একদিন বউটা আমার বুকে মাথা দিয়ে শুয়ে আছে। আর আমি ওর মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছি ঠিক তখনই বউটা আমার বলে উঠলো–
অনু– ঐ আমার খুব ইয়ে হওয়ার ইচ্ছা পাইছে। ( স্বভাবতই দুষ্টু ছিলো তাই সবকিছুতেই দুষ্টুমি করতো)
আমি– ইয়ে আবার কি???? আর কি ইচ্ছা পাইছে তোমার।
অনু– কয়েকদিন ধরেই না নিজেকে অধরার মা মনে হচ্ছে নিজেকে।
আমি– এই অধরা টা আবার কে???? ওহ পাশের ফ্লাটের বাচ্চা মেয়েটা বুঝি। কিন্তু ওর নাম তো জান্নাত। অধরা কবে নাম রাখলো।
অনু– ধুর,,,,,,আমার মেয়ে অধরার মা হইতে ইচ্ছা পাইতেছে আমার।
আমি– তোমার মেয়ে???? বলো কি,,,তোমার মেয়ে পাইলা কই???
অনু– আছে আছে,,,,তোমাকে আগে বলি নাই আমি। আমার মেয়েটা খুব ভালো আর খুব cute. বলতে পারো cute এর container.
আমি– বলো কি???? কিন্তু তোমার আর আমার বিয়ের সময় তো শশুর আব্বা এসব কিছুই বলে নাই। শশুর আব্বা আমারে ঠোকাইছে।
অনু– হুম,,,,তুমি যদি বিয়ে না করো আমাকে তাই বলে নাই। এখন তো জানতে পারলা আর আমি জানি তুমি কিছু বলবে না।
আমি– হায় আল্লাহ,,,,, আমার কি হবে এখন। আমার বউয়ের আগেও বিয়ে হইছিলো।
অনু– ঐ না। তোমার সাথেই আমার প্রথম বিয়ে। এর আগে বিয়ে হয় নাই তো।
আমি– বিয়ে না হয়েই অধরার আম্মু হয়ে গেছো তুমি?????
অনু– ধুর,,,নারে পাগলা বিয়ের পরে হয়েছি অধরার আম্মু।
আমি– মানে???? ( ওর ফাযলামি এর আচ পেলাম)
অনু– মানে টা হইলো তোমার কাছে আমার মেয়ে অধরা আছে। অনেকদিন তো রেখেছো তোমার কাছে এবার আমার মেয়েকে আমার কাছে ফিরিয়ে দাও।
আমি– বাবুনি,,,যা বললা মাথার উপর দিয়ে উড়ে গেলো। বুঝিয়ে বলো না গো।
অনু– শোনো তাহলে। আমি তোমার নাতি নাতনিকে আমাদের প্রেমের গল্প শুনাতে চাই। তুমি তার ব্যবস্থা করে দাও।
আমি– ওরে দুষ্টু বউ আমার। এবার বুঝলাম সব কিছু। তা নিজেই ব্যবস্থা করে নাও,,,,তোমার মেয়ে অধরা তো
আছেই।
অনু– হুম আছেই তো। তবে তোমার কাছে। আমার কাছে না দিলে কিভাবে আমার মেয়েটা কে পাবো বলো আমি।
আমি– দিবো না তোমার মেয়ে কে। এক মিনিট তোমার মেয়ে আমার কাছে আছে কিভাবে বুঝলা তুমি??? ছেলেও তো থাকতে পারে।
অনু– জ্বী না,,,আমার মেয়েই আছে। কারন তুমি বাচ্চা মেয়েকে অনেক ভালোবাসো।
আমি– এই কথা??? তবে আমি তো তোমাকেও ভালোবাসি এর মানে আমার আরও কয়েকটা বউ হবে।
অনু– কিহ???? কি বললা তুমি??? কুত্তা বিলাই শয়তান আজ তোমার খবর আছে। আজ তোমার একদিন কি আমার একদিন।
আমি— আর বাকি ৩৬৪ দিন কার???
অনু– আমার মেয়ে অধরার। ( এই বলেই কিল ঘুসি ইচ্ছা মতো মারতে লাগলো)
আমি– আরে আরে আস্তে মারো। তোমার নরম নরম হাতে ব্যাথা পাবা তো।
অনু– তাতে তোমার কি??? আগে বলো আমার মেয়েকে দিবা কি না।
আমি– জ্বি না,,,,তোমার মেয়েকে দিবো না তবে তোমার ছেলেকে দিতে পারি।
অনু– নাহ,,,,আমার মেয়েকেই চাই। আমি আর আমার মেয়ে মিলে সারাদিন তোমাকে মারবো। আগে বলো আমার মেয়েকে দিবা তাহলে মাইর দেওয়া বন্ধ করবো।
আমি– দিবো না। তুমি যতোক্ষন পারো মারতে থাকো।
অনু– ঐ ইমন,,,দাও না গো অধরাকে আমার কাছে। please বাবুন। দাও না আমাকে আমার মেয়েটাকে।
আমি– না দিবো না। তোমাকে তোমার মেয়ে দেই পরে দুই মা-মেয়ে মিলে সারাদিন আমাকে মারবা। কিছুতেউ দিবো না।
অনু– আচ্ছা দিতে হবে না। আমি আর কখনও কিছু চাইবো না তোমার কাছে। আমাকে তোমার শশুর বাড়ি দিয়ে আসো। ( কান্না করে দিলো পাগলি টা)
আমি– হুম,,,অবশ্যই দিয়ে আসবো।
অনু– তুমি আমাকে দিয়ে আসবা?????
আমি— জ্বী মহারানী,,,তবে এখন না।
অনু– কখন দিয়ে আসবা তাহলে?? ( চোখের পানি যেনো থামছেই না অনুর)
আমি– যখন তোমার মেয়ে তোমার কাছে যাবে আর তোমার মেয়ের বয়স ৭/৮ মাস হবে।
অনু– সত্যিই?????? সত্যিই বলতেছো বাবুন। আমার অধরাকে আমার কাছে দিবা তুমি।
আমি– না মিথ্যা বলতেছি।
অনু– এত্তোগুলা ভালোবাসি তোমাকে। উম্মাহহহহহহহহহহহহহহহহহহ
আমি– ওরে পাগলি বউ আমার রে। এতোক্ষণ কান্না করে ভাসিয়ে দিচ্ছিলো আমায় আর এখন যেনো ভালবেসে ভাসিয়ে দিচ্ছে।
অনু– হুম,,,আমার বাবুন আমার ভালোবাসা। আর হ্যা আমার মেয়ের নাম রাখবো অধরা মনে থাকে যেনো তোমার।
আমি– জো হুকুম মহারানী,,,, আপনার হুকুম শিরোধার্য।
আসলে বউটার ইচ্ছা হয়েছে এখন উনি মা হবেন,,,সরাসরি তো আর বলতে পারে না কারন দুষ্টু, ফাযিল হলেও বউটা আমার লাজুক। তবে এতোটাই লাজুক যে ভবিষ্যৎ-এ মেয়ের নাম ঠিক করে রেখেছে।