সিনিয়র মিষ্টি আপু

সিনিয়র মিষ্টি আপু

নতুন কলেজে যাচ্ছি, তাও আবার পনের মিনিট লেট।  ফাহাদ এই দিকে আয়। আব্বু আসতেছি, হুমমমম যা বললা তারাতারি কও এমনিতেই পনের মিনিট লেট । এই দিকে এক বছরে তিনটা কলেজ  তোরে ডিভোর্স দিছে, এইবার যদি কোন শয়তানি করিস তাহলে এবার চিরতরে এ বাড়ির জানালা দড়জা সব থাকবে কিন্তুু তোরে ডিভোর্স দিয়ে দিমু। হুমমম হুমমম ঠিক আছে, এখন গেলাম না হলে ঐ টাতে ও আর যাওয়া লাগবে না। ঠিকআছে তবে মনে রাখবি এটাই কিন্তুু শেষ এবার যা। তোমার মুখ দর্শন করছি না জানি আমার কপালে কী আছে এক মাত্র ঐ উপর আল্লাই জানে। কী বললি বেয়াদব খাঁড়া। এহহহহহহ এত্ত সোজা না আমারে ধরা হি হি হি , এর পরে এক দৌড়ে কলেজের গেটে। এক পা দু পা করে ভিতরে গেলাম, হায় হায় আমি তো ক্লাস চিনি না। করে যে জিজ্ঞেস করি আশে পাশে কেউ নাই ও। গেটের দিকে নজর যাইতেই দেখি কী সু্ন্দর, সুইট, কিউট একটা মেয়ে। জীবনের প্রথম মনে হয় এমন কোন সু্ন্দরী দেখলাম আহা কেমন পরাণডা মনে হয় বাহির করে নিয়ে গেল। হেতি সুন্দর হইছে তো কী হইছে আমি কোন দিক দিয়া কম নাকি। আপাতত ক্লাস রুমটা দেখে নিই ।

এই যে আন্টি, না মানে আপি একটা  হেল্প করবেন প্লিজ। হুমমমম বলেন। (কেমন গুন্ডি মার্কা স্টাইল)  না মানে এগারো এর ব্যবসা শিক্ষা এর ক্লাস রুম কোনটা। উপরে গিয়ে ডান দিকের টা। থাংকু তুমি ও আমার সাথে পড়ো তাই না, আমি ফাহাদ এই কলেজে নতুন এর আগের তিনটা কলেজ আমারে ডিভোর্স দিয়ে এখানে পাঠাইছে হি হি হি। ঐ পোলা চুপ এত্ত হাঁসো কেন, আর আমি তোমার সিনিয়র, আমাকে আপনি বলে ডাকবা আর আপু বলবা। হুমমমম ওকে। এবার যাও ক্লাসে। আর একটা কথা বলি। হুমমমম তারাতারি বলো ক্লাসের দেরি হয়ে যাচ্ছে। না মানে আপনার নামটা বলেন। আমি মিষ্টি । কই দেখি… আমি মিষ্টি অনেক ভালবাসি, একটা দেন না প্লিজ । চুপপ বেয়াদব পোলা, আমার নাম মিষ্টি। ওহহহহহহহহহ, আপনাকে না একদম মিষ্টির মতোই দেখতে হুমমমম, বলেই দৌড় । মে আই কামিং স্যার। হুমমমম এসো, তোমার কথাই বলতে যাচ্ছিলাম। তো স্টুডেন্ট পরিচয় করিয়ে দিই। এটা হচ্ছে ফাহাদ, তোমরা ফাহাদ হয়তো চেননা, তার প্রতিভা এর কথা শুনলেই অবাক হয়ে পড়বে, তাই না ফাহাদ। জ্বী স্যার। বাহ্ স্যারটা তো অনেক ভাল, অনেক গর্ব হচ্ছে নিজের প্রতি। তো তাহলে শোন সবাই।

এর আগে ও তাকে তিন তিনটা কলেজ সম্মানের সাথে ডিভোর্স দিয়েছে, ভাবা যায় নয় মাসে তিনটা কলেজ ত্যাগ। এবার মনে হচ্ছে টাকলুটার মাথাই ইট ছুঁড়ে মারি।আর সব পোলাপান গুলা তো শিয়ালের মতো হাঁসতেছে। আরো ভাল ভাল গুনগানএর মাধ্যমে ক্লাস শেষ হল। আমি এই সব পাত্তা দেই না, ক্লাস শেষ এ বসে আছি। হাই আমি সজিব। ফাহাদ, আর স্যার তো সব বলেই দিছে। আরে ফাহাদ মাম্মা তুমি এখানে, তুমি তো ভাই আমাদের গুরু। হুমমমম, তো এখন তোর নাম শুনি। আমি রাজু। বাহ্ ভাল। তো মাম্মা কোন প্রেমিকা আছে নাকি। না এখন ও হয় নাই কিন্তুু এক জনের উপরে ক্রাস খাইছি কলেজে ঢুকেই। বাহ্ তো কথা বলছিস। ঐ সালা স্যারের মুখে আমার ব্যাকগ্রাউন্ড শুনে ও তোর মনে হইল কথা কই নাই । হুমমমম তো দেখাবি চল। চল তোরে দেখাই আনি। ঐ যে দূরে যেই মিষ্টি আপু আছে তার উপরে। ঐ ওটাতো মিষ্টি আপু। হুমমমম তো আমি কী ঝাল আপু বলছি। ভাই তুই গেলি। কেন। ওটা শফিক ভাইয়ের প্রেমিকা। যাক ভাবা এর মধ্যে শফিক্কা আবার আসল কই থেকে। তো মিষ্টি আপু ওরে ভাল করে।

মনে হয় না। ভাল করে বল না আথবা হ্যা। আরে না মিষ্টি আপুকে ভয়ে বলতে পারে না। চুপ সালা আর তোরা ওই শফিক্কারে ভয় করিস,  আমার সামনে আর আসবি না তিনদিন।  আমি ফাহাদ বুঝলি, ওমন শফিক্কারে ভয় পাই না । ব্যাগটা নিয়ে বাসার দিকে রওনা দিলাম, সামনে দেখি মিষ্টি আপি । মিষ্টি সোনা আই আম কামিং সুইটি । হ্যালো, হ্যালো, হ্যালো  বাসাই যাচ্ছ আপু । ঐ তোরা বলা লাগবে কেন। যাক বাবা ভাল কথা বললে ও দোষ। ঐ তোর সাহস তো কম না। কেন কীইইইই করলাম শুনি। এই যে রাস্তার মধ্যে একটা মেয়ের সাথে কথা বলছিস ,জানিস আমার সাথে কথা বলতে এই কলেজের ভিপি শফিক ও ভয় পায়। ওহহহহ হ্যালো আমি শফিক্কা না বুঝলা, আমি অল ইন ওয়ান ফাহাদ হু হা হা হা । আচ্ছা বেয়াদব তো, ঐ তোর প্রবলেম কই শুনি। এই যে তোমার নামে। কী আমার নামে কী প্রবলেম শুনি। সব সময় ঝালের মতো থাকো।নাম রাখছে মিষ্টি, কই একটু মিষ্টি মিষ্টি ভাবে কথা বলবা  তা না খালি বোমের মতো থাকো এই ফাটল বলে। চুপ বেয়াদব পোলা যা ভাগ । আচ্ছা এখন গেলাম কালকে আবার আসব কেমন হি হি।।।

বাসাই চলে আসলাম। কী এই কলেজ তোরে রাখবে তো। কী যে বলো না বাবা, এই কলেজ থেকে বাহির করে দিলে ও আসমু না। কীই কেন । ওখানে থাকার লাইসেন্স পাইয়া গেছি হা হা হা। তুই যে আর আমারে কত্ত জ্বালাবি এক মাত্র আল্লাই জানে। হুমমমম দোয়া কইরো আরো যেন ভাল করে জ্বালাইতে পারি। কী কইলি শয়তান । কিছু না হি হি।। থাকো গেলাম,  গোসল করে খেয়ে দেয়ে একটা ঘুম দিলাম, ঘুম থেকে উঠে, বিকেলে পিচ্চি গুলার সাথে খেলতেছি। ফাহাদ ভাইয়া ঐ আপু তোমারে ডাকে। দূর যা তো এখন সময় নাই । হঠাৎ একটু পরে কান ধরে টেনে নিয়ে গেলে। আরে মিষ্টি আপু তুমি কান ধরলা ক্যান। ঐ তোর সময় নাই তাই না। হি হি মেলা সময় আছে তো, কিন্তুু এখন আমার ব্যাটিং অনেকক্ষণ থেকে ফিল্ডিং করতেছি। একটু ব্যাটিং করে আসি।

ঐ তোর লজ্জা সরম নাই এমন পিচ্চিদের সাথে খেলতেছিস। হি হি হি লজ্জা সরম নাই সেই জন্যই তো খেলতেছি। ফাহাদ ভাইয়া আসবা নাকি আমি ব্যাটিং করব। ঐ চুপ আমি আসতেছি খাঁড়া। আপু এক মিনিট হুমমমম আমি এই যাব খালি কয়টা চার আর ছয় মেরে চলে আসব। হুমমমম যা শয়তান। দূর তোমার কথা ভাবতে ভাবতে ফুস করে আউট হয়ে গেলাম। কী বললি। কিছু না, আচ্ছা তুমি এখানে কেন। ঐ যে সামনের বাসাটা দেখতেছিস ওটাই আমাদের। ওয়াও মানে যে তোমাকে বিয়ে করবে তার ঐ বাসাটা হবে। কী রাজকীয় কপাল আমার। কী বললি বেয়াদব। না মানে আমরা এখানে নতুন তো তাই তোমাকে আগে থেকে দেখিনাই। হুম উল্টা পাল্টা কথা বলবি তো একটা চর খাবি। হি হি আমি এটা খেয়েই বড় হয়েছি, আচ্ছা আপু শফিক এর কেসটা কীই।

ওরে নাম ধরে ডাকছিস ও তোর কত বছরের বড় জানিস। আচ্ছা কত। এই সাত বছর তো হবেই। বাহ্ আমার বাপের কোন আংশে কম নয়। মানে কী । আরে আমার বাপের বয়সের, আচ্ছা ওই বুইড়া তোমার পিছে ক্যান লাগছে। আরে জানি না। আমি কিন্তুু জানি। কী জানিস বল। তুমি মিষ্টি তাই হি হি। আচ্ছা চল বাসাই যাই। হুম চলো। এর পরে আরো অনেক দিন হয়ে গেল, আমি সিওর আপু ও আমার প্রতি দূর্বল। কারণ আমি যতই দু্ষ্টুমি করি না কেন কিচ্ছু বলে না। না মনে কথা মুখে এনে বলে দেওয়াই ভাল । পরের দিন সকালে কলেজে একটা বড় টেডিবিয়ার নিয়ে দাঁড়াই আছি। না না এটা প্রপোজ করার জন্য না এটা প্রটেকশন যেমন মেয়ে যাতে চর মেরে বসে। ঐ এখানে ডাকলি কেন। তোমারে একটা কথা বলতে আসছি হুমমমম। বাহ্ হাতে আবার টেডিবিয়ার। হুম। তো কী বলবি শুনি। টেডিবিয়ার টা সামনে ধরে,  আপু আমি তোমাকে না না থুক্কু।

মিষ্টি আমি তোমাকে খেতে চাই। কী বললি শয়তান। আরে না না দাঁড়াও ভুলে গেছি। কী বলবি তাঁরাতারি বল না হলে গেলাম। না না মনে পড়ছে দাঁড়াও। মিষ্টি আপু আমি তোমাকে ভালবাসি হুম একদম এই বুকের ভিতর থেকে। এই যা বুকে হাত দিতে গিয়ে টেডিবিয়ার টা ফেলে দিছি। আর আপু রেগে সামনে এসে ঠাস করে একটা দিয়ে চলে গেল। গালে হাত টা দিতে যাইতেছি । সামনে দেখি শফিক্কার পোলাপান। ভাই ঐ সেই পোলা যে মিষ্টি ভাবির পিছে ঘুরে। আপনারাই বলেন মেজাজটা কেমন লাগে, পিছে কবে ঘুরছি এক সাথেই তো থাকি। হায় হায় সব গুলা তো আমার দিকে সিংহের মত আসতেছে, নিরাপদ স্থান একটাই মিষ্টি আপু।

এক দৌড়ে মিষ্টি আপুর কাছে গিয়ে তাঁকে জরাই ধরছি। বাহ্ কিছুই বলছে না, জানতাম আমাকে সে ও ভালবাসে। হাঠাৎ কেমন যেন করছে। ঐ শয়তান কী হচ্ছে হুম সবাই দেখছে তো। আমি মরি আমার জ্বালাই, ছেড় না প্লিজ ঐ শফিক্কা আমারে মারতে আসতেছে। আসলে বইল তুমি ও আমাকে ভালবাসো কেমন। হায় হায় চলে আসছে। মিষ্টি আপুকে ছেরে দিয়ে তার পিছনে গিয়ে তার ঘার ধরে দাঁড়াই আছি। মিষ্টি তুমি ঐ পোলারে ভালবাসো (শফিক)। হুমমমম ।। মিষ্টি জন্য বেঁচে গেছি। যাক বাবা বেঁচে গেছি, এই জন্য আমার মিষ্টি এত্ত ভাল লাগে হি হি হি।।

ঐ শয়তান কই গেলা। এই তো আছি, তুমি ও আমাকে ভালবাসো তাই নাই। যা ভাগ বেয়াদব পোলা। তোমারে না খালি খেয়ে ফেলতে মন চায় হি হি হি হি। দাঁড়া তোরে খাওয়াইতেছি বেয়াদব।। বলেই মারতে আসল, আর আমি ও দৌড় দিছি। এখন কে পায় আমাকে হি হি হি।।

>>সমাপ্ত<<

গল্পের বিষয়:
ভালবাসা
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত