আমি—– বউ বউ বউ ???
মায়া;– চুপ
আমি— জান জান জান
মায়া;- চুপ
আমি— বাবু,, শোনা,, ময়না টুনটুনি???
মায়া;- হেচ্ছি
আমি— আপু…???
মায়া– আরে মেঘ,, কেমন আছো?? কখন আসছো??
আমি– এতক্ষণ আগে যা বলেছি তার কিছুই কি শুনেননি?? না’কি ভান করলেন না শোনার…??
মায়া— কিছু বললে??
আমি— আচ্ছা আপু?? আপনাকে আপু বললে ঠিকি শোনেন কিন্তু জান বউ বললে শোনেননা কেন??
মায়া— মেশিনে ডিষ্টার্ব… নেট পাইনা কি করব??? আসে আর যায়…
আমি— আপু আপনি একটা জিনিস… পুরা বাংলাদেশ খুঁজে কেন পৃথিবী খুজলেও পাওয়া যাবেনা….
মায়া— খিস্তি করলে ভাইয়া???
আশুন পরিচিত হয় আমি মেঘ এবার অনার্স ভর্তি হয়েছি আর মায়া হচ্ছে এবার সেকেন্ড ইয়ার কিন্তু এমন ভাব নেই যেন ৫ বছরের বড় আর সুযোগ পেলেই নিজেকে বড় ভেবে আমাকে পচায় শুনুন ভার্সিটিতে কিভাবে পেলাম এই আপুকে ভার্সিটির গেট দিয়ে আমি মাত্র এসেছি এক আপু আমাকে ডাক দিলো ঐ মেঘ এদিকে আসো..
আমি— জ্বী কিছু বলবেন??
আপু— বলতো কিভাবে তোমার নাম জানলাম??
আমি– স্বপ্নে পাইছেন??
আপু– ব্রিলিয়ান্ট… আমাকে কেমন লাগছে বলতো??
আমি— আপন আপদ…
আপু– এটা আবার কি রকম প্রশংসা??
আমি — মানে আমার কাছে আপনি একটা আপদ… ধন্যবাদ বাই আপু…
আপু— চান্দু তা তো হবেনা… কান ধরো…
কেন আপু কি করলাম??? এটা তোমার জন্য র্যাগ না হলে বড়কিছু হবে আপু একটু এদিকে আসবেন?? জ্বী বলো সামান্য কিছু টাকা দিয়ে কি মুক্তি পাওয়া যাবে?? মানে আজকের দিনে আমার অনেক স্বপ্ন আপনি প্লিজ এসব র্যাগ ফ্যাগ দিয়ে নষ্ট কইরেন না আচ্ছা বলো কি কি স্বপ্ন আজকে প্রথমে যে মেয়েকে দেখবো তার মন প্রাণ দিয়ে ভালোবাসবো,, তাকেই বিয়ে করব,, তার সাথে ফ্যামিলিপ্ল্যান িং করব,, দুইটা বাবু নিবো একটা মেয়ে নাম পরী, আর ছেলেটার নাম অর্ক মাহমুদ নীরব,, ওদের লিখাপড়া নিয়ে জানেন আপু খুব টেনশনে থাকি সবসময় হাহাহা,, তুমিতো দারুণ বজ্জাত ছেলে দেখে মনে হয় ভাজামাছ উল্টে খেতে জানোনা তলেতলে এইসব আপু প্লিজ আপনি আমাকে আজ মুক্তি দি আমার নাম মায়া,, তুমি মায়া আপু ডাকতে পারো তাহলে বাবুর ফুফু ডাকি?? আচ্ছা ডেকো বাই আমার ফ্রেন্ডস বলতে ফেবু আর আম্মাকারন আমার ফ্রেন্ডস ভাল্লাগেনা,, আমার ভাললাগে দুষ্টামি আর সেটা আম্মুর সাথেই কারন আম্মু আমাকে কারও সাথে মিশতে দেইনা তার ছেলে বকে যাবে এই ভয়ে,, হিহিহি আমি তো বকেই আছি ঐ যে আপু তখন বলল
আমি— আপু কেমন আছেন??
মায়া— হুম মেঘ ভালো,, তুমি??
আমি– আপু আমি গতকাল আপনাকে স্বপ্নে দেখছি,, অসাধারণ লাগছিল হলদে শাড়িতে,, আর হাল্কা সাজে অপরুপা লাগছিল..
মায়া— সত্যি বলছো?? আর কি কি দেখছো??
আমি– আপু আপনার কাছে কিছু টাকা হবে?? খুদা লাগছে খেতেখেতে বলি?? কিন্তু টাকা শোধ করতে বলবেন না প্লিজ…
মায়া–; আজব ছেলেতো তুমি!! আচ্ছা ১০০ টাকা নাও,, আর বাকিটা কখন শোনাবা??? আপু আপনি ফেবু ইউজ করেন?? সেখানেই বলবো!! মায়াবী মায়া মিমি সার্চ দাও,, আপু এটা?? হুম রাতে পেয়েযাবেন আপু বাই রাতে দেখলাম আপু একছেপ্ট করছে রিকুয়েস্ট,, কিছুক্ষণ পর আপুকেঃ
আমি— বলেন তো আপু চাঁদ কেন তারা থেকে দূরে থাকে??
আপু— জানিনা, তুমি বলো,,
আমি– র্যাগ খাওয়ার ভয়ে আপু,,
মায়া– আচ্ছা তুমি এত দুষ্টু কিভাবে হলে???
আমি– আপু একটু বারান্দায় আসবেন… আমি এসেছি…
মায়া— কি এত রাতে?? আচ্ছা আসছি…. কিছুক্ষণ পরে- কই তুমি??
আমি– আপু ওখানে জোনাকি আছে??
মায়া— হ্যা আছে অনেক… কিন্তু তুমি কই??
আমি– আপু ঝিঝি পোকারা ডাকছে,, আর হাল্কা বাতাসে আপনার চুল উড়ছে ঠিক তখুনি চাঁদ আপনার দিকে হা করে তাকিয়ে আছেনা???
মায়া– আজব,, তুমি কই??
আপু আপনি আমাকে আজও খুঁজে পেলেননা আফসোস!! এই ছেলে কাল ভার্সিটি তে আর্লি আসবা কথা আছে জানি কাল আপনি আমাকে আবার র্যাগ দিবেন কারন আপনি রাগলে আমি আপনাকে বুঝতে পারি হিহিহি গুড রাত্রি আপুনি!! মায়া আপু দেখতে আহামরি সুন্দরি না,, কিন্তু বেশ মিষ্টি চেহারা, আমার ফর্শা মেয়ে কখনওই ভাল্লাগেনা,, বাঙ্গালি শ্যামলাই ভালো আর চোখ দেখতে ১০২% মায়াবী আমি মাঝেমাঝে লুকিয়ে দেখি আপুর চোখ কে আসলে আপুকে প্রথম দিন দেখেই প্রেমে পড়ি তাই সেদিন দুষ্টামি করে ওসব বলেছিলাম জানি কাল সকালে ভার্সিটি তে গেলে আপু আমাকে শাস্তি দিবে অদ্ভুত ব্যাপার আপুর শাস্তি খেতে আমার ভালোই লাগে!! কারন আর যতোহোক প্রিয় মানুষ বলে কথা আসলে আপু বলতে আমার ভাল্লাগে যাতে কেউ সন্দেহ করতে না পারে আমি প্রেমে পড়েছি ললনা আমি তোমার প্রেমে পড়েছি গো প্রেমে পড়েছি সেই প্রথম প্রভাতি থেকে পরেরদিন ভার্সিটি তে গেছি,, সাথেসাথে আপুর ডাকঃ
আপু– ঐ ছেলে এদিকে এদিকে??
আমি— আপু কখন আসছেন?? আপনাকে আজ দেখতে ভালোলাগছনে এক্টুও ( রাগিয়ে দিলাম বালিকা রেগে গেলে দেখতে জস লাগে তো)
মায়া— কান ধরো!!
মায়া– ঐ হাদারাম,, আমার কান না তোমার কান,,
আমি– আপু এক্টা রিকুয়েস্ট আছে,,
মায়া— কিহ?? আমাকে আবার গাধা বলেন না প্লিজ আপু আস্ত একটা বজ্জাত তুমি.. আপনি অনেক মিষ্টি আপু,, আর ছেলেরা বান্দর হয় আম্মু বলে তোমার আম্মুর নাম্বার দাও আপু একটা ঝামেলা হয়ছে,, আম্মু বলেছি বাড়ির মানুষ বাদে কাউকে নাম্বার দেওয়া যাবেনা তাহলে আমার সাথে বাসায় চলেন তুমি কি আমাকে বোকা মনে করো?? ছিঃ আপু যগতের সব নারীই কঠিন দ্রব্য এরা ফাটে কিন্তু ফোটেনা…
মায়া– মানে বুঝিয়ে বলো না হলে কান ধরে বসাবো _
আমি– ধরুন একটা ছেলে একটা মেয়েকে ইম্প্রেজ করার জন্য অনেক কিছু করে,, অনেক ভালোবাসতে চাই,, অনেক ভাল রাখতে চাই,, তাকে নিয়ে সব ধরনের রোমান্স করতে চাই,, কিন্তু আজব বেপার মেয়েরা সেটা বোঝেইনা ঐ এক কথা পেয়েছে বুক ফাটে মূখ ফোটে না তাই বলেছি আপু যাও আজকে মাফ করে দিলাম কথাটা ভাল্লাগছে আপু আমার মোবাইলে একটা ঝামেলা লাগছে আম্মুকে কল দিতে পারছিনা আপনার মোবাইল টা একটু দিবেন প্লিজ আপু?? এই নাও…
আমি— ধন্যবাদ আপু,, আগামীকাল আবার র্যাগ খাচ্ছি শিওর ক্লাস আছে বাই সেদিন ক্লাস করে বাসায় আসার পথে আপুকে ফ্লো করে বাসা চিনে নিলাম ভেবেছি আপুর বাসার বারান্দার নিচে বরাবর একটা ফুসকার দোকান দিবো,, কি তখন না পটে কই যাবা আপু??? আর বেচাকেনাও হবে আপুকেও দেখা হবে আইডিয়া কিন্তু সেই রাতে আপুকে আবার জ্বালাতন শুরুঃ
আমি– আপু আজকে একটা পাখি ডিম পারছে শুনেছেন??
আপু— কোন পাখি মেঘ ভাইয়া??পাখির গল্প পড়ে,, আপনি আমার ছন্দনাম কই পেলেন আপু? তুমি লেখক আমি জানি,, কারন তোমার আই, ডি তে লিখা আছে মেঘ ভাইয়া,, কাব্য লেখক ও আচ্ছা,, শুনুন,, সেই ডিম এখন আপনাদের বাসার ছাদে মানে কি ছাদে কিভাবে এলো?? আপনি প্লিজ একা জাবেন কারন সবায় গেলে ঝামেলা হবে.. আর হ্যা পৌছে আমাকে মেসেজ দিবেন আপু ঐ বজ্জাত ছেলে ডিম কই?? আপু ঐ যে চাঁদ টা দেখছেন?? ঐটা আকাশ পাখির ডিম.. কি আপু কেমন বলেন??? তুমি না আসলে কি বলবো!! আমাকে বাবু বলতে পারেন,, কারন আপনার ছোটছোট ঐ ঠোটে বাবু ডাকটা অনেক কিউট লাগবে আমি জানি থাক লাগবেনা আচ্ছা আপু!! আপনি বসুন আমি কফি হাতে আসছি ওকে আমি চাঁদ দেখি তুমি যদি এখুনি কফি না আনো তাহলে তোমার খবর আছে কাল ওই মেঘ কই তুমি?? আপু আমি তো ইন্ডিয়া আসছি এক বন্ধুর গফের সাথে দেখা করতে কাল সকালে ভার্সিতে দেখা হবে আপু তুমি ইন্ডিয়া কখন গেলে??? বাই আপু জানি আজকে অনেক চমকে দিছি,, আমি নাকি মানুষ কে চমকে দিতে পারি আম্মু বলে!! আম্মুকে শেয়ার করব আজ রাতে ভেবেছি
আমি— আম্মু তোমার বাড়িতে একাএকা থাকতে প্রবলেম হয়??
আম্মু– হুম অনেক!! তুমি ভার্সিটি তে গেলে হয়না কাল?? আম্মু তোমার ছেলেকে বিয়ে দিয়ে দাও আমার ছেলেকে কে বিয়ে করবে?? আর হঠাৎ?? প্রেমে পড়লো নাকি আমার ছেলে?? হুম প্রেমে পড়েছি তবে তোমার বেটার বউ বোঝেনা তুমি হেল্প করবা আম্মু প্লিজ!!
আম্মু– আচ্ছা করব কবে দেখাবি বল??
আমি– বাসায় আনার ব্যবস্থা করছি আম্মু এখন আমাকে বুদ্ধি খাটিয়ে আপুকে বাসায় আনতে হবে… আর এর জন্য হাল্কা একটা ড্রামা করতে হবে আম্মা হবে অসুস্থ তাই বাসায় রান্না হবেনা না খেয়ে হুম এটাই আমার প্লান ৮ দিন পর মন খারাপ করে ভার্সিটি তে গেলাম….;
আপু– মেঘ তোমার মুখ শুকনা কেন??
আমি– কিছুনা এমনি বাদ দিন না বাদ দিবোনা বলো কি হয়েছে আম্মু খুব অসুস্থ,, আর কাল রান্নাও হয়নি খুব মন খারাপ আপু!! আচ্ছা আমি তোমার আম্মুকে দেখতে যাবো চলো এখুনি এরপরে প্রথম আমি আর আপু রিক্সায় চলেছি,, আপুর হাতে আমার হাত স্পর্শ করতেই বিদ্যুৎ বয়ে যাচ্ছে দেহে… আমার এমন ভাব দেখে আপি মুচকি হাসি দিচ্ছে. আর বললঃ
মায়া— এই প্রথম কোন মেয়ের পাশে??
আমি– জ্বী….
মায়া– বাহ লজ্জা পেলে তো তোমাকে অনেক কিউট লাগে…
আমি–. সুযোগ পেয়ে আমাকে লজ্জা দিচ্ছেন আপু??
মায়া– আরে না,, অভ্যাস করো এরপরে লাগবে তো,, ততক্ষণে বাসায় এসে গেছি, কলিং বেল চেপে রুমে গেলাম মানে আম্মুকে বোঝালাম আম্মু আমরা এসেছি তুমি বাকিটা করবা প্লিজ হিহিহি আপুকে পটাতে এই প্রথম আম্মুকে অভিনয় করতে হল
আপু— আন্টি আপনার শরির এখন কেমন?? আম্মু;; একটু ভাল মা,, তুমি মায়া?? তোমার কথা সবসময় শুনে আমার কান ব্যাথা হয়ে গেছে মা,, তুমি তো অনেক লক্ষি আর মিষ্টি,,
মায়া— আন্টি কিচেন কোনদিকে??
আমি— আমার সাথে আসো
আন্টি– তুমি কি রান্না করবা মা??
মায়া– হ্যা,, আপনি চুপচাপ শুয়ে থাকুন আমি আসছি তারপর একাসাথে খাবো কেমন!! বউ আমার রান্না করছে আর আমি আম্মুকে শিখাচ্ছি নেক্সট প্লান কি হবে আম্মুতো অনেক খুশি এত মিষ্টি মেয়ে দেখে আমার খুশি যেন আর ধরেনা মায়া আপু হবে আমার বউ উফফ অসাধারণ লাগছে ভাবতেই দুপুরে রান্না শেষ হল আমিও কাজে হেল্প করলাম ওরে,, ইচ্ছা হচ্ছিল পেছন থেকে জড়িয়ে ধরি কিন্তু সাহস পাচ্ছিলাম না যদি আমাকে খারাপ ছেলে ভাবে এই ভয়ে
আম্মু — বাহ মা তোমার হাতের রান্না অনেক সুন্দর,, কে শিখিয়েছে মা??
মায়া— আন্টি আমি আম্মুর থেকে শিখেছি!!
আমি— আম্মু ঠিক বলেছ খেতে দারুণ লাগছে….
আম্মু– মায়া মা,, আমাকে আন্টি না বলে আম্মু ডাকতে পারো, আমি তো তোমার মায়ের মতোই…
মায়া– আচ্ছা আম্মু,,
আমি– তোমার ছেলের পছন্দ কেমন আম্মু বলো…
মায়া— হেচ্ছি….
আম্মা– পানি খাও মা, মেঘ তুই এখন যা,,,সেদিন আম্মু আর মায়ার মাঝে কি কথা হয়েছিলো জানিনা বিকালে যখন মায়াকে বাসায় দিতে গেলাম তখন ওর মুখে একটা দুষ্টু হাসি দেখতে পেলাম।যাহ আমি আগে কখনো দেখিনি ওর বাসার কাছাকাছি দিয়ে আমি বাসায় এলাম!! এসে দেখি আম্মু ওর সাথে ফোনে কথা বলছে আর আম্মুকেউ খুশিখুশি লাগছে….!!
আম্মু— কিরে লুকিয়ে আছিস কেন সামনে আয়…
আমি– আম্মু কি কথা বলছিলে?? তোর কোপাল মনে হয় খারাপ রে মেঘ কেন আম্মা কি হল??? মেয়েটা ইয়ার ড্রপ দিবে এবার তাতে কোপাল খারাপের কি পেলে??? এই যে, ধর তুই আর বেশি ঘুমাতে পারবিনা,, অনলাইন নিয়ে ব্যস্ত থাকতে পারবিনা,, টিভি দেখতে পারবিনা এসব আর কি!! আম্মু তোমার কথার মাথামুণ্ড কিছুই বুঝলাম নাহ ধ্যাত আম্মুর মুখেও একটা হাসি দেখলাম যেটা মায়ার মুখে দেখছিলাম আমার থেকে মায়া বেশি আম্মু সাথে ফোনে কথা বলে একদিন রুমে শুয়ে আছি দুপুরবেলা
মায়া— কি হল তুমি এখন ঘুমাচ্ছ কেন???
আমি– কণ্ঠ শুনেই লাফ দিয়ে বিছানাছেরে উঠলাম,, আরে আপনি কখন আসলেন??
মায়া– এসেছি অনেকক্ষন,, আম্মুর সাথে কথা বলে বুঝলাম তুমি রুমে!! আর হ্যা,, রুমের এ কি হাল?? যাও বেড় হও আমি ঠিক করব….
আমি — আরে না না!! কাজের মেয়ে আছে ওরা করবে,, আপনি কেন করবেন আজব যাবে নাকি র্যাগ খাবে?? যাচ্ছি আপু আচ্ছা শুনো আমাকে আর আপু বা আপনি বলবানা কারন আমি এখন তোমার ক্লাসমেট বুঝেছ ও তার মানে আম্মু এজন্য কাল হাসছিল বুঝেছি.!! কিছুদিন পরের কথা!! মেঘ কাল একটু আমাকে নিয়ে শপিঙে যেতে পারবা?? হুম পারব কিন্তু কেন যাবেন?? আবার আপনি?? আচ্ছা যাব ডিয়ার ওকে ডিয়ার
মায়া— আচ্ছা এই শাড়িটা কেমন বলোতো???
আমি– এটা তো বিয়ের শাড়ি এই লেহেঙ্গা টা কেমন??? আজব তুমি বিয়ের শারি লেহেঙ্গা দেখছো কেন??? চুপচাপ পছন্দ করোতো তাহলে ঐ হলুদ শাড়িটা নাও দারুণ লাগবে তোমাকে সেদিন ওকে বাসায় দিয়ে মন খারাপ হয়ে গেল তার মানে কি ওর অন্য জাইগা বিয়ে হয়ে যাচ্ছে??? কিন্তু আমি যে, মায়াকে অনেক ভালবাসি,, ওকে ছাড়া আমি থাকতে পারবোনা মন ভিষন খারাপ করে রুমে শুয়ে আছি তখন আম্মু এলোঃ
আম্মু– তোর মন খারাপ মেঘ??
আমি– না আম্মু,,
আম্মু– তুই এমন গম্ভীর হয়ে আছিস কেন??
আমি– কিছুনা আম্মু,, আমি মায়াকে হারিয়ে ফেলবো আম্মু,, ওকে ছাড়া বাচতে পারবোনা আম্মু, অনেক ভালোবাসি আম্মু,, বলেই আম্মুকে জড়িয়ে কান্না করে দিলাম।। আম্মু কোন কথা না বলে রুম থেকে চলে গেলো কিছুক্ষণ পরে অবাক হলাম মায়া এসেছেঃ
আমি/– কেন এসেছ বিয়ের দাওয়াত দিতে?? কি বলবে স্যরি তোমার বাবা বিয়ে ঠিক করেছে?? কি বলবে তোমাকে ভুলে যেতে??? আচ্ছা যাও তুমি স্বামি নিয়ে শুখে থাকো,, আর কখনো আমাদের বাসায় এসবানা তোমাকে ভুলে গেলাম যাও মায়া- ঠাস..ঠাস
আমি/- গালে হাত দিয়ে তাকিয়ে আছি,, কেন মারল আমাকে???!
মায়া— গাধা মেয়েটার ফাটে কিন্তু ফোটেনা তুমি জানোনা??? তুমি তাহলে কেন আমাকে বলোনি আমাকে এত ভালবাস?? কি মনে কর আমি তোমাকে ভালোবাসিনা সব তুমিই আমাকে???
আমি– কি বলব বুঝছিনা,, মায়ার চোখে জ্বল এখুনি গড়িয়ে তা মাটিকে স্পর্শ করবে,,,মায়া আমাকে জড়িয়ে ধরল আর আমিও এখন বুঝলাম সেদিন আম্মু কি কথা বলেছিল,, আর কেন মায়া ও আম্মু হেসেছিল,, কেনোইবা শাড়ি কিনল মায়া !!
মায়া— কি শেষের শাড়ি কেনার ড্রামাটা কেমন হলো??
আমি— ফ্যামিলিপ্ল্যানিং চলো করি এখুনি
মায়া– আগে বিয়ে হোক তারপর একটা মেয়ে পরী,, একটা ছেলে রাজকুমার।
আমি— বউ বউ বউ
মায়া— চুপ এসব বিয়ের পরে হবে আম হাহাহাহা জান ওক্কে।
