জুনায়েদঃ ভালোবাসি তোমায় খুব সুপ্তি।
সুপ্তিঃ এই কথা কত দিন ধরে শুনবো আমি ?
জুনায়েদঃ প্লিজ আমায় ক্ষমা করে দাওনা প্লিজ।
সুপ্তিঃ পারবনা প্লিজ আমার সামনে থেকে সরে যাও।
জুনায়েদঃ প্লিজ সুপ্তি আমাকে ক্ষমা করে দাও ( ওর পায়ের কাছে পড়ে )
সুপ্তিঃ এই ন্যাকা কান্না বন্ধ করো প্লিজ।
জুনায়েদঃ আমি সত্যি তোমায় খুব ভালোবাসি , এমন করলে আমাদের বেবির কি হবে ?
সুপ্তিঃ সেটা নিয়ে তোমাকে ভাবতে হবেনা।
জুনায়েদঃ প্লিজ সুপ্তি আমার কথা টা একবার শোনার চেষ্টা করো প্লিজ।
সুপ্তিঃ তোমার মত এতো বেহায়া মানুষ আমি আর একটাও দেখি নাই। ( বিরক্তি সুরে )
জুনায়েদঃ তুমি কি সত্যি আমায় স্বামী হিসাবে মানোনা ?
সুপ্তিঃ হুম মানিনা।
জুনায়েদঃ তাহলে তোমার গর্ভে আমার সন্তান কেনো ?
সুপ্তিঃ সেটা আমার ইচ্ছে হয়েছিলো তাই আর এর বদলে তুমি অনেক টাকা পাবে।
জুনায়েদঃ টাকা দিয়ে কি সব পাওয়া যায় ?
সুপ্তিঃ হ্যা সব পাওয়া যায় আর আমি টাকা দিয়ে সব করতে চাই। ( চীৎকার দিয়ে )
জুনায়েদঃ তুমি এখন ঘরের ভেতর আছো আমি হারিয়ে গেলে সব বুঝবে সেই দিন কিন্তু আমাকে পাবেনা (কান্না করে)
সুপ্তিঃ আমি কিছু বুঝবো না আমি অনেক ভালো থাকবো।
জুনায়েদঃ আমি চলে গেলে কি তুমি অন্য কাউকে বিয়ে করবে ?
সুপ্তিঃ না আমি আর কাউকে বিয়ে করে আমার লাইফ টাকে শেষ করতে চাইনা , এমনি লাইফ টা শেষ হয়ে গেছে।
জুনায়েদঃ আমাকে বিয়ে করে তোমার লাইফ টা শেষ হয়ে গেছে ?
সুপ্তিঃ হুম আর এমন টা আর চাইনা।
জুনায়েদঃ ওকে আমি চলে যাচ্ছি , একদিন আমার জন্য তোমাকে কান্না করতে হবে।( কান্না করছে )
সুপ্তিঃ হাহাহা সেটা কখনোই হবেনা। আর তুমি যেতে পারো।
জুনায়েদঃ ওকে ভালো থেকো।
সুপ্তিঃ ওকে বাই।
জুনায়েদ চলে গেলে সুপ্তির কাছে থেকে ওহ এদের পরিচয় টা আপনাদের দেই সুপ্তি হলো বড়লোক বাবা মার একমাত্র মেয়ে আর জুনায়েদ হলো এক মধ্যবিত্তো ঘরের সন্তান। জুনায়েদ ছেলে টা অনেক ভালো কারন ওর কোনো খারাপ রির্পোট নেই আর সুপ্তি একটু রাগি টাইপের আর জেদি।
জুনায়েদ কে গ্রামের সবাই পছন্দ করে কারন জুনায়েদ অনেক শান্ত একটা ছেলে। তাই সুপ্তির বাবাও পছন্দ করেছিলো আর সুপ্তির সাথে বিয়ে দিয়েছে কিন্তু এই বিয়েতে সুপ্তির মত ছিলোনা কিন্তু বাবার বাধ্য মেয়ে তাই বিয়েটা করেছে। সুপ্তি মেয়েটাও ভালো কিন্তু একটু জেদি টাইপের এই আরকি। ওদের বাসর ঘর ছিলো এক রক্তময় বাসর ঘর আর সেটা ঘটিয়েছিলো সুপ্তি। জুনায়েদ বাসর ঘরে ঢুকে দোরাজা আটিকে কেবল সুপ্তির ঘোমটা টা তুলেছে আর সেই সোজরে একটা চড় মেরেছে জুনায়েদের গালে সুপ্তি। এমন জোরে চড় মেরেছে যে জুনায়েদের মুখ দিয়ে অঝরে রক্ত ঝরছে। তাদের বাসর ঘরের ফুল ছিলো কিন্তু তা কিছুক্ষন পরে রক্তাক্ত ফুল হয়ে গেছিলো। চড়ের আঘাতে মুখের ভেতরে অনেকটা কেটে গেছিলো তাই অনেক রক্ত ঝরছিলো। এটা দেখে সুপ্তির একটু মায়া হয়নি। জুনায়েদ তার গাল ধরে বসে ছিলো আর চোখে মন খারাপের পানি নিয়ে।
আর এভাবেই কাটতে থাকে তাদের প্রতিটা দিন। সুপ্তি জুনায়েদের সাথে বাইরে খুব ভালো ব্যবহার করে কিন্তু রুমের ভেতর অনেক খারাপ ব্যবহার করে। এই জুনায়েদ কিছু বলেনা কারন সুপ্তি কে অনেক ভালোবেসে ফেলেছে। আর সুপ্তি জুনায়েদের ২ বছরে সিনিয়র। সিনিয়র হলে কি হবে জুনায়েদ তো তাকে মন প্রান দিয়ে ভালোবেসেছে।
কোনো এক রাতে জুনায়েদের সাথে সুপ্তি মিশে যায়। সেই দিন জুনায়েদ মনে করেছিলো সুপ্তি মনে হয় এতো দিন অভিনয় করেছে। আজকে তাকে ভালোবেসেই কাছে এসেছে। জুনায়েদের সাথে সুপ্তি অতি ঘনিষ্ট এক রাত কাটায় আর এটাই জুনায়েদ তার ভালোবাসার আশা দেখেছিলো। সেই রাত ছিলো স্বামী স্ত্রীর এক মধুর রাত কিন্তু সেটা শুধু সকাল পর্যন্ত ছিলো। সুপ্তি আবার আগের মতো হয়ে যায়। সে রাতের কথা ভুলে যায়। কিছুদিন যাওয়ার পরে সুপ্তি বুঝতে পারে তার গর্ভে জুনায়েদের বেবি। তারপরেও সুপ্তি ভাবলো এইবার জুনায়েদের হাত থেকে বাঁচার সহজ উপাই। সুপ্তি একটা বুদ্ধি খাঠালো যে অন্য কোনো একটা মেয়েকে দিয়ে জুনায়েদের নামে খারাপ কিছু করবে তারপর সুপ্তির বাবা আর কিছু তাকে বলতে পারবেনা। কিছু দিন পর সুপ্তি তার বাবার বাসায় চলে যায় আর সেই দিন রাতে জুনায়েদের বাসায় একটা মেয়েকে পাঠায় আর কিছুক্ষন পরে সুপ্তি ওর ছোট ভাইকে বলে যে তোর দুলাভাইকে ডেকে নিয়ে আই।
এই দিকে সেই মেয়েটা এসে জুনায়েদের সাথে খারাপ কাজ করার চেষ্টা করে কিন্তু জুনায়েদ তাতে রাজি হয়না তাই। মেয়েটা দেখতে পাই সুপ্তির ভাই আসছে এই বাসায় আর তখন মেয়েটা তার শরীরের জামা কাপড় সব খুলে ফেলে আর জুনায়েদ কে জড়িয়ে খাটের ওপর ফেলে দিয়ে জড়িয়ে ধরে থাকে কিন্তু জুনায়েদ কিছু বোঝে উঠার আগেই সুপ্তির ভাই এসে নিজ চোখে এই সব দেখে ফেলে। আর সুপ্তির বাবাকে সব বলে দেই। সুপ্তির বাবা এটা বিশ্বাস করতে চাইলো না কিন্তু সুপ্তির ভাই আর ঐ মেয়েটা অনেক কিছুই বললো। এই দিকে সুপ্তিও বললো তোমার জামাইয়ের খারাপ অভ্যাস আছে। সুপ্তির বাবা কিছু বলেনা কারন বুঝতে পেরেছে এটা তার মেয়েই ঘটিয়েছে। সুপ্তি তার বাসায় গিয়ে অনেক দিন আসেনি জুনায়েদের কাছে বলেছে অমন খারাপ মানুষের কাছে আমি জাবোনা। জুনায়েদ প্রতিদিন যেতো তাকে আনতে , এমন কি সুপ্তির পা ধরতে বাদ থাকতো না কিন্তু সুপ্তির মন একটু গলাতে পারেনাই। আজকেও গিয়েছিলো সুপ্তি কে নিজের করে আনতে কিন্তু সুপ্তি যা বললো ওপরে আপনারা তো পড়লেন। জুনায়েদ চলে যায় সুপ্তির কাছে থেকে অনেক দূরে।
অনেক দিন হয়ে গেলো জুনায়েদ আর আসেনা সুপ্তি কে নিতে। সুপ্তি জুনায়েদ কে মিস করতে লাগলো , মিস করতে লাগলো তার সাথে কাটানো সব মুর্হত্ব কে। জুনায়েদের বাসায় যায় কিন্তু জুনায়েদ কে পাইনা। জুনায়েদের বাবা বলে জুনায়েদ কোথায় গিয়েছে তারাও জানেনা। ফোন নাম্বার গুলোও সব বন্ধ পাই। দিনে দিনে জুনায়েদের জন্য সুপ্তির মন টা ব্যাকুল হতে থাকে। জুনায়দের কথা খুব মনে পড়ে কিন্তু জুনায়েদের খবর সেই পাইনা গর্ভে জুনায়েদের বেবি আর জুনায়েদ কে ভালোবেসে কষ্ট পাওয়া এটা নিয়ে এখন জীবন চলছে। কিছুদিন যাওয়া পরে সুপ্তির হটাৎ প্রসব ব্যাথা উঠে হাঁসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরে যমজ সন্তান হয়। একটা মেয়ে আর একটা ছেলে। পিচ্ছি বাবু দুটা সুস্থ ছিলো কিন্তু সুপ্তির জীবন টা নিয়ে টানাপড়া লেগে যায়। ডাক্তার সুপ্তিকে ২৪ ঘন্টা ঘুমিয়ে রাখে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে । সুপ্তির স্যান্স ফিরে কিন্তু সুপ্তি জুনায়েদ কে খুজতে থাকে জুনায়েদের সাথে যা ঘটেছে সব বললো ওর বাবা কে। এটা জানার পর তার নিজেকে অনেক নিচ মনে হচ্ছে কারন তার মেয়ে একটা ছেলের জীবন নষ্ট করে দিয়েছে। সুপ্তি কে কিছু বলতে পারেনা তার বাবা কারন সুপ্তি এখন অনেক অসুস্থ আর যদি কিছু বললে সুপ্তি কিছু খারাপ কিছু করে ফেলে।
এটা জানার পরে সুপ্তির বাবা অনেক খুজে কিন্তু জুনায়েদ কে কোথাও পাইনা। এই দিকে জুনায়েদ জুনায়েদ করতে করতে সুপ্তি এক প্রকার পাগল হয়ে যায়। দেখতে দেখতে ছেলে মেয়ে গুলো বড় হয়ে গেলো তাদের বয়স এখন ৪বছর। মেয়েটার নাম মারিয়া আর ছেলেটার নাম মূসা ইব্রাহিম রেখেছে। কোনো একদিন জুনায়েদ বলেছিলো তার ছেলে মেয়ের নাম এই নামে রাখবে। আর সুপ্তি সেই নাম ২টাই রেখেছে। তারা এখন কথা বলতে শিখেছে মা মা বা নানা দাদা বলে পুরা বাড়ি মাতিয়ে বেড়াই কিন্তু যখন ওরা বাবা বলে ডাকে তখন সবার ম খারাপ হয়ে যায় আর এই দিকে সুপ্তি ছেলে মেয়ের মুখে বাবা ডাক শুনে চিৎকার করে কান্না করে। পিচ্ছি গুলো তার মায়ের কান্না দেখে বলে আম্মু কান্না করছো কেনো কিন্তু সুপ্তি জানা নেই এটার উত্তর।
সুপ্তি দিন একদম সুকিয়ে যাচ্ছে না খেয়ে। এখন সুপ্তি আর আগের সুপ্তি নেই। যেই সুপ্তি কে দেখলে চোখ ফেরাতে মুসকিল ছিলো সেই সুপ্তি এখন এক রুগ্ন রুগি হয়ে গেছে। সুপ্তির চুল দেখে জুনায়েদ প্রেমে পরে গেছিলো প্রথম দেখায় সেই চুল আর আগের মত নাই। সুপ্তি এখন বুঝতে পারে কত টা আঘাত পেয়ে জুনায়েদ তার জীবন থেকে একদম দূরে সরে গেছে। এই ভাবে যাচ্ছিলো সুপ্তি জীবন হটাৎ একদিন অসুস্থ হয়ে পড়ে। কুষ্টিয়া সদর হাঁসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। ডাক্তার দেখে বলে সুপ্তির পেটে টিউমার হয়েছে তাই যত তাড়াতাড়ি অপরেশন করতে হবে আর ৩ ব্যাগ রক্ত লাগবে এবি+। তাই আপনারা যত তাড়াতাড়ি রক্ত যোগাড় করেন। অনেক খোজার পরে এক ব্যাগ রক্ত যোগার করতে পেরেছে। আর এই দিকে সুপ্তিকে অপরেশন রুমে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। রক্ত খুজতে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়া হয় কিন্তু কোথাও পাইনা অবশেষে। একজন দিতে রাজি হয়েছে সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসার।
তিনি ব্লাড রুমে রক্ত দিচ্ছেন তখনি ডাক্তার বললো আপনি যেই রুগি কে রক্ত দিচ্ছেন সেই রুগির এখনো এক ব্যাগ রক্ত লাগবে না হলে তাকে বাচানো যাবেনা। তিনি অনেক ভেবে বললো যদি কিছু না মনে করেন তাহলে আমিই ২ ব্যাগ রক্ত দিবো। ডাক্তার বললো আপনার তো পরে প্রবলেম হবে। তিনি বললেন আমি তো এখন তরুন আছি কোনো প্রবলেম হবেনা। অনেক বলার পর ২ব্যাগ রক্ত নেওয়া হলো। তিনি রক্ত দিয়ে যেই বেরিয়েছেন তখনি সুপ্তির বাবা চিৎকার দিয়ে বলে জুনায়েদ তুমি হ্যা যিনি রক্ত দিয়েছেন তিনিই সেই সুপ্তির জুনায়েদ। জুনায়েদ ওখান থেকে চলে আসার পরে তার এক বন্ধু বাসায় উঠে তার কিছুদিন পরে এক হোটেলে চাকরি নেই আর বি এস সি তে ভর্তি হয়। জুনায়েদ ডিপ্লোমা পাশ করার পরেই বিয়ে করেছিলো। জুনায়েদের এই তো কিছু মাস শিক্ষক জিবনের বয়স।
জুনায়েদ ভাবতে থাকে সুপ্তির বাবা এখানে কেনো। সুপ্তির বাবা দোড়ে এসে জুনায়েদ কে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কান্না করতে থাকে। এমন কান্নার শব্দ পেয়ে সবাই বাইরে এসে দেখে জুনায়েদ। তখন জুনায়েদের বাবা মাও আসে তাকে জড়িয়ে ধরে কান্না করে। অনেক প্রশ্ন করে এতো দিন কোথায় ছিলে কি করছিলে আরো অনেক প্রশ্ন। আর যখনি জুনায়েদ বললো আপনার এখানে কেনো তখনি সবাই চুপ হয়ে গেলো। তখন বার বার জিজ্ঞাসা করলো বলুন আপনারা এখানে কেনো ? তখন জুনায়েদের বাবা সুপ্তির কেবিনের সামনে নিয়ে গেলো। থায় গ্লাসের মধ্যে দিয়ে যেই চোখ ভেতরে গেছে তখনি জুনায়েদের দেহে প্রান যায় যায়। জুনায়েদ কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। আর বলে আমার সুপ্তির কি হয়েছে। তখন ঘটে যাওয়া সব বলে। ( চিৎকার দিয়ে কান্না করছে পুরা মেডিকেল কলেজ তার কান্নার শব্দ শুনতে পাচ্ছে। সুপ্তির বাবা পিচ্ছি দুটোকে জুনায়েদ কে দেখিয়ে বললো , ঐ যে যেই মানুষ টা কান্না করছে সেই মানুষ টা তোমার বাবা। আর তখনি তারা দোড়ে জুনায়েদের কাছে গিয়ে বাবা বাবা বলে জড়িয়ে ধরে। জুনায়েদ দেখে ছোট পিচ্ছিগুলো তাকে বাবা বাবা বলে ডাকছে।
তখন জুনায়েদ তার মায়ের দিকে তাকায়। জুনায়েদের মা ইশারাই বোঝায় যে তোড় সন্তান। তখনি মারিয়া আর মূসাকে জুনায়েদ জড়িয়ে ধরে কান্না করতে থাকে। মারিয়া বলে বাবা তুমি কান্না করলে তো আম্মু কষ্ট পাবে বাবা। জুনায়েদ দেখে সুপ্তিও থাই গ্লাস ভেদ করে জুনায়েদ কে দেখার চেষ্টা করছে। সুপ্তির শরীরে রক্ত চলছে আর জুনায়েদ সুপ্তির হাত ধরে বসে আছে। জুনায়েদ হাত ধরে বসে আছে আর সুপ্তি কান্না করছে জুনায়েদ চোখের জল হাত দিয়ে মুছিয়ে দিচ্ছে। ২ দিন হয়ে যাওয়ার পরে ডাক্তার বলে কালকেই আপনারা রুগিকে নিয়ে যেতে পারবেন। এই ২দিন জুনায়েদ একটুও ঘুমাইনি। হটাৎ জুনায়েদ মাথা ঘুরে পড়ে যায়। যখন জুনায়েদের সেন্স ফিরলো তখন দেখলো যে সেই পুরানো রুমে শুয়ে আছে সেই যেই রুমে তাদের বাসর হয়েছিলো। জুনায়েদ শুয়ে আছে আর সুপ্তি মাথায় হাত দিয়ে নেড়ে দিচ্ছে আর পিচ্ছি ২টা তখনি বলে আমার বাবা চোখ মেলেছে।
সুপ্তি অনেক কান্না করতে থাকে , তাই দেখে জুনায়েদ বলে তুমি কান্না করছো কেনো ? তখন সুপ্তি আরো জোরে কান্না করতে থাকে আর বলে আমি তোমাকে অনেক কষ্ট দিয়েছি। আমার জন্য তুমি তোমার বাড়ি ছেড়েছি। আমি নিজেকে শেষ করে দিতে চাইছিলাম কিন্তু তোমার সন্তান আমার গর্ভে ছিলো তাই আমি পারিনাই। তোমাকে তাড়িয়ে দেওয়ার পর শুধু তোমার কথায় ভেবেছি। তোমাকে খুব ভালোবেসেফেলেছি। নিজের ছেলে মেয়ে যখন বলে আমার বাবা কই তখন মনে হয় আমিই মনে হয় পৃথিবীর সব চেয়ে খারাপ মানুষ। তোমাকে অনেক খুজেছি কিন্তু পাইনি। তোমার সৃতি নিয়ে বেঁচে থাকতে চেয়েছিলাম। জানিনা আমার অপরাধের ক্ষমা আছে কিনা তাও প্লিজ আমায় মাফ করে দাও এই কথা গুলো জুনায়েদের পা ধরে সুপ্তি কান্না করছে আর বলছে। তখন জুনায়েদ সুপ্তিকে তার বুকের কাছে নিয়ে এসে বলে পাগলী আমি কিছু মনে করি নাই আর আমার আগের কিছু মনে নাই। তুমি তো আমার সোনা বউ। আমার লাল টুকটুকে সোনা বউ। তখন মারিয়া মূসা বলে হ্যা আমার আম্মু আব্বু ২ জনি সোনা হিহি। এই টুকো ছেলে মেয়ের কথা শুনে তাদের প্রান জুড়িয়ে যায়।
এখন তাদের সংসার ভালোই চলছে। সুপ্তি হয়েছে সংসারের সোনা বউ । এখন সবাই তাকে সোনা বউ বলেই ডাকে। কারন সুপ্তি এখন একদম অন্য রকম হয়ে গেছে। ঘুমানোর সময় লাগে তাদের মারামারি , মারিয়া মুসা বলে তারা বাবার বুকে ঘুমাবে আর সুপ্তি বলে না আমি ঘুমাবো। এদের কান্ড দেখে জুনায়েদ মনে করে তার চেয়ে এমন সুখি কেউ নেই। মারিয়া আর মূসা থাকে মধ্যে আর সুপ্তি আর জুনায়েদ থাকে ২পাশে। আর তারা প্রতিটা রাত পার করে ভালোবাসার ভরা শরভ দিয়ে। চলছে তাদের সোনার সংসার। জুনায়েদ আর সুপ্তির জন্য আপনারা দোয়া করবেন যেনো তারা সারা জীবন সুখে জীবন কাটাতে পারে।