ডিং..ডং কলিংবেল চাপলো আবিদ। এটা ওর ছোট খালার বাসা। অফিসে থাকাকালীন সময়ে খালা ফোন করে আসতে বলেছিল। যাইহোক, একটুপরে দরজা খুলে দিল মিথিলা। মিথিলা আবিদের খালার মেয়ে। এবার অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে। কোন এক কারনে আবিদকে একদমই সহ্য করতে পারেনা ও। দরজা খুলেই আপনি এখানে কেন এসেছেন?? না মানে, খালা আসতে বলেছিল। আচ্ছা।
ভেতরে আসুন। ওরা দুজন ভেতরে ঢুকে। আবিদ গিয়ে ড্রইংরুমের সোফায় বসে। আবিদ পড়াশোনা শেষ করে এখন মোটামুটি স্যালারির একটা চাকরি করছে। ওর বয়স যখন আট, তখন ওর বাবা মা দুজনেই একটা মারাত্মক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। ওর চাচারা ওকে বাড়তি ঝামেলা মনে করে এতিমখানায় দিয়ে আসে। সেখানে খুব কষ্টে দিন যাচ্ছিল আবিদের। পরে ছোট খালা ওকে তাদের বাড়িতে আনেন। এখানেও খালা ছাড়া বাঁকি সবাই কেমন করে যেন দ্যাখে আবিদকে। প্রথম প্রথম খারাপ লাগলেও এখন গা সওয়া হয়ে গেছে।
আবিদ এখন ছোট একটা বাসা নিয়েছে। তবে মাঝেমাঝে এসেই খালাকে দেখে যায় ও। আবিদ, এসেছিস বাবা? খালা এসে বলে হ্যা মা। (আবিদ ওর খালাকে মা বলে) তুমি বললে যে, কি যেন দরকার আছে। এই যে হ্যালো। উনি আমার মা okk. ডাকার হলে খালা বলে ডাকবেন। (মিথিলা) এই কথাটার উত্তর দেয়না আবিদ। মাথা নীচু করে থাকে। চুপ। পাঁজি মেয়ে। তুই সবসময় ওর সাথে এরকম করিস কেন? (খালা) তারপর আবিদকে বলে আজ বরপক্ষ মিথিলাকে দেখতে আসবে। তাই তোকে আসতে বলেছি। শুনে একটু থমকে যায় আবিদ। কেননা, ও যতই বকাবকি কিংবা দুরে ঠেলুক। এই মেয়েটাকে কিছুতেই ঘৃণা করতে পারেনা। মনে মনে অনেক ভালোবাসে ও মিথিলাকে। ও আচ্ছা। কিন্তু মিথিলা বলে এসব পারিবারিক ব্যাপারে বাইরের লোক থাকা কি খুব জরুরী??? এই কথাটাতে ভিষন কষ্ট পায় আবিদ।
কিন্তু ঠিকইতো। ওতো একটা বাইরের লোকই। খালা মিথিলাকে বকা দেয়। আর বলে তুই কিছু মনে করিস না বাবা। তুইতো জানিসই ও এরকম। না মা। আমি কিছু মনে করিনি। সন্ধার দিকে বরপক্ষ এল। ছেলে বড় ডাক্তার। দেখতেও অনেক হ্যান্ডসাম। এক কথায় অল-স্কয়ার। মিথিলা আজ শাড়ি পরেছে। অনেক সুন্দর লাগছে ওকে। কিন্তু আফসোস! ও আবিদের ভাগ্যে নেই। ভাবতেই বুকের বামপাশটা চিনচিন করে ওঠে। মিথিলাকে ওদের খুব পছন্দ হয়। অবশেষে বিয়ের দিনক্ষণ পাকা করে মেহমানরা বিদায় হন। আবিদও বাসায় চলে আসে। আর সারাদিনের Happenings গুলো লিখে রাখে। দেখতে দেখতে বিয়ের দিনটা চলে আসে। সারাবাড়িতে অনেক তোড়জোড়। সকল প্রস্তুতি শেষ হবার পর বরপক্ষেরর আসতে দেরি হওয়াতে ফোন দেয়ায় বলে, তারা আসছেন না। মিথিলাকে নাকি তাদের বাড়ির বউ করা সম্ভব না। এটা শুনে খালুর স্ট্রোক হয়। খালাও প্রচন্ড কাঁদতে থাকে।।
অানন্দেপুর্ণ বাড়িটা হঠাৎই কেমন যেন নরকের রুপ নেয়। হঠাৎ খালা এসে আবিদকে বলে আবিদ তুই মিথিলাকে বিয়ে কর বাবা। কিন্তু মা কোন কিন্তু না। দেখছিসতো তোর খালুর অবস্থা। বিয়েটা নাহলে পাড়ায় মুখ দেখানো দায় হয়ে যাবে। মানুষটা এগুলো সহ্য করতে পারবেন না। বলেই কাঁদতে থাকে। কিন্তু মিথিলা??? অবশেষে একটা ঘোড়ের মধ্যেই বিয়ে হয়ে গেল মিথিলা আর আবিদের। মিথিলা এখন আবিদের খাটে বসে আছে। একটুপরে আবির আসলো দেখুন, আপনাকে আমি কখনোই স্বামী হিসেবে মানতে পারবোনা। আর যদি আপনি আপনার অধিকার ফলাতে আসেন তাহলে আমি আত্মহত্যা করব। তুমি নিশ্চিন্তে থাকো। আমার কাছ থেকে তুমি সেফ। মিথিলা একটা কাঁথা আর বালিস নিয়ে চলে যাচ্ছিলো। কোথায় যাচ্ছো? বাইরে শুতে। আপনি কি ভাবলেন? আমি আপনার সাথে বাসর রাত সেলিব্রেট করব??? তোমার যেতে হবেনা। আমি বাইরে শুচ্ছি। তুমি এখানে শুয়ে পড়ো।
পরদিন সকালঃ আবিদ ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে ব্রেকফাস্ট আর চা বানায়। চা টা ঘরে দিয়ে আসতে গিয়ে বারকয়েক দরজা নক করে। কিন্তু মিথিলার কোন শব্দ নেই। দরজা ঠেলে ভিতরে ঢুকতেই দেখে একদম বাচ্চাদের মত ঘুমে কাঁদা হয়ে আছে। ডাকবেনা ডাকবেনা করেও সাহস করে ডাক দিয়েই ফেলে মিথিলা মিথিলা উমম। উঠছি মা। আরেকটু আমি আবিদ এটা শুনেই লাফ দিয়ে উঠে বিছানায় বসে ও। আপনি? আপনি না বলে আমার রুমে ঢুকেছেন কেন??? তো তোমাকে ডাকতে। সরি। ভুল হয়ে গেছে আর হবেনা। হুমম। তোমার চা রেখে যান। সকালে ব্রেকফাস্ট করে, মিথিলারটা বেড়ে রেখে ও অফিসে যায়। দুপুরে লাঞ্চ অাওয়ারে মিথিলাকে ফোন দেয় হ্যালো খেয়েছো?? হ্যা খেয়েছি। আর শুনেন, বাহানা বানিয়ে আমাকে কল দেয়ার কোন দরকার নেই। আচ্ছা।
কিন্তু তারপরেও আবিদ বারবার ওকে ফোন করে ওর খোঁজ খবর নেয়। এতে মিথিলা চরম বিরক্ত হয়। অফিস থেকে আসার সময় প্রায়ই ফুচকা,ঝালমুড়ি,ফুল এনে রাখে। কিন্তু মিথিলা ওগুলো ছুঁয়েও দ্যাখেনা। এভাবেই কেটে যায় দুমাস। আজ শুক্রবার। আবিদের অফিস ছুটি। ও ঘুম থেকে উঠে দেখে মিথিলা এইমাত্র গোসল করে বেরিয়েছে। কালো একটা শাড়ি পড়েছে। ভেজা চুলগুলো একপাশে নিয়ে মুছছে। অসম্ভব মায়াবতী লাগছে ওকে। এসব দেখে আবিদ একটা ঘোরের মধ্যে থেকেই মিথিলাকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে গালে একটা চুমু দিয়ে দেয় ঠাসসসসস সাথে সাথে ঘুরে চড় মেরে দেয় আবিদকে। আপনার সাহস কি করে হয় আমাকে টাচ করার? বিয়ে করেছেন বলে যা খুশি তাই করবেন? একটা মেয়ের অনুমতি ছাড়া যে তার গায়ে হাত দেয়া উচিৎ নয় সে শিক্ষাটুকুও নেই? হুহ! থাকবেই বা কিভাবে। যার বাবা-মা ই নেই সে এসব শিক্ষা কোথায় পাবে।
একথায় আবিদ অনেক কষ্ট পায় যেন আকাশটা ভেঙ্গে তার বুকে পড়েছে৷আর সেই ভার আবিড সহ্য করতে পারছেনা৷খুব জোড়ে চিৎকার করে কাদতে ইচ্ছা করছিল আবিদের কিন্তু কান্নাটাকে চাপা দিয়ে রাখল। সেই-তো।
দুনিয়াতে তো আপন বলতে তো ওর কেউ নেই। মুহুর্তেই ও অনুভব করে, আল্লাহ্-র এত বড় দুনিয়াতে ও বড় একা। যাও এতদুর এসেছে তা অন্য মানুষের সহানুভুতিতে। ওদিকে মিথিলা বলেই চলেছে আপনার সাথে এক ছাদের নিচে থাকা আমার পক্ষে সম্ভব না। আমার দম বন্ধ লাগে। আমি ডিভোর্স চাই। আবিদ চমকে উঠে। যাকে ও এত ভালোবাসে সে আজ মুক্তি চাইছে। তার কাছ থেকে দুরে যেতে চাইছে। কিন্তু এতে যদি ও ভালো থাকে তাতে মানা করতে পারেনা আবিদ। ভাবতেই ওর দুচোখ ভিজে আসে। আস্তে করে বলে ঠিক আছে। এভাবে এক সপ্তাহ চলে যায়। এখন আর আবিদ মিথিলাকে ডিস্টার্ব করেনা। একবাসায় থাকলেও ওদের দেখা হয়না। মিথিলা ঘুম থেকে উঠার আগেই অফিসে চলে যায়। আসে ও ঘুমানোর পর। আগের মত আর ফোন করেনা মিথিলাকে। আশ্চর্যের ব্যাপার মিথিলা এখন এগুলোই মিস করে। সারাদিন আবিদের একটা ফোন কলের জন্য wait করে। কিন্তু আবিদ ফোন করেনা। আর ইগোর জন্য ও ফোন করেনা।
আচ্ছা আবিদ সত্যি সত্যি ওকে ডিভোর্স দিবে নাতো? কিন্তু ও নিজেইতো ডিভোর্স চেয়েছে। তাহলে এত কষ্ট হচ্ছে কেন? আচ্ছা, ও কি আবিদকে ভালোবাসে? কি জানি? ফোনটা হাতে নিয়ে কল করবেনা করবেনা করেও করেই ফেললো আবিদ রিসিভ করে হ্যালো চুপ করে আছে হ্যালো কিছু বলবেন? আবিদ ওকে আপনি করে বলছে? এটা ভেবে রাগ হয় ওর। ও বলে ডিজিট ভুল হওয়াতে আপনার কাছে কল গেছে। তাছাড়া আমার বয়েই গেছে আপনার কাছে কল দিতে। ও আচ্ছা। It’s ok. মিথিলা ফোন রেখে দেয়। আর ভাবতে থাকে, আরেকটু কথা বললে কি হত? আজ মিথিলা রান্না করছে। আবিদের জন্য। ওর বরের জন্য। এটা ভাবতেই ওর ঠোঁটের কোনে একটা লাজুক হাসি খেলে যায়। আজ ও আবিদের কিনে দেয়া একটা শাড়ি পড়েছে। বিয়ের পরে এই প্রথম ও আবিদের দেয়া কিছু পড়ল।
রান্না বান্না শেষ করে ও খাবার টেবিলে আবিদের জন্য wait করতে লাগল। আজ ও সুন্দর করে সেজেছে। আবিদের জন্য।এটা ভাবতেই আবারো একটা সলজ্জ হাসি ওর ঠোঁটে ফুটে উঠলো। অপেক্ষা করতে করতে একসময় সে ডায়নিং চেয়ারে বসেই ঘুমিয়ে পড়লো রাত এগারোটা ত্রিশে আবিদ ডুপ্লিকেট চাবিদিয়ে ভেতরে ঢুকে অবাক হয়ে যায়। মিথিলা ডায়নিংয়ে ঘুমুচ্ছে? ও কি ওর জন্য wait করছিল? ওর কি ওকে ডাকা উচিত? তার আর দরকার ছিলনা। ডোরনবের হালকা শব্দেই মিথিলা জেগে ওঠে আপনি এসেছেন? যান ফ্রেশ হয়ে খেতে আসুন। আবিদের খুব ভালো লাগছে। মিথিলা ওর জন্য রান্না করেছে। কিন্তু ও ওর ইগোর কাছে হার মানলো। আমি বাইরে খেয়ে এসেছি। বলেই ও রুমে চলে গেল। মিথিলার প্রচন্ড মন খারাপ হলো। ও না খেয়েই ঘরে চলে গেল। গিয়ে দেখে আবিদ শুয়ে পড়েছে। ও ওর পাশে গিয়ে শুয়ে পড়ে।
উকিলকে বলা আছে। কিছুদিনের মধ্যেই পেপার রেডি হয়ে যাবে। আলাদা যখন হতেই হবে তখন আর মায়া বাড়িয়ে লাভ নেই। বলে আবিদ মুখ ঘুড়িয়ে নেয়। মিথিলাও মুখ ঘুড়িয়ে নেয়। দুজনের চোখেই পানি পরদিনঃ মিথিলার ফোন বাজছে। আবিদ কল দিয়েছে? ও প্রচন্ড খুশি হয়। রিসিভ করতেই সরি সরি কেন? আপনাকে ফোন দিয়ে বিরক্ত করার জন্য। আসলে খুব জরুরি দরকারে ফোন করেছি। না ঠিকাছে। কি দরকার বলুন? আলমারিতে কালো রংয়ের একটা ফাইল আছে। ভুলে ফেলে এসেছি। ওটা খুব দরকার। একটু যদি দিয়ে যেতেন আমার অফিসে, তাহলে উপকার হতো। আচ্ছা আমি আনছি। ফাইল খুঁজতে গিয়ে একটা ডায়রি পায় ও। ডাইরিটা রেখে তাড়াতাড়ি ফাইলটা দিয়ে এসে ডায়রি খুলে বসে।
ডায়রিটা পড়ে ও বুঝতে পারে আবিদ ওকে ছোটবেলা থেকেই পছন্দ করে। ডায়রির শেষ লেখাটা গতকাল রাতের ডিভোর্সের কথা বলায় আবিদে চোখে পানি ছিল৷এটা ভেবে ও খুশি হয় মিথিলা খুব খুশি হয় কারন আবিদ ওকে অনেক ভালবাসে এটা সে জেনে গেছে। রাতে, একটা পেপার এনে আবিদ মিথিলার হাতে দেয় এই নিন। কি এটা? যেটা আপনি চেয়েছিলেন। ডিভোর্স পেপার। নিন ধরুন। সই করে মুক্ত হয়ে যান। মিথিলার চোখ দিয়ে পানি পড়ছে। আবিদ কথাগুলো অন্যদিকে তাকিয়ে বলল। হয়ত ওও কাঁদছে। মিথিলা কাঁপা কাঁপা হাতে পেপারটা নিল। আবিদ ভেবেছিলো, মিথিলা শেষ মুহুর্তে হলেও নাকচ করবে। কিন্তু এবার আর ও নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারলো না। হু হু করে কেঁদে দিল আমাকে ছেড়ে যেওনা মিথিলা। আমি বড্ড একা। নিজের বলতে তো তুমিই আছো। ছোটবেলা থেকেই মানুষের অবহেলাতে বড় হয়েছি। খুব কষ্ট হতো জানো।
মাঝেমাঝে অবহেলা গুলো এত খারাপ লাগতো যে, মনে হতো এতিম হয়ে থাকার চেয়ে মরে যাওয়া ভালো। আর আজ যখন তোমাকে নিয়ে বাচার স্বপ্ন দেখলাম, একটু ভাল থাকার আশা করলাম। সেই তুমি চলে যাচ্ছো। একটু ধাতস্থ হয়ে যাও। তোমাকে আটকাবোনা। তুমি তোমার মতো করে জীবনে সুখী হও সে দোয়াই করি। পেপারটাতে সই করে দাও। উকিল সাহেবের কাছে পৌঁছাতে হবে এটা। মিথিলা কেঁদে চলেছে। হঠাৎই পেপারটা ছিড়ে ফেলে দৌড়ে এসে আবিদকে জড়িয়ে ধরে। আমাকে মাফ করে দাও আবিদ। আমি তোমাকে অনেক কষ্ট দিয়েছি। আমাকে মাফ করে দাও প্লিজ। উত্তরে আবির শুধু ওকে জড়িয়ে ধরে। এতক্ষণে ওদের দুজনের চোখেই কষ্টের পানি কনভার্ট হয়ে আনন্দের। পানি হয়ে ঝড়ছে।
আমি তোমাকে ভালোবাসি আবিদ আমিও আবিদ মিথিলার কপাল,গাল থেকে চুল সরিয়ে দেয়। চোখের পানিতে ওগুলো লেপ্টে আছে। চুল সরিয়ে ওর কপালে চুমু দিয়ে জড়িয়ে ধরে। চলতে থাকে তাদের জীবন সংসার। আবিদ অফিসে কাজ করছে। ওদিকে মিথিলা ফোন দিছে এই শোনোনা কি বাাসায় আসার সময় আচার আনবা। পরশুই না আনলাম শেষ হয়ে গেছে কিইইইই!!! হুমম। উফফ! এত প্রশ্ন কর কেন? আনতে বলছি আনবা। ব্যাস। বলেই ফোন কেটে দেয়।
আচ্ছা এই মেয়েটার হল কি? অসুখ-বিসুখ করলো নাতো? তেতুল, জলপাই হাবিজাবি আচার নিয়ে সন্ধায় বাসায় আসলো আবিদ। এই তোমার কি হইছে বলতো? এত আচার খাচ্ছো কেন? তুমি জানোনা কখন মেয়েরা এত্ত আচার খায়? না তো। বুদ্ধু যা বাবা। এইটা না জানাতে বুদ্ধু হয়ে গেলাম? রাতে শোবার পর। মিথিলা আবিদের বুকে মাথা রেখে আবিদ হুমম একটা দারুণ খবর আছে আমার কাছে। হুমম। কি সেটা? Guess কর। উমম সন্ধায় আনা অাচাড়গুলো সাবাড় করে ফেলেছো right? এটা শুনে আবিদের বুকে কামড় দেয় ও।
আউউউউচ! তাহলে কি? এবার মিথিলা একটু লজ্জা পায় আর বলে আবিদ হুমম ইভা আসছে আমাদের মাঝে। আবিদ প্রথমে বুঝতে পারেনা। তারপর ওর মনে পরে “ইভা” নামটাতো ডায়রিতে লেখা ছিল। ওদের মেয়ের নাম ইভা রাখবে। তারমানে আবিদ মিথিলাকে জড়িয়ে ধরে। তার চোখে পানি। Thanks মিথিলা। এবারে সত্যি সত্যি আমাদের পরিবারটা পুর্ণ হলো।
উত্তরে মিথিলা আবিদের চোখের পানি মুছিয়ে ওর গালে চুমু দিয়ে জড়িয়ে ধরলো।আর আবিদ তখনই বলল এতদিন পর আমি আমার সংসারকে খুজে পেয়েছি ভালো থাকুক ওরা,ভালো থাকুক আবিদের সাজানো সংসার৷