ত্রিভুজ প্রেমের অসমাপ্ত প্রেম কাহিনি

ত্রিভুজ প্রেমের অসমাপ্ত প্রেম কাহিনি

তুমি কি মনে করেছ আমি তোমাকে একটুও ভালোবাসি নি?
তুমি কি মনে করেছ তোমার সাথে কাটানো প্রতিটা সময় আমি অভিনয় করেছি?
না আমি তোমাকে এতোটাই ভালোবাসি যার ওজন করার জন্য কোন পাল্লা এই দুনিয়ায় তৈরী হয় নি।
.
কথাগুলো শাওন বৃষ্টিকে বলছে . . . .
.
শাওন এর সাথে বৃষ্টির গভীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল ফেসবুকের মাধ্যমে।
ফেসবুকের মাধ্যমে সম্পর্ক হলেও শাওন বৃষ্টিকে ভালোবেসে ছিল অতুলনীয় ,
প্রথম দেখা হয়েছিল শাওনের সাথে বৃষ্টির জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নং ক্যাম্পাসে
শাওন বৃষ্টিকে দেখে বিশ্বাসই করতে পারছিল না যে এটা বৃষ্টি,

রুপে গুনে কোন অংশে কমতি নাই বৃষ্টির মধ্যে ঠিক শাওন যেমনটা চেয়েছিল তার থেকেও বেশি কিছু।
.
এদিকে বৃষ্টি শাওনের মধ্যে যেন স্বর্গ খুজে পেল এমন সুদর্শন একজন যুবক বৃষ্টির জীবন সাথী হবে কখনো কল্পনায় করে নি।
শুধু দুজন দুজনকে একপলকে দেখছে আর দেখছে এভাবে কেটে গেল বেশ কিছুক্ষণ।
.
শাওন –বৃষ্টি তোমার চোখের চাহনি এতোটাই মায়াবী,

ওই মায়াবী চোখ দুটি আমার হৃদয়ে তীর হয়ে প্রবেশ করছে এভাবে তাকালে আমি তোমার মধ্যে মরেই যাব।
এতোদিন তুমি কোথায় ছিলে?
তোমাকে কেন আমি আরো আগে পায় নি?
আমি যে তোমার মধ্যে আমার নতুন জীবন খুজে পেলাম।
.
বৃষ্টি –আমি তো এমনটাই চাই শাওন তোমার বুকের মধ্যে আমি তীর হয়ে বর্ষন করে সারাজীবনের জন্য থাকতে চায়।
তোমার মধ্যে আমার ভালোবাসার একটা চিরস্থায়ী রুপ চায়।
.
এর পর শাওন বৃষ্টির প্রায় দের বছর কেটে গেল বেশ কয়েকবার দেখাও হয়েছে।
ঈদের ছুটিতে শাওন বাড়ি গেল,

বাড়িতে যাওয়ার পর ৪/৫ দিন বৃষ্টির সাথে কথা বলেছে শাওন ফোনে এর পর থেকে শাওনকে ফোন দিলে ফোন বন্ধ পায়।
ফেসবুক ফোন সব কিছু বন্ধ পেয়ে বৃষ্টির প্রতিটা সময় অস্থিরতায় কাটতে থাকে সারাক্ষণ কান্না যেন বৃষ্টির সঙ্গী হয়ে গেল।
.
মেয়েরা দাবি একটা সত্যিকারের ভালোবাসা নষ্ট হয়ে গেলে একটা ছেলের চেয়ে মেয়েরই বেশি কষ্ট হয়।
.
৭/৮ মাস পর শাওনের সাথে বৃষ্টির মুখোমুখি দেখা হয় একটা ক্লিনিকের ভিতরে শাওনকে দেখে বৃষ্টি হু হু করে কেঁদে ওঠে,

এমন পরিস্থিতি দেখার জন্য শাওন কখনো প্রস্তুত ছিল না।
.
বৃষ্টি– তুমি এমনটা কেন করলে আমার সাথে?
এক মিনিটের জন্য তোমাকে চোখের আড়াল হতে দাও নি আমাকে,

এক মিনিট কথা না বলে থাকতে পারো নি আমাকে সেই তুমি আমাকে একেবারেই ভুলে গেলে কেমন করে?
তুমি আমার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা কেমনে করলা?
শাওন –বৃষ্টি কেঁদনা তোমাকে হয়তো সৃষ্টিকর্তা আমার জন্য লিখে নি এই জন্য তোমাকে আমার পাওয়া হয় নি?
–কি বললা তুমি?তাহলে তোমার জন্য কাকে লিখেছে সৃষ্টি কর্তা?তোমার জীবনে কি তাহলে অন্য কোন মেয়ে ছিল?
–না ছিল না।
–তাহলে আমার সাথে মিথ্যা অভিনয় করলা কেন?বল শাওন বল চুপ থেকনা?
–তুমি কি মনে করেছ আমি তোমাকে একটুও ভালোবাসি নি?
তুমি কি মনে করেছ তোমার সাথে কাটানো প্রতিটা সময় আমি অভিনয় করেছি?
না আমি তোমাকে এতোটাই ভালোবাসি যার ওজন করার জন্য কোন পাল্লা এই দুনিয়ায় তৈরী হয় নি।

তোমাকে আমি এতোবেশি ভালোবাসি যার কোন সীমা নাই অসীম।
.
____________আমি ঈদের ছুটিতে যখন বাড়িতে গেলাম…,

আমার মনটা বার বার ছুটে যাচ্ছিল তোমার কাছে আমার মনে হচ্ছিল এই প্রথম আমি কাউকে এতোটা মিস করছি।
ঈদের ৬ষ্ঠ দিন আমার চাচাতো বোনের বিয়ের দিন ছিল ঐদিন আমার চাচা হার্ড স্টক করে মারা গেলেন।

বরের বাবা আর আমার চাচার মেয়ের সাথে বিয়ে দেবে না। বিয়ের আসরে যার বাবা মারা যায় সে নাকি অপয়া হয়।
.
আমার চাচাকে কবর দিয়ে বাড়ি ফেরার পর আমার চাচার মেয়েটা আমার মায়ের গলা ধরে কান্না করছিল ,
খুব করে সবার সামনে বলছিল চাচি আমি আর আমার এই অপয়া জীবন রাখব না আমি আত্নহত্যা করবো।
গ্রামের মানুষ সহ আমার আত্নীয় স্বজন সবাই তখন বলাবলি করতে লাগলো….

আমার মাকে বিয়েটা আপনার ছেলের সাথে দিলেই তো আর মিষ্টির মুখে এমন কথা শোনা লাগেনা।
.
আমার মা সিদ্ধান্ত নিল মিষ্টির সাথেই আমার বিয়ে দেবে। আমার ফ্যামিলিতে আমার মায়ের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।
আমি আমার মা বাবা গ্রামের লোকজন আত্নীয় স্বজন সবার মুখে হাসি ফোটাতে আমাকে রাজি হয়ে মিষ্টিকে বিয়ে করতে হয়েছে।
.
আমি তোমাকে কিভাবে এই কথা গুলো বলবো বুঝতে পারছিলাম না……

প্রতিটা সময় প্রতিটা খন তোমার কথা ভেবে কেঁদেছি বারবার তোমার নাম্বারে কল দিতে গেছি কিন্তুু অজানা কোন আবেগে দিতে পারি নি।
.
বৃষ্টি – তোমরা ছেলেরা সব কিছু করতে পারো শাওন কিন্তুু আমরা মেয়েরা পারি না আমরা সৃষ্টির শুরু থেকেই ছেলেদের কাছে অপমানিত লাঞ্চিত।
এই বলতে বলতে বৃষ্টি উঠে চলে গেল।

গল্পের বিষয়:
ভালবাসা
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত