিপলু অন্তত বার ত্রিশেক ফোন দিয়ে আজাইরা প্যাঁচাল পারছে।শান্ত তাড়া দিল। কই চলো? তুমি কি হেঁটে যাও বাসায়? হ্যা আমি এতদূর হাঁটতে পারবো না। শান্ত বিরক্ত হলো, তাহলে কি করবো? রিকশা ডাকো। শান্ত বিরস মুখে রিকশায় উঠলো পায়েলের সাথে। যতটুকু পারা যায় চেপে চুপে বসেছে।

তুমি কি আগে কখনো রিকশায় ওঠো নাই? উঠেছি তাহলে দূরে যেভাবে যাচ্ছ জোর একটা ঝাঁকুনিতেই পড়ে যাবা। পায়েলের কথা শেষ হতেই শান্ত রিকশা থেকে পড়ে গেল।পায়েল শান্তকে দেখে হো হো করে হেসে উঠলো।কোনভাবে হাসি থামিয়ে শান্তর দিকে হাত বাড়িয়ে দিল।হাত ধরে উঠতেই বললো, শান্ত, তোমার এই ভালমানুষির জন্যই তোমাকে এত ভালবাসি। মুখ ফসকে সত্য কথা বলে ফেলেই গম্ভীর হয়ে গেছে পায়েল।শান্ত চমকে ওর মুখের দিকে তাকালো।পায়েল মুখ ঘুরিয়ে রেখেছে। শান্তর বুকের মধ্যে কেমন জানি করে উঠলো। ইদানীং শান্তর মুখে হাসি খুশি ভাবটি ফিরে এসেছে। শুধু তাই না । পায়েলের সাথেও ইদানীং বেশ ভালই ঘুরতে দেখা যায়।শিপলু আর টুপাই পালা করে স্পাইয়িং এর কাজ করছে। আর বড়দের উপর নজর রাখছে টুনি, অপু,মৌ।

শান্ত শিপলু দুজনই মাস্টার্সে ফার্স্টক্লাস পেয়েছে। শিপলু ফার্স্ট, শান্ত সেকেন্ড, পায়েল থার্ড। বাড়িতে বেশ উৎসব উৎসব ভাব।শিপলু ঘোষণা দিয়েছে ও বাইরে চলে যাব। শান্ত বলেছে মেজকা অর্থাৎ টুপাইয়ের বাবার সাথে বিজনেসে বসবে। আর সাথে পায়েলের সাথে চুটিয়ে প্রেম করছে। রোজকার মত বিকেলের ফ্যামিলি আড্ডায় বড়চাচা মিটিং ডাকলো।সবাই উপস্থিত হওয়ার পর চাচা দাদীকে মূল কথা বলতে বললো। দাদী শান্তর দিকে তাকিয়ে বললো, শান্ত হ্যা দাদী তর তো পড়ালেখা শ্যাষ। হ্যা তুই হইলি বংশের বড় ছেলে। শান্ত সতর্ক হয়ে গেল।এরা কি মতলব  করেছে কে জানে। হ্যা তর তো এক্ষন বিয়া করন লাগে। শান্ত হেসে ফেললো।পায়েল তো আছেই।

হ্যা দাদী।মেয়ে আমরা মেয়ে দেইখা রাখছি।বিয়ের দিন তারিখও ঠিক কইরা রাখছি। শান্তর একশো ওয়াটের মুখটা পঁচিশ ওয়াটের বালবের মত টিমটিম করে অন্ধকার হয়ে গেল। কিন্তু কোনো কিন্তু নাই।বছর শেষের দিন তোর বিয়ে। নতুন বছর নতুন জীবন শুরু করবি। ব্যস! শান্তর মুখ দেখে শিপলু, টুপাই,টুনি, অপু, মৌ একেবারে হেসে গড়াগড়ি দিচ্ছে। শান্ত শিপলুর ঘরে ঢুকলো ক্রুদ্ধ ভঙ্গীতে। শিপলুরে বলে ফ্যাল পায়েলের সাথে আমার তো ইয়ে চলছে। শিপলু যেন আকাশ থেকে পড়লো। বলিস কি? হ্যা কবে থেকে? এই তো। মাস তিনেক শান্তর মুখ দেখে শিপলুর পেট ফাটিয়ে হাসতে ইচ্ছে করছে।শক্ত হয়ে বললো, তুই আমাকে জানাইলি না? আরে সময়ই তো পাইনাই।হুট করে সব হয়ে গেল। এমন সময় টুপাই এসে ঢুকলো। কি হইছে রে ভাইয়া? পায়েল পায়েল আপুর কি হয়েছে? শান্তর সাথে রিলেশন।

হলি কাউ!বলিস কি! হুম টুপাই হাসি লুকিয়ে শান্তকে বললো, ভাইয়া দেখি কি করা যায় বিয়ের উৎসব।যেখানে যত আত্মীয় ছিল এসে জড় হয়েছে। বাড়িতে মাছের বাজার। বিয়ের দিন সকাল থেকে শান্তকে ঘরে আটকে রাখা হয়েছে। কারন এর মধ্যে দুইবার পালানোর চেষ্টা করেছে। পায়েলের সাথে যেন কন্টাক্ট করতে না পারে তাই ফোনও কেড়ে নিয়েছে শিপলু। বিয়ের যাত্রীরা যখন রওনা দেবে টুপাই যেয়ে দ্যাখে শান্ত আলুথালু হয়ে বসে আছে। টুপাই রেগে বললো, তুই রেডি হোসনাই ভাইয়া? আমি বিয়ে করবো না তুই করবি তোর দাদায় করবে। দ্যাখ দাদী সতীনের ঘর করবে কি না।আর দাদা নাই। ফালতু কথা বাদ।রেডি হ। আমি এখানেই বইসা থাকুম।পারলে উঠা আমারে । টুপাই শিপলু আর ছোটকাকে ডেকে দড়ি আনতে বললো। লোকজন অদ্ভুত এক দৃশ্য দেখলো খানিকপর। একটা ছেলেকে দড়িতে বেঁধে ঝুলিয়ে নামাচ্ছে দুজন।ছেলেটা তারস্বরে চিৎকার করছে ‘আমি পায়েলকে ছাড়া বিয়ে করবো না’।

বিয়ে বাড়িতে চিৎকার করতে করতে নামলো শান্ত।বলা ভাল নামানো হলো বাঁধা অবস্থায় দড়িতে ঝুলিয়ে। আচমকা গালে প্রায় বিশাল ওজনের থাপ্পড় খেয়ে চেঁচানি বন্ধ হলো।বধূবেশে রনাংগিনী মূর্তিতে পায়েল দাঁড়িয়ে সামনে। ত.ত.তু.তুমি? অন্য কেউ থাকবে ভাবছিলা নাকি? ভেবেছিলাম সারপ্রাইজ দিব সবাই মিলে।ষাঁড়ের মত চেঁচাচ্ছ। শান্ত দু সেকেন্ড হা করে তাকিয়ে থেকে চিৎকার করে বলে উঠলো, ওরে শিপলু টুপাই।খুলে দে। আমার শেরওয়ানী দে। কবুল কবুল।কাজী ব্যাটা কই? উপস্থিত সবাই হো হো করে হেসে উঠলো। শান্তর বিয়ে তো হলো, শিপলুর গল্প কি বলবো??

গল্পের বিষয়:
ভালবাসা
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত