আমাকে ভুলে যাও।(মীনা) নিশ্চুপঅনেক সুযোগ দিয়েছি তোমাকে কিন্তু তুমি সফল হতে পারোনি।যে নিজের ভালো বোঝেনা সে আমার ভালো কোনদিন বুঝবেনা আমি জানি।যদি পারো ক্ষমা করে দিও আমায়।আর যদি আমাকে চুল পরিমান ভালোবেসে থাকো তাহলে আমার সাথে কোন প্রকার যোগাযোগ করার চেষ্টা করোনা।
মীনা কথাগুলো বলে আমার সামনের চেয়ার থেকে ওঠে চলে গেলো।আমি চুপচাপ তাকিয়ে আছি মীনার পথের পানে।কেউ যদি চলে যেতে চায় তাকে হাজার চেষ্টা করেও ফেরানো যায়না।কিছু বলতে ইচ্ছা করছে কিন্তু কথাগুলো গলার মধ্যে আটকে আছে।আস্তে আস্তে আমার চোখের আড়াল হয়ে যাচ্ছে সে।অচেনা কষ্টগুলো মনের কোণে বাসা বাঁধতে শুরু করছে,কিছু স্বপ্ন ভেঙ্গে যেতে শুরু করেছে।চোখের কোণে পানি জমতে শুরু করেছে। কিছুক্ষণের মধ্যে ঝর্ণা হয়ে ঝরে পড়ার অপেক্ষা করছে। স্যার কফি।(ওয়েটার) চোখ তুলে ওয়েটারের দিকে তাকালাম।ট্টেতে কফি নিয়ে দাড়িয়ে আছে।কফি খাওয়ার ইচ্ছা নেই আর।ওয়েটারের হাতে টাকা দিয়ে বেড়িয়ে আসলাম কফি সপ থেকে। ওয়েটারও হয়তো বুঝতে পেরেছে কি হয়েছে তাই কোন কথা বলেনি। এসব কফিসপের ওয়েটাররা অনেক সম্পর্ক ভাঙ্গা গড়ার সাক্ষী হয়।এসব দেখতে দেখতে অভ্যস্ত ওরা।আজ আরেকটা সম্পর্ক ভাঙ্গার সাক্ষী হলো।
বর্তমানের রিলেশনশিপ গুলোও কেমন জানি,খুব বেশিদিন টেকে না।আজ একটা ছেলেকে ভালো লেগেছে তো ভালোবাসবে আবার কাল আরেকটা ছেলেকে ভালো লাগবে তখন ভালোবাসবে,আবার এমনও দেখেছি একটা মেয়ের একসাথে ৫ টা বয়ফ্রেন্ড আছে।শুধু মেয়েদের ক্ষেএে এমন না,অনেক ছেলেদেরও ৫-৭ টা গালফ্রেন্ড থাকে ভালোবাসা এক প্রকার টাইমপাস হয়ে গেছে।আপনি ভালোবাসায় যত সহজ সরল হবেন তত তাড়াতাড়ি কষ্ট পাবেন।যদি নষ্টামি করতে পারেন তাহলে ভালোবাসার অভাব হবেনা আপনার, আর যদি ভুলেও ভালো ছেলে হয়ে থাকেন তাহলে ভালোবাসাতো জুটবেই না বরং কষ্ট পাবেন।যাইহোক সেদিকে না যাই।
আমি হুসাইন আহম্মেদ।ছোট একটা কোম্পানিতে জব করছি।বেতন খুব বেশি না।পড়ালেখা শেষ হবার পরেই এই চাকরীটাতে জয়েন করেনি।ভেবেছি আস্তে আস্তে ভালো চাকরীর জন্য চেষ্টা করবো।কোন রকমে সংসার চলে।বৃদ্ধ বাবা মা আর ছোট দুই ভাই মিলে আমাদের পরিবার।সবার দায়িত্ব আমার কাঁধে।মীনা আমাকে শর্ত দিয়েছিলো ৩ মাসের মধ্যে যদি ৩০ হাজার টাকা বেতনের জব পাই তবেই ও আমাকে বিয়ে করবে।আমিও মেনে নিয়েছিলাম শর্তটা।ভেবেছিলাম ভালো রেজাল্ট আছে চাকরী পেয়ে যাবো কিন্তু হয়ে ওঠেনি।যেখানেই ভালো চাকরীর জন্য আবেদন করেছি সেখানেই ঘুস।খুব কম চাকরীই হয় ঘুস বাদে,সেটা অল্প কিছু মানুষের ভাগ্যেই জোটে।আবার অনেকের ক্ষেএে দেখা যায় চাকরীর পূর্বেই ঘুস দিয়ে রাখে কিন্তু শেষ পর্যন্ত চাকরী হয়না।আমাদের দেশের শতকরা ৪০% লোক এখন ঘুসের সাথে সম্পর্কযুক্ত।দেশটা লুটেপুটে খাচ্ছে এরা।
হুসাইন দাঁড়া। পিছন থেকে কেউ একজন ডাকছে আমাকে।চোখের কোণে থাকা পানি হাত দিয়ে মুছে নিলাম।পিছন দিকে তাকিয়ে দেখি শিপন ডাকছে আমাকে। শিপন আমার ফ্রেন্ড।আমার ভালো ফ্রেন্ডের তালিকাটা অনেক বড়, তাদের মধ্যে শিপন একজন। কই গিয়েছিলি?তোর বাসায় গিয়েছিলাম।আন্টি বললো সকাল বের হইছিস বাসা থেকে।(শিপন) মীনার সাথে দেখা করতে গিয়েছিলাম।(আমি) ভালতো।ভাবিকে পেয়ে এখন আমাদের কথা তোর মনেই থাকেনা। আরে তেমন কিছুনা। সেটা আমরা বুঝি। বাদ দে।কিছু বলবি? বলার জন্যইতো খুজছি তোকে। বলে ফেল। শেষ যেই চাকরীটাতে ভাইবা দিলাম সেটাতে তুই টিকেছিস। আমাদের মধ্যে আর কেউ টিকেছে? না। ও।
শুধু ‘ও’তে কাজ হবেনা পার্টি দিতে হবে। আচ্ছা দিবো।আগে চাকরীতে জয়েন করি। বাসায় যাবি নাকি এখন? হ। সকালে বের হইছি। যা তাহলে।আমি একটু বাজাদের দিকে যাবো। শিপন বাজারের দিকে হাটতে শুরু করলো,আমি বাসার দিকে। হাইরে ভাগ্য,সকালে যদি এই চাকরীটা হওয়ার খবর পেতাম তাহলে মীনাকে চিনতে পারতাম না।এতদিন যাকে ভালোবেসেছি সে আমার থেকে আমার চাকরীকে বেশি মূল্যবান মনে করে সেটা বুঝতে পারতাম না।ভালোই হয়েছে,যদি আরো বেশিদিন পরে জানতে পারতাম তাহলে কষ্টটা আরো বেশি পেতে হতো।মানুষ কত নিখুতভাবে ভালোবাসার অভিনয় করে বুঝলাম আজ।কথায় আছেতো তোমার কষ্টের দিনে যে তোমাকে ছেরে চলে যায় সে কখনো তোমাকে ভালোই বাসেনি।এখনকার ভালোবাসায় সুন্দর একটা মন থাকার চেয়ে টাকা থাকাটা জরুরি।টাকাই সব।
বাসায় ঢুকতেই আম্মুর প্রশ্ন কিরে কোথায় গিয়েছিলি?খাওয়া দাওয়া করা লাগেনা তোর নাকি?(আম্মু) একটা কাজে গিয়েছিলাম।খিদা লাগছে খুব খেতে দাও।(আমি) ফ্রেশ হয়ে আয় আমি খাবার দিচ্ছি। খাওয়া দাওয়া করে আমার রুমে আসলাম।বুকে ফেটে যাচ্ছে কষ্টে।অনেক কষ্টে এতক্ষণ কান্না চেপে রেখেছিলাম কিন্তু আর পারছিনা।নিঃশব্দে কাদছি।আমার মন খারাপ থাকলেও বাসায় সবার সামনে হাসিখুশি থাকার চেষ্টা করি।আব্বু আম্মু দুজনেই অনেক অসুস্থ।আমার মন খারাপ দেখলে তারা অনেক টেনশন করে।পড়ালেখা শেষ করার পর দের বছর যাবৎ কোন চাকরী পাচ্ছিলাম না তখন আমি অনেক ভেঙ্গে পড়েছিলাম।বাবা মাকে ডাক্তার দেখানো,ছোট ভাইদের পড়ালেখার খরচ সবকিছু নিয়ে অনেক টেনশনে ছিলাম।
আব্বু তখন আমাকে ভেঙ্গে পড়তে দেখে বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ে।আব্বুকে অসুস্থ হতে দেখে আম্মুও অসুস্থ হয়ে পড়ে।সেদিন ডাক্তার বলেছিলো তাদের যেনো কোনকিছু নিয়ে টেনশন করতে না দিই।তারা টেনশন করলে অনেক খারাপ কিছু ঘটতে পারে।সেদিন থেকে কোনদিন বাসার কারো সামনে মন খারাপ করে থাকিনা।আমি হাজার কষ্টের মাঝে থাকলেও কাউকে বুঝতে দিইনা।এই ধরুন আজ মীনার সাথে প্রায় আড়াই বছরের রিলেশন ব্রেকআপ হলো,আমার জায়গায় অন্যকেউ হলে হয়তো কেদে অস্থির হয়ে যেতো।খাওয়া দাওয়া ছেরে দিয়েদেবদাস বনেযেনো, নয়তো টিকোটিনের ধোয়ায় জ্বালাতো নিজেকে কিন্তু আমি বাসায় এস ফ্রেশ হয়ে খাওয়া করলাম।নিজের এমন কষ্ট সহ্য করার ক্ষমতা দেখে নিজেই অবাক হয়।উপর ওয়ালা সবাইকে কষ্ট সহ্য করার ক্ষমতা দেয়না।
২. রাত ১১টা বেজে ৩৫ মিনিট। ফোনের স্কিনে ভেসে থাকা একটা ছবির দিকে তাকিয়ে আছি।হাসি মাখা মুখে একটা মেয়ে তাকিয়ে আছে।মেয়েটার হাসি খুব সুন্দর। প্রথম যেদিন মেয়েটাকে দেখেছিলাম সেদিনই ওর হাসির প্রেমে পড়ে গিয়েছিলাম। ফোনে কল আসার কারণে স্কিনে ভেসে থাকা ছবিটা হারিয়ে গেলো।ছবিটার বদলে ভেসে ওঠলো কয়েকটা শব্দে লেখা একটি নাম ‘শিপন’।ফোনটা রিচিভ করলাম হুসাইন কোথায় তুই,আমি খুব বিপদে পরেছি তাড়াতাড়ি বাজারের মধ্যে যে রেষ্টুরেন্ট আছে ওটার সামনে আয়।
কি হয়ে বাকি কথাটুকু আর বলা হলোনা।তার আগেই ওপাশ থেকে ফোন কল কেটে গেলো।আমি ফোন ব্যাক করলাম কিন্তু বন্ধ।আর কোনকিছু না ভেবে রেডি হয়ে রওয়া দিলাম।আমাদের বাসা থেকে বাজার একটু দুরে তাই পৌছাতে ২০ মিনিটের মত লাগলো। রেষ্টুরেন্ট এখনো খোলা আছে আজ।সাধারণত ১১টার মধ্যেই বন্ধ হয়ে যায়।রেষ্টুরেন্ট খোলা থাকলেও ভেতরে দু তিনজন লোক ছাড়া কাউকে দেখছিনা। রেষ্টুরেন্টের সামনেও কাউকে দেখছিনা।শিপনতো বললো রেষ্টুরেন্টের সামনেই ও আছে।এতরাতে কারো থাকার কথাও না।এদিক ওদিক কাউকে না পেয়ে রেষ্টুরেন্টের মধ্যে ঢুকে হাসান(রেষ্টুরেন্টের মালিক) মামাকে জিঙ্গেস করলাম শিপনরা এসেছে এখানে?হাসান মামা বললো ওরা ছাদে আছে।
আমি তাড়াতাড়ি ছাদের দিকে পা বাড়ালাম।এই রেষ্টুরেন্ট আমার চেনা।প্রায়ই আসি এখানে। আমার এক ফ্রেন্ডের চাচার।আই মিন হাসান মামার। ছাদের দরজার কাছে এসে দাড়িয়ে গেলাম।অনেক অন্ধকার।কাউকে দেখা যাচ্ছেনা।প্রতিদিন ছাদে আলো দেওয়া থাকে কিন্তু আজ নেই।সবকিছু কেমন অদ্ভুত লাগছে।পকেট থেকে ফোন বের করে ফ্লাস অন করে সামনে পা বাড়ালাম। শিপন,শিপন,কই তুই? ছাদের মাঝ বরাবর আসতেই চারিদিকে আলো জ্বলে ওঠলো। Happy Birthday * Happy Birthday শব্দতে ছাদের চারিদিক মুখরিত হয়ে ওঠলো।আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি সবার দিকে শিপন,সুমন,শান্ত,বিধান,ফকরুল সবাই আছে এখানে।সবথেকে অবাক করা ব্যাপার হলো মীনাও এসেছে এখানে।
হঠাৎ মনে হলো আজকের তারিকের কথা।আজ যে আমার জন্নদিন।আমার জন্নদিন আর আমিই ভুলে গেছি।কতটা মনভোলা মানুষ আমি।আমার চোখে পানি এসে গেলো।ফ্রেন্ডদের ভালোবাসা বুঝি একেই বলে।বিপদে আপদে ওরাই সব সময় ছায়ার মত থাকে।আমার জন্নদিন আমি ভুলে গেছি কিন্তু ওরা ভোলেনি।তাছাড়া এত বড় একটা সারপ্রাইজ দিবে সেটাও কল্পনা করিনি কখনো।এমন কিছু ফ্রেন্ড থাকে আমাদের জীবনে যারা কখনোই কষ্ট পেতে দেয়না।কেউ কষ্ট পেলে সবসময় তাকে হাসিখুশি রাখার চেষ্টা করে। তবে এর থেকেও বড় সারপ্রাইজ আমার জন্য অপেক্ষা করছে সেটা ধারণাও করিনি আমি। মীনা আমার সামনে এসে দাড়ালো।তারপর হাটু গেরে বসে আমার দিকে একটা আংটি বাড়িয়ে দিয়ে বললো *will you marry me*।আমি অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি।সকালে যেই মেয়ে রিলেশন ব্রেকআপ করলো সেই এখন বলছে ইউল ইউ মেরি মি।সবকিছু স্বপ্নের মত লাগছে।মনে হচ্ছে এই বুঝি আমার ঘুম ভেঙ্গে যাবে আর সবকিছু শেষ। কিহলো?রাগ করে আছো আমার উপর?(মীনা) নিশ্চুপ কথা বলছোনা কেনো? নিশ্চুপ।
সকালের জন্য সরি।আসলে সবকিছু একটা অভিনয় ছিলো তোমাকে সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য। হুসাইন দোস আর রাগ করে থাকিস না।মেয়েটার পা লেগে গেলো। আংটিটা নে।(শান্ত)নিশ্চুপ। ও সত্যিই বলছে।সবকিছু আগেই প্লান করেছিলাম তোকে সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য।মীনা তিন মাস আগে তোকে ভালো চাকরীর জন্য শর্ত দিয়েছিলো কারণ ওর বাসা থেকে বিয়ের জন্য ছেলে দেখছে।তাই ও চাইছিলো তোর ভালো একটা চাকরী হলে বাসার সবাইকে তোর কথা বলবে।আর এতকিছুর আয়োজন সব মীনাই করেছে।(শিপন) প্লিজ ক্ষমা করে দাও আমাকে।জানি অনেক কষ্ট পেয়েছো তুমি। প্রমিস করছি আর কোনদিন তোমায় কষ্ট দিবোনা।(মীনা) সম্ভব না।আম্মু আমার জন্য মেয়ে দেখেছে।আমি হ্যা বলে দিয়েছি।তাছাড়া মেয়েটা দেখতে একদম পরীর মত।
(আমি) ওই কি বললি তুই?আমাকে ছেড়ে অন্য কাউকে বিয়ে করবি?তোর হা পা ভেঙ্গে দেবো আমি।(মীনা)লিমিট বজায় রেখে কথা বলো।তোমার সাথে এখন আমার আর রিলেশন নেই।সো আমাকে আর এসব বলে লাভ নেই।আমি আম্মুকে বলে দিয়েছি তাদের পছন্দের মেয়েকে আমি বিয়ে করবো। আর তোরা আমার ফ্রেন্ড হয়ে পারলি আমাকে কোনকিছু জিঙ্গেস না করে এসব করতে?তোদের কাছ থেকে এমনকিছু আশা করিনি।যাইহোক যা হবার হয়েছে।আজ থেকে সবার সাথে আমার সম্পর্ক এখানেই শেষ।(আমি) হুসাইন পাগল হয়ে গেছিস তুই?চুপ থাক।আর একটা বাজে কথা বলবিনা।(শিপন) রাখ তোর ধমক।তোর খাই না পড়ি যে তোর কথা শুনবো আমি।লাইফটা আমার সিদ্ধান্তটাও আমার।আর মীনা আজকের পরে কোনদিন আমার সাথে যোগাযোগ করবেনা।আজ থেকে আমি ভাববো আমি কোন ভালোবাসার মানুষ ছিলোনা।কোন ফ্রেন্ড ছিলোনা।(আমি) হুসাইন চুপ কর প্লিজ।সব দোষ আমাদের।
আমাদের সাথে নাহয় নাই কথা বলিস কিন্তু মীনাকে কষ্ট দিস না।মেয়েটা তোকে খুব ভালোবাসে।(ফকরুল) মীনার দিকে তাকালাম একবার।ওর চোখ থেকে পানি পড়ছে। হাসালি।এই মেয়ে ভালোবাসে আমাকে?যে আমার থেকে আমার চাকরীকে বেশি ভালোবাসে তাকে আমি জীবনসঙ্গী বানাতে পারিনা।ভালো থাকিস সবাই।(আমি) কথাগুলো বলে পা বাড়ালাম ছাদ থেকে নামার জন্য।শিপন এসে আমার ধরে আটকানোর চেষ্ট করলো কিন্তু আমি হাত ছাড়িয়ে নিচে চলে আসলাম।মিনিট ৩ নিচে থাকার পর আবার ছাদে ওঠলাম।দরজার পাশে লুকিয়ে দেখলাম সবাই কি করছে।সবাই চুপচাপ বসে আছে। চিন্তার ছাপ সবার মুখেই।মীনা কাদছে নিঃশব্দে।চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়ছে।
না অনেক হয়েছে আর না।মেয়েটা অনেক কেঁদেছে আর কাঁদানো যাবেনা।দরজা দিয়ে ছাদে প্রবেশ করলাম।সবাই আমাকে আবার আসতে দেখে তাকিয়ে আছে আমার দিকে।সবাইকে এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে হেসসে ওঠলাম আমি। সবাই এবার অদ্ভুদ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।ভাবছে আমি পাগল হয়ে গেছি।একটু আগে সবার সাথে ঝগড়া করলাম আর এখন হাসছি।হাসি থামিয়ে বললাম আমার অভিনয়টা কেমন ছিলো?(আমি) অভিনয়?(বিধান) হুম অভিনয়।তো তোরা কি ভেবেছিলি তোরা আমি সত্যি বলেছি সবকিছু?হা হা হা।এতদিন আমার সাথে থাকলি আর আমাকে চিনলি না?তোদের ছাড়া আমি থাকবো কিভাবে?সম্ভব না।আর মীনা তুমিও বুঝলেনা কিছু।এই ভালোবাসো আমাকে?হি হি হি হি।সবাইকে বোকা বানাতে পেরে মজা লাগছে। আমি আরো কিছু বলতে যাবো তার আগেই আমার বুকের বাহুডোরে কেউ একজন স্থান করে।তার চোখের পানিতে আমার শার্ট ভিজে যাচ্ছে।
পাগলী মেয়ে তোমাকে ছেরে কোথায় যাবো হু।তোমাকে ছারা আমি মরেই যাবো।(আমি) ওই একদম মরার কথা বলবেনা।আরেকবার মরার কথা বললে তোমার আগে আমি মরে যাবো।(মীনা) সরি বাবা আর বলবোনা। কিরে কেট কাটবিনা?কেট বাসি হয়ে গেলোতো।(শিপন) শিপনের কথা শুনে মীনা লজ্জায় আমাকে ছেরে দিলো। এরপর আর কি। কেক কেটে সবাই অনেক মজা করলাম। এমন ফ্রেন্ড যাদের লাইফে আছে তাদের কখনো কোন কষ্ট থাকতে পারেনা।
*সমাপ্ত*