মেয়ে : অই পিচ্চি অই, আমার সাথে তুমি সাইকেল রেস করছো কেন?
আমি : excuse me. আমায় কোন দিক থেকে পিচ্চি লাগছে, আর আপনি আমায় চিনেন যে এভাবে কথা বলতেছেন?
মেয়ে : আপনাকে চিনি নাহ কিন্তু আপনি দেখতে একদম পিচ্চি দের মতো কিউট। আর আপনি আমায় অভারটেক করে যাচ্ছেন কেন?
আমি : আজব তো, আমি কি আপনার সাথে রেস লাগছি নাকি, যে আমি আপনাকে অভারটেক করলে আপনার সমস্যা হচ্ছে।।
মেয়ে : হুম। আপনি এমন ভাবে চালাচ্ছেন মনে হচ্ছে যে আপনি আমায় অভারটেক করে যাচ্ছেন। কিঊট পিচ্চি কোথাকার?
আমি : দেখুন আপনি কিন্তু গায়ে পরে ঝগড়া করতেছেন!!! আর আমি আপনাকে চিনি নাহ!
মেয়ে : হুম। আমি রিতিয়া । ইন্টার ২য়। আপনি?
আমি : প্রথমে এমন ভাবে কথা বললেন মনে হইল আমি আপনার কত জনম জনম চেনা ব্যক্তি। আমি শাহরিয়ার শাকিল, আর আমি আপনার সিনিওর। অনার্স এর ৩য়।
রিতিয়া : হায় হায় কি যে বলেন। আপনি তো বাচ্চা মানে পিচ্চি।
আমি : দেখুন এবার কিন্তু বেশি বেশি হচ্ছে আমি আপনার বড়। সন্মান দিয়ে কথা বলতে পারলে বলেন নাহ পারলে ভাগেন।
রিতিয়া : ছি ছি ছি। মুখের কি ভাষা?? ভাগেন? একটা মেয়ে কথা বলতে চাচ্ছে আর আপনিএইভাবে বলছেন।
আমি : আপনি সন্মান করুন আমিও স্নেহ করব আপু ।
রিতিয়া : আচ্ছা আপনি যদি বাচ্চা দের মতো কিউট হন আমার কিছু করার আছে বলুন।?? আপনাকে পিচ্চি পিচ্চি লাগছে! হিহিহিহি,,
আমি : আচ্ছা বাই।
এতক্ষন সাইকেল চালাতে চালাতে কথা বলছিলাম। আচ্ছা ভেজাল মেয়ে দেখছি। আসলে প্রতিদিন সাইকেলিং করি বিকাল বেলা। আমার ভাল লাগে সাইকেল চালাতে। তাই আজকেও চালিয়ে আসছিলাম খুব জোরে। যদিও মেয়েটাকে উদ্দেশ্য করে নাহ। তবুও আমার সাথে এসে গায়ে গা পরে ঝগড়া করল। চিনি নাহ। কিন্তু মেয়েটা কথা গুলা বলার সময় অকে খুব সুন্দর লাগছিল। বিশেষ করে ঠোঁটের কাছে ছোট তিল টা ফুটে উঠেছিল। যাই হোক বাদ দেন। অর সাথে কথা নাহ বাড়িয়ে এড়িয়ে চলে আসলাম। বাসায় আসতে সন্ধ্যা হয়ে গেছে। তাই ফ্রেশ হয়ে হাল্কা নাস্তা করলাম। নাস্তা খেয়ে। একটু খবর দেখলাম টিভিতে। পরে আম্মুর স্টার জলসার জন্য আর টিভি দেখা হইল নাহ। তাই ঘড়ে এসে ফেবু তে ঢুকে বন্ধুদের সাথে একটু ইটিপিটিস করলাম। তারপর রাতে খেয়েদেয়ে ঘুমিয়ে পরলাম। সকালে উঠে আবার কলেজ গেলাম। কলেজ থেকে এসে আবার ঘুমাইলাম। মুলত এটাই আমার ডেইলি রুটিন। গফ নাহ থাকলে যা হয় আর কি! বিকালে আবার সাইকেল নিয়ে বের হইলাম। পথে হঠাৎ,,,,,
রিতিয়া : অই পিচ্চি দারান দারান।
পিছনে তাকালাম। দেখি ডাকছে আমায় রিতিয়া ।কিন্তু কিছু বললাম নাহ।
রিতিয়া : অই তুমি মানে আপনি এত জোরে সাইকেল চালান কেন বলুন তো?!!!
আমি : এমনি। আপনি পারলে চালান না পারলে আস্তে আসেন।
রিতিয়া : আপ্নার খুব ভাব তাই নাহ?
আমি : ভাব নিলে কথা বলতাম নাহ আর আপনার সাথে আস্তেও যেতাম নাহ।
রিতিয়া : হুম তা ঠিক।
আমি : হুম। ভাল
রিতিয়া : আপনি কি প্রতিদিন সাইকেল চালান?
আমি : হুম
রিতিয়া : আমিও।
আমি : সেটা জানতে চাই নি।
রিতিয়া : কোনটা??
আমি : এই যে আপনি প্রতিদি সাইকেল চালান কি নাহ?
রিতিয়া : অ। আমি এমনি বললাম।
আমি : হুম।
রিতিয়া : যারা দেখতে একটু কিঊট হয় তাদের ব্যবহার এমনি হয়।
আমি : তাই??
রিতিয়া : হুম
আমি : ভাল।
রিতিয়া : হুম
এভাবেই প্রায় দিনিইইই কথা হয় সাইকেল চালাইতে চালাইতে। মেয়েটা আসলেই অনেক বেশি কথা বলে। আমিও কিন্তু অকে আড়চোখে দেখি মাঝে মাঝে। অনেক মায়াবি মুখ মেয়েটার। মনে হয় যে তার মায়াতে পরে থাকি সারাক্ষন। আজ আবার বিকালেএ,,,
রিতিয়া : আচ্ছা পিচ্চি সাহেব আজ চলুন একটা জায়গায় যাই? অনেক সুন্দর জায়গা টা। আমার খুব প্রিয়।
আমি : তাই??
রিতিয়া : যাবেন?
আমি : নাহ
রিতিয়া : চলুন নাহ।
আমি : ওকে চলো। ( প্রতিদিন কথা বলতে বলতে তুমি তে এসে গেছি।)
রিতিয়া : আচ্ছা।
ওখানে গেলাম ওর সাথে। আসলেই জায়গা টা অনেক সুন্দর। সামনে একটা বিল আছে। আর আশেপাশে সবুজ ঘাসে ভরা। শহরে এমন জায়গা পাওয়া খুব অস্বাভাবিক। কারন সবাই একটু জায়গা হলেই বিল্ডিং শুরু করে দেয় ভাড়া দেয়ার জন্য। তাই এখানকার পরিবেশ টা ভালই লাগছে।
রিতিয়া : কেমন লাগছে পিচ্চি সাহেব??
আমি : অনেক ভালই।
রিতিয়া : ধন্যবাদ।
আমি : হুম।
রিতিয়া : আচ্ছা আমি কি আপনাকে বিকালে জ্বালাই এই সময়ে ??
আমি : হুম। কিন্তু ভাল লাগে।
রিতিয়া : সরি। জ্বালানোর জন্য আপনাকে। তবে আমারো ভাল লাগে কারন একা একা সাইকেল চালাইতে বোরিং লাগে। আর সাইকেল চালানো আমার একটা শখ।
আমি : অহ ভাল।
রিতিয়া : হুম
আমি : পড়াশোনার কি অবস্থা??
রিতিয়া : ভাল।
আমি : বড় হউয়ার ইচ্ছে আছে নাকি বিয়ে??
রিতিয়া : ডক্টর হউয়ার ইচ্ছে আছে আমার এবং আমার বাবার খুব ইচ্ছে।
আমি : অহ তাইলে তো ভাল। আমার দোয়া রইল।
রিতিয়া : হুম ধন্যবাদ।
আজ তাইলে ঊঠি চলো। হুম রিতিয়ার থেকে বিদায় নিয়ে বাসায় এসে আবার সেই এক রুটিন। কিন্তু মেয়েটার সাথে যতক্ষন থাকি অনেক ভাল লাগে ততক্ষন। আমিও বিকেল হউয়ার অপেক্ষায় থাকি। কখন দেখা হবে?? আর কখন পিচ্চি সাহেব কথা টা শুনব্???হয়ত মেয়েটার মায়াজালে ফেসে গেছি।।। এটাই জীবনে প্রথম কোন মেয়েকে ভাল লাগল। এর আগে আমি কোন মেয়েকে প্রপোজ করার আগে মেয়েরাই উল্টো করতো । আমায় নাকি আসলেই বাচ্চা বাচ্চা লাগে। কিন্তু আমার কোন মেয়েকেই ভাল লাগে নি কারন আমার কাছে এসব আবেগ মনে হতো। আর এটা এমন ভালবাসা যে মোবাইলে কিছু অদ্ভুত ধরনের কথা বললেই ভালবাসা হয়ে গেল।
কোন মেয়ে মোবাইলে তার বফ কে বাবু বল্ল আর ছেলে বাবুনি বল্ল। ব্যাস এটাই ভালবাসা এখন কার। আর কিছু দিন পর আবেগ শেস ভালবাসাও সেস। আবার নতুন কোন মেয়েকে ধরতে হবে। এটাই এখনকার ভালবাসা। কিন্তু আমি কি সেই রকমিইইই ভালবাসায় ফেসে গেছি নাকি আমি সত্তিইই। ভালবেসে ফেলছিইই।। কিন্তু আমি যে তাকে না দেখে থাকতে পারি নাহ। প্রতিটা ক্ষন আমার রিতিয়ার হাসি হাসি মুখ টা মনে পরে। অর কথাগুলা কানে বাজে। প্রতিটা বিকাল অকে দেখার জন্য অপেক্ষায় থাকিইইই।। এটাই কি ভালবাসা।?????? জানি নাহ আমিইইইই। কিন্তু বলতে পারি এটাই আমার প্রথম ভাল লাগে এটাই আমার প্রথম ভালবাসা এবং এটাই সেস। ঠিক এভাবেই দিন গুলা কাটছিল।।। অকে আড়চোখে দেখি আমিই। কিন্তু নাহ। অকে এবার বলতেই হবে আমি অকে ভালবাসি। তাই কাল কে বলার জন্য ঠিক করলাম। বিকালে সাইকেল নিয়ে হাটছি,,মানে রিতিয়ার অপেক্ষায় আছি।
রিতিয়া : হাই পিচ্চি সাহেব।।
আমি : হুম চলো।
আবার রিতিয়ার সেই পছন্দের জায়গা টাতে আসলাম। এসে দুজন দারায়ে আছি। ভাল লাগছে কিন্তু আমার নার্ভাস লাগছে কথাটা বলতে। কিভাবে শুরু করব?? আর রিতিয়া কি ভাব বে ?? সে কি আমায় অন্য সব ছেলেদের মতোই ভাববে নাকি আপন করে নিবে আমায়।
আমি : ইমনাত,,,
রিতিয়া : হুম বলেন মি.পিচ্চি
আমি : তোমায় কিছু বলার ছিল!!
রিতিয়া : হুম বলেন।
আমি : কথাটা অনেকদিন ধরেই বলতে চাচ্ছিলাম আর কিই,,,,,
রিতিয়া : হুম, বলে ফেলেন।
আমি : বলছিলাম যেএএএএএ,,,,,হঠাৎ রিতিয়ার মোবাইল বেজে উটল।
রিতিয়া : আপনি একটু দাড়ান, আমার মা ফোন দিছে
কথা বলে নিইই। তারপর সে তার মায়ের সাথে কথা বল্ল আর কথা বলার পর অর হাসিমাখা চঞ্চল মুখটা কেমন যেন ফ্যাকাসে হয়ে গেল। আমায় এসে বল্ল।।
রিতিয়া : সরি, আজ আমার হাতে সময় নাই আর আম্মু ফোন দিছে বাসায় যাইতে বল্ল। অনেক দরকার আছে। প্লিয আমি আপনার কথা কাল শুনব।।
আমি :আচ্ছা সমস্যা নাই।।
ওও আমার থেকে বিদায় নিয়ে চলে গেল,,,কিন্তু পরের দিন আর আসে নি। আমি পাগলের মতো ওর জন্য পথ চেয়ে দাড়িয়ে ছিলাম। কিন্তু নাহ সে আসে নি। আজ তিন দিন হলো ওর কোন খোঁজ নাই। আমি অই জায়গা টা তেএ প্রতিদিন দাড়িয়ে থাকি ওর জন্য। কিন্তু নাইই। এদিকে ওর কোন নম্বর বা বাসার ঠিকানা নেয়া হয় নি। আসলে হঠাৎ দেখা হতো তো তাই চাওয়ার সাহস হয় নি আমার। তবে কি আমি আমার ভাল লাগা কে হারিয়ে ফেললাম। আমার প্রথম ভালবাসা কে হারালাম। আজ ৪ বছর হইল।
আমি ওর পথ চেয়ে বসে আছি। বলতে পারলাম নাহ সেদিন মনের কথাটা। এর মাঝে পড়ালেখা সেস করে একটা কোম্পানি তে জব করছি। এর মাঝে অনেক প্রপোজালও পেয়েছি। কিন্তু আমি যে আমার প্রথম ভাল লাগা কে ভুলতে আজও পারি নিইই। বাবা মাও বিয়ে দেয়ার জন্য অনেক বার বলেছে কিন্তু করি নি। আমি যে অন্য সবার মতো শুধু ভালবাস তে পারি নাহ। তাই আজও একাই আছি। ভালবাসি।আজ বুজতে পারছি। আজ আমার উত্তর আমি পেয়েছি। সেদিন আমার ভালবাসা কোন আবেগ ছিল নাহ। কোন মিথ্যা ছিল নাহ, তাই আজও ভালবাসি। শুধু আফসোস যে বলতে পারলাম নাহ সেদিন। বিকেল থেকে আজ হঠাৎ কথা গুলা মনে হয়ে মাথাটা প্রচণ্ড ব্যাথা হচ্ছে।খুব খারাপ লাগছে তাই আসলাম ডাক্তারের কাছে,,,,
আমি : আসতে পারি।
ডাক্তার : জ্বী আসুন। (মেয়ে ডক্টর মাথা টা নিচু করেই বল্ল) সামনে নাম টাও দেখলাম তার রিতিয়া রিত্ত
ডাক্তার : মাথা নিচু করেই বল্ল বসুন। আমি যখন বসতে যাব ঠিক তখনি আবার বুকের পাজোড় টা কেপে উঠল
আমি : ইমনাত,,,,
রিতিয়া : আপনি????
দুজনেই অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি আমি তো বিশ্বাস করতে পারছি নাহ যে এটা রিতিয়া ।আমি কি আবার দেখা পেয়েছি নাকি এটা আমার কল্পনা। নাহ এটা বাস্তব দেখছি আমি।
আমি : তুমি এখানে????
রিতিয়া : হুম। (আমায় দেখে ওর চোখে পানি কিন্তু কেন?)
আমি : অও। কবে থেকে জয়েন করেছো?? আর এত দিন কোথায় ছিলা?? জানো সেদিনের পর থেকে কত খুজেছি তোমায়? এক নিশ্বাসে বলে দিলাম কথা গুলা।
রিতিয়া : আর আমিও যে আপনাকে কত খুজেছি, আপনি জানেন??
আমি : নাহ কিন্তু কেন খুঁজেছ???
রিতিয়া : মি.পিচ্চি সাহেব আপনি এখনো সোজা ভাবে কথা বলতে শিখেন নি??!!!
আমি :আমি আবার কি বললাম?
রিতিয়া : কিছু বলেন নি??খালি কথা প্যাচান??? (কেদে কেদে)
আমি :ও,তুমি কেমন আছো?
রিতিয়া : যেমন রেখে গেছিলেন??
আমি : মানে আমি আবার কখন রাখলাম।
রিতিয়া : আপনারা বাসা ছেড়ে চলে এসেছিলেন কোথায়?? আমি কত খুজেছি জানেন?
আসলে রিতিয়া কে না পাওয়ার পর থেকে আমিও কেমন যেন হয়ে গেছিলাম।আর ২ মাস নাই যেতে আর এদিকে বাবারও ঢাকায় পোস্টিং হয়ে যায় তাই চলে আসছিলাম। কিন্তু ও আমায় খুজবে কেন? ও কি আমায়,,,
আমি : না তো। কিন্তু তোমার হাজবেন্ট কেমন আছে। অনেক দিনইইই তো হইল বিয়ে করেছো
রিতিয়া : নাহ।
আমি : কেন?
রিতিয়া : মি.কিঊট পিচ্চি টাকে আর খুজে পাই নি তাই করি নি।
আমি : মানে??
রিতিয়া : দেখুন আপনি কিন্তু কথা প্যাচাবেন নাহ। আপনি তো স্বার্থপর। ভালোই আছেন দেখছি।
আমি : কে বল্ল??
রিতিয়া : আপনাকে দেখেই বোঝা যাচ্ছে।
আমি : তাই।??
রিতিয়া :তা আপনার বউ কেমন আছে??
আমি : আমার সামনে দারিয়ে আছে আপাতত কিন্তু গাল বেয়ে পানি পরছে কেন বুজতে পারছি নাহ।
রিতিয়া : মানে,??
আমি : আমিও যে অপেক্ষায় ছিলাম কারো জন্য। আমি তোমায় সেদিন বলতে চেয়েছিলাম আমি তোমায় ভাল বাসি। কিন্তু তুমি তো বলার সুযোগ টাই দিলা নাহ, চলে গেলা আর আসলা নাহ।।
রিতিয়া : আসলে সেদিন আমার বাবার এক্সিডেন্ট হয়েছিল তাই তাড়াতাড়ি ঢাকায় নিয়ে আসা হইছিল। আর এত টাই খারাপ অবস্থা হইছিল যে বাবার অসুখ সারতে ২ মাস লেগে যায়।।এখনো ঠিক মতো হাট তে পারে নাহ। আর আমরাও ঢাকায় সেটেল হয়ে যাই। বাবা অফিস থেকে বদলি হয়ে আসে।
আমি : ওও
রিতিয়া : আর আসলে আমি আপনাকে অনেক আগে থেকেই ভালবাসতাম। তাই আপনাকে ডেইলি সাইকেল নিয়ে ফোলো করতাম। আর সেভাবেই কথা বলতাম। কারন আমি শুনেছিলাম আপনি মেয়েদের সাথে বেশি কথা বলেন নাহ। আর আমি পরে আপনাকে অনেক খুজেছি জানেন????! পরেযখন পাই নি। অনেক কেঁদেছি আমি। এক বাবার জন্য কস্টে আর এক আপনাকে হারানোর কস্টে। কিন্তু আপনি ডক্টর এর কাছে মানে আমার কাছে কেন???! কি হইছে বলুন?
আমি : আসলে মাথা টা ইদানিং খুব ব্যাথা হচ্ছিল তাই।কিন্তু হারানো জিনিস ফেরত পেয়ে মাথা ব্যাথাও হারিয়ে গেছে।
অতঃপর আরও ৫ বছর পর,,,,টুং, টুং,,,বাব্বা, বাব্বা, তুমি?? হুম, মামনি তুমি দরজা খুল্লা যে? তোমার আম্মু কই? মাম্মা বাইরে গেছে বাব্বা, বলেই লাফ দিয়ে কোলে উঠে পরল। জানতাম বাসায় আসলে এই বিপদের মুখোমুখি হতে হবে,,, কারন আজ যে ঘুরতে যাওয়ার কথা ছিল আর আমার লেট। আম্মু তোমার মাম্মা কখন বাইরে গেছে?? এক্কুনী। ও আমার আসার একটু আগেই গেছে। মাম্মা তুমি খেয়েছো?? নাহ ( রিয়া আমার মেয়ে) আচ্ছা মা আমি তোমার জন্য দেখো অনেক চকলেট এনেছি। এইগুলা নাও আর কার্টুন দেখ আমি একটু আসছি।। বলেই অকে টিভি তে বসিয়ে দিয়ে গেলাম ছাদে!! জানি ও ছাদেই আছে।পা টিপে টিপে হাটছি ,,,,,আর ওর কাছে গিয়েই পিছন থেকে জড়িয়ে ধরলাম। আর ওকে কিছু না বলার সুযোগ দিয়েই শুরু করলাম।
আমি : সরি, সরি,সরি, সরি,,,,,
রিতিয়া : ঢং?
আমি : নাহ সত্যি সরি
রিতিয়া : যাও এখান থেকে! অফিসে যাও।
আমি : আসলে অনেক কাজ ছিল অফিসে।
রিতিয়া : আজ তোমার জন্য আমি চেম্বার এ রোগি দেখতে যাই নি আর তুমি,,,,এইইইইইইই,যাও তোমার অফিসে, ঘুরব নাহ। যাও আমি এবার আরও শক্ত করে জোড়িয়ে ধরে বললাম কান ধরছি নাক ধরছি এবার কার মতো মাফ করে দাও প্লিয ডাক্তারনি।
রিতিয়া : এখনো তো বেশি রাত হয় নি। চলো এখন বাইর হবো।
আমি : দরকার নাইইই।
রিতিয়া : সত্যি নাই??
আমি : নাহ
রিতিয়া : সত্যি তো???
আমি : নিশ্চুপ
রিতিয়া : রিয়া কান্না করছে যাওয়ার জন্য প্লিজ ওর জন্য চলো।
আমি : নাহ
রিতিয়া : প্লিজ
আমি : নিশ্চুপ
এবার সামনে থেকে জরিয়ে ধরে একটা ইয়ে দিলাম। এবার আর কোন কথাই নাই। তারপর কোলে করে নিয়ে নিচে আসলাম। জানি এখন ওর আর কোন রাগ নাই সব পানি হয়ে গেছে।
রিতিয়া : এবার কার মতো মাফ করে দিলাম পিচ্চি বর।
আমি :ওকে।
রিতিয়া : কি ওকে
রিয়া : মামুনি!!!!!!!
রিতিয়া : কি আম্মু?? কি করছিলা তুমি??
রিয়া : কিচ্ছু নাহ মামুনি রিয়াকে কোলে নিয়ে ও আদর করছে। আর আমি বলে উটলাম।
আমি : হ্যা এখন তো খালি মেয়েকেই আদর করে। পিচ্চি বর টা খালি প্যারাই সামলায়ে যাচ্ছে।
রিয়া : মামুনি বাবা নাকি পিচ্চি?
রিতিয়া : হুম আম্মু। দেখছো নাহ তোমার বাবাও আদর খেতে চাচ্ছে।
রিয়া : বাবা তুমি কাছে আসো!!
আমি : কি মা?
রিয়া : তোমার গাল টা দেখি???
আমি : হুম
উম্মম্মম্মম্মমা , উম্মাম্মামাম্মামামাম্মা উম্মাম্মামা,,, হুম মা মেয়ে দুজনেই আমার দুই গালে উম্মা দিচ্ছে।।
রিতিয়া : এবার খুশি?
আমি : হুম অনেক খুশি। হিহিহিহিহিহি
আসলে আমাদের রাগ অভিমান এভাবেই চলে যায়। আর আমায় এখন আমার মেয়েটাও পিচ্চি বাবা বলে ডাকে।আর আমি আদর চাইলে এভাবেই দেয়। মা মেয়ে সমান হইছে এক্কেবারে। যাই হোক আমার ভালবাসা টাকে এএভাবে আবার ফিরে পাবো ভাবিনি। তবে আসলেই অনেক ভালবেসে ফেলেছিলাম ।ভালবাসা টা সত্যি ছিল।। থাকেন একটু ঘুরে আসি তাদের নিয়ে ।।
সমাপ্ত