কি করছ-( বন্যা কল দিয়েছে ) বসে আছি, তুমি -( আমি ) আজ বিকালে একবার আমার সাথে দেখা করতে পারবে. কেনো, কোনো দরকার না কি. হা দরকার আছে. কি দরকার বলো. আগে আসো তারপর বলবো. আগে বলো কি দরকার. তোমায় চুমু খাবো,এটাই দরকার. তাহলে অবশ্যই আসবো. এতদিন পরে একটা আবদার করেছ তা কি ফেলতে পারি. ফেলতে হবে না,বিকালে চলে এসো. এখন চলে আসি. এখন দরকার নেই. বিকালে আসলে হবে. আচ্ছা জানু. হুমম জানু, এখন তাহলে রাখি. হুমম জানু লাভ ইউ, উম্মাম্মাম্মা. হুমম লাভ ইউ, উম্মাম্মাম্মা. টুই টুই টুই – মানে কল কেটে দিলো. দেখা করার আগে আমাদের পরিচয় দিয়ে দেই. আমি পি ডি রাজ. বাবার অন্ন ধ্বংসের কারিগর. আর যার সাথে কথা হলো, তিনি হলেন আমার প্যারাময় প্রেমিকা বন্যা. সারাক্ষণ আমায় প্যারার উপর রাখে. এবার কিসে জানি পড়ে , ভুলে গেছি মনে হলে বলবো।
অনেকদিন পরে বন্যা আমার কাছে কিছু খাবে আবদার করেছে,এটা কি না রেখে পারি. বিকালবেলা হাতে মাম পানির বোতল নিয়ে বন্যার দেওয়া ঠিকানা মতো চলে গেলাম. পানি নেওয়ার কারন যদি চুমু খেতে খেতে পিপাসা পেয়ে যায়, তাই আমার এই বুদ্ধি. মিনিট দশেক পর মহারানীর আগমন. কি ব্যাপার এত দেরী করলে কেন.-( আমি ) আসতে একটু দেরী হলো,তুমি কখন এসেছ. এক ঘন্টা আগে. মিথ্যাবাদী. আচ্ছা বাদ দাও. এখানে বসে চুমু খাবে না অন্য কোথায় গিয়ে চুমু খাবে. মানে-( কথাটা শুনে মনে হয় অবাক হয়ে গেলো, মুখের ভঙ্গি এমন করলো ) মানে আবার কি, তুমি তো বললে দেখা করবে আর চুমু খাবে।
রাজ, টেনশনের সময় ফাজলামি ভালো লাগে না. আমি আবার কি ফাজলামি করলাম, তুমিই তো বললে. আর এখন আমার দোষ. আমি তোমাকে ডেকেছি কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা বলার জন্য,চুমু খাওয়ার জন্য না. আচ্ছা বলো. বাবা আমার বিয়ে ঠিক করেছেন. ভালো তো, অনেকদিন বিয়ের দাওয়াত খাই না. তোমার বিয়েতে পেট ভরে খাবো. বললাম না ফাজলামী বন্ধ করতে. আর কোনো কথা বলবা না. আচ্ছা ঠিক আছে আর কোনো কথা বলবো না. বাবা আমার বিয়ে ঠিক করেছেন, ছেলে সরকারী চাকরী করে. (আমি চুপ ) কি হলো কথা বলছ না কেন. তুমিই তো বললে কথা না বলার জন্য. ধুর রাগ উঠে যাচ্ছে. আমি কি করলাম, একবার বলো কথা বলবে না, আবার বলো কেন কথা বলি না. হে ঈশ্বর তুমি আমায় বাঁচাও. একটু সিরিয়াস হয়ে কথা বলো রাজ, আমি কি বলতে চাই একটু বুঝার চেষ্টা করো. হুমমমমম আমি সিরিয়াস।
আমার যখন বিয়ে হয়ে যাবে তখন বুঝবা, এখন যে বলছি তা তুমি শুনতেছ না. কি বললা, তোমার বিয়ে হয়ে যাবে,কার সাথে কখন.-( এমন ভাব দেখালাম মনে হয় কথাটা শুনে এইমাত্র আকাশ থেকে পড়লাম.) হুমম, ছেলেটার নাম জানি না, তবে সরকারী চাকরী করে এটা জানি. সরকারী চাকরী করে এটা শুনে তুমি রাজি হয়ে গেলে. হুমমম. তুমি আমাদের কথা তোমার বাবাকে বলোনি. না. কেন. আমার ভয় করে. ভয় করলে কি ভালবাসা হয়. তুমিও তো বলনি, তোমার মা বাবাকে আমাদের কথা. আমার তো তোমার থেকে একটু বেশী ভয় করে, তাই বলিনি. তুমি পুরুষ মানুষ হয়েও তোমার ভয় করে, আর আমি মেয়ে মানুষ হয়ে বুঝি আমার ভয় করে না. আচ্ছা বাদ. এখন তুমি কি ডিসিশন নিলে,ছেলেটাকে বিয়ে করবে. কি আর করবো বিয়ে তো করতেই হবে. তবে বাসর রাতে যখন রুমে একা একা থাকবো তখন টুপ করে একবোতল বিষ খেয়ে ধুপ করে মারা যাবো।
তুমি কি বিষ কিনেছ. হা একবোতল কিনে রেখেছি. যখন তোমাকে পাবো না তখন এ জীবন রেখে কি লাভ. আচ্ছা বিষ যে কিনেছ,এটা কি ভালো কোম্পানির না বাজে কোম্পানির, ফরমালিন মুক্ত না যুক্ত. মানে. মানে, বিষ যদি ফরমালিন যুক্ত হয় তবে তো তুমি টুপ করে খেয়ে ধুপ করে মরবে না. সবসময় ফাজলামি করো না রাজ. আমি সত্যি মরে যাবো, নয়তো তুমি কিছু একটা করো. আচ্ছা তোমার বাবাকে একটা কল দাও,বিয়ের তারিখটা কবে জেনে নেই. তারিখ দিয়ে কি হবে. আরে তোমার বিয়েতে যাবো,ভালো কিছু উপহার দিতে হবে তো. সময় বেশী হলে হাতে টাকাও আসবে ভালো কিছু উপহার দিতে পারবো. দূর তোমার সাথে কথা বলবো না. আমি মরে গেলে তখন বুঝবে. আরে রাগ করো কেন,তোমার বাবাকে কল দাও. দিয়ে তোমার হবু বরের নাম কি, ঠিকান কি, একটু জানো. কেন।
ঐই লোকের হা,পা, ভেঙে হাসপাতালে পাঠিয়ে দিবো, কত বড় সাহস রাজের প্রেমিকাকে বিয়ে করতে চায়. পারবে ঐই বেটাকে মারতে. আরে বন্যা তুমি জানো না রাজের কি পাওয়ার. রাজকে দেখলে এলাকার হাস মুরগী সব একঘাটে পানি খায়. তাহলে তো বাবাকে কল দিয়ে ঠিকানা জানতে হয়. হুমমম দাও. হুমমম -( বলেই বন্যা তার বাবাকে কল দিলো. কথা বলার পর আমার দিকে তাকিয়ে আছে. তার চেহারার এমন ভাব যেন মনে হয় মুরগী চুরি করতে গিয়ে ধরা পরেছে ) কি ব্যপার চেহারার এমন ভাব ধরেছ কেন. বেটার নাম্বার দাও, ঠিকানা দাও. আজ থেকেই শুরু করবো. কুত্তা, বিলাই, গরু,ছাগল,বান্দর-( বলেই মারামারি শুরু করে দিলো, আমাকে মারছে আর কান্না করছে ) আরে কি ব্যপার, আমাকে মারছ আবার নিজেই কান্না করছ. আমায় কষ্ট দিতে ভালো লাগে তাই না. আমি আবার কখন কষ্ট দিলাম. তেমার চাকরী হয়েছে, আমার বাবার সাথে কথা বলে আমাদের বিয়ে ফাইনাল করেছ, এটা আমায় বললে কি হতো।
তোমাকে বললে তো আজকের এই প্রক্রিয়াটা দেখতে পেতাম না. তাই বলে এভাবে, যদি আমি কোনো দুর্ঘটনা করে ফেলতাম. দোষ তো তোমার, কার সাথে বিয়ে ঠিক হয়েছে না জেনেই ব্যাঙের মতো লাফাও. কি বললা আমি ব্যাঙ. না তুমি আমার জান পাখি, আমার জানে জিগার ভালবাসি রাজ তোমায়. আমিও ভালবাসি তোমায়. তাহলে এবার তোমায় চুমু দেওয়া যায়. হুমমম, চুমু খেয়ে ক্লন্ত হয়ে গেলে পানির পিপাসা লাগবে বলে পানি নিয়ে এসেছি, পাগল একটা. হুমম তোমার বর পাগল.চুমু খাচ্ছি. আপনারা খাবেন অবশেষে আমাদের দুজনের মনে এলো পূর্ণতা আমাদের সম্পর্কের পূর্ণতা হলো হা হা হ। হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা আপনারা এত হাসির দরকার নাই,বেশী হাসলে দাত পরে যাবে সবাইকে অগ্রীম বিয়ের দাওয়াত।
সমাপ্ত