কলেজের মাঠে বসে বসে ছবি আঁকতেছিলাম কী যে আঁকতেছি নিজে ও ঠিকঠাক বুঝতে পাড়ছিলাম না তবে কিছু তো একটা হবে ওটাই বড় কথা। যখন থেকে ছবিটা আঁকতে বসছি ঠিক তখন থেকে একটা মাছি বো বো করতেছে কখন ও কানের মধ্যে ঢুকতে চাচ্ছে আবার কখন ও নাকের মধ্যে এর মধ্যে সামনে তাঁকাইতেই দেখি ফারজানা আপু অগ্নি ভরা দৃষ্টি আর সেইরাম রেগে মেগে আমার দিকে আসছে এই দৃশ্য দেখার পড়েই তো ছবি আঁকার সব কিছু গুলাই ফেলছি আর মনে মনে ভাবছি না জানি কী উল্টা পাল্টা করছি আল্লাহ জানে। কাছে এসেই শার্টের কলার ধরে টেনে তুললো।
আরে আরে আমি কী করছি আমাকে এমন ভাবে কই নিয়ে যাচ্ছো। (আমি) কী করছিস তাই না আগে চল তারপর দেখাইতেছি। (ফারজানা আপু) ঠিকআছে নিয়ে যাবে ভালো কথা তবে শার্টের কলারটা একটু আস্তে ধরো কেমন কালকেই নতুন কিনছি আব্বাউয় কইছে এইটা এক বছর চলাইতে হবে। আর তুমি যেমনে ধরছো মনে হচ্ছে এক বছর ক্যান এক মুহূর্ত ও টিকবে না। ঐ তোরে এত কথা কইতে বলছি চুপচাপ আমার সাথে চল খুব বেশি বাঁইড়া গেছস তাই না,আজকে তোরে মজা দেখামু। আচ্ছা ফারজানা আপু মানছি আমি কী না কী করে বসি এবার একটু তো বলবা যে কী এমন করছি? যার কারণে এভাবে নিয়ে যাইতে হবে। কী করছস সেটা গেলেই দেখতে পাবি এখন আমার সাথে চল।
ফারজানা আপু আমার কলার ধরে নিয়ে যাইতেছে আর আশেপাশের সবাই তো হা করে তাঁকাই আছে। থাকবেই নাই বা কেন এমন একটা কিউটুস মেয়ে একজনের কালার ধরে টেনে নিয়ে যাচ্ছে সেটা তো দেখারই কথা আহা কী সুন্দর তার হাত খানা ওহহহ মনে হয় যেন কেঁটে আমার কাছে রেখে দেই। দূর হাত নিয়ে কী করমু তাঁকেই যে আমার লাগবে কলেজের সেই প্রথম দিনেই তো তাঁরে দেখে কী যে হয়ে গেছি জানিই না হি হি হি।
হৃদয় এমন চুপ মেরে গেলি ক্যান আর এমন হা করে কী দেখছিস। (আপু) না না কিছু না তো আচ্ছা এই রুমে আমায় নিয়ে আসলে কেন সবাইকে দিয়ে মাইর খাওয়াবা নাকি। চুপপপপপ এবার সত্যি করে বল গত ক্যাল মোরের ঐ টং দোকানে কারে কী বলছিস। কই কাউরেই তো কিছু বলি নাই। কিছু বলিস নাই তাই না। হঠাৎ পড়ে থাকা একটা লাঠি আনলো আর তামিল নায়ক গুলার মতো করে এই হাত থেকে ওই হাত করতে লাগলো। আর বলল, এবার বলবি নাকি এইটা দিয়ে দুইটা দিমু তাঁর পরে বলবি আর ভুলে ও যদি দৌঁড়ানি দিছস তাইলে তো তোরে আমি মাইরা ফ্যালামু। আচ্ছা বলতেছি এমন ভয় দেখাও ক্যান। হুমমমমমমমম যা বলছিস একদম সত্যি সত্যি বলবি একটা মিথ্যা বলছিস তো কোন মাইর মাটিতে পড়বে না মনে রাখবি।
আচ্ছা বলতেছি তো কালকে আমি পিচ্চি গুলার সাথে খেলার জন্য যাইতেছিলাম এমন সময় ঐ টং দোকান থেকে একটা এমন হাতির মতো লম্বা ছেলে আসলো কম করে হলে ও আমার থেকে এক হাত লম্বা হবে আমার সমনে এসে বলল,, এই যে ভাইয়া আপনার নামটা কী জানতে পারি। ওরে মোর খোদা মোরে কী আপনার সালমাল শাহ্ নাকি মান্না মনে হয় যে নাম কমু না। আমার নাম হৃদয় আপনার??? আমি তৌহিদ আপনার সাথে কিছু কথা ছিলো। আচ্ছা এত মানুষ থাকতে আমিই ক্যান। না এমনি। ওকে বলেন কী কথা। আসলে মানে আমি জানতে চাচ্ছিলাম যে ঐ সামনে যে চার তলা একটা বাড়ি আছে। হুমমমমম আছে তো সেটা কী কিনবেন নাকি।
না ওই বাড়িতে একটা মেয়ে আছে ফারজানা নাম তাঁর সাথে আমার বিয়ের কথা চলছে আপনি তো তাঁকে মনে হয় চিনেন তাঁর সম্পর্কে যদি একটু বলতেন। আমি ছোট থেকেই দেশের বাহিরে বড় হয়েছি তাই আমার যেটা মনে হয় এলাকার অন্য কারো থেকে জানার চেয়ে ইয়াং কারো কাছে থেকে শোনাটাই বেটার হবে তাই আর কী? সেটা ঠিক কইছেন আর একদম ঠিক জায়গাতে আসছেন। আপনাকে দেখে যা মনে হয় আপনার সাথে ঐ মেয়ে যায় না। কেনো। আরে ভাই সাইটে আসেন। হুমমম কেন যায় না বলেন। মেয়ের তো আরো একবার বিয়ে।হইছে তবে বাসার কেউ জানে না আমার ফ্রেন্ড এর সাথেই আপনাকে দেখে ভালো মনে হলো তাই বললাম আর কী তবে ব্রো বিয়ে করবেন ভালো কথা কিন্তুু বাচ্চার বাবা হতে পারবেন না। কেন বাবা হতে পারবো না কেনো।
না মানে বাবা হবেন কিন্তুু বাচ্চা হবে।অন্য কারো আচ্ছা আমি গেলাম তবে মেয়ে কিন্তুু অনেক ভালো দেখতে ও ফাটাফাটি এখন যা মনে করেন আমার তো মনে হয় বিয়ে করে ফ্যালান কারণ এমন সুন্দরি মেয়ে আর পাবেন না আমি গেলাম কেমন টা টা। তাহলে এই সব বলছিস তাই না। হুমমমমমমমমমম ঐ মারতেছো ক্যান? কেন বলছিস ঐ সব হুমমম। ঐ ছেলেটাকে আমার এঁকে বারে ও পছন্দ হয় নাই তাই। আমার বিয়ে তুই পছন্দ করার কে শুনি। না মানে কারণ আমি। কারণ আমি কী বল। কারণ আমি তোমাকে আর অন্য কারো হতে দিবো না তাই। কেনো আমি তোর কে। সেটা জানি না বাট তোমার সাথেই আমি সারাজীবন থাকতে চাই ব্যাস। ঠিকআছে চল। আবার হাত ধরে কোথায় নিয়ে যাইতেছো। কাজি আফিস। কীইইইইই আমার তো এখন ও বিয়ের বয়স হয় নাই।
তাহলে ঠিকআছে আমি ঐ ছেলেকেই বিয়ে করছি। ঐ না না। তাহলে চল। হুমমমমমম চলো। কী ভাবছিস শুনি। বাড়ির ভাত আর মনে হয় কপালে নাই তাই। তাহলে বিয়ে করে আমাকে খাওয়াবি কী? আরে চিন্তা করো না তুমি সাথে থাকলে সব হয়ে যাবে হি হি। বাহ্ বাহ্ ভালো এবার চল। হুমমমমমমমমমমমম। কাজী অফিস এর সামনে গিয়ে। ফারজানা আপু ঐ তো সেই ছেলেটা এখান থেকে চলো। আরে না কিছু হবে না চল। না ঐ ছেলেটাকেই আমি ঐ সব উল্টা পাল্টা বলছি যদি কিছু বলে।
হা হা হা আরে বোকা ঐটা আমার খালাতো ভাই ও একটা মেয়েকে ভালো বাসে বাসা থেকে কেউ রাজি না তাই চুরি করে আজকে বিয়ে করবে আর আমিই ওকে বলছিলাম তোকে যেন বলে ওর সাথে আমার বিয়ে তুই কী বলিস সেটা শোনার জন্য বুঝলি। তার মানে তুমি ও আমাকে ভালোবাসো তাই না। হুমমমমমম একটু একটু। কীইইইইই মাত্র একটু একটু। হুমমম এখন চুপ চাপ থাকবি বুঝলি। ওকে। তারপর ফারজানা আপুর ভাইয়ের বিয়েটা ঠিকঠাক ভাবে হয়ে গেলো সব শেষ হতে হতে রাত হয়ে গেছে ফারজানা আপুর ভাইয়ের সামনে যেতে কেমন জানি সরম লাগছে তবু তাঁর কাছে গেলাম। ভাইয়া আসলে সেই দিনের জন্য সরি কী না কী বলে ফেলছি।
আরে না না তুমি ফারজানা কে ভালোবাসো কী না সেটা জানার জন্যই তো। তাহলো তোমরা সবাই ভালো থেকো কেমন আর কোন দরকার হলে প্রথমেই আমাকে বলবা আমরা আজকের ফ্লাইটে কানাডা চলে যাবো বাসার সব ঠিক হলেই চলে আসবো ভালো থেকো আর ফারজানাকে দেখে রেখো। ওকে ভাইয়া আমি সব সময় ফারজানাকে চোখে চোখে রাখবো। বাসায় আসার জন্য কোন রিক্সা পেলাম না তাই হেঁটে হেঁটে আসছি। ঐ তুই আমাকে আগলে রাখবি তাই না নিজেই তো ঠিকঠাক ভাবে থাকিস না।
আরে ওটা তো কথার কথা বলছি আর তুমিই তো আমাকে আগলে রাখবা তাই না হি হি। আমার বয়েই গেছে। কীইইইইই তখন বললা না যে তুমি ও আমাকে ভালোবাসো। আমি ও তো কথার কথা বলছি। তাই তো বলি আমার এমন আবুল মার্কা কপাল হঠাৎ কেন এমন চওরা হয়ে গেলো। তবে যাই বলো তোমার ঐ হাতের ছোঁয়া যখন একবার পেঁয়েছি তোমার পিছু তো আমি ছাঁড়ছি না। তাই না বাসা এসে গেছি এবার চোখের সামনে থেকে যা। হুমমমমম যামুই তো ভাল তো আর বাসো না যে একটু বুকের মধ্যে নিয়ে বলবা সাবধানে যেও। আচ্ছা আমি গেলাম।
চলেই আসছিলাম। হঠাৎ পিছন থেকে ডাক। হৃদয় দাঁড়া। হুমমমমম কীইইইইই ? তখন ফারজানা আপু দৌঁড়ে আমার কাছে আসলো আর জরাই ধরে বললো বাবু ভাল করে যেও। আর বাসাই গিয়েই ফোন দিবা। আমি ও তাঁর কানের কাছে মুখ নিয়ে গিয়ে বললাম সত্যি আমাকে ভালোবাসো। হুমমমমমমমমম। কত গুলো। অনেক। আচ্ছা প্রেম তত হয়ে গেলো একটা পাপ্পি দিবা।
হঠাৎ বুকের মধ্যে থেকে সরে এসে বললো এখান থেকে যাবি নাকি মাইর দেওয়া লাগবে শয়তান পোলা। দাও না একটা পাপ্পি হি হি হি। দাঁড়া দিতেছি বলেই কি যেন খুঁজতে লাগলো,,কিছুক্ষণ পরে দেখি যে,,আপু ইয়া বড় একটা লাঠি নিয়ে আসতে এটা দেখেই তো দিলাম সেই একটা দৌঁড় হৃদয় পালা আর নিজের প্রাণ বাঁচা হি হি হি।।
সমাপ্ত