আড়চোখে বারবার মেয়েটির দিকে তাকাচ্ছে অনিক। ইশ… এভাবে কেন বারবার ধরা পড়ে যাচ্ছে? মেয়েটার কি আর কোন কাজ নেই? আমাকে পাহারা দিচ্ছে। আর তাকান যাবে না কিন্তু চোখ গুলো যে ভীষণ সুন্দর, চোখ ফেরাতে ইচ্ছেই করে না আপন মনেই ভাবছে অনিক।
এদিকে ঈশিতা ভাবছে, ছেলেটা এত গাধা কেন? শুধু তাকিয়ে থাকে কেন ? আমি কি বাঘ না ভাল্লুক? একটু কথা বললে কি হয়? আমি কি কামড় দিব নাকি?
English spoken কোচিং এর ছোট্ট ক্লাসরুম, সামনের দিকে বসা একজোড়া বালক বালিকার নীরব দৃষ্টি বিনিময় স্যার এর চোখ এড়িয়ে যাওয়ার কোনই কারণ নেই। স্যার ভাবছেন অনিক ছেলেটা ভালোই কিন্তু ইদানিং মনে হয় এদিক ওদিক একটু বেশিই তাকাচ্ছে। আজ একটু শিক্ষা দেয়া যাক।
ভাবতে ভাবতেই স্যার ডেকে উঠলেন,
– মি. অনিক।
– জি… জি.. জি স্যার ।
– আপনি আমাকে একটা প্রশ্ন এর উত্তর দিন,
”আমি এতক্ষন মিস ঈশিতা এর দিকে তাকিয়ে ছিলাম”, এর ইংরেজী কি হবে ?
স্যার প্রশ্ন শুনে অনিক হতভম্ব হয়ে গেল । ক্লাসের সবাই মুখ টিপে হাসছে আর অনিক-ঈশিতা কে দেখছে। অনিক কিছুক্ষন তোতলাতে তোতলাতে লজ্জায় উত্তর টুকুও দিতে পারল না।
আর ঈশিতা….. লজ্জায় লাল হয়ে গিয়েছে, চোখ দুটো ছলছল করছে।
অনিকের লজ্জাবনত চোখ আবার ঈশিতার উপর পড়তেই অবাক হয়ে খেয়াল করল ঈশিতাকে আরও বেশি সুন্দরী লাগছে , ছলছল চোখে ওকে মনে হচ্ছে ভোরের শিশির ভেজা রক্ত গোলাপ।
সেদিনের মত স্যার ছুটি দিয়ে দিলেন, সবাই ক্লাস ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছে।
ঈশিতা এখনও অনিকের দৃষ্টি অনুভব করতে পারছে, ভাবছে কবে যে ওর একটু কথা বলার সাহস হবে? রাস্তায় বন্ধু রিমনের সাথে হাটতে হাটতে অনিক ভাবছে, আমি কি ঈশিতাকে ভালবেসে ফেলেছি? ওর কথা এত ভাবছি কেন? ওর সাথে একদিন কথা বলব। কিন্তু কি বলব?
তোমার চোখ গুলো ভীষন সুন্দর
কিন্তু যদি চড় মারে? আপন মনেই গালে হাত দিয়ে হাটছে অনিক।
কিছু সুখের দিন হয়তো দ্রুতই চলে যায়। English কোচিং এর তিন মাসের মধ্যে দুটি মাস দেখতে দেখতে কেটে গেল।
চোখা-চোখি, হালকা হাসি, পড়া ধরিয়ে দেয়া এই নিয়ে সব কিছু ভালোই চলছিল। কিন্তু অনিক অথবা ঈশিতা কারোরই কাউকে কিছু বলার সাহস হয়নি।
অনিক সরকারি একটি কলেজে সম্মান ২য় বর্ষে পড়ছে, মধ্যবিত্ত পরিবার এর বড় সন্তান। ছোট ছোট দায়িত্ববোধ, স্বপ্ন, অপূর্ণ ইচ্ছা এই নিয়ে সাধারণ এক জীবন। ইচ্ছে আছে সুযোগ পেলে স্কলারশিপ নিয়ে দেশের বাইরে পড়তে যাবে তাই এখানে কোচিং করছে।
আর ঈশিতা এইবছর এইচ.এস.সি দিয়ে একটা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে এখনও ক্লাস শুরু হয়নি। মোটামুটি স্বচ্চল পরিবারের সন্তান রূপবতী, মেধাবী। ক্লাসের সবার সাথেই খুব ফ্রেন্ডলি সবার সাথেই ফেসবুকে এড্ আছে।
কিন্তু অনিক এখনো ওর সাথে ফ্রেন্ডলি হতে পারেনি। কোথায় যেন ওর বিবেক বারবার বাধা দিচ্ছে, কিছুটা লজ্জাও হয়তো মিশে আছে তাতে।
ঈশিতা এর মধ্যে একদিন হঠাত্ করেই স্যারকে বলল,
– স্যার, আমি আর কাল থেকে ক্লাসে আসব না ।
– কেন ঈশিতা?
– স্যার, আমার ভার্সিটিতে ক্লাস শুরু হয়ে যাবে।
– ঠিকাছে ভাল থেকো।
কথাগুলো শুনেই অনিক কেমন যেন হকচকিয়ে গেল। মনে হচ্ছে বুকের মাঝে কি যেন মোচড় দিচ্ছে।
দেখতে দেখতে ক্লাস শেষ হয়ে গেল। সবাই চলে যাচ্ছে, যাওয়ার আগে ঈশিতাকে গুডবাই, ভালথেকো বলে যাচ্ছে। অনিক যেন নিজের জায়গা ছেড়ে নড়তে পারছেনা। দেখতে দেখতে ক্লাস খালি হয়ে গেল।
এখন ক্লাসের দুই প্রান্তে শুধু দুজন বসে আছে……
পরস্পরের দিকে তাকিয়ে….
অনিক আর ঈশিতা…. ।
দুজনের তৃষ্ণার্ত দৃষ্টিতে ভিজে যাচ্ছে দুজনায়, নীরবতা যেখানে চিত্কার করে বলছে, ভালবাসি…. ভালবাসি…. ভালবাসি।
অনিক তখনও চুপ।
ঈশিতার বান্ধবি মৌ এসে একটু পর ঈশিতাকে ডেকে নিয়ে গেল। আলাদা হয়ে গেল দুজনার পথচলা। ফাঁকা ক্লাসে একা বসে রইল নিঃস্ব অনিক।
রিকশা দিয়ে যেতে যেতে ঈশিতা ভাবছে, অনিক তুমি এত বোকা কেন? আজ তো কিছু একটা বলতে পারতে! ভাবতে ভাবতেই হঠাত খেয়াল একফোঁটা অশ্রু টুপ করে হাতে পড়ল।
ঈশিতা অবাক হয়ে ভাবল, একি ও কাদঁছে ? কার জন্যে কাদঁছে? অনিকের জন্যে? না আমি কাঁদব না।
আমি আজ বড্ড অভিমান করেছি অনিক, তোমার উপর, অনেক অভিমান। তুমি কি একটি বার আসবে অনিক ? আমার অভিমান টুকু ভাঙাতে।
চিন্তা গুলো যেন ঈশিতার চোখ দুটো ঝাপসা করে, গাল বেয়ে ঝরছে…।
কয়েকদিন কেটে গেল, অনিকেরও খুব অস্থির লাগছে! দুটি কাজলকালো চোখ যেন ওকে প্রতি মুহূর্তে তাড়া করে বেড়াচ্ছে। ক্লাসেও মন দিতে পারছেনা। বারবার শুধু ঈশিতার বসার জায়গাটার দিকে চোখ যাচ্ছে। আর চোখে ভাসছে বিদায় বেলার ঈশিতার করুণ মুখখানি।
নিস্তব্ধ দুটি মানুষ খুব করে চাইছে পরস্পরের একটুখানি সান্নিধ্য , সৃষ্টিকর্তা হয়তো শুনবে তাদের এই পূর্ণতার আকাঙ্খা…
অনিকের সবচেয়ে কাছের বন্ধু রিমন। অনিক আর সহ্য করতে না পেরে রিমনকেই সব খুলে বলল।
রিমন কিছুটা অবাক হল এই ভেবে যে, এই চুপচাপ ছেলেটাই কিনা ঈশিতাকে এত ভালবেসে ফেলেছে। আবার একটু রাগ হচ্ছে, গাধাটা একদিনও ঈশিতার সাথে কথা বলেনি আগে বললেও তো কিছু একটা ব্যবস্থা করে দিতাম।
কিন্তু মুখে অনিককে কিছুই বলল না। জানে ওকে বলে কোনো লাভ নেই।
অনিক রিমনকে সব বলে অনেকটা হালকা মনেই বাড়ি ফিরে গেল।
রিমনের সাথে ঈশিতার ফেসবুকে এড্ আছে যদিও কোনদিন কথা হয়নি।
রাতে রিমন ঈশিতাকে ফেসবুকে নক্ করল। স্বাভাবিক কিছু হাই, হ্যালো কথা হওয়ার পর, রিমন অনিকের কথা তুলল।
ঈশিতাও আর সহ্য করতে পারল না ,অনিক কেমন আছে? ক্লাস করে কিনা? ফেসবুক চালায় কিনা? এই রকম হাজারটা প্রশ্ন করতে শুরু করল। উত্তর দিতে দিতে রিমনের মাথা খারাপ হওয়ার অবস্থা।
শুধু লজ্জার জন্যে ফোন নাম্বারটাই চাইতে পারলনা ঈশিতা।
ইশিতাও যে অনিকের প্রতি দুর্বল রিমন ভাল ভাবেই বুঝতে পারল। রিমন ভাবছে এখন এই দুই অবলা প্রানীকে কি করে কথা বলানো যায়? একটা সুন্দর বুদ্ধিও বের করল।
তারপর ঈশিতাকে বলল,
– ঈশিতা ।
– হুম বলো ।
– সামনের রবিবার, আমরা কোচিংএ একটা ফেয়ারওয়েল পার্টি করব। তুমি অবশ্যই আসবে।
– অবশ্যই আসব।
ঈশিতা এক কথায় রাজি।
আর রিমন আপনমনেই হাসছে কাল ক্লাসে গিয়ে এখন অনিকটাকে একটু সাইজ করতে হবে।
পরদিন ক্লাসে গিয়ে রিমন পুরো চুপ হয়ে থাকল। অনিকের সাথে একটা কথাও বলল না। অনিক কিছু প্রশ্ন করলে, উত্তরও দিল না।
ক্লাস শেষে অনিক রাগ করে চলেই যাচ্ছিল, হঠাত্ রিমন ডাক দিয়ে বলল,
– অনিক, রবিবার পান্জাবী পড়ে আসবি, তোকে নিয়ে ঘুরতে যাব।
– কেন?কোথায় যাবি? (একটু রাগতস্বরেই বলল অনিক)
– পড়ে বলব, আর শুন আমাদের ঐদিকে ফুলের দোকান নেই।
তোদের ওদিকে ফুল পেলে, কিছু ফুল নিয়ে আসিস তো।
বলেই, রিমন কোনমতে হাসি চেপে চলে গেল।
অনিক কোচিং এর সামনে দাড়িয়ে রাগে ফুসছে। শ্যালক, তুমি সারা ক্লাস কথা বলবা না ? এখন ইচ্ছেমত অর্ডার করে চলে যাবা। কাকে না কাকে প্রোপজ করবা, আমার টাকায় ফুল দিবা। দাড়াও মজা দেখাচ্ছি…
আজ
রবিবার…
হুমায়ূন আহমেদ স্যারের নাটক ‘আজ রবিবার’ না। আজ সত্যি সত্যি রবিবার।
ঈশিতার খুব ইচ্ছে করছে ‘রূপা’ হতে। নীল সাজে নীলাম্বরী সাজতে। আজ হয়তো অনিকের সাথে দেখা হবে। ভাবতে ভাবতেই ঈশিতার চোখ ভিজে উঠল !
কি হবে সেজে? কার জন্যে সাজবে? বোকাটা তো শুধু চেয়েই থাকবে, কিচ্ছু বলবে না।
ভাবতে ভাবতেই ঈশিতা তৈরি হয়ে বেরিয়ে পরল।
রাস্তার লোকজন অবাক হয়ে দেখছে রিকশা দিয়ে নীল সাজে এক নীলপরী যাচ্ছে।
”পরীর গালে অশ্রু ধারা, কাজল রঙে লেপটে আছে !”
অনেক খুঁজে পেতে সাদা পান্জাবীটা বের করল অনিক। তারপর ঝটপট চারলাইন এর একটা কবিতা লিখে পকেটে ফেলে, পান্জাবী পড়ে বেরিয়ে পরল।
মোড়ের ফুলের দোকানে গিয়ে দেখে গোলাপ শেষ শুধু রজনীগন্ধা আছে তাই ই নিয়ে নিল। ফুলগুলোর মাঝে কবিতা লিখা চিরকুটটা গুজে দিল। আপনমনেই হাসছে অনিক আমার টাকার ফুলে প্রোপজ করবি? এই চিরকুট সহ ফুল পেয়ে, মেয়ের হাতের চড় একটাও মাটিতে পরবে না। বুঝবে বাবা রিমন, থুক্কু শালা রিমন আসছি আমি।
কোচিং এর সামনে আসতেই ঈশিতা, রিমনের ফোন পেল,
– হ্যালো, ঈশিতা।
– হ্যালো, রিমন।
– আমি কোচিং এর উল্টো দিকের পার্কে আছি তুমি একটু এসোতো।
ঈশিতা কিছু না ভেবেই বলে দিল আসছি।
পার্কে রিমন একটা বেঞ্চে বসে আছে। অনিককে অনেকক্ষন আগেই ফোন দিয়ে এখানে আসতে বলে দিয়েছে।
হঠাত্ পিছন থেকে একটা ঘুসি খেয়ে পিছন ফেরে দেখে অনিক চলে এসেছে।
– কিরে শালা, একা একা বসে কার কথা ভাবিস এই নে তোর ফুল।
– আপাতত তোর কাছেই রাখ।
পার্কের গেইট দিয়ে ঈশিতাকে ঢুকতে দেখেই, রিমন অনিককে বলল,
– শোন, ঐ যে ঈশিতা আসছে। তুই আজ ওকে প্রোপজ করবি।
– তোর কি মাথা খারাপ হয়েছে? ও এখানে কেন? ও তো আমাকে মেরেই ফেলবে। তুই না আমার দোস্ত আমাকে বাঁচা প্লিজ।
– আমি তোর দোস্ত না। আমি তোর শালা তুই আমার দুলাভাই।
– মানে কি? কি বলছিস এইসব?
– শোন বাবা অনিক, টাইম কম… ঈশিতা আমার বোন। আজ যদি তুই ওকে প্রোপজ করিস, আমি তোর শালা & তুই আমার দুলাভাই। নইলে তোর সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই।
রিমনের কথা শুনে অনিক পুরো বেআক্কেল হয়ে গেল। আর এর মধ্যে ঈশিতাও চলে এল।
কাছে এসে রিমনের সাথে অনিককে দেখে একটু অবাকই হল ঈশিতা।
সাদা পান্জাবী, সাদা রজনীগন্ধা…. দেখতে খারাপ লাগছে না। ঈশিতার পছন্দের রঙও সাদা।
– হাই, রিমন। হাই, অনিক।
– হ্যালো,ঈশিতা।
রিমন জবাব দিল কিন্তু অনিক কিছুই বলতে পারল না। অনিক অবাক হয়ে ঈশিতাকে দেখছে অসম্ভব সুন্দরী লাগছে মেয়েটিকে। ঠিক যেন ওর স্বপ্নের নীলপরী।
হঠাত্ রিমন ঈশিতা কে বলে উঠল,
– না.. মানে…হয়েছে কি….ঈশিতা , আজ অনিক একজনকে প্রোপজ করবে, তাই একটু পার্কে এসেছি। কাজটা শেষ করেই ক্লাসে যাব।
– ঠিকাছে….
ঈশিতা অনেক কষ্টে কান্না আটকে রেখে ভাবছে….তবে কি অনিক অন্য কাউকে?
রিমন অনিকের পেটে একটা কনুই দিয়ে গুতো দিল। তারপর ঈশিতা এর দিকে ফিরে বলল,
– আমার ফোনে ব্যালেন্স শেষ। তোমরা একটু দাড়াও। আমি এক্ষুনি আসছি।
বলেই রিমন এক ছুটে চলে গেল।
অনিক আর ঈশিতা দুজন দুজনার দিকে তাকিয়ে আছে।
– কেমন আছেন, মি. অনিক?
– হুম….ইয়ে… মানে… ভাল।
তুমি…না..মানে..আপনি?
– হুম… আছি।
অনেক সাহস করে, ফুল গুলো ঈশিতার দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বলল, আপনার জন্যে।
ঈশিতা সব বুঝতে পেরে কিছুটা লজ্জা পেল, তারপর ফুল গুলো নিল। অনিক ভয়ে নিচের দিকে তাকিয়ে আছে।
ফুলগুলোর মধ্যে একটা চিরকুট পেয়ে পড়তে শুরু করল,
”হারিয়ে যাওয়া পথের শেষে,
আবার এলাম ফিরে।
আমার সকল ভালবাসা,
শুধুই তোমায় ঘিরে।
তুমি কি আমার বাবুর আম্মু হবে, প্লিজ?”
ঠাস!!ঠাস!!!
একটু পর অনিক টের পেল ওর গাল দুটো জলছে। কিন্তু চড় তো রিমনের খাওয়ার কথা, ও কেন?
তখনই মনে পরল চিরকুটটার কথা!
– এই সব কি, অনিক?( ঈশিতা চিত্কার করে বলল)
অনিক কনফিউজড, ঈশিতা খুশিতে চিত্কার করছে নাকি রাগ করে? তারপর ভাবল চড় তো আর দুইবার দিবে না, যা আছে কপালে। এই ভেবে বলে দিল,
– আমি তোমাকে ভালবাসি।
– হোয়াট?
– না….মানে… এর ইংরেজি কি হবে?
ঠাস!! ঠাস!!
– গাধা, অসভ্য, শয়তান এই কথা টুকু বলতে এত দিন লাগে?
– আরে বাবা, মারছ কেন? (দুইগালে হাত চেপে বলল অনিক)
– তোমাকে মারবে না তো আদর করবে? এই কথা টুকু বলতে এতদিন লাগালে! এখন আবার বলছ, ইংরেজী কি হবে?
– তাই বলে, এভাবে মারবে?
– এই, আমার অনি কে আমি মেরেছি। তোমার কি?
বলতে বলতে অনিককে জড়িয়ে ধরল ঈশিতা।
– শুনো। ঐ কথাটার ইংরেজী হল, আই লাভ ইউ। আই লাভ ইউ, অনি।
– আই লাভ ইউ টু ,ঈশি।
এভাবেই শুরু হল অনিক-ঈশিতার এক সাথে পথচলা।
(সমাপ্ত)