ভাই বোনের একটি ছোট গল্প

ভাই বোনের একটি ছোট গল্প

আমি আমার রুমে ঘুমাছি আর আমার বোন এসে মাতায় হাত দিয়ে আমায় ডাকতে শুরো করে। ভাইয়া… ভাইয়া…ভাইয়া।…(বোন) কিরে এই ভাবে ডাকছিস কেন। একটু ঘুমাতে দিবি।…(আমি) ঘুমাতে দিবি বলে আবার শুয়ে পড়লাম। ভাইয়া ও ভাইয়া। কিরে আবার ডাকছিস কেন। তোমার মনে নেয়। কি আবার আমার মনে নেয়। কি আবার। আজকে আমাকে ম্যার্কেটে নিয়ে যাবে বলেছিলে না কালকে। আমি আবার তুকে কবে ম্যার্কেটে নিয়ে যাবো বলেছিলাম। কবে মানে কালকে বললে আজকে আমায় ম্যার্কেটে নিয়ে যাবে। আচ্চা ঠিক আছে বললে বলাম।আমি এখন যেতে পারবো না আব্বুকে নিয়ে যাতো।আমি একটু ঘুমাব। আব্বুকে নিয়ে গেলে কিছু কিনে দেই না। আমি তুমার সাথে যাব। আরে যাতো আমাকে একটু ঘুমাতে দে। আচ্চা ঠিক আছে তুমি ঘুমাও তাহলে যাছি।

আমি আরকি আমি শুয়ে আছি। আর হঠাত মনে পড়েগেল আজকে আমার লক্কি বোনকে ম্যার্কেট করতে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিলনা।তই ডাড়াতাড়ি ঘুম তেকে ওঠে চোখ ঘড়ির দিকে নিয়ে গেলাম।ঘড়ির দিকে চোখ গিয়ে চোখতো কপালে ওঠে গেল।এইরে এখনতো ১১টা বাজে।নিশ্চয় আমাকে অনেক কখন ডেকেছে। তাই কোনো কথা না বলে ফেরেশ হয়ে নাস্তা করতে গেলাম।কিন্তু গিয়ে তো বোনকে দেখছি না।মনে হয় খোদা বেশি লেগেছিল তাই নাস্তা আগে আগে করেছে।তবুও একবার মাকে জিগেস করে দেখি। মা শারমিন নাস্তা করেছে। না নাস্তা করেনি। কি বল মা, এখনো নাস্তা করেনি।ওকে নাস্তা করতে ডাকনি। তুর বোনেকে তুই ডাক আমি অনেক কখন ডেকেছি নাস্তা করার জন্য।

এইরে তাহলে আমাকে ডেকেছিল।দেত তখন কেনযে ঘুম থেকে ওঠলাম না। নিশ্চায় এতো কখনে অনেক খিদে লেগেছে।আমার জন্য আমার বোনটি এখন খিদায় কষ্ট পাছে।তাই আমি বোনের জন্য খাবার নিয়ে যাছি। আমি আমার বোনের দরজার সামনে। এইরে আমার বোনের চেহেরা কালো কেনো। আমার বোনের চেহেরা কালো মানে পুরো জগত কালো। আমি আস্তে আস্তে হাটি হাটি পা পা করে আমার কলিজার টুকরা বোনের দিখে এগোছি।এইতো বোনের সামনে। আমি যেতে আমারে দেখে বোনটির চেহেরা অন্য দিকে গোরিয়ে নিয়েছে। আমি খাবার বেড়ে বোনের সামনে। হাতে নিয়ে। হা কর। কিছু বলছে না। কিরে হা কর। আমার খিদে নেই। আমিতো দেখছি তুর অনেক খিদে পেয়েছে। না খিদে পায়নি।আমি একটু আগে নাস্তা করেছি।

আমি জানি তুই নাস্তা এখনো করিস নি।মা আমাকে বলেছে।আর এইবার হা কর। আরে ভাইয়া আমার খিদে পায়নি বলছি না। আচ্চা ঠিক আছে। আমি এতোটুকু বলে আমার রুমে চলে আসলাম। কিছু কখন পরে।আমার রুমে আমার বোনের আগমন। ভাইয়া ভাইয়া ও ভাইয়া। আমি কিছু বলছি না। ভাইয়া তুমি আমার সাথে কথা না বললে আমি এখন কেদে দিব কিন্তু। আমি আরকি অর্থ পর। হে কি বলবি বল। আমি কথা বলার সাথে সাথে বোনটি দেখি সেই হাসি। হেসে হেসে।ভাইয়া হা কর। আমি আরকি বোনের মায়ায় পড়ে হা করে আছি।কারণ এখন হা না করলে বোনটা আর খাবার খাবে না তাই আরকি। এইবার তুই হা কর। বোনকে খায়ে দিছি।আর বলছি।আচ্চা তুই এমনটা করিসস কেন। তুৃমি আমাকে সকালে ঝাড়ি কেনো দিলে।

তাই বলে খাবার খাবি না।কতো রোগা হয়ে গেলি। আমি কথাটি বলার সাথে সাথে বোনটি হাসতে শুরো করলো। আর বলে কিনা। আরে ভাইয়া তুমি কিযে বল না। মানুষ একদিনে, একদিনও না এক বেলা নাস্তা না করলে মানুষের কিছু হয় না। বোনটি কি বলে।যদি শরীল খারাপ হতো। আরে ভাইয়া একদিন মানুষ খাবার না খেলেও কিছু হয় না। হয়েছে হয়েছে তুকে আমাকে শিখাতে হবে না।আর রেডি হয়েনে ম্যার্কেটে যাব। আমি যাবো না। তুই না গেলে না যাবি আমি কিছু কিনতে যাবো। অর্থ পর আমি বাহির হলাম।আমি যানি আমার বোন রেডি হয়ে আসবে। একটু পর। কিরে তুই যাবি না বলি মনে হয়। না মানে ভাইয়া। তুমি একা একা যাবে নাকি তাই আরকি। আচ্চা আর কি করার চল তাহলে। গাড়ি নিয়ে ম্যার্রকেট এসে। কিছু কেনাকেটা করে চলে আসলাম বাড়িতে।

১মাস পরে। সকালে ফেরেশ হয়ে।নাস্তা করেতে গেলাম। নাস্তার টেবিলে বোনকে বলছি। ঐ শারমিন আমার রুম থেকে আমার মানি বেগটি নিয়ে আসতো। বোন আমার রুমে চলে গেলো।আর আমি মনে মনে হাসছি। আর ৫ মিনিট পরে।বোনটি এক দুড়ে আসছে আর এসে বলছে। ভাইয়া ভাইয়া এই রিং টি নিশ্চয় আমার জন্য। না এই রিং টি অন্য আরেক জনের জন্য। আর আমি কথাটি বলার সাথে সাথে বোনের চেহেরাটি কালো হয়ে গেল। আর আমার কলিজার টুকরা বোনের চেহেরা কালো হয়ে দেকে বলে দিলাম কার জন্য রিং টি নিলাম। আরে আমার পাগলি বোনের চেহেরা কালো করলি কেনো।আমি এই রিং টি তুর জন্য নিয়েছি শুদু তুর জন্য।আর রিং সুন্দর হয় নি।

ভাইয়া সতি এইটা আমার জন্য। আমি কি আমার বোনকে মিত্যা কথা বলবো। ভাইয়া আমি ম্যার্কেটে সেই দিন দেখেছি। তাহলে সেই দিন বলিস নি কেন। মানে ভাইয়া। দাম বেশি। তাই বলিনি।আর ভাইয়া তুমি কি ভাবে জানলে আমার এই রিংটি প্রচন্দ হয়েছে। আমার বোনের যদি বাঘের চোক প্রছন্দ হয়। যতো টাকা হবে হোক বাঘের চোখ নিয়ে আসবো।বুঝলি। হু ভাইয়া। আর ভাইয়া তুমার মতো ভাইয়া যেনো সবাই পাই। হয়েছে আর পাম দিতে হবে না এইবার তুর রুমে গিয়ে দেখ প্রকেটে আরো অনেক কিছু আছে।  আরকি আমি আমার রুমে চলে আসলাম। আর হাসতেছি আমার বোনের পাগলামী গোলোতে শুদু হাসি। আর বলতে বলতে চলে গেলো তাদের ভাই বোনের ভালবাসা ১বছর। আর আজ তাদের আদরের মেয়ে আর ছেলেটি আদরের বোনলকে। ছেলেদের বাড়ি তেকে দেখতে আসতেছে।

এসেই গেলো। এসে দেখে চলে গেল। আর বোনকে জিগেস করছে। ছেলে কেমন লাগলো। কিন্তো বোন কিছু বলছে না।শুদু মিটি মিটি হাসছে। তার মানে ছেলে ভালো লাগেছে। এখন ভাই। ঘটক সাহেবের সাথে কথা বলছে।আর ঘটকের কথা শুনে মেয়েটি ভাইয়ের অনেক রাগ হচ্চে। ঘটেক সাহেব বলেকি না। ভাই আপনার বোনকে ওরা প্রচন্দ করেনি। প্রচন্দ করেনি মানে। কেনো। আমি আপনাকে কি ভাবে বলে যে।আচ্চা যাই হোক তবুও বলছি।আসলে আপনার বোন যে প্রতিবন্ধি। সেটা প্রচন্দ করেনি তাই। ঐ ঘটক কি বলি।আমার বোন প্রতিবন্ধি মানে। আরে ভাই আপনি রাগ করছেন কেনো।অন্য ছেলে দেখবো।

ঐ ঘটক তুকে আমার বোনের জন্য কোনো ছেলে দেখতে হবে না।আমার বোনের জন্য আমি রাজ পুএর মত্য ছেলে আনব। এই বলে চলে আসলাম।আর মাকে মিত্যা কথা বলাম।কারণ বোনকে অনেক কষ্টে বিয়ে করার জন্য রাজি করালাম তাই বলাম। ছেলে আগের একটি বউ আছে। আচ্চা যাই হোক বলতে বলতে আরো চলে গেলো ১মাস। একদিন। আমি অফিসে তাকা অবস্তায় আমার বাড়িতে আসতে দেরি হওয়ার কারনে দুপুরের খাবার নিয়ে বাহির হয়ে পড়ে আমার কলিজার টুকরার বোন।আর হটাত করে একটি অচেনা নাম্বার থেকে কল আসে। আর সেই লোকের কথা শুনে আমার মাথায় যেনো আকাশ বেঙ্গে পড়লো। লোকটি বলে। আপনে তাড়াতাড়ি হাসপাতালে আসোন। ভাই আপনে কে।

ভাই আপনে আমাকে চিনবেন না।আর এই নাম্বারটি আপনার বোনের মোবাইল তেকে নেওয়া হয়েছে। ওনি কিছু কখন আগে এক্সছিডেন্ট করেছে আমরা ওনাকে হাসপাতালে নিয়ে আসলাম।আর ওনার মোবাইল থেকে আপনার নাম্বার নিলাম। লোকটির টিকানা ওনো যায়ি হাসপাতালে চলে গেলাম।ডাক্তার সাথে কথা বলে যেনো আমার পায়ের নিছের মাটি সরে যাছে।ডাক্তার বলে। আপনার বোনের কিডনি ছিলো ১টি ওটাও নষ্ট হয়ে গেছে তাই ওনাকে বাচানো সম্বপ না।আর যদি কেও কিডনি দেয় তাহলে বাচানো যাবে। কি বলেন ডাক্তার। ডাক্তার যতো টাকা লাগে আমি দিবো তবুও আমার বোনকে চাই।আপনে যেখান থেকে পারেন কিডনি ব্যাবস্তা করোন। ভাই A+ রক্তের গ্রুপের কিডনি পাওয়া অনেক কঠিন। তবুও আমরা চেষ্টা করছি। বলতে বলতে কিডনিও পেয়ে গেলো। বলতে বলতে আজ ৭দিন চলে গেলো আজকে তার বোনের বিয়ে। বলতে বলতে বোনকে হাসি কুশি ভাবে বোনের বিয়ে সম্পুন হল।

তিনদিন পরে ছেলেটির বাড়িতে একটি পুলিশের গাড়ি আসে। আর সেই গাড়ি তেকে একটি লোকের লাশ বাহির করা হয়। আর বাড়ি লোকেরা পুলিশ আর লাশটি দেখে কিছুটা আবাক হয়।আর যখন পুলিশ লাশটির চেহেরার উপরের কাপড় সরানো হয় তখন যেনো সবার মাথায় যেনো আকাশ বেঙ্গে পড়ল।আকাশ বেঙ্গে পড়ারির কথা। কারন লোকটি আর কেউ না।তাদের বাড়ির একমাএ ছেলের লাশ। আর এই খবর শুনে ছেলেটির বোন হাও মাও করে কান্না করে করে তার শ্বশুর বাড়ি থেকে চলে আসে। আর এসে হাও মাও করে আরো কান্নার আওয়াজ বেড়ে গেলো। আর একপর যায়ে ছেলেটির লাশ দাপন করে কবরে দিয়ে আসে সবাই।আর বাড়িতে এসে পুলিশের কিছু কথা শুনে বাড়ির সবাই অবাক আর হাও মাও করে সবাই কান্না করছে। ও কথা গুলোতো বলা হয়নি। কিছু দিন আগে। ছেলেটির বোন যখন হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে চটপট করছে।যখন কোনো জাগায় কিডনি পাওয়া যাছে না। তখন ডাক্তারের সাথে কথা বলতে চলে গেলো।

তাহলে কি ডাক্তার আমি আমার বোনকে বাচাতে পারবো না। আমি যেই বোনকে একবেলা না খেতে দেখলে বকা দিয়। যদি আমার বোনে শরীল খারাপ হয়ে পড়ে তাই সবসময় চোখে চোখে রাকতাম।আজ আমার চোখের সামনে আমার বোন মাটির সাথে মিশে যাবে। তখনি ডাক্তার বলে ওটে। যদি আপনাদের মধ্যে কেও A+ রক্তের গ্রুপের ১টি কিডনি দেয় তাহলে আপনার বোনকে বাচানো যাবে। তখন তার ভাই ডাক্তারের কথা শুনে ছটকরে দড়িয়ে। বলে। চলোন। কোথায়। জী আমার আর আমার বোনের রক্তের গ্রারুপ এক। তাহলে আপনে কিডনি দিবেন সেটা আগে বলনি কেন। তখন ছেলেটির কিছু বলার নেই।কারণ বলার মত কিছু নেই।কারণটিও জানবেন। তখন ডাক্তার ছেলেটিকে নিয়ে গেল। আর ডাক্তার চেকআপ করার পরে ছেলেটির সাথে কথা বলছে। আরে আপনারিতো ১টি কিডনি আর আপনে কিড্নি দিলে আপনে নিযে মারা যাবেন। তখন ছেলেটি বলেবসে। আমার বোন আমার চোখের সামনে মৃত্যু কষ্ট পাবে।

আর ডাক্তার বলে। আরে সবারি মৃত্যু আছে।আজ না হয় আপনার বোনের মৃত্যু। আর মেয়েটির ভাই বলে। কিডনি দেওয়ার পবে মৃত্যু হলে ভাই বোন এক সাথে মরবো।আমার জমজ ভাই বোন। দুই ভাই বোন একইদিনে আসলাম একইদিনে না হয় চলে যাবো। ছেলেটির কথা শুনে ডাক্তার কিছু কখন চিন্তার পরে বলে। ভাই একটি কথা বলি। হে বলোন। আমি কি আপনার বোনে দায়িত্ব নিতে পারি। আর তখন ছেলেটি হাসি মুকে বলে। সতি ভাই।আমি এই কথাটি চিন্তা করছি।আমি না তাকার সময় আমার বোনকে কে ডেকে ডেকে খাওয়াবে। কে আমার বোনের দেখে শুনে রাকবে। আরো অনেক কথা অর্থ পর ডাক্তার ছেলেটিকে otতে নিয়ে গেলো।মানে অফ্রারেশন তেও টারে।

ডাক্তারের অফ্রারেশন শেষে ছেলেটিকে নিয়ে নরমেল রুমে নিয়ে আসা হয়।আর ডাক্তার অনেক চেষ্টা করছিল ছেলেটিকে বাচানোর জন্য বিভিন্ন জাগায় কিড্নির কথা বলেছিল ডাক্তার ছেলেটি কিন্তু কোনো জাগায় পেওয়া গেলো না।  আব শেষে ছেলেটি তার বোনের জন্য মৃত্যু বরণ করে নিলো। আর তার বোন। হাও মাও করে কান্না করতে লাগলো কথা গুলো শুনে আর বলছে ভাইয়া তুমি এমনটা করলে কেনো। আর বলতে বলতে চলে গেল ১বছর। আর ডাক্তার ছেলেটি এখনো ছেলেটি কথা মনে পড়লে কান্না করে।আর ডাক্তারের বউতো আছে সব সমর ভাইয়ের কথা মনে পড়লেয় কান্না করতে তাকে। আর ডাক্তার তার বউয়ের ভাইয়ের কথা রাকার চেষ্টা করে। মেয়েটিক সব সময় হাসি কুশি রাখার জন্য।

সমাপ্ত

গল্পের বিষয়:
ভালবাসা
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত