ভালবাসা এগিয়ে চলুক

ভালবাসা এগিয়ে চলুক

আপনার বাসায় আসতে এতো দেরি হলো কেনো?? অফিস শেষ করে রাত ৮টার মধ্যে বাসায় আসার কথা ছিলো, এখন রাত ১০টা বাজে, কি করেছেন দুই ঘন্টা বলেন কি করবো আবার, এক্সট্রা কিছু কাজ ছিলো, রাস্তায় জ্যাম ছিলো, সব মিলিয়ে দেরি হয়ে গেলো এক্সট্রা কাজ আবার কি?? যা কাজ করার সব রিয়েল টাইমে শেষ করবেন, আর আবারো আপনি জ্যাম এর কথা বললেন কেনো?? এই অভ্যাস কবে পাল্টাবে সামু?? যখন থেকে তোমার সাথে পরিচয় তবে থেকেই তোমার অলয়েজ জ্যাম এর জন্য লেট হয়। সেই শুরুর পর ফ্রেন্ড হলে, প্রেম করলে, বিয়ে করলে, এখন ও তোমার জ্যাম এর অযুহাত দেয়া শেষ হলোনা?? আপনি থেকে তুমি তে নেমে গেলে!! আচ্ছা দেখো তৃনা, সব সময় তো এক হয়না, মাঝে মাঝে অফিসে কাজের চাপ একটু থাকেই, আর জ্যাম যদি আমার চলাচলের সময় রাস্তায় লেগে যায় তখন আমার কি করার থাকবে বলো?? আমি তো ইচ্ছে করে ট্রাফিক পুলিশ দের ঘুষ দিয়ে জ্যাম লাগিয়ে দিতে বলিনা তাইনা??

ওরে সোনা চাঁন কি সুন্দর যুক্তি, ওই ব্যাটা তুই কাকে ভালবাসিস বল, আমাকে নাকি রাস্তার জ্যাম কে?? এখন আমাকে আর ভাল লাগেনা তাইনা?? ইগ্নোর করিস?? জ্যাম কে বিয়ে করতে মন চায় তোর?? তুই আর জীবনেও আমার সাথে কথা বলবিনা এখন আবার তুই তে নেমে গেলে!! পুলিশ ও তো এতো দ্রুত সম্বোধন চ্যাঞ্জ করেনা, আর রাস্তার জ্যাম কে কি করে বিয়ে করবো!! আমি তো মানুষ, জ্যাম এর সাথে তো বিয়ে করবে গাড়ী, রিক্সা, এসব, আর আমি তো তোমাকে ভালবাসি চুপ কর তুই,তোর গাড়ীতে উঠা বন্ধ,রিক্সায় উঠা বন্ধ, কোনোরকম যানবাহন এ উঠতে পারবিনা, তুই হাটবি, হেটে হেটে অফিস এ যাবি, তোর আসে পাশে যদি আর এই জ্যাম কে দেখি তো দেখিস কি করি আমি তোকে আমি কোনো সতীন মানবোনা, সেটা মানুষ হোক আর অন্য অব্জেক্ট যাইহোক।

কথা গুলো এক টানে বলেই তৃনা হনহন করে হেটে বারান্দায় চলে গেলো, মেয়েটার গাল দুটো একদম লাল মতো হয়ে আছে, ও যখন রাগ করে তখন এই অবস্থা হয়, হালকা ঠোট কাপে, দেখতে যেনো স্বপ্নে বোনা কল্পকথার পরীর মতো লাগে। আমি গলা থেকে টাই খুলে স্যুট খুলতে থাকার সাথে ভাবতে লাগলাম তৃনার মাথায় চড়ে উঠা বোম টা কে কিভাবে ফিউজ করা যায়, বেশিক্ষণ রাগিয়ে রাখা যাবেনা, না হলে তৃনার এই রাগি বোম ফেটে পুরো হিরোশিমা কান্ড ঘটে যাবে। তৃনা, আমার ব্যাটার হাল্ফ। হাল্ফ না, ও আমার সম্পূর্ণতা। ৬/৭ বছর চুটিয়ে প্রেম আর ফ্রেন্ডশিপ এর পর আমাদের বিয়ে। আমার জীবনের এমন কোনো বিষয় নেই যা ও জানেনা, ওর জীবনের এমন কোনো বিষয় নেই যা আমি জানিনা। তৃনা যতোটাই বুদ্ধিমতী ঠিক ততোটাই শিশুমনের একটা মেয়ে। টক ঝাল মিষ্টি বলে যদি কিছু থাকে তাহলে এর সব টুকুই তৃনার মধ্যে আছে। যেমন দুষ্ট, তেমন রাগী, ঠিক তার চেয়েও বেশি মর্মস্পর্শ দিয়ে মিষ্টি ভাবে ভালবাসতে জানে মেয়েটা।

ওর সাথে প্রথম যেদিন প্ল্যান প্রোগ্রাম করে আমার দেখা হয় সেদিন একদম ৩০মিনিট অপেক্ষা করে বসেছিলো মেয়েটা আমার জন্য, বিপরীতে আমার অপেক্ষা করানোর কারন ছিলো “জ্যাম”। সাধারণত আমরা যেখান টায় দেখা করতাম সেখান থেকে আমার বাসা কাছে হলেও দেরি টা আমার ই হতো। তবুও যতোবার ই আমি তৃনার চোখের দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসি দিতাম ঠিক ততোবার ই তৃনা হেসে ফেলে সব রাগ উড়িয়ে দিতো। যেদিন আমাদের আংটি বদল হয় তার আগের রাতে তৃনা আমাকে প্রমিজ করায় এই বলে যে “আর যাই হোক, আজকের দিনে যেনো আমি অপেক্ষা না করাই”। তৃনাদের বাসায় যাওয়ার জন্য সময় ঠিক করা হয়েছিলো দুপুর ১টা। অথচ তৃনার মুহুর্মুহু ফোন কলে যখন আমার ঘুম ভাঙলো ঘড়িতে তখন বেলা ১২টা বেজে গিয়েছে। সামু এখন কয়টা বাজে জানো?? হ্যা, কয়টা আর, সকাল ৮/৯টা হবে। ৮/৯টা মাই ফুট, এখন ১২টা বাজে, কখন আসবা তুমি?? এই দিনেও তোমার লেট হয়?? আজকে কি ঘুমের মধ্যে ট্রাফিক জ্যাম লেগেছিলো যে গ্রীন সিগন্যাল না দেয়ায় ঘুম ভাঙেনি??

না মানে,ইয়ে, তৃনা আমি গোসল করেই বের হচ্ছি তুমি এখন ই বের হবে, গোসল করতে হবেনা তোমার কি বলছো!! গোসল না করে তোমাকে আংটি পড়াতে যাবো!! চিহ, এটা হয় নাকি কেনো সারারাত কি গরুর হাটের জ্যামে পড়েছিলে যে শরীর থেকে গন্ধ বেরোচ্ছে আর সেই গন্ধে সবাই দৌড়ে পালাবে ছিহ ছিহ, না তা হবে কেনো সামু, আমি যা বলেছি তাই, এই মুহুর্তে বের হবি তুই, নাহয় তোরে পিটিয়ে আংটি বানায় সেই আংটি পড়বো আমি তৃনার এমন গরম সম্ভাষণ শুনে বুঝতে বাকি রইলোনা মামলা সিরিয়াস। তৃনা আমাকে আপনি,তুমি,তুই সব ভাবে ডাকে। কিন্তু ঠিক সেই মুহুর্তে তুই বেশি ডাকে যখন তৃনার মাথায় বোম ফুটে, আর তৃনার মাথায় বোম ফুটা মানে আমার জন্য ইনফিনিটি সংখ্যক বিপদ সংকেত দেখা। আর তাই কিছু না ভেবেই কোনোরকম ড্রেস পড়েই গাড়ীতে চড়ে বসলাম।

১টার বদলে তৃনাদের বাসায় যেতে যেতে ১.৩০ বাজলো। আংটি বদলের ঠিক আগ মুহুর্তে মেয়ে পক্ষ থেকে খবর এলো হবু বউ ছেলের সাথে আলাদা ভাবে কথা বলতে চায়। আমার মনে তো বাকবাকুম করা শুরু করলো, ভাবলাম আহ, হয়তো তৃনা কোনো রোম্যান্টিক কিছু বলার জন্য ডেকেছে, খুশি মনে আর নতুন জামাইর লজ্জামাখা মুখের ভাব নিয়ে তৃনার কাছে গেলাম ম্যাডাম আপনি আমায় ডেকেছেন জি স্যার, আপনাকে আমি ডেকেছি, কিন্তু হায় হায়, এ কি, ডাকার মাত্র ২মিনিটের মাথায় ই চলে এলেন, জ্যাম লাগেনি?? আপনার তো আমার সাথে দেখা করার সময় জ্যাম লেগে যায় আসার পথে, তাই ভাবলাম হয়তো ওই রুম থেকে এই রুমে আসতেও আপনার জ্যাম লেগে যাবে (তৃনার কথা শুনেই বুঝতে পারলাম যে মামলায় ফেঁসে গিয়েছি, কপালে রোমাঞ্চ তো আছেই তবে সেটা যে আদুরী রোমাঞ্চ না সেটা শিউর তাই কিছু না বলে চুপ হয়ে থাকলাম) কি হলো?? কথা বলছোনা কেনো তুমি?? স্যরি, আর হবেনা আর হবেনা মানে?? ওই তুমি কি আরো অন্য কাউকে বিয়ে করার জন্য আংটি পড়াতে যাবে নাকি যে আবারো এমন মুহুর্ত আসবে আর তখন তুমি এই ভূল শুধরে নিবে??

না সেটা বলছিনা, আর কি কিছুনা, তুমি আসলে কি জন্য ডেকেছো তৃনা বলো তোমাকে ডেকেছি হলো, আদর সোহাগের প্র্যাক্টিস করতে, কয়দিন পর তো তুমি আমার একদম পাক্কা স্বামী হবে, তখন তো তোমার কতো খেদমত করতে হবে আমার, তাই ভাবলাম আংটি পড়ানোর দিন ই সবার আগে একটু খেদমত করি, আজকে তো তুমি গোসল না করেই এসেছো, তাই এখন তোমাকে গোসল করিয়ে খেদমত করবো তৃনা দেখো এটা ঠিক না, কি বলছো এগুলো তৃনা আমাকে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই পাশে থাকা এক বালতি পানি আমার মাথায় ঢেলে দিলো, জামাই সাজে আসা পুরো ড্রেস ভিজে খিটখিটে হয়ে গেলো কি বলবো নিজেও বুঝতে পারছিলাম না আর ওদিকে তৃনা হাসতে হাসতে বলতে লাগলো “এই শাস্তির কথা মাথায় থাকে যেনো জামাই বাবু, আপনার জ্যাম এ থাকা অভ্যাস বাদ না দিলে বিয়ের দিন হাজার মানুষের সামনে শাস্তি দিবো,হুহ”। চুপসে যাওয়া বিস্কুটের মতো চুপচাপ ভিজা শরীর নিয়েই আংটি বদল করলাম সেদিন, মুরুব্বিরা চোখ বড় করে তাকাচ্ছিলো, বাচ্চারা টিপটিপ হাসছিলো, আর আমি রাগে ফুঁসছিলাম। ইতিহাসে হয়তো একমাত্র আংটি বদল যেখানে জামাইর সদ্য ভেজা শরীরে আংটি বদল করতে হলো।

আংটি বদল শেষে যখন চলে আসতে চাইবো তখন তৃনার আবারো ডাক, তৃনার পুনরায় ডাক শুনে আমার বুকের মধ্যে ৪৪০ ভোল্টের শক লাগলো, মনে মনে ভাবতে লাগলাম, প্রথমে তো ভিজালো, এবার কি ভিজা থেকে শুকনো করার জন্য আগুন এ ফেলবে নাকি দুরুদুরু পায়ে তৃনার রুমে যেতেই তৃনা আলতো করে দরজা চাপিয়ে আমার কাছে এলো আরো এক বালতি পানি নিয়ে, আমি কিছু বুঝে উঠার আগেই তৃনা পুরো এক বালতি পানি নিজের গায়ে ঢেলে দিয়ে লজ্জার মতো করে চোখ বুঝে ফেললো আর সেই মুহুর্ত টা ছিলো আমার জীবনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ মুহুর্ত, আমার দেখা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মেয়েটা শাড়ি পড়া অবস্থায় পানিতে ভিজে চোখ বুঝে দাঁড়িয়ে আছে, আর তার খোলা চুল বেয়ে টপটপ করে পানি পড়ছে, চোখের পাতা গুলোর সামনে পানি এসে ঝড়ে পড়ছে, এ যেনো এক অন্য ভুবন এর বাসিন্দার মতো লেগেছিলো সেদিন। তৃনা ঠিক এমন ই, যতোটুকু রাগ/অভিমান ওর মধ্যে আছে তার চেয়ে বেশি ভালবাসতে পারে মেয়েটা। যেই ভালবাসার মোহিনী বাধনে প্রতিটা মুহুর্তে বেধে রাখছে আমায়।

আমাদের বিয়ের পর প্রথম আমরা গ্রামে বেড়াতে গিয়েছিলাম যখন, সেসময় একদিন সন্ধ্যায় সবাই মিলে গল্প করছিলাম বাড়ির উঠোনে বসে, তৃনাও বিভিন্ন কথা বলে যাচ্ছিলো, হাসছিলো। হঠাৎ তৃনা আকাশের দিকে তাকিয়ে চুপ হয়ে গেলো, আমি আবার ভয় পেয়ে গেলাম তৃনার শরীর খারাপ হলো কিনা, অথচ আমাকে অবাক করে দিয়ে তৃনা আমার হাত ধরে এক ঝটকা টান দিয়ে আমাকে উঠিয়ে দৌড়াতে দৌড়াতে পুকুর পাড়ে গিয়ে দাঁড়ালো।
কিছুক্ষণ চুপ থেকে আমার হাত টা খুব শক্ত করে ধরে পুকুরপাড়ে পা দুটো ভিজিয়ে বসে আমার কাধে মাথা রাখলো।

একদিকে সূর্য ডুবতে থাকায় চারপাশ লাল হয়ে প্রকৃতির অকৃত্তিম সোভা পাচ্ছিলো, আর সেই লাল আলোয় লালচে হয়ে তৃনা পরম যন্তে আমার কাধে মাথা রেখে পানিতে পা ভিজিয়ে সূর্য ডোবা মুহুর্ত টা অবলোকন করতে লাগলো।
নিজের কাছে তখন মনে হতে লাগলো হয়তো ঠিক এই মুহুর্তটার জন্যই আমার বেচে থাকা, “সত্যিকারের ভালবাসা একটা ম্যাজিকের মতো, ম্যাজিক যেমন যে বুঝতে পারে তার কাছেই সবচেয়ে আকর্ষণীয় লাগে, তেমনি সত্যিকারের ভালবাসার বাঁধনে যারা জড়াতে পারে শুধু তারাই এর আসল অর্থ বুঝতে পারে”। ড্রেস চ্যাঞ্জ করতে করতে পুরোনো কথা গুলো মনে পড়ায় নিজে নিজে হেসে উঠলাম, ওদিকে বারান্দা থেকে আমার হাসির আওয়াজ শুনে তৃনা চিৎকার করে বলে উঠলো “ওই কুত্তা, আমার রাগ দেখে মজা লাগতেছে তাইনা?? এইজন্য মহাখুশি তে হাসি আসছে?? আমি হাসি থামিয়ে বারান্দায় তৃনার পাশে গিয়ে দাড়লাম উফফ, আজকের ওয়েদার টা খুব বেশি গরম তাইনা তৃনা??

গরম চুবিয়ে পানি খান আপনি গরম চুবিয়ে পানি খাওয়ার রেসিপি পারেন আপনি?? যাক, কি সৌভাগ্য আমার, তাও তো একটা কিছু রান্না করতে পারে আমার বউ তৃনা আমার দিকে আড় চোখে অগ্নিদৃষ্টি দিলো শুনুন সব কিছুর কিন্তু একটা বিপরীত সাইড থাকে, এই যেমন, আপনি এতো ফাস্ট, আর আমি একটু আরামপ্রিয় আরামপ্রিয় না, হুহ, আপনি একটা জ্যামপ্রিয় এহেম এহেম!! আরামপ্রিয়ই নাকি জ্যামপ্রিয় যেটাই হই না কেনো, বিপরীত সাইড কিন্তু আছে সবকিছুর, এখন যেমন গরম পড়ছে, দেখবেন কিছুক্ষণ এর মধ্যেই বৃষ্টি পড়ে সব ঠান্ডা হয়ে যাবে হয়েছে, এখন আপনার ভবিষ্যৎবানী দিতে হবেনা তৃনার কথা শেষ না হতেই এক পশলা দমকা হাওয়া এসে তৃনার চুল গুলো এলোমেলো করে দিলো, তৃনার ভ্যাবাচেকা খাওয়া মুখ টা ঠিক সদ্য জন্মা শিশুর মতো মনে হচ্ছিলো। ভবিষৎবাণী টা আমার না, গত দুদিন ধরেই ওয়েদার এপ্স থেকে আজ বৃষ্টির কথা বলা হচ্ছিলো, সারাদিন যেহেতু হয়নি তাই রাতে বৃষ্টি হওয়াটাই স্বাভাবিক। আমি শুধু টোপ দিয়েছিলাম এই সূত্র ধরে, তৃনা সেই টোপে আটকে পড়ে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে আমার দিকে সেই চিরচেনা চাহনী, আমি একটু হাসতেই তৃনা নিচের দিকে তাকিয়ে হেসে দিলো।

তৃনা কে নিয়ে বাসার ছাদের ঠিক মাঝ জায়গায় টায় গিয়ে দাঁড়ালাম। আকাশে চাঁদ আছে, মেঘ আর চাঁদ হালকা লুকোচুরি খেলছে, সেই সাথে তাল মিলিয়ে বাতাসের দোলায় তৃনার চুল গুলো মুখের সামনে এসে যেনো আমার সাথে লুকোচুরি খেলছে, হাত দিয়ে তৃনার চুল গুলো সরিয়ে কানের ভাজে গুজে দিলাম। তৃনার চোখ যেনো এক স্বর্গীয় সৌন্দর্যসম্ভোগ এ ভরে উঠলো, মেয়েটা কিছুটা লজ্জাও পাচ্ছে হয়তো, অপলক দৃষ্টিতে চেয়ে থেকে তৃনার ঠোট দুটোয় আলতো করে পবিত্র স্পর্শ ছুঁয়ে দিতেই আকাশ বেয়ে বৃষ্টি পড়তে লাগলো, প্রকৃতিও যেনো পবিত্র ভালবাসার স্বাক্ষী হয়ে তার উপস্থিত জানিয়ে দিলো  সামু তৃনা দুজনের মন একসাথে বলে উঠলো “ভালবাসা গুলো এগিয়ে চলুক এভাবেই, এর চেয়েও ভালভাবে।

গল্পের বিষয়:
ভালবাসা
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত